পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে - এর কার্যকারী তথ্য
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল যেতে বাংলাদেশ থেকে যারা আগ্রহী তাদের অবশ্যই জানতে হবে। পর্তুগালে অভিবাসী অনেক বেশি। পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্তুগাল। পর্তুগালের নাম শুনলে ফুটবল প্রেমীদের চোখের সামনে ভেসে উঠে রোনালদোর মুখ।
পর্তুগালে এমন কিছু বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যেখানে আপনি জব এপ্লাই করে যদি একটি জব ম্যানেজ করতে পারেন। তাহলে এই কোম্পানি আপনাকে স্পন্সার করে আপনার যাবতীয় ভিসা প্রসেস করে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসতে পারে এবং এই পুরো প্রসেসিং করতে মাত্র ২০ দিন সময় লাগে।
পেজ সূচিপত্রঃ পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
- পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
- পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায়
- পর্তুগাল ভিসার দাম কত
- পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে
- পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- পর্তুগাল সর্বনিম্ন বেতন কত
- পর্তুগা্লে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- উপসংহারঃ পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা চাকরি ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশ পর্তুগালে যেতে আগ্রহীদের জানতে হবে পর্তুগালে যেতে কত টাকা লাগে। দক্ষিণ ইউরোপের সাগর ঘেরা এক দেশ পর্তুগাল। এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। এটি এক শান্ত নিরিবিলি ও ফ্রেন্ডলিস্ট দেশ। এখানকার আবহাওয়া চমৎকার। পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে বেশ সাশ্রয়ী। যা ট্রাভেলারদের জন্য দারুন খবর। পর্তুগাল সেনজেনভুক্ত দেশ এখানে যেতে আপনার প্রয়োজন হবে সেনজেন ভিসা। এই একটি ভিসা দিয়েই ইউরোপের মোট ২৭ টি দেশে ঘুরতে পারবেন ।
ভিসার জন্য VFS এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয় । পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি । বিমান ভাড়া ঢাকা বা কলকাতা থেকে রিটার্ন টিকেট ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ তুলনামূলক বেশি হবে অর্থাৎ কাজের ভিসায় গেলে সব মিলিয়ে ১০ লাখ থেকে ১১ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। বাংলাদেশে পর্তুগালের এম্বাসি না থাকার কারণে আপনাকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। আর নিজে নিজে পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসার খরচ কিছুটা কম হবে।
পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায় হল স্টুডেন্ট ভিসা। পর্তুগালের মানুষগুলো খুব আন্তরিক। জীবনযাত্রার গতি কিছুটা ধীর। পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল বেশ সাশ্রয়ী। পর্তুগাল হলো মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এখানে বিদেশী কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ রয়েছে। আর তাই পর্তুগালে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশিদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। তবে পর্তুগিজ ভাষা জানা থাকলে এখানে পর্যটন, আইটি এবং কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে কাজের সুযোগ রয়েছে ।
আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা - সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে
আর তাই পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের অফার লেটার সঙ্গে নিয়ে ওই দেশে যেতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট পর্তুগালে দুই ধরনের।
- শর্ট টার্ম ওয়ার্ক পারমিট
- লং টার্ম ওয়ার্ক পারমিট
- পর্যটন
- কৃষি
- রেস্টুরেন্ট,
- মৎস্য
- ফুড ডেলিভারি
- কনস্ট্রাকশন ও ম্যানুয়াল লেবার সাইট।
পর্তুগাল ভিসার দাম কত
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে তা আবেদনকারীকে যেমন জানা প্রয়োজন , তেমনটি প্রয়োজন হবে পর্তুগাল ভিসার দাম কত। পর্তুগাল ভিসার অফিসিয়াল দাম সাধারণভাবে ভিসা ক্যাটাগরি ও আবেদনকারীর বয়সের উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে । তবে বর্তমানে পর্তুগাল ভিসার দাম প্রায় ৪০ ইউরো থেকে ১৫০ ইউরো পর্যন্ত হয়। তবে কোন এজেন্সির সাহায্য ছাড়া আপনি যদি নিজে নিজে হিসাব প্রসেসিং করতে পারেন তাহলে খরচ কম হবে । আর এজেন্সির মাধ্যমে করলে খরচ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।
পর্তুগালে বর্তমানে লোক সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ ১১ হাজার । ইউরোপের অনেক দেশের
চেয়ে ছোট একটি দেশ এবং অনেক এলাকা গ্রামীণ প্রকৃতির। পর্তুগালের মোট আয়তন
প্রায় ৯২ হাজার ২২৫ বর্গ কিলোমিটার । অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রায় দেড় গুণ
