কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে - কাতার যেতে কত টাকা লাগে

   কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে।  যারা কাতার ভিসা আবেদন করে থাকেন তাদের জানা অবশ্যই প্রয়োজন । কাতার মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত। সৌদি আরবের পূর্বে এবং পারস্য উপসাগরের তীরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ। কাতার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক এখানে কাজ করে ।

কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে

এটি বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ । প্রধানত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণেই এই দেশটি এত সম্পদে সমৃদ্ধ। আপনি কাতারে যেতে চান। তবে কাতারে যেতে হলে সরকারি রিকোয়ারমেন্ট ও বেসরকারি রিকোয়ারমেন্ট গুলো রয়েছে তাদের মাধ্যমে যাবেন এবং যাদের লাইসেন্স রয়েছে তাদের মাধ্যমে।

পেজ সূচিপত্রঃ কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে

কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে

কাতার যাওয়ার জন্য বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ বছর। অর্থাৎ যারা কাজের ভিসা নিয়ে আসতে চান তাদের অবশ্যই বাধ্যতামূলক আঠারো বছরের উপরে হতে হবে। ১৮ বছরের উপরে যে কোন ব্যক্তি কাতারে এসে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া ১৮ থেকে ৫৫বছর বয়সী সকল ব্যক্তি কাতার আসার জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ১৮ বছরের নিচে বয়সীরা শুধুমাত্র পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সাথে ভ্রমন করতে পারবে । যখন আবেদনকারীর বয়স ২০ এর উপরে থাকবে তখন দেশটিতে তার কাজের ভিসার  গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

৫৫ বছরের চেয়ে বয়সী লোকেরা কাজের ভিসা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে এই বয়সের লোকেরা কাজের ভিসা পেতে বেগ পেতে হতে পারে। তবে তাদের কাজের জন্য যোগ্যতা বা দক্ষতা বিশেষভাবে থাকতে হবে। কারণ বয়স বেশি হওয়ার জন্য কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। তাই দেখা গেছে যে কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে বা কত বছর বয়স পর্যন্ত কাতারে গিয়ে কাজ করতে পারবে এই ধরনের প্রশ্ন অনেকের মধ্যে জাগে।

কাতার যেতে কত টাকা লাগে

কাতার যেতে কত টাকা লাগে । কাতারে ভিসা প্রসেসিং, ভিসা আবেদনকারীর বয়স,  ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কাতার সম্পর্কে । বাংলাদেশ থেকে যারা অনেক আশা নিয়ে কাজের জন্য কাতার যেতে চান। তারা জেনে রাখুন যে কাতার যাওয়ার খরচটা সাধারণত ভিসা ক্যাটাগরি এর উপর হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে প্রায় তিন থেকে সাত লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।কাতার ভিসা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কখনো আপনি কোন ভুয়া এজেন্সি বা দালালের হাতে না পড়েন।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এর কার্যকারী তথ্য

তবে স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসায় কাতার যেতে সাধারণত একটু কম খরচ হয়ে থাকে।  আর সরকারিভাবে যেতে পারলে ভিসা খরচ অনেকটা কমে যায় । তবে যারা বেসরকারিভাবে কাতার যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং করে  থাকবেন তাদের খরচ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয়ে থাকবে। তবে লক্ষ রাখতে হবে সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে আপনি প্রতারিত হবেন না। কাতারে ভালো বেতনের চাকরির জন্য উচ্চতর ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতার দরকার হয়। তবে শ্রমিক শ্রেণীর জন্য বেশ সহজে কাতারে কাজ পাওয়া যায়।

কাতার ভিসা দাম কত

কাতারে ভিসার দাম কত ? কাতার ভিসার দাম ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন হয়ে থাকে । এছাড়া কাজের ধরন বেতন ও ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ভিসার দাম আলাদা হয়ে থাকে । আমরা যখন কোন একটি দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করি , তখন আমাদের সেই ভিসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয় । একইভাবে  আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে কাতারে যেতে চাইবেন তখন আপনাকে কাতার ভিসার জন্য প্রায় ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। 

