পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে - এর কার্যকারী তথ্য

 পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল যেতে বাংলাদেশ থেকে যারা আগ্রহী তাদের অবশ্যই জানতে হবে। পর্তুগালে অভিবাসী অনেক বেশি। পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্তুগাল। পর্তুগালের নাম শুনলে ফুটবল প্রেমীদের চোখের সামনে ভেসে উঠে রোনালদোর মুখ।

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

পর্তুগালে এমন কিছু বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যেখানে আপনি জব এপ্লাই করে যদি একটি জব ম্যানেজ করতে পারেন। তাহলে এই কোম্পানি আপনাকে স্পন্সার করে আপনার যাবতীয় ভিসা প্রসেস করে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসতে পারে এবং এই পুরো প্রসেসিং করতে মাত্র ২০ দিন সময় লাগে।

পেজ সূচিপত্রঃ পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা চাকরি ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশ পর্তুগালে যেতে আগ্রহীদের জানতে হবে পর্তুগালে যেতে কত টাকা লাগে। দক্ষিণ ইউরোপের সাগর ঘেরা এক দেশ পর্তুগাল। এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। এটি এক শান্ত নিরিবিলি ও ফ্রেন্ডলিস্ট দেশ। এখানকার আবহাওয়া চমৎকার। পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে বেশ সাশ্রয়ী। যা ট্রাভেলারদের জন্য দারুন খবর। পর্তুগাল সেনজেনভুক্ত দেশ এখানে যেতে আপনার প্রয়োজন হবে সেনজেন ভিসা। এই একটি ভিসা দিয়েই ইউরোপের মোট ২৭ টি দেশে ঘুরতে পারবেন ।

 ভিসার জন্য VFS এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয় । পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি । বিমান ভাড়া ঢাকা বা কলকাতা থেকে রিটার্ন টিকেট ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ তুলনামূলক বেশি হবে অর্থাৎ কাজের ভিসায় গেলে সব মিলিয়ে ১০ লাখ থেকে ১১ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। বাংলাদেশে পর্তুগালের এম্বাসি না থাকার কারণে আপনাকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। আর নিজে নিজে পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসার খরচ কিছুটা কম হবে।

পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায়

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায় হল স্টুডেন্ট ভিসা। পর্তুগালের মানুষগুলো খুব আন্তরিক। জীবনযাত্রার গতি কিছুটা ধীর। পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল বেশ সাশ্রয়ী। পর্তুগাল হলো মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এখানে বিদেশী কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ রয়েছে। আর তাই পর্তুগালে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশিদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। তবে পর্তুগিজ ভাষা জানা থাকলে এখানে পর্যটন, আইটি এবং কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে কাজের সুযোগ রয়েছে । 

আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা - সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে 

আর তাই পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের অফার লেটার সঙ্গে নিয়ে ওই দেশে যেতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট পর্তুগালে দুই ধরনের।

  •  শর্ট টার্ম ওয়ার্ক পারমিট 
  • লং টার্ম ওয়ার্ক পারমিট
শর্ট টার্ম ওয়ার্ক পারমিট চার মাস থেকে নয় মাস পর্যন্ত বা সর্বোচ্চ এক বছর হয়ে থাকে। আর লং টার্ম ওয়ার্ক পারমিট যার মেয়াদ এক বছরের উপরে হয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াও আপনি পর্তুগাল যেতে পারবেন যাকে বলা হয় জব সার্চ ভিসা। এই জব সার্চ ভিসার আওতায় আপনি ছয়টি সেক্টরে কাজ করতে পারবেন যেমনঃ 
  • পর্যটন
  •   কৃষি 
  • রেস্টুরেন্ট, 
  • মৎস্য
  • ফুড ডেলিভারি 
  • কনস্ট্রাকশন ও ম্যানুয়াল লেবার সাইট।

