কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে এ কথাটা তখনই মনে আসে, যখন কুয়েত
যাওয়ার জন্য মনস্থির হয়। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র । এটি পশ্চিম
এশিয়ার একটি দেশ। পারস্য উপসাগরের মাথায় আরব উপদ্বীপের ঠিক উত্তর কোণে অবস্থিত
দেশটি। কুয়েতে টাকার মান বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ।
আপনি কুয়েতে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সর্ব প্রথমে বয়সের দিকটা খেয়াল রাখতে
হবে। ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বয়সটাও ভিন্ন হতে পারে। বর্তমানে
কুয়েত ভিসা চালু হয়েছে। সেহেতু আপনি কুয়েত যাওয়ার আগে অনলাইনের মাধ্যমে বয়স
এবং ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জেনে নিবেন।
কুয়েত একটি নগর রাষ্ট্র । দেশের অধিকাংশ মানুষ বসবাস করে এর রাজধানী ও বৃহত্তম
শহর কুয়েত সিটি নগরীয় অঞ্চলে। সেখানে যে জনসংখ্যা আছে তার ৭০ শতাংশই প্রবাসী। ভারতীয় এবং মিশরীয়দের পর এই দেশটিতে তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী জনগোষ্ঠী হল
বাংলাদেশী। আপনারা যারা কুয়েতে যেতে চান কাজের ভিসা নিয়ে। তাদের বয়স
কমপক্ষে ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে। টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসার জন্য
বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
প্রতিটি দেশেই প্রবেশের জন্য সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারিত করা আছে। বিশ্বের অন্যান্য
দেশ থেকে যারা কুয়েতে প্রবেশ করতে চায় , তাদের সর্বনিম্ন কত বছর হতে হবে এই
তথ্যগুলো অনেকেরই জানা নেই। ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদাভাবে তা নির্ধারণ করা
আছে । অর্থাৎ আপনার বয়স যদি ২০ বছর এর বেশি না হয় তাহলে আপনি কোন ক্যাটাগরির
মধ্যে ভিসা আবেদন করতে পারবেন না অর্থাৎ আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
কুয়েত একটি আমির শাসিত রাষ্ট্র। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেলে যে রিজার্ভটি
আছে সেই রিজার্ভটি হচ্ছে কুয়েতে এবং এর উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংকের একটি উচ্চ
আয়ের দেশ হচ্ছে কুয়েত। এক কথায় বলতে গেলে কুয়েতের অর্থনীতি একটি পেট্রোলিয়াম
ভিত্তিক অর্থনীতি বলা হয়। কুয়েতের যে দিনার আছে তা বিশ্বের মুদ্রাগুলির মধ্যে
সর্বোচ্চ দামী একক। সেই ধনাঢ্য রাজ্যে আপনি যেতে চাইলে ,আপনার প্রথমে কুয়েত
যেতে কত বছর বয়স লাগে তা জেনে নিতে হবে । কারণ আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপরে
বয়সটা নির্ধারণ করে । পাশাপাশি খরচ নির্ভর করে।
আর তাই সবাই যখন কুয়েতে যাওয়ার আগে খরচ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নেই।
আপনি যদি পড়াশোনা করার জন্য কুয়েতে যেতে চান তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য
আবেদন করতে হবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভ্রমণ ভিসার জন্য খরচটা একই রকম ।
সর্বনিম্ন তিন লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে এবং যখন আপনি
কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েতে যেতে চাইবেন তখন ভিসা খরচটা ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে দেশ থেকে সরাসরি আপনি যদি কুয়েতের কোন এম্বাসির
মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচটা কম পড়বে । আর যদি দালালের মাধ্যমে যান
তাহলে অবশ্যই টাকা বেশি লাগবে।
কুয়েত কোন ভিসার দাম কত
বিশ্বব্যাংকের মতে কুয়েত মাথাপিছু আয় এর ক্ষেত্রে বিশ্বের চতুর্থ ধনী দেশ। "জি
সি সি" দেশগুলোর মধ্যে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধনী দেশ (কাতারের
পরে)। কুয়েত সরকার বর্তমানে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে লোক নিচ্ছেন । তাই
যারা কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত যে , বর্তমান সময়ে