ছোট। পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি । বিমান
ভাড়া ঢাকা বা কলকাতা থেকে রিটার্ন টিকেট ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা
হতে পারে। থাকা -খাওয়া লিজবনে হোস্টেলের খরচ প্রতি রাত ২০ থেকে ৩০ ইউরো যা
ট্রাভেলাদের জন্য এক দারুন খবর।
পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে
পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে তা আবেদনকারীদের অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। পর্তুগালে ভিসা আবেদন করার জন্য সাধারণভাবে বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা দেওয়া নেই। টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা এই আবেদনকারীদের ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হয় ভিসা আবেদন করার জন্য। তবে বয়স যদি ১৮ বছর প্লাস হয় বা ২১ বছর হয় তাহলে আপনি কাজের জন্য বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বা রেসপন্স পাবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তাদেরকে অবশ্যই অভিভাবকের
কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পর্তুগালে যাওয়া
যেহেতু একটু সহজ । তাই এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চাইলে খন্ডকালীন
কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন এবং তাদের জীবনমানকে অনেক সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করার
সুযোগ পাবেন। তবে পর্তুগাল যেতে ১৮ প্লাস থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে সেখানে যাওয়া
যাবে।
পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার নিয়ম
পর্তুগাল মোটামুটি আয়তাকৃতির । এর উত্তরে ভূমি পর্বতময় ও সবুজে ঢাকা।
এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং আবহাওয়া শীতল। আর এই
স্বর্গখ্যাত পর্তুগালে যাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হয়
।পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য সঠিক দক্ষতা ও জ্ঞান থাকলে ভিসা পাওয়া
তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে থাকে। এই দেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা হয়ে
থাকে। যেমনঃ স্টুডেন্ট ভিসা , ভিজিট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা । এছাড়াও আপনি
পর্তুগাল আসতে পারবেন যাকে বলা হয় জব সার্চ ভিসা।
পর্তুগালে VFS এর মাধ্যমে ভিসা করতে হয়। পর্তুগাল সেনজেনভুক্ত দেশ । এখানে যেতে আপনার প্রয়োজন হবে সেনজেন ভিসা । তবে সুখকর একটি খবর হল এই যে বর্তমানে বাংলাদেশে সেনজেন ভিসা প্রসেসিং করা যায় । শুধুমাত্র ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে এবং তা হতে হবে ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী । এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনাকে অনলাইনে আবেদন টি করতে হবে। নিজে নিজে পর্তুগাল ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারলে বেশি ফলপ্রসু হবে। তবে বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমেও এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে করে আপনার খরচটা একটু বেশি হবে।
পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে
পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে তা আপনাকে আবেদন করার পূর্বে জেনে নিতে হবে । আর জেনে নিতে হবে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে এবং সেখানকার জীবন ব্যবস্থা কি রকম হবে। পর্তুগালে বৈধভাবে পাঁচ বছর স্থায়ীভাবে বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। যা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা সহজ । এজন্য ভাষায় এবং সংস্কৃতির উপর একটি পরীক্ষা দিতে হয়। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রীন কার্ড ও লাল পাসপোর্ট পাওয়া যায় যে দেশটিতে সেটি হচ্ছে পর্তুগাল ।
এই পর্তুগালে আপনি খুব সহজে বাংলাদেশ থেকে ভিসা নিয়ে আসতে পারবেন, সেই ভিসাটি হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য পর্তুগালে অবস্থানরত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বের করতে পারবেন বা কোনো বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমেও আপনি ভিসাটি বের করে নিতে পারবেন। আর তাই পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নিম্নে যেসব কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয় তা হলঃ
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির অফার লেটার
- কাজের দক্ষতার সনদ
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- জব অফার লেটার
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- ট্রাভেল রেকর্ড
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url