পর্তুগাল ভিসার দাম কত

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে তা আবেদনকারীকে যেমন জানা প্রয়োজন , তেমনটি প্রয়োজন হবে পর্তুগাল ভিসার দাম কত। পর্তুগাল ভিসার অফিসিয়াল দাম সাধারণভাবে ভিসা ক্যাটাগরি ও আবেদনকারীর বয়সের উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে । তবে বর্তমানে পর্তুগাল ভিসার দাম প্রায় ৪০ ইউরো থেকে ১৫০ ইউরো পর্যন্ত হয়। তবে কোন এজেন্সির সাহায্য ছাড়া আপনি যদি নিজে নিজে হিসাব প্রসেসিং করতে পারেন তাহলে খরচ কম হবে । আর এজেন্সির মাধ্যমে করলে খরচ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।

পর্তুগালে বর্তমানে লোক সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ ১১ হাজার । ইউরোপের অনেক দেশের চেয়ে ছোট একটি দেশ এবং অনেক এলাকা গ্রামীণ প্রকৃতির। পর্তুগালের মোট আয়তন প্রায় ৯২ হাজার ২২৫ বর্গ কিলোমিটার ।  অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রায় দেড় গুণ ছোট। পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি । বিমান ভাড়া ঢাকা বা কলকাতা থেকে রিটার্ন টিকেট ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হতে পারে। থাকা -খাওয়া লিজবনে হোস্টেলের খরচ প্রতি রাত ২০ থেকে ৩০ ইউরো যা ট্রাভেলাদের জন্য এক দারুন খবর।

পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে

পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে তা আবেদনকারীদের অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। পর্তুগালে ভিসা আবেদন করার জন্য সাধারণভাবে বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা দেওয়া নেই। টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা এই আবেদনকারীদের ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হয় ভিসা আবেদন করার জন্য। তবে বয়স যদি ১৮ বছর প্লাস হয় বা ২১ বছর হয় তাহলে আপনি কাজের জন্য বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বা রেসপন্স পাবেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তাদেরকে অবশ্যই অভিভাবকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পর্তুগালে যাওয়া যেহেতু একটু সহজ । তাই এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চাইলে খন্ডকালীন কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন এবং তাদের জীবনমানকে অনেক সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করার সুযোগ পাবেন। তবে পর্তুগাল যেতে ১৮ প্লাস থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে সেখানে যাওয়া যাবে।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার নিয়ম

পর্তুগাল মোটামুটি আয়তাকৃতির । এর উত্তরে ভূমি পর্বতময় ও সবুজে ঢাকা। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং আবহাওয়া  শীতল। আর এই স্বর্গখ্যাত পর্তুগালে  যাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হয় ।পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য সঠিক দক্ষতা ও জ্ঞান থাকলে ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে থাকে। এই দেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা হয়ে থাকে। যেমনঃ স্টুডেন্ট ভিসা , ভিজিট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা । এছাড়াও আপনি পর্তুগাল আসতে পারবেন যাকে বলা হয় জব সার্চ ভিসা।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার নিয়ম

পর্তুগালে VFS এর মাধ্যমে ভিসা  করতে হয়। পর্তুগাল সেনজেনভুক্ত দেশ । এখানে যেতে আপনার প্রয়োজন হবে সেনজেন ভিসা । তবে সুখকর একটি খবর হল এই যে বর্তমানে বাংলাদেশে সেনজেন ভিসা প্রসেসিং করা যায় । শুধুমাত্র ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে এবং তা হতে হবে ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী । এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনাকে অনলাইনে আবেদন টি করতে হবে। নিজে নিজে পর্তুগাল ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারলে বেশি ফলপ্রসু হবে। তবে বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমেও এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে করে আপনার খরচটা একটু বেশি হবে।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে কি কি  লাগে তা আপনাকে আবেদন করার পূর্বে জেনে নিতে হবে । আর জেনে নিতে হবে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে এবং সেখানকার জীবন ব্যবস্থা কি রকম হবে। পর্তুগালে বৈধভাবে পাঁচ বছর স্থায়ীভাবে বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। যা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা সহজ । এজন্য ভাষায় এবং সংস্কৃতির উপর একটি পরীক্ষা দিতে হয়। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রীন কার্ড ও লাল পাসপোর্ট পাওয়া যায় যে দেশটিতে সেটি হচ্ছে পর্তুগাল ।

