বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত রয়েছে
বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত রয়েছে তা জানতে হলে এই ব্লগটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার জন্য। বান্দরবান জেলা থেকে দাঁড়িয়ে পূর্ব দিকে আমরা দেখতে পাই যে সীমান্তটি তার নাম মিয়ানমার। মিয়ানমারের চীন প্রদেশ বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঠিক পূর্বের অবস্থিত ।
বান্দরবানের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বোমা সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত ছিল বান্দরবান জেলা। বোমা এই নামটি রাজ পরিবারের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির সাথে মিশে ছিল। তাই বান্দরবানের আদি নাম ছিল বোমাং থং। বান্দরবান জনপ্রিয় হয়ে আছে আরাকান পর্বতমালার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবং পাহাড়ি মেঘমালার জন্য।
পেজ সূচিপত্রঃ বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত রয়েছে
- মায়ানমারের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা
- বান্দরবানের সবচেয়ে বড় উপজেলা
- আরাকান একটি অঙ্গরাজ্য
- চীন প্রদেশ একটি রাজ্য
- বান্দরবান জেলার উপজেলাগুলো হলো
- বান্দরবান জেলার নামকরণ ও প্রতিষ্ঠাকাল
- বান্দরবান যাওয়ার উপযুক্ত সময়
- বান্দরবানের আরেকটি পাশের দেশ
- মিজোরামের রাজধানী আইজল
- বান্দরবানের অর্থনৈতিক অবস্থা
- বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত
- বান্দরবান জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
মায়ানমারের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা
বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত রয়েছে তা জানতে হলে বান্দরবানকে ভালোভাবে জানতে হবে। মায়ানমারের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা তিনটি - রাঙ্গামাটি, বান্দরবা্ এবং কক্সবাজার।বাংলাদেশের বান্দরবান হলো সর্ব পূর্ব দিকের একটি জেলা। উপজেলা গুলোর মধ্যে আবার থানচি হল সর্ব পূর্বের উপজেলা। বান্দরবান সীমান্তে মায়ানমার হওয়ায় আমরা মায়ানমারকে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পেয়েছি। বান্দরবানকে পর্যটকরা খুব পছন্দ করে কারণ পর্বত মালার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবং পাহাড়ি মেঘমালার সৌন্দর্য বান্দরবান কে করে রেখেছে রূপময়ী।
এখানে ৩০ টি পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে শহরের কাছাকাছি আকর্ষণ হল নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপা্ত, স্বর্ণমন্দির আরো অনেক কিছু। যা দেখলে আপনি অভিভূত হয়ে যাবেন। এই পাহাড়, ঝরনা আপনার ক্লান্তিকে করবে দূর। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আপনার মনকে করবে আনন্দিত। পর্বতশৃঙ্গ এবং ট্রেকিং পর্যটকদের জন্য বিশেষ গন্তব্য হতে পারে।
বান্দরবানের সবচেয়ে বড় উপজেলা
প্রথমে জেনে নেই অবস্থান ও আয়তনের দিক দিয়ে বান্দরবানের সবচেয়ে বড়
উপজেলা থানচি। এর আয়তন ১০২০.৮২ কিলোমিটার বা ২ ,৫২ ,২৫০ একর । বান্দরবান জেলা
সদর থেকে থানচি উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী মায়ানমার
হওয়ার জন্য বান্দরবানের অধিবাসীদের ভৌগোলিক আবহাওয়া প্রায় মিল। থানচি
উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদী তেমনি নাফ নদী প্রবাহিত হচ্ছে
মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে।
শুরুতেই বলেছিলাম পূর্ব এলাকা জুড়ে বান্দরবানের রয়েছে মায়ানমারের আরাকান
প্রদেশ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বাংশে অবস্থিত। আর নাফ নদীর
দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে "আরাকান ইয়োমা" নামের দীর্ঘ পর্বত শৃঙ্গ রয়েছে। এই পর্বত
শৃঙ্গ দেখার পর চোখ দুটো জুড়িয়ে যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে মন প্রফুল্ল হবে। থানচি তে
দেখার মত অনেক স্থান আছে।
আরাকান একটি অঙ্গরাজ্য
