সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা - সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

  সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা এটি জানা আপনার জন্য খুব প্রয়োজন । যদি আপনি সিঙ্গাপুর যাবার জন্য মনস্থির করেন। সিঙ্গাপুর হল এশিয়া মহাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম একটি দেশ। অথচ দেখা গিয়েছে যে ধনসম্পদ , ব্যবসা-বাণিজ্য ও আধুনিকতার ছোঁয়া যেন সবার উপরে।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা

বাংলাদেশের অনেক মানুষ সিঙ্গাপুরে কাজ করতে গিয়ে তাদের জীবন উন্নয়নে চেষ্টা করছে এবং অনেকে সফলতার দেখাও পেয়েছে। আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে সিঙ্গাপুর সম্পর্কে জেনে নিব এবং সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে সেটিও জেনে নেব। সিঙ্গাপুর ১ ডলারে বাংলাদেশি টাকা হয় ৯২.৪৩  টাকা।

পেজ সূচিপত্রঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা

 সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা

বর্তমানে পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া একটি দেশ হলো সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর ১ ডলারে বাংলাদেশি টাকা ৯২. ৪৩ টাকা। তবে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে ব্যয় অনেক বেশি। অর্থাৎ ব্যয়বহুল শহর হল সিঙ্গাপুর। আর  এই ব্যয়বহুল শহরে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার খরচ দেখা গিয়েছে যে বিভিন্ন ফ্যাক্টরির উপরে ভিত্তি করে আলাদা হয়ে থাকে। যেমনঃ কোন মাধ্যমে  যাচ্ছেন, আপনার ভিসা ক্যাটাগরি কোন ধরনের এবং কতদিনের মেয়াদ নিয়ে যাচ্ছেন ইত্যাদির উপর ।

বর্তমানে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে যারা বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে তাদের খরচ পড়ছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা যদি সরকারি ভাবে প্রসেসিং করা যায় তাহলে খরচ অনেক কম হয়। আর আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা প্রসেসিং করেন তাহলে খরচ সরকারি ভিসা করার চেয়ে একটু বেশি লাগে। তবে সেখানে যেতে পারলে দিনে ২২ থেকে ২৮ ডলার পর্যন্ত কাজে বেতন পাওয়া যায়। সেখানে মাসিক সেলারি দাঁড়ায় ৪৮৮ ডলার।

সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি

সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র ও ব্যাপকভাবে নগরায়িত রাষ্ট্র। সিঙ্গাপুরের মূল ভূখণ্ডটি একটি হিরোকাকৃতি দ্বীপ। এক কথায় সিঙ্গাপুর সম্পর্কে  বলতে হয় সিঙ্গাপুর হল একটি শিল্প উন্নত দেশ। এই দেশটিতে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। বাংলাদেশ থেকে যারা সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে  যেতে চান, প্রথমে  আগ্রহীদের জেনে নিতে হবে সিঙ্গাপুর কোন কাজে চাহিদা বেশি। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বেশ কিছু কাজের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

কাজগুলো হলো কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, ক্লিনা্‌র, ফুড ডেলিভারি ম্যা্‌ন, ড্রাইভিং , মেকানিক , ইলেকট্রনিক,  প্লাম্বিং । এছাড়া সিঙ্গাপুরে আরও কিছু কাজের চাহিদা রয়েছে তা হল হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। সেখানে মাসিক সেলারি কোম্পানি হিসাবে যা দেওয়া হয় তার চেয়ে ওভারটাইম বেতনের টাকা দেড় গুণ বেতন বেশি পাওয়া যায়। সেখানে আরেকটি সুন্দর ব্যবস্থা আছে তাহলো যে কোম্পানিতে কাজ করা হোক না কেন কোম্পানির মালিক দুই ঘন্টা ওভারটাইমের ব্যবস্থা করে দেয় ।

সিঙ্গাপুর শ্রমিকদের বেতন কত

সিঙ্গাপুর হলো বিশ্বের অন্যতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি দেশ । অথচ সিঙ্গাপুরের জমির তুলনায় মানুষ অনেক বেশি। এরপরেও সিঙ্গাপুর অনেক উন্নত দেশ। কঠোর পরিশ্রম ,সততা, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ , সঠিক নেতৃত্ব ও দৃশ্যমান পরিকল্পনার ফলে সিঙ্গাপুর এক বিস্ময়কর সাফল্য নিয়ে এসেছে। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা তা জানা আপনার জন্য খুব জরুরী । কারণ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকদের কাজ করতে পারবেন।

 শ্রমিকের কাজের ধরন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সিঙ্গাপুরে বেতন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । সেখানে কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে সাধারণত শ্রমিকরা বেতন বেশি পেয়ে থাকে। বর্তমানে সিঙ্গাপুর শ্রমিকদের বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে দাঁড়িয়ে এক লাখ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর নতুন হিসেবে কোন কোম্পানিতে কাজ করলে কাজের বেতন তুলনামূলক অনেক কম পাবেন। তবে উন্নত এই দেশে শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং

বাণিজ্য উৎপাদন ও পর্যটন এখানকার মূল চালিকাশক্তি । সিঙ্গাপুরের উঁচু উঁচু ভবন গুলো পুরো দেশটিকে এক ভবিষ্যৎ নগরীর রূপে গড়ে তুলেছে। সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আপনি যখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করবেন। এরপর অফলাইনে সরাসরি দূতাবাসে গিয়ে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেও সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশন এন্ড চেক পয়েন্ট্স অথরিটি্র ওয়েব সাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন খুব সহজে।

আরো পড়ুনঃ ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে -  ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫

সিঙ্গাপুর দূতাবাসে গিয়ে যখন আপনি ভিসা আবেদন করা শেষ করবেন । এরপর নির্দিষ্ট কোন তারিখে সাক্ষাৎকারের জন্য সেখানে যেতে হয়। সাক্ষাৎকার দেওয়া শেষ হওয়ার পর থেকে আপনার সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং শুরু হয়। ভিসা আবেদনকারীদের আবেদনটি সিঙ্গাপুর দূতাবাস যাচাই-বাছাই করে ফলাফল জানিয়ে দেয়। আবার আপনি যদি চান তাহলে এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করে নিতে পারেন । তবে বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট জেনে নিতে পারলে আপনার জন্য ভিসা প্রসেসিং করা সহজ হবে।

সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে

সিঙ্গাপুর  খুব ছোট একটি দেশ। অথচ তাদের কঠোর পরিশ্রম , সততা এবং সঠিক নেতৃত্ব, দীর্ঘ পরিকল্পনা এর মাধ্যম দিয়ে তারা সিঙ্গাপুরকে অনেক সফলময়ী  দেশে হিসেবে গড়ে তুলেছে। সেখানে সৌন্দর্য উপভোগ করবার জন্য পর্যটকদের অনেক ভিড় হয়ে থাকে। আর তাই বাণিজ্য উৎপাদন ও পর্যটন এখানকার মূল চালিকাশক্তি। সেখানে বর্তমানে কৃষি জমি খুব কম দেখা যায়। শুধু বড় বড় ভবনগুলো পুরো দেশটিকে ভবিষ্যৎ নগরী রূপে গড়ে তুলেছে।

সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে

সিঙ্গাপুরে ভিসা আবেদন করার পূর্বে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা এটা আপনার জন্য জানা খুব প্রয়োজন। কারণ সিঙ্গাপুরের মত একটি ছোট্ট সুন্দর দেশে যেতে হলে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে এবং সাধারণত সিঙ্গাপুর ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা আবেদনের জন্য সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কিছুটা আলাদা আলাদা হয়ে থাকতে পারে তবে সিঙ্গাপুর যেতে যেসব কাগজপত্র লাগে তা হলঃ

  • পাসপোর্ট
  • সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন ফরম
  • আবেদনকারীদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিনেন্সি ডকুমেন্ট অর্থাৎ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • কাজের চুক্তিপত্র
  • জব অফার লেটার
  • ট্রাভেল ইন্সুরেন্স
  • আবাসনের প্রমাণপত্র
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য
  • স্কেল সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট

বাংলাদেশে অনুমোদিত ভিসা প্রসেসিং করার অনেকগুলো এজেন্সি রয়েছে। যা সিঙ্গাপুর সরকার অনুমোদিত। ভিসা প্রসেসিং করার আগে এজেন্টদের সম্পর্কে একটু সাবধান থাকতে হয় । কারণ অগ্রিম টাকা কাজ শেষ না করে দেওয়া উচিত নয়। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনার বেশি থেকে যায়। বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসায় এজেন্টের যে লিস্ট দেওয়া হল তা থেকে এজেন্সিকে দিয়ে ভিসা প্রসেসিং করলে নিজ দায়িত্বে ভালো-মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করে করাবেন।
 বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর এজেন্টদের তালিকা টেবিল আকারে দেওয়া হলঃ


ক্রমিক নং নাম ঠিকানা যোগাযোগ
ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড মতিঝিল, ঢাকা টেলিফোনঃ ৯৫৫০৯১৬
আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কর্পোরেশন গুলশান, ঢাকা টেলিফোনঃ ৯৮৬২৭৮৮
্নভোএয়ার লিমিটেড বনানী , ঢাকা হটলাইনঃ ০১৯৭৮৪৪৩৭১৭
তালুন কর্পোরেশন লিমিটেড গুলশান , ঢাকা টেলিফোনঃ +৮৮ ৪৮৮১০৫৩৪-৩৬
ইনোজ সার্ভিস লিমিটেড গুলশান, ঢাকা টেলিফোনঃ ৯৮৯৩৭০৪

সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে

সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে তা আবেদন করার আগে আপনাকে ভালোভাবে সিঙ্গাপুর সম্পর্কে জেনে এবং কি কি লাগবে সমস্ত তথ্য জেনে আবেদন করা প্রয়োজন। শুধু সুন্দরের দিক থেকে নয় বরং প্রযুক্তির দিক থেকে সিঙ্গাপুর অনেক এগিয়ে । সিঙ্গাপুর কে গার্ডেন সিটি ও বলা হয়ে থাকে কারণ উঁচু উঁচু ভবন থাকলে