কিন্তু আপনি যদি দালালের মাধ্যমে কাতার যেতে চান তাহলে আপনার এই খরচের পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। কেননা যেখনে আপনার ৩ থেকে ৭ লাখের মধ্যে কাতার ভিসা পাওয়া সম্ভব। সেখানে দালালের সাহায্যে গেলে আপনার আরো কয়েক লাখ টাকা বেশি খরচ হতে পারে।এখন আমরা কাতার কোন ভিসার দাম কত সেটা জানব। ভিসার নাম ও ভিসা খরচ কত তা সহজ করার জন্য টেবিল আকারে নিম্নে দেওয়া হলঃ

ক্রমিক নং ভিসা ক্যাটাগরি ভিসার দাম ( টাকা )
মজলিশ ভিসা ২৫০০০০ থেকে ৪০০০০০
কোম্পানী ভিসা ৫০০০০০ থেকে ৫৫০০০০
রেষ্টুরেন্ট ভিসা ৫০০০০০ থেকে ৭০০০০০
ড্রাইভিং ভিসা ৩৫০০০০ থেকে ৫০০০০০
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৪০০০০০ থেকে ৫০০০০০
ট্যূরিষ্ট ভিসা ২০০০০০ থেকে ৩০০০০

কাতার ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম

মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ দেশ কাতার। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কর্মী কাতার চাই কাজের উদ্দেশ্যে। চলুন আজকের কাতার ভিসা প্রসেসিং করার নিয়মগুলো জেনে নিই। কাতারে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য সর্বপ্রথম পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি পাঠানো লাগে। পাঠানোর পর সেখান থেকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আবেদন করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। তারপর তাদের ওয়েবসাইটে এপ্রুভাল দেখাবে। এরপর আপনার ভিসাটি সম্পূর্ণ হবে ধাপে ধাপে কাজ শেষ করে।


তারপর আপনি চাইলে ভিসা নাম্বার ও আপনার এন আই ডি নাম্বার দিয়ে ঘরে বসে ভিসা চেক করতে পারবেন। ভিসা অ্যাপ্রভাল এর পর বাংলাদেশে যে ট্রেনিং সেন্টার আছে সেখানে তিন দিনের ট্রেনিং করতে হয়। এরপর আপনাকে ম্যানপাওয়ার এর জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। কাতারে যে কোম্পানির জন্য আপনি কাজ করবেন ,সেখান থেকে কাজের অফার লেটার সংগ্রহ করে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এজেন্সিতে দিয়ে কাতার ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন ।

কাতার সর্বনিম্ন বেতন কত

কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে এটি জানার জন্য আর্টিকেলটি তাদের জন্যই স্পেশাল । যারা নতুন করে কাতারে আসতে চাচ্ছেন । যারা কাতারে আসতে চাচ্ছেন তারা কাতারে বেতন কত বা আয় সম্পর্কে জানেন না এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি মোটামুটি ভাবে ধারনা পেয়ে যাবেন। একজন কর্মী হিসেবে কাতারে সর্বনিম্ন বেতন এখানে সরকারের রুলস অনুযায়ী ১ হাজার রিয়াল ধরা হয়েছে। যে কোম্পানিতে আসছেন তারা থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। এছাড়া এখানে কাজের রুলস হচ্ছে আট ঘন্টা ধরে স্যালারি  নির্ধারণ করা হয় ১০০০ রিয়াল। 