মায়ানমার (বার্মা) একটি অঙ্গরাজ্য আরাকান। যা বান্দরবান জেলার সীমান্ত প্রদেশ। বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়ে নাফ নদী আলাদা হয়েছে এবং সে তার নিজ গতিতে প্রবাহিত হয়। আরাকানের প্রাচীন একটি নাম আছে তা হল "রাখাইন পিয়ে"। রাখাইন শব্দটি এসেছে সংস্কৃত রামাস এবং পালি শব্দ ইয়াক্কা থেকে।আরাকান হলো মিয়ানমারের (পূর্বে বার্মা নামে পরিচিত) একটি উপকূলীয় অঞ্চল ও ঐতিহাসিক রাজ্য।
আরাকানিদের ভাত হলো প্রধান খাদ্য। এখানে অধিকাংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মাঝে মাঝে দেখা মেলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ।বান্দরবানের পাশে বা কাছাকাছি চট্টগ্রাম জেলা হতে আরাকানের শাসনামলে চট্টগ্রাম ছিল তাদের আনাগোনা। আরাকানিদের একটি ঐতিহ্যবাহী কারু শিল্প আছে তা হলো যেখানে তারা কিছুদিন থাকতো সেখানে মাটির বা কাঠের দুর্গ তৈরি করত। এই কারু শিল্প টি ছিল অসাধারণ।
চিন প্রদেশ একটি রাজ্য
মায়ানমারের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর মধ্যে চিন হলো অন্যতম। জরিপে উঠে এসেছে চীনের দরিদ্রতার হার ৫৮ শতাংশ যা মিয়ানমারের মধ্যে সর্বোচ্চ। চিনে প্রায় ৫৩ ধরনের ভাষাভাষীর লোক রয়েছে। রেডিও ফালাম একটি উপভাষার নাম যা চীনেরা ব্যবহার করে থাকে। চিন পাহাড় ঐতিহ্যগতভাবে সায়ত্বশাসিত ছিল।চিন জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা চিন পর্বতে বসবাস করে।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গভীরভাবে প্রভাব পড়ে চিন রাজ্যে। চিন রাজ্য এমন একটি রাজ্য মিয়ানমারে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জনসংখ্যা বেশি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী হওয়াতে তারা অনেক বৈষম্যের শিকার হয়।তাছাড়া দেখা যায় সংখ্যালঘুরা বৈষম্যের শিকার বেশি হয়ে থাকে। এই রাজ্যটিতে পর্বতে আচ্ছাদিত হওয়ার কারণে রাজ্যটির যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত।
বান্দরবান জেলার উপজেলাগুলো হলো
বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত রয়েছে তা জানার জন্য আমরা উপজেলাগুলো জানবো। বান্দরবান জালার উপজেলাগুলোর নাম হলো বান্দরবান সদর, রুমা, বোয়াংছড়ি, থানচি ,নাইক্ষ্যংছড়ি,লামা আলীকদাম এই উপজেলা গুলো বান্দরবান জেলায় । এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।বাংলাদেশের যে তিনটি পার্বত্য জেলা আছে তার একটি হল পার্বত্য চট্টগ্রাম অন্য দুটি হল রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত জেলা হচ্ছে বান্দরবান।
যেখানে শিক্ষার হার কম এবং জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম জনবহুল বান্দরবান জেলা । এই জেলাটিকে সৌন্দর্য যেনো হাতছানি দিয়ে ডাকে কিন্তু অপরদিকে মানব সৃষ্ট তেমন কোন কিছু দ্বারা উন্নয়ন আছে বলে মনে করি না কারণ শিক্ষার যেখানে প্রসারিত নাই সেখানে উন্নয়নের বাধা আসবে পর্যটকদের আনাগোনা এই বান্দরবানে বেশি। লামা উ[পজেলাটি অনেক সুন্দর। যেখানে পর্যটকদের চলাচল বেশি সেখানে প্রকৃতির সাজসজ্জা থাকবে অসাআধারণ।
বান্দরবানের প্রতিষ্ঠাকাল ও নামকরণ
১৯৫১ সালে বান্দরবান জেলা প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে পূর্ব পাকিস্তানের মহকুমা হিসেবে এবং সেই সময়কালে বান্দরবান রাঙ্গামাটি জেলার প্রশাসনিক ইউনিট ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্থাৎ ১৯৭১ এর পর বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের মধ্যে।পড়ে। আমরা সত্যিই খুব ভাগ্যবান যে পার্বত্য জেলাগুলি বাংলাদেশের মধ্যে। এই সৌন্দর্য পর্যটকদের মোহিত করে ।
যেহেতু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বসবাস এখানে বেশি তাই বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে ডাকে বান্দরবান কে অর্থাৎ মারমা ভাষায় ডাকা হতো বান্দরবান কে "রদ কাওচি মৌ"। বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত রয়েছে তা জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে বান্দরবানের ইতিহাস। বর্তমানে সরকারি দলিলপথে সরকারিভাবে নামটি হয় বান্দরবান। ১৯০০ সালে পার্বত্যচত্রগ্রাম। কে ভাগ করা হয় তিনটি সার্কেলে। চাকমা সার্কেল ,মং সার্কেল এবং বোমাং সার্কেল। সেই সময় বান্দরবান ছিল বোমান সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত আর সেই কারণে জেলাটির আদি নাম বোমাং থং।
