সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত - কোন কাজের চাহিদা বেশি

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত এই ধারণাটি আপনাকে রাখতে হয়। যেহেতু আপনি সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী । আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তবুও আপনাকে সুইজারল্যান্ড কাজের বেতন সম্পর্কে একটা ধারণা রাখতে হয় । আর তাই এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত

সুইজারল্যান্ড হল মধ্য ইউরোপে এক অন্যতম উন্নত দেশ। এ দেশের অর্থনীতি এত শক্তিশালী যে বিদেশী কর্মীদের কাজের বেতন তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়ে থাকে । কর্মসংস্থানের অন্যরকম এক সুযোগ রয়েছে এই দেশে। জেনে নিন সুইজারল্যান্ডে বর্তমানে চাহিদা বেশি কোন কাজের এবং কাজের বেতন কেমন। 

পেজ সূচিপত্রঃ সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত 

সুইজারল্যান্ড ইউরোপে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে কাজের জন্য যে প্রবাসী কর্মীদের নিয়োগ নেওয়া হয় তা, প্রবাসী সরকার  কর্তৃক সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা নেই। এ দেশে প্রবাসীরা প্রতি মাসে কাজ করার পরে সর্বনিম্ন একটা অ্যামাউন্ট ইনকাম করে থাকে এবং প্রতি ঘন্টায় কাজের বেতন দাঁড়ায় ২০ ডলার থেকে ২৭ ডলারের মধ্যে। আপনি ইচ্ছে করলে সেখানে ওভারটাইম কাজ করতে পারেন।

 সেখানকার কর্মীদের ওভারটাইম কাজের বেতন সাধারণ বেতনের চেয়ে হলেও বেশ কিছুটা বেশী পায়। যা প্রায় চার লাখ টাকা। সুইজারল্যান্ড পৃথিবীর একটি  অন্যতম উচ্চ আয়ের দেশ। এই দেশে যেতে পারলে প্রবাসী হিসেবে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসে ইনকাম করতে পারার আপনি সুযোগ পাবেন। আর এক উন্নত দেশে বসবাস করার সাথে সাথে, নিজের জীবন ব্যবস্থাকে উন্নত করার বিশাল এক সুযোগ হয়ে থাকে। প্রবাসে দক্ষতার সাথে নিজের কাজের পরিচয় দিন এবং জীবনমান উন্নত করুন।

বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে ইউরোপের এই উন্নত দেশ সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ হয়ে থাকে । সেই ভিসা ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে - সেনজেন ভিসা , স্টুডেন্টস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি। শুধু আপনাকে স্থির করতে হবে আপনি কোন ভিসা ক্যাটাগরিতে সুইজারল্যান্ডে যেতে চান। সেই অনুযায়ী আপনাকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যোগাড় করতে হবে। পাশাপাশি ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজের চাহিদাও কিছুটা ভিন্ন হয়। 

আপনার যখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ হবে তখন আপনি নিজে নিজে অথবা কোন বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন সহজে । তবে একটু মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা এই দেশের পাওয়া তুলনামূলকভাবে অনেক জটিল হয়ে থাকে । তবে তা অসম্ভব বলে কিছু না। এই দেশে সরকার উচ্চশিক্ষিত এবং দক্ষ কর্মীদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন । আর এই প্রাধান্যর দিক থেকে তারা নিয়োগ দিয়ে থাকেন ।

সুইজারল্যান্ড ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত, যাওয়ার মনস্থির থাকলে এই প্রশ্নটা চলেই আসে মনের ভিতরে । আর তাই ভিসা করার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাবেন তখন আপনি  সেনজেন ও জাতীয় ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। জাতীয় ভিসার মধ্যে রয়েছে স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে দেশটি সেনজেন ভুক্ত দেশ হলেও এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যভুক্ত দেশ হতে পারেনি।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য আপনি যখন ভিসা তৈরি করবেন । তখন আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভিসা ক্যাটাগরি থাকবে । মাথায় রাখতে হবে এই দেশের সরকার উচ্চশিক্ষিত এবং দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর থেকে ইউরোপে উচ্চ আয়েরের যে দেশগুলো আছে , সে দেশগুলোতে যাওয়া তুলনামূলকভাবে একটু কঠিন হয়। অর্থাৎ ভিসা প্রসেসিং - এ দীর্ঘ সময় লাগে এবং জটিল হয়ে থাকে।

  • ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • পাসপোর্ট 
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • ভোটার আইডি কার্ড 
  • স্কিল সার্টিফিকেট 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  •  মেডিকেল সার্টিফিকেট 
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার 
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  •  ট্রাভেল রেকর্ড 
  • ব্লক মানি 
  • ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
  • কাজের চুক্তিপত্র
  •  রিকমেন্ডেশন লেটার 
  • ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট 
  • ওয়ার্ক পারমিট 
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • বৈধ কাজের অফার লেটার
  •  কভার লেটার

সুইজারল্যান্ড কাজের বেতন কত

সুইজারল্যান্ড হলো ইউরোপের একটি অন্যতম উচ্চ আয় সম্পন্ন দেশ । যেখানে ভিসা ক্যাটাগরি পছন্দ করতে গেলে প্রথমে মনে আসে সুইজারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কত । তবে আপনার মনে রাখতে হবে, সুইজারল্যান্ডে শ্রমিক নিয়োগ করা হয় দক্ষ ও উচ্চ শিক্ষিত দেখে। উন্নত এই দেশটিতে বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজে বেশ সুযোগ রয়েছে। তাই এদেশে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের চাহিদাও অনেক বেশি আছে । আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে এই দেশে আসার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই সুইজারল্যান্ডে কাজের জন্য বেতন কত তা আপনি জেনে নেবেন।

বর্তমানে দেখা গেছে যে সুইজারল্যান্ডে কাজের বেতন হয়ে থাকে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত । এটাও ঠিক যে কাজের বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে এবং ব্যক্তি বিশেষে পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই দেশে যেহেতু কাজের অনেক সেক্টর রয়েছে তাই বিদেশী কর্মীদের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। তাই কাজের ধরন, শিক্ষাগত  যোগ্যতা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা খুব প্রয়োজন। তাই অভিজ্ঞতামূলক কাজ দেখে আপনি ভিসা ক্যাটাগরি বেছে নিন। কারণ এখানে অভিজ্ঞ লোকদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সুইজারল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত এটা যখন জানতে ইচ্ছে করে , তখনই মনে সুইজারল্যান্ডের কোন এক ক্যাটাগরির ভিসায় যাওয়ার ইচ্ছে জাগে বলেই জানতে ইচ্ছে হয়। শিল্প উন্নত দেশ ইউরোপে যার নাম সুইজারল্যান্ড। এই দেশে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। অনেকের আবার কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে। তাহলে আপনার অবশ্যই সুইজারল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিয়ে  আপনি ভিসার কাজ সম্পন্ন করবেন। বর্তমানে দেখা গেছে যে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য ভিসার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে পাড়ি দেন । 

সুইজারল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি

সুইজারল্যান্ড পূর্বে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে যে সেখানে কোন কাজের চাহিদা বেশি। অনেকে হয়তো সুইজারল্যান্ডের বর্তমান কাজের সম্পর্ক না জেনেই সেখানে যান। গিয়ে বুঝতে পারেন না তারা কোন কাজটি করবেন এবং কোন কাজটি তার জন্য ভালো হবে। তাই আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে অনলাইনে সার্চ দিয়ে জেনে নিবেন। বিশেষ করে আপনি জেনে নিবেন সুইজারল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি। নিম্নে যেসব কাজের চাহিদা বেশি তার তালিকা দেওয়া হলোঃ

  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার 
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার 
  • ওয়েব ডেভেলপার 
  • ডাক্তার 
  • প্লাস্টিক বা রাসায়নিক চিকিৎসক 
  • ফার্মাসিস্ট
  • নার্স
  •  ড্রাইভিং
  • কন্সট্রাকশন 
  • ক্লিনার
  • কৃষক
  •  হোটেল রেস্টুরেন্ট কর্মী
  •  plumber 
  • ফুড ডেলিভারি সার্ভিস 
  • ফ্যাক্টরি শ্রমিক
  •  পেইন্টার

সুইজারল্যান্ড কোন কাজের বেতন কেমন

বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে কোন  কাজগুলোর বেশি চাহিদা রয়েছে তার উপরে ভিত্তি করে বলা যায়, আপনি যে কাজগুলোর উপর অভিজ্ঞতা বা সার্টিফিকেট আছে্, সে কাজগুলোর উপরে ভিসা তৈরি করে সুইজারল্যান্ডে যেতে পারেন। কারণ ইউরোপের দেশগুলো অভিজ্ঞ লোকদের কাজের জন্য বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত আপনি যখন সুইজারল্যান্ডে ভিসা ক্যাটাগরি পছন্দ করবেন তখন আপনার মাথায় আসবে সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত ।  তবে দক্ষতা এবং উচ্চ শিক্ষিত দেখে সেখানেই লোক নিয়োগ করা হয়। 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ,ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার্স‌ ফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও ওয়েব ডেভেলপার এদের কাজ এর চাহিদা সুইজারল্যান্ডে অনেক বেশি। এদের প্রতি মাসে বেতন পড়ে সুইজারল্যান্ডের সুইচ ফ্রাংক এর ৫৮০০ ফ্রাংক থেকে ৭০০০ ফ্রাংক পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় পড়ে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার ডাক্তার প্লাস্টিক বা রাসায়নিক চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, ড্রাইভিং ও আইনজীবী এদের ভিসার উপরে সুইজারল্যান্ড যেতে পারলে তাদের মাসিক বেতন হবে আলাদা।

 সুইজারল্যান্ড এর সুইস ফ্রাংক এর ৩৬০০ ফ্রাংক থেক.৫০০০   ফ্রাংক পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় চার লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আরো আছে যেমনঃ ড্রাইভিং , নার্স , কন্সট্রাকশন ও কৃষক এ কাজগুলোর উপরে ভিসার বেতন পড়বে, প্রতিমাসে সুইজারল্যান্ডের সুইচ ফ্রাংক এর ২৫০০  ফ্রাংক থেকে ৩২০০ ফ্রাংক পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় তিন লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা পর্যন্ত। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসাতে বিভিন্ন রকম বেতন শ্রমিকদের সুইজারল্যান্ডের সরকার দিয়ে থাকে।

সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

সুইজারল্যান্ড বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি দেশ। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ যেন সুইজারল্যান্ডকে এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপ দিয়ে ভূষিত করেছে। সেই দেশে ভিসা নিয়ে কাজ করতে যেতে পারা অনেক সৌভাগ্যের বলে আমি মনে করি। শুধু তাই নয় এই রূপময় সৌন্দর্যের এই দেশটিতে গিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব অর্জন করা আরো সৌভাগ্যের বলে মনে করি। তবে  ইউরোপের উন্নত দেশ সুইজারল্যান্ডে তুলনামূলকভাবে একটু কঠিন হয় নাগরিকত্ব পাওয়া।


 এটি একটি দীর্ঘ সময় ও জটিল প্রক্রিয়া। কিছুটা ধৈর্য সহকারে এই কাজটি চালিয়ে যেতে পারলে নাগরিকত্ব পাওয়া  যায়। সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো:
  •  সি পারমিট ভিসা নিয়ে বসবাস করতে পারলে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘদিন ১০ বছর, তবেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে।
  •  সুইস  কোন নাগরিককে যদি বিয়ে করা যায় তাহলে আবার সেখানে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। তবে বিয়ের বয়স কমপক্ষে হতে হবে তিন বছর এবং সেখানে বৈধভাবে বসবাস করতে হবে মোটপাঁচ বছর।
  • আপনার সন্তান সুইস নাগরিক না হয়েও সেখানে নাগরিকত্ব লাভ করতে পারবে। যদি ওই দেশে তার জন্ম হয় আর পিতা অথবা মাতা যে কেউ আগে থেকে  দেশটিতে  নাগরিকত্ব লাভ করে থাকে।

সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত, সেখানে যেতে হলে এটা তো ভাবনায় আসবে ।পাশাপাশি আসবে কোন কাজে চাহিদা বেশি । কিভাবে যাব নানান প্রশ্ন আমাদের ঘিরে রেখেছে। যা কল্পনা করা যায় না এমন একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছেয়ে রয়েছে সুইজারল্যান্ড দেশটিকে। আমাদের কাছে দেশটি যেন এক স্বপ্নের মত। আর এই স্বপ্নের দেশটিতে যেতে হলে প্রথমে প্রয়োজন হয় ভিসার। ভিসার আবেদন করার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে ।সেই সম্পর্কে আপনাকে খুব ভালো করে তথ্য নিয়ে তবেই আপনাকে আবেদন করতে হবে।


আপনি যদি অনলাইনে নিজে নিজে আবেদনটি করতে পারেন তাহলে সুইজারল্যান্ড ভিসার জন্য আনুমানিক খরচ হবে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নেন তখন দেখা যাবে যে আপনার খরচ বেশ উঁচুতে দাঁড়িয়ে গেছে ।অর্থাৎ.১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। তবে সঠিক তথ্য হচ্ছে এই যে, সুইজারল্যান্ড যেতে আসলে ঠিক কত টাকা লাগবে সেটা সঠিকভাবে কেউ তথ্য দিতে পারে না। সবচেয়ে ভালো হয়  প্রবাসী কোন বন্ধু বা কাছের কেউ থাকলে ভিসা খরচ সম্পর্কে জেনে নিয়ে আবেদন করা। 

সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়

সুইজারল্যান্ড যেতে হলে প্রথমে জেনে নিতে হবে সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত, কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে । পাশাপাশি ভিসা আবেদন করতে গিয়ে ক্যাটাগরি বাছাই করার সময় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে ভালোভাবে সমস্ত তথ্য নিয়ে আবেদনটি করতে হবে। কারণ সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে । যারা উচ্চ ও মাঝারি দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী তাদের জন্য আলাদা কাজের ভিসা হয়ে থাকে ।

সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

তবে খেয়াল রাখতে হবে সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়োগ কর্তার সাথে কাজের চুক্তি করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যখন আপনি আবেদন করবেন প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট অভিজ্ঞতা আছে কিনা। এসব অভিজ্ঞতার সম্পূর্ণ শ্রমিকেরা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে । আরেকটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল এই দেশে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য ভাষা দক্ষতা  বাধ্যতামূলক। 

উপসংহারঃ সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত

আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর আপনি চাইলে নিজে নিজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন । কিংবা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমেও সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। ভিসার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় যত কাগজপত্র আছে সেগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে এবং সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের কাছে জমা দেওয়ার পর আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য তারা ডেকে নেবে । এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে তারা নিজ দায়িত্বে যাবতীয় কাজ করে দিয়ে থাকে।

পৃথিবীতে সর্বোচ্চ বেতন প্রদান করে যে দেশগুলো তাদের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো সুইজারল্যান্ড। শিক্ষার্থীদের ও শ্রমিকদের কাজের বেশ অনেকগুলো সুযোগ রয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে ভেবে দেখলে দেখা যায় যে , ভিসা পাওয়া সেখানে বেশ কঠিন হয়ে যায়। তবে ভিসাটি পেতে হলে আপনাকে সুইজারল্যান্ড ভিসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। তাহলে আপনি পেতে পারেন খুব সহজে ভিসার অনুমোদন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url