এই পর্তুগালে আপনি খুব সহজে বাংলাদেশ থেকে ভিসা নিয়ে আসতে পারবেন, সেই ভিসাটি হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য পর্তুগালে অবস্থানরত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বের করতে পারবেন বা কোনো বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমেও আপনি ভিসাটি বের করে নিতে পারবেন। আর তাই পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নিম্নে যেসব কাগজপত্র  প্রস্তুত করতে হয় তা হলঃ

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির অফার লেটার
  • কাজের দক্ষতার সনদ
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
  • জব অফার লেটার
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • ইংরেজি ভাষা দক্ষতা
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
  • ট্রাভেল রেকর্ড

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। তেমনটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে করতে হয়। আবেদনকারী হিসেবে আপনার এসব জানা অতি জরুরী। দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে । ফলে অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে কিভাবে সহজে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যাবে । পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া কঠিন হলেও কিছু উপায়ে দেশট্তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায় । এজন্য মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা।

পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হলে যিনি দেশটিতে পাড়ি জমাবেন তার একটি জব অফার লেটার থাকতে হবে। অর্থাৎ নিয়োগকর্তার সাথে কাজের চুক্তিপত্র থাকতে হবে। ভিসা আবেদনের জন্য সকল ডকুমেন্ট থাকতে হবে। তাহলে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিবে। এছাড়া যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা না পাওয়া যায় তাহলে প্রথমত, বিভিন্ন ধরনের চাকরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে চোখ রাখতে হবে। তারপর যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে আবেদন করতে হবে।


এরপর যদি আপনি নিয়োগকর্তার মনোনীত প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে তারা জব অফার লেটার প্রদান করবে। তারপর সেই জব অফার লেটার পাওয়ার পর পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও যদি পর্তুগালের মধ্যেও কোন পরিচিত আত্মীয় থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে । অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ তুলনামূলক বেশি হবে। অর্থাৎ কাজের ভিসাতে গেলেও সব মিলিয়ে খরচ পড়ে ১০ লাখ থেকে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

পর্তুগাল সর্বনিম্ন বেতন কত

পর্তুগাল একটি মধ্যম আয়ের দেশ । এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে প্রবাসী কর্মীদের জন্য। শুধু তাই নয় স্টুডেন্ট ভিসায় যারা যান তারা পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন কাজ করার সুযোগও পেয়ে থাকেন। তবে এই সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর মধ্যে খন্ডকালীন কাজ করলে তা প্রযোজ্য হবে না। পর্তুগালে যেতে পারলে সেখানে অবশ্য সুযোগ সুবিধা নেহাৎ কম না। অনেক দেশের তুলনায় এই দেশে উচ্চ বেতন পেয়ে থাকে কর্মীরা । মাসে সর্বনিম্ন বেতন পেয়ে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকে। 

এছাড়াও পর্তুগালের মধ্যে প্রতি ঘন্টায় সর্বনিম্ন বেতন হিসেবে ৬.১২ ইউরো ধরা হয় । যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭৬০ টাকার সমান হয়। এদেশে কর্মীদের ৪০ ঘন্টা সপ্তাহে বেসিক ডিউটি পালন করতে সুযোগ পায়। তাই ওভারটাইম কাজ করলে দেখা যায় যে সাধারণ বেতনের চেয়ে বেশি মজুরি   পাবেন। তবে প্রথম অবস্থায় বেতন কম থাকলেও ধীরে ধীরে আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতার উপরে নির্ভর করে আপনি বড় বড় কোম্পানিগুলোতে জব পাওয়ার মত সুযোগ পেয়ে যাবেন।  এতে আপনার বেতন কাঠামো বাড়তে থাকবে।

পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি

পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি আপনি যখন আবেদন করবেন তখন আপনাকে জেনে নিতে হবে। যখন আপনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন প্রথমে আপনাকে আরেকটি তথ্য জেনে নিতে হবে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগালে কাজ পাওয়াটা একটু কঠিন। কারণ পর্তুগালে যাদের ইমিগ্রেট আছে তাড়াতাড়ি তাদের কাগজপত্র দিয়ে দেয়। আর শুরুতে এখানে কাগজপত্রের ঝামেলাতে কাজ পাওয়াটা কঠিন হয়ে যায়।নতুনদের ক্ষেত্রে আপনারা পর্তুগালে আসার আগে মাথায় রাখবেন পর্তুগালে আসার পর অনেক স্ট্রাগল করতে হবে । 