কুয়েত কোন কোন ভিসার মাধ্যমে লোক নিয়ে থাকছে। এরপর জানা যাবে যে কুয়েতে কোন
ভিসার দাম কত । তাহলে আগে জেনে নিন কোন কোন বিষয়ে কুয়েত লোক নিয়ে থাকে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা
ড্রাইভিং ভিসা
রেস্টুরেন্ট ভিসা
টুরিস্ট ভিসা
ক্লিনার ভিসা
কোম্পানি ভিসা
ফ্যাক্টরি ভিসা
দেখে নিন কোন কোন ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে।
ক্রমিক নং
ভিসার নাম
বাংলাদেশী টাকা
১
ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা
৫৬০০০০ থেকে ৭২০০০০ টাকা
২
ড্রাইভিং ভিসা
৬০০০০০ থেকে ৭৫০০০০
৩
রেস্টুরেন্ট ভিসা
৪৬০০০০ থেকে ৬৮০০০০
৪
ক্লিনার ভিসা
৬৫০০০০ থেকে ৮০০০০০
৫
কোম্পানি ভিসা
৬৫০০০০ থেকে ৮০০০০০
৬
ফ্যাক্টরি ভিসা
৬৫০০০০ থেকে ৮০০০০
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
মাথাপিছু আয় এর দিক থেকে দেখা গেছে যে কুয়েত বিশ্বের চতুর্থ ধনী দেশ। জিসিসি
দেশগুলোর মধ্যে কুয়েত দ্বিতীয় ধনী দেশ যা কাতারের পরেই। আর তাই দেখা গেছে
কুয়েতে প্রায় সব ধরনের কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে । সেখানে কাজের জন্য যে
শ্রমিক গুলো নিয়োগ করা হয় তা হতে হয় দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । তাই কুয়েতে
যাওয়ার আগে আপনি জেনে নিবেন কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে। আর যাবার আগে নিজেকে
একজন দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে তুলুন।
নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন। কুয়েত যাওয়ার আগে অবশ্যই একটি কাজের
উপর বেশ ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিবেন । কুয়েতে যেমন সব ধরনের কাজের চাহিদা
বেশি তেমনই আবার বিশ্বের দরবারে কুয়েতি দিনার সর্বোচ্চ মূল্যবান একক। সেখানে
যেতে পারলে জীবন মান অনেক উন্নত হবে। কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিম্নে
আলোচনা করা হলোঃ
ইলেকট্রিশিয়ান
নির্মাণ শ্রমিক
ড্রাইভিং
ক্লিনার
ডেলিভারি ম্যান
বিক্রয় প্রতিনিধি
কৃষি কাজ
কোম্পানি কাজ
হোটেল - রেস্টুরেন্ট জব
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায়
কুয়েতে যে জনসংখ্যা বাস করে তার মধ্যে ৭০ % প্রবাসী । ভারতীয় এবং
মিশরীয়দের পরে তৃতীয় কোন বৃহত্তম প্রবাসী জনগোষ্ঠী সেখানে হল বাংলাদেশী।
বাংলাদেশ থেকে সাধারণত কুয়েতে যে ভিসা গুলো নিয়ে যাওয়া যায় তা হল ওয়ার্ক
ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা। তবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ওয়ার্ক ভিসা
নিয়ে বেশি মানুষ সেখানে যায় । কুয়েতে যাওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবে
বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার উপায় রয়েছে। আপনি যদি নিজে নিজে কুয়েত যাওয়ার জন্য
ভিসা প্রসেসিং করেন তাহলে প্রথমে আপনাকে কোম্পানির কাছ থেকে একটা ইনভাইটেশন লেটার
সংগ্রহ করতে হবে ।
তবে এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে এই লেটার
এজেন্সি সংগ্রহ করে নেবে । এক্ষেত্রে শুধুমাত্র এজেন্সিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ
ফি দিতে হয় । এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যারা এদেশে যেতে চান
তাদের ভিসা প্রসেসিং করা সহজ হয় । শুধুমাত্র কুয়েতের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
থেকে একটা ভর্তির অফার লেটার সংগ্রহ করতে হয়। আর টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য
ব্যাংক থেকে একটা স্টেটমেন্ট ও ট্রাভেল রেকর্ড প্রয়োজন হয়।
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে এটি জানা যেমন জরুরী। ঠিক তেমনটি জানা জরুরী কুয়েত
যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত
কুয়েতে যে ভিসা গুলো তে আমরা যেতে পারি তা ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা,