কাতার সর্বনিম্ন বেতন কত

তবে এখানে আছে ওভার টাইম এর একটা ফ্যাক্টর। কারণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কম করে হলেও ১০ ঘণ্টা কাজ করে থাকে। অতিরিক্ত কাজের সময়টি ওভারটাইম হিসেবে আপনাদের মূল টাকার সাথে যোগ হয়ে যাবে। ওভারটাইম এর টাকা মূল বেতনের দেড়গুণ হয়ে থাকে। তবে আমি সর্বনিম্ন বেতনের  হিসাব দিচ্ছি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা একেবারে নতুন । কাজের অভিজ্ঞতা নেই তাদের জন্য। সর্বনিম্ন এই বেতন কাতার সরকার ধার্য করে দিয়েছে। আর যারা ভাল কাজ জানেন, অভিজ্ঞতা আছে । যে কোন কোম্পানিতে আসলে আপনি আপনার পদবী বা কাজের ধরন অনুযায়ী সেখানে সেলারি অনেক বেশি পাবেন।

কাতার কোন কাজের চাহিদা বেশি

ভাবুন তো কাতারে এমন একটা চাকরি যদি পেয়ে যান যা আপনার জীবনটাই বদলে দেবে । করমুক্ত মোটা অংকের বেতন দারুন এক জীবন যাত্রা ও ভবিষ্যৎ নিরাপদ । এইসব স্বপ্ন কে না দেখে। আপনি যদি মধ্যপ্রাচ্যের ধনী এই দেশটিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভেবে থাকেন ,তাহলে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে সফল আয়োজনের পর কাতার এখন ২০৩০ সালে ন্যাশনাল ভিশন পূরণের জন্য পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি দ্রুত শক্তিশালী হচ্ছে এবং বিভিন্ন খাতে হাজার হাজার লোক চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে । বিশেষ করে নির্মাণ শিল্প ,স্বাস্থ্য প্রযুক্তি , তেল ও গ্যাস এবং আতিথেয়তা শিল্পে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া।

 প্রকৌশলী ও প্রজেক্ট ম্যানেজার ,   ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্‌ ,মেকানিক্যাল ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এদের চাহিদা সব সময় তুঙ্গে থাকে। আইটি এক্সপার্ট , স্বাস্থ্য সেবা কর্মী ডাক্তার , নার্স এবং টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে হসপিটালিটি বা আতিথিয়তর খাতে হোটেল ম্যানেজার এদের চাহিদা কাতারে অনেক বেশি। কাতার এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা পর্যটন ও ব্যবসার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে । সেখানে ইংরেজিতে সাবলীল ভাবে কথা বলা । আরবি বা ফ্রান্স জানা থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

কাতার কাজের ভিসা

আপনি কি কাতারে কাজ করতে যেতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে কাজ পেতে হয় এবং কি কি ডকুমেন্টস লাগে। তাহলে  কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে এর পাশাপাশি জেনে নিন কাতার কাজের ভিসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রথমে আপনাকে এক কোম্পানির কাছ থেকে অফার লেটার বা অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার পেতে হবে। এরপর সেই কোম্পানি আপনার জন্য ভিসার আবেদন করবে। 


কাতারে কাজের ভিসা সরাসরি পাওয়া যায় না। এটি অবশ্যই স্পন্সর কোম্পানির মাধ্যমে আসতে হয়। কাতারে কাজের ভিসায় যেতে হলে প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্র লাগবে তা হলঃ
  • পাসপোর্ট (কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি চাওয়া হয়)
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট

ভিসা প্রসেস হতে কতদিন লাগে

তাই কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে এটা জানা যেমন জরুরী। তেমনটি জানা প্রয়োজন হবে ভিসা প্রসেস হতে কতদিন লাগবে। কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশীরা সাফল্য দেখাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়ায় তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশী কর্মসংস্থান । কাতার খুবই ধনী দেশ হওয়ায় সিঙ্গাপুরের পর কাতারের সবচেয়ে কোটিপতি লোক বসবাস করে। আর এই সমৃদ্ধশালী দেশে যেতে পারলে নিজেকে এক সুন্দর জীবনে উন্নীত করা যাবে বলে আমি মনে করি। 