এখানে যদি আপনি কষ্ট করে কিছুদিন থাকতে পারেন পরবর্তী সময় যখন আপনার কার্ড হয়ে যাবে , তখন আপনি যে কোন কোম্পানিতে ভালো টাকার ভেতরে কাজ নিতে পারবেন। অনেকগুলো কোম্পানি আছে যারা কার্ড ছাড়াই চাকরিতে কিছু শ্রমিক নিয়ে থাকে। অবশ্য কাজগুলো পেতে আপনাকে কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ আপনার মত অনেকেই কাজ করার জন্য স্ট্রাগল করছে পর্তুগালে । তাই সবার থেকে এগিয়ে রাখতে আপনাকে ইংরেজি অথবা পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ট্রেনিং যেমনঃ  ইলেকট্রনিক্যাল, ওয়েল্ডীং মেকানিক্যাল,  প্লাম্বিং ,পেইন্টিং ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ করে তারপর এখানে আসতে পারেন।

 তবে এখানে এসেই আপনি নির্দিষ্ট সেক্টরে কাজ পেয়ে যেতে পারেন তা মোটেও এমন নয়। আপনাকে কিছু ছোট ছোট কাজ করতে হতে পারে যেমনঃ কিচেন হেল্পার ,সেফের সঙ্গে কাজ করা। পর্তুগালে মোট পাঁচটি সেক্টর রয়েছে।। সেখানে প্রচুর পরিমাণে কর্মীর চাহিদাও রয়েছে। এই পাঁচটি সেক্টরে কাজ করতে পারলে আপনি বেতন বেশি পেয়ে থাকবেন । প্রথম সেক্টর হচ্ছে এগ্রিকালচার। মূলত এটি সিজিনাল ভিসা। বা D1 ভিসা। অর্থাৎ স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা বলা হয়। 
পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি

দ্বিতীয় সেক্টর যে কর্মীর চাহিদা রয়েছে সেটা হল হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম। তৃতীয় সেক্টর হল কনস্ট্রাকশন ও ম্যানুয়াল লেবার সাইড। চতুর্থ সেক্টর হল সার্ভিস সেক্টর। ফুড ডেলিভারি হতে পারে , বয়স্কদের সেবা প্রদান। পঞ্চম সেক্টরে প্রচুর ডিমান্ড থাকে। পর্তুগালে এই কোম্পানিতে খুব ভালো সেলারি জব  পাবেন। আপনি যদি টেকনো দক্ষ হয়ে থাকেন যদি আইটিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই দেশটিতে খুব ইজিলি জব ম্যানেজ করা যায়।

উপসংহারঃ পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

দক্ষিণে ইউরোপের সাগর ঘেরা এক দেশ পর্তুগাল। পশ্চিম ইউরোপে অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি। তাই আপনি যদি রেস্টুরেন্টের উপর কাজ শিখে যেতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়ে থাকে। সেখানে আছে বাঙালি ভাইদের দোকান ও পর্তুগিজ বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলো বা কফিশপ সেখানে কাজ করতে পারবেন । পর্তুগালের বিভিন্ন এগ্রিকালচারাল বাগান ,ফুলবাগান ক্ষেত্রেও অনেক বাঙালি ভাইয়েরা কাজ করে থাকেন।

সেখানে যাবার পর আপনার কার্ড হয়ে গেলে যে কাজ জানেন বা আইটি সেক্টরে কাজ জানা থাকলে কাজ করতে পারবেন । কারণ পর্তুগালে আইটি সেক্টরে যেসব কাজ আছে তার প্রত্যেকটিতে রেসিডেন্সিয়াল পারমিট থাকতে হবে এবং তারাই কাজের জন্য এলিজিবল। পর্তুগালে কাজ পাবার জন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষা অথবা পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতা অর্জনে পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ট্রেনিং থাকতে হবে।যেমনঃ ইলেকট্রনিক্যাল , ওয়েল্ডিং , মেকানিক্যাল , প্লাম্বিং পেন্টিং এসব বিষয়ে দক্ষ থাকতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url