বান্দরবান যাওয়ার উপযুক্ত সময়
বান্দরবান যাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সিজন হিসেবে। একক সিজনে বান্দরবান এক এক রকম সৌন্দর্য বিকশিত করে ।তবে যদি সতেজ প্রকৃতি ও মেঘমালা দেখতে চান তাহলে আপনি যাবেন বর্ষাকালে। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে হলে বর্ষা শুরু থেকে হেমন্ত পর্যন্ত আপনার জন্য খুব সুন্দর একটা সময় অর্থাৎ জুন থেকে নভেম্বর মাস হলো প্রকৃতি দেখার সময়। পাহাড়ের গা ঘেসে মেঘগুলো উড়ে বেড়ায় ,তুলার মতো মেঘগুলো দেখতে হয়।দারুণ এক দৃশ্যের অবত্বরণ হয়ে থাকে।
আর আপনি যদি শুকনো মৌসুমে বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চান তাহলে আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ সময় হলো ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস। শীতকাল হলেও পাহাড় যেন শীতকে আলাদা করে রাখে ।পর্যটকদের ্এমন কেড়ে নেয় এই পাহাড়ের সৌন্দর্য এবং আঁকাবাঁকা রাস্তা গুলো। যতদূর চোখ যায় মন ভরে যায় এবং ভালোলাগা যেন শেষ হয় না।
বান্দরবানের পাশের আরেকটি দেশ
বান্দরবানের আরেকটি প্রতিবেশী দেশ হলো মিজোরাম । মিয়ানমারের পাশেই তার
অবস্থান এবং বান্দরবানের ঠিক পূর্ব দিকে আরেকটি সীমান্ত যার নাম মিজোরাম। নিজেদের
উৎপত্তি ভারতের উত্তর-পূর্বের আদিবাসীদের মত। ধারণা করা যায় চায়না থেকে যে
জাতিটি বার্মা গিয়েছিল সেই জাতির নাম মিজো। মি্জোদের জীবন ব্যবস্থা ছিল
যাযাবরদের মতো ।গৃহীত ধারণা থেকে জানা যায় একটা অংশ এবং তারা ছিল বৃহত্তম জাতি
মঙ্গোলিয়ান এর অংশ।
মিজোরামের ঠিক উত্তর পূর্ব ভারতের এবং এটি একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য। দক্ষিণে আছে
মিয়ানমার ও ৭২২ কি্লোমিটার দীর্ঘ সীমানা রয়েছে বাংলাদেশের। মিজোরামে
আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি তাই মিজোরামকে বলা হয় পাহাড় নদী ও হ্রদের
দেশ। এখানে যে বড় বড় পাহাড় আছে এর মধ্যে অন্যতম পাহাড় নীল পর্বত যার উচ্চতা
২২১০ মিটার এটি মিজোরামের সর্বোচ্চ চূড়া। এই চূড়াটি মিজোরামের সৌন্দর্য বহন করে
।
মিজোরামের রাজধানী আইজল
বান্দরবানের পূর্বে মিজোরাম অর্থাৎ মিজোরাম থেকে পূর্বে মিয়ানমার এবং পশ্চিমে বাংলাদেশ। মিজোরাম অর্থ পাহাড়ী মানুষের রাজ্য ।মি= মানুষ ,জো= পাহাড়, রাম= রাজ্য। এই রাজ্যটির রাজধানীর নাম আইজল। খুব সুন্দর একটি শহর। সারা শহরে রাতের সময় অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি হয় মনে হয় যেন রাতের বেলায় আইজল শহর একটি স্বপ্নপুরী। দূর থেকে বড় বড় বাড়ির আলোগুলো মনে হয় জোনাকীর মতো জ্বলে।
পাহাড়ের কোন ক্ষতি না করে এত সুন্দর করে আইজল শহরটিকে সাজানো তা মুখে বলে
শেষ করা যাবে না। রাস্তার পাশে চলাচলের জন্য আছে সুন্দর ফুটপাত এবং অধিকাংশ
বাড়িতে চলাচলের জন্য আছে নিজস্ব গাড়ী। শহরের ৯০% লোকই
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী। তাই গির্জা বেশি আছে আর সেজন্যই আইজলকে গির্জার শহর বলা হয়।
মিজোরাম দের অধিকাংশ মানুষদের প্রধান খাদ্য হলো ভাত ,মাংস ডাল এবং সবজি অর্থাৎ
আমিষ উপাদান তাদের বেশি পছন্দ।
বান্দরবানের অর্থনৈতিক অবস্থা
বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত আছে তা জানার পাশাপাশি এই দুর্গম পাহাড়ে এলাকা হয়েও প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ । মাঝে মাঝে মনে হয় এ যেন বাঙালি দার্জিলিং । এ জেলায় প্রবাহিত হয়েছে সাঙ্গু ও মাতামুহরি নদী। প্রধান প্রধান বনজ সম্পদের মধ্যে সেগুন গামারি গর্জন শিল কড়াই এর মত মূল্যবান কাঠ ও বাঁশ প্রধান। যা অনেক মূল্যবান কাঠ হিসেবে পাওয়া যায়।