স্টুডেন্ট ভিসা। প্রতিটি ভিসা ক্যাটাগরিতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র ভিন্ন হয়ে
থাকে। তাই , বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে যে কাগজগুলো লাগে তা নিম্নে আলোচনা করা
হলো ।
যেনো আপনি কুয়েত যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভিসা তৈরির আগে কাগজগুলো
প্রস্তুত রাখতে পারেন।
পাসপোর্ট
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
কুয়েত কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে তা জানার পাশাপাশি আপনাকে কাজের
ভিসা করার সময় খুব সাবধানে কাজের ভিসাটি করতে হবে. যেন আপনি প্রতারিত কোনভাবে না
হন। আর একটু সচেতন হলে আপনি নিজেই ঘরে বসে কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কুয়েত কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য যে নিয়ম গুলো আছে তা জেনে নিই। আবেদন করতে
আপনি https://kuwait.mofa.gov.bd/ ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি ওয়েবসাইট আসবে।
এরপর আপনি আবেদন ফরম অপশনে ক্লিক করবেন । তারপর ধীরে ধীরে আবেদনকারীর যাবতীয়
তথ্যগুলো আবেদন ফরমে পূরণ করে নিবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য
আবেদনে ফরমে দেওয়া যাবে না । এরপর পূরণ হয়ে গেলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
অনলাইন প্রক্রিয়াকে অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে , তারা বাংলাদেশে অবস্থিত
কুয়েত এম্বাসিতে যোগাযোগ করে আপনি নিতে পারেন।
কুয়েত কাজের বেতন কত
কুয়েত হচ্ছে একটি আমির শ্বাসিত রাষ্ট্র। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেল রিজার্ভ হয়
সেখানে এবং তার উপর ভিত্তি করে বিশ্ব ব্যাংক একটি উচ্চ আয়ের দেশ বলে কুয়েত
পরিচিত। আর তাই দেখা গেছে যে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় কুয়েতে কাজের
পরিমাণ যেমন বেশি, ঠিক তেমনি কাজের বেতনও অনেক বেশি। তবে শ্রমিককে অবশ্যই হতে হবে
দক্ষ ও অভিজ্ঞ। দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকদের মূল্য এখানে অনেক বেশি।
প্রথম প্রথম কুয়েতে একজন কর্মীর মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা
হয়ে থাকে। পরবর্তীতে তার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বেতন আরো
বৃদ্ধি পেতে থাকে । আর যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিক হয়ে থাকে
সে সকল শ্রমিকদের জন্য মাসিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার থেকে ৮০০০০ টাকা হয়ে থাকে।
কুয়েতে নির্দিষ্ট বয়সে যেতে পারলে সেখানে কাজ করার সুযোগ বেশি পাওয়া যায় এবং
অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশি তাড়াতাড়ি স্বাবলম্বী হওয়া যায় ।
কুয়েত যাওয়ার নিয়ম
কুয়েত একটি পশ্চিম এশিয়ার সুন্দরতম দেশ ।পাশাপাশি কুয়েতকে ডাকা হয় একটি নগর
রাষ্ট্র বলে। কুয়েত যেতে কত বছর লাগে এর পাশাপাশি আরও জানতে হবে কুয়েত যাওয়ার
নিয়ম। কুয়েত যাওয়ার জন্য সাধারণত কিছু ভিসা চালু আছে। এই ভিসা গুলো ব্যবহার
করে খুব সহজে যাওয়া যায় কুয়েত। কুয়েত যাওয়ার জন্য যে ধরনের ভিসা গুলো পাওয়া
যায় বা কুয়েত সরকার যে ভিসা গুলো দেয় সেগুলো হচ্ছেঃ
কুয়েত খাদেম ভিসা
কুয়েত ক্লিনার ভিসা
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা
কুয়েত টুরিস্ট ভিসা
কুয়েত ফ্রি ভিসা
এই কয়েক ধরনের ভিসা কুয়েতে যে দেওয়া হয়ে থাকে সেই ভিসা গুলি সম্পর্কে সুযোগ
সুবিধা এবং ভিসার সম্পর্কে ধারণা দেবার চেষ্টা করছি।
কুয়েতে যত ধরনের ভিসা আছে তার মধ্যে অন্যতম ভিসা হচ্ছে ড্রাইভিং ভিসা। কেউ যদি
ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে পারেন কুয়েতে , তাহলে তার ভালো বেতন ও সুবিধাসহ অনেক
ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আরেকটি ভিসা আছে যেটি হচ্ছে কুয়েত খাদেম
ভিসা। সেখানে খাদেমের জন্য লোক নেওয়া হয়ে থাকে। যারা সেখানে খাদেম ভিসায় কাজ