 সাধারণত কাতারে কাজের ভিসা প্রসেস হতে দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে কোম্পানি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনুযায়ী সময়সীমা কমবেশি হতে পারে। কারণ ভিসা প্রসেসিং এর জন্য পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি পাঠাতে হয় । সেখান থেকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আবেদন করতে হয়। মেডিকেল ফি জমা দিতে হয় এবং ওয়েবসাইটে এপ্রুভাল দেখালে তারপরে ভিসার কাজ সম্পন্ন হয় । এই ধারাবাহিকতা সম্পূর্ণ করার জন্য কিছুটা সময় লেগে যায় । 

কাতার ফ্রি ভিসা

ফ্রি ভিসা হলো একপ্রকার কোম্পানি ভিসা। যা বাংলা ভাষাভাষী কথিত নাম দিয়েছে ফ্রি ভিসা। ফ্রি ভিসা ও কোম্পানি ভিসা। নিয়ম-কানুন একই রকম। তবে যে কোম্পানির মাধ্যমে ফ্রি ভাষায় আসা হয় তারা কাজ না করে প্রবাসী কর্মীদের বাইরে কাজ করার জন্য ছেড়ে দেয়। তাদের সাথে একটা কন্ট্রাক্ট থাকে যা বছরে বছরে আইডি রেনু করার জন্য ৩ হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার রিয়াল দিতে হয়। তবে ফ্রি ভিসাতে নির্দিষ্ট কোন কাজের ট্রেড নেই। এই ভিসাতে আশা শ্রমিকরা ইচ্ছেমতো যেকোনো ট্রেড এর সাথে ,যে কারো সাথে কাজ করতে পারে। 

কাতার ফ্রি ভিসা

বছরে বছরে নতুন করে আইডির রেনু করার জন্য স্পন্সরের লভ্যাংশ দিয়ে কাজ করাকে ফ্রি ভিসা বলে।বিভিন্ন প্রকারের কাজ ফ্রি ভিসায় করা যায় কারণ ফ্রি ভিসাতে নির্দিষ্টভাবে কোন কাজ করতে হয় না। যারা ফ্রি ভিসায় আসেন বিভিন্ন প্রকার কাজ করার জন্য, আপনার বেতনটা কাজের উপরে নির্ভর করবে। যত বেশি কাজ করতে পারবেন । তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন । এটাই হল ফ্রি ভিসার ধর্ম। এই ভিসাতে আসা শ্রমিকরা সাধারণত যে কাজগুলো করে থাকে তা হলঃ
  • রাজমিস্ত্রি
  •  রড মিস্ত্রি
  • ইলেকট্রিক
  • প্লাম্বার ইত্যাদি

শেষ কথাঃ  কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে

আপনি জেনে অবাক হবেন যে .১৩ শতাংশ লোক কাতারে কোটিপতি। আপনি সেখানে কোন বেকার লোক খুঁজে পাবেন না। কারণ সেখানকার সমস্ত মানুষ কোন না কোন কাজে যুক্ত থাকে। কাতার ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় শুক্র ও শনিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় । দেশটির খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে । এই প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে এই দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ। যেসব শ্রমিক যায় কাতারে তারা মূলত কর্মী হিসেবে যায় ।
 
কাতার একটি বিশাল উন্নত দেশ । তাই তারা বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে । কাতারে একেক ধরণের কাজের বেতন একেক রকম।হয়ে থাকে। কাতার দেশটির আইন অনুসারে ৪৮ ঘণ্টার উপরে কাজ করার জন্য বাধ্য করা যাবেনা । শ্রমিকদের ওভারটাইমের জন্য নিয়মিত বেতনের দেড় গুণ। সর্বোচ্চ বেতন নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতার উপর। কাতারের মানুষ বন্ধুত্বপূর্ণ ও দয়ালু জাতি হিসেবে পরিচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url