আসলে কোনটা রেখে কোনটা বলবো -আমার কাছে বান্দরবান জেলাটি দেখার পর অনেকদিন মনে থেকেছে তার ভালোলাগাগুলো। পাহাড়ের গা ঘেঁসে কৃষিজ দ্রব্য, গুলোর গাছ গুলো দূর থেকে কি যে শোভা দেয় তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। শুধু মনে হচ্ছে প্রকৃতি যে ভাবে সাজিয়েছে তা দেখে আমি অভভূত। বিন্নি চাল উৎপাদন হয় সাদা লাল কালো এ তিন রকমের ।বিন্নি চালের উৎপাদন দেখা যায় সাধারণত এই অঞ্চলে। জুম চাষের কথা তো না বললেই হয় না। জুমের ভুট্টার স্বাদ বেশ সুস্বাদ্। এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যটন কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে পর্যটকদের সমাগম।
বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত
বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত আছে তা জানার জন্য বাংলাদেশ এর দুটি সীমান্ত রয়েছে তা হলো ভারত ও মিয়ানমার যে রাজ্যগুলোকে সেদিন সেক্টর বলা হয় আছে তা জানার জন্য বাংলাদেশের ভারত ও মিয়ানমার ।যে রাজ্দুয গুলোকে সেভেন স্টার বলা হয় তারা হলো আসাম, মিজোরা্ মনিপুরী ,মেঘালয়্নাগাল্যান্ড ,অরুণাচল ও ত্রিপুরা এ রাজ্যগুলোর মধ্য থেকে চারটির সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত আছে ।
বান্দরবানের পাশে যে আরেকটি জেলা আছে তার নাম রাঙ্গামাটি এবং মিয়ানমারের সাথে
তিনটি যে জেলা তার নামগুলো হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবা্ন, কক্সবাজার সীমান্ত
রয়েছে।রাঙ্গামাটি জেলাকে সীমান্ত রেখা পরস্পরকে স্পর্শ করছে যে তিনটি দেশ তা হল
বাংলাদেশ-ভারত ও মিয়ানমার। মজার ব্যাপার একটি সাধারণ জেলা তৈরি হয়েছে চিন দেশের
সীমান্ত যুক্ত হয়ে। দেখা গেছে সীমান্তবর্তী দেশগুলো অনেক সুন্দর।
বান্দরবান জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
নিঃসন্দেহে বলবো এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। জলপ্রপাত উঁচু উঁচু পাহাড় এবং কিছু দর্শনীয় স্থান আকর্ষণ করে পর্যটকদের ।যেহেতু বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে শোভা বর্ধন করে পাহাড়ে ঝরনা, লে্ নদী ও বিশাল বিশাল পাহাড় আর এই মুগ্ধতা নিয়ে বান্দরবানকে বলা হয় পাহাড়ী কন্যা। বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত এর উত্তরে প্রথমে বলতে হয় বিখ্যাত নীলগিরির জন্য।
নীলগিরি থেকে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায় বান্দরবানের চারপাশের অঞ্চলে্র। বগালেক- এটি বগা কাইন্ লেক নামে পরিচিত বান্দরবানের আরেকটি দর্শনীয় স্থান । এই লেকের পানির রং নীল এবং চোখ ধাঁধানো। পাহাড়ের এত উপরে এই লেকটি যা দেখার পরে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত প্রতিটি পর্যটক এর।
শেষ কথাঃ
বান্দরবান জেলার সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত আছে তা পড়ে আশা করি ব্লগটি আপনার ভালো লেগেছে। মিয়ানমারের চিন-রাজ্য এবং মিজোরাম রাজ্যের সাথে সীমান্ত রয়েছে । মিজোরামের সাথে বান্দরবানে সীমান্ত মূল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে তৈরি স্থান কারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মোহিত করে তার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।দুঃসাহসিক ভ্রমণের সূচকের জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত ।
ঐতিহাসিক জেলা এটি বাংলাদেশে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বান্দরবানের। এই বান্দরবানের একটি উপজেলা আলীকদাম যা চিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত ।এই আলিকদামে বনজ সম্পদ প্রচুর । বনজ সম্পদ থাকার জন্য সেখানে বন্যপ্রাণী দেখা মেলে। আরো আমি বলব বান্দরবান স্বর্ণ মন্দিরের জন্য বিখ্যাত এটি স্বর্ণ নির্ণিত মন্দির না হলে ও পর্যটকরা না দেখে ভ্রমণের সমাপ্তি টানেনা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবসর সময় কাটাতে আপনার জন্য একটি সুন্দর জায়গা ও ভ্রমণ
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url