করতে যান তারা ভালো বেতনের পাশাপাশি সুযোগ পেয়ে থাকেন । ভ্রমণের জন্য যে ভিসাটি
করা হয়ে থাকে সেটি হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা এবং সেটি এজেন্সি থেকে বা কুয়েত এম্বাসি
থেকে খুব সহজেই আপনি কুয়েতের টুরিস্ট ভিসার জন্য ভিসাটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে এটা জানা যেমন প্রয়োজন আছে। তেমন একটি
প্রয়োজন জানার কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত । কুয়েতে যে প্রবাসী গুলো আছে ,তাদের
মধ্যে দেখা গেছে যে বৃহত্তম তৃতীয় অবস্থানে প্রবাসী জনগোষ্ঠী হল
বাংলাদেশী। কুয়েতে যাওয়ার পর কাজের বেতন প্রথম দিকে সর্বনিম্ন হলেও ধীরে
ধীরে সেটি সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে । অর্থাৎ পরে যখন আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে
তখন দেখা যাবে আপনার দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী হিসেবে বেতন বাড়ানো হয়ে যাবে।
কুয়েত সরকার দ্বারা বেতন এর যে নির্ধারণ করা আছে সেটির সর্বনিম্ন হচ্ছে
৬০দিনারের মত । যা বাংলাদেশী টাকায় সাধারণভাবে হিসাব করলে পাওয়া যায় বিশ হাজার
টাকার মত। কিন্তু বর্তমানে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার
টাকা । বর্তমানে প্রত্যেক কর্মীকে সর্বনিম্ন ১০০ দিনার করে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে
এইখান থেকে বেতন ভালো করতে চাইলে আপনাকে বেশি পরিমাণে কাজ করতে হবে ও নিজেকে ধীরে
ধীরে দক্ষ করে তুলতে হবে সময়ের সাথে সাথে।
FAQs
কুয়েত কোন ভিসা ভালো?
কুয়েতে সাধারণভাবে দেখা গেছে যে সবচেয়ে ভালো ভিসা হচ্ছে কোম্পানি ভিসা নিয়ে
গেলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যেয়ে থাকে যেমন থাকা খাওয়া এসব নিয়ে একটা
ভালো ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যায়।
সরকারিভাবে কুয়েত যাওয়ার উপায় কি?
বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে বয়েসেল বিএনপি ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়
ওয়েবসাইটে মাধ্যমে কুয়েত যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০
হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ টু কুয়েত কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব হয়ে থাকে প্রায় ৪ হাজার ২৮৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে?
কুয়েত যেতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাত ঘন্টা সময় লাগে।
শেষ কথাঃ কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে
বয়সটা কুয়েত যাওয়ার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সঠিক বয়সে কুয়েতে যেতে
পারলে আপনি হতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি স্বাবলম্বী এবং প্রতিষ্ঠিত। আর তাই কুয়েতে
ভিসা করার আগে আপনি কত বছর বয়স যেতে পারবেন সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়ে
তবে আপনি আবেদন ফরম পূরণ করবেন। কুয়েত একটি আমিরাত দেশ এবং উন্নত দেশ। কুয়েতি
দিনার হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। সেখানে কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা
আছে ।
সেই ক্ষেত্রে আপনি কুয়েতে যাওয়ার জন্য কুয়েতি ভিসা ফরম সম্পর্কে জেনে
নিতে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আশা করি কুয়েতে ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জেনে বয়স
কত হবে ভিসাতে সে তথ্যগুলো সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। খুব তাড়াতাড়ি কুয়েতে পাড়ি
জমান। সেখানে ভালো কাজ নিয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে , উন্নত জীবনমান
তৈরি করুন। পাশাপাশি বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করে
তুলুন। দক্ষতার সাথে কাজ করে বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে নিজেকে জনশক্তিতে
পরিণত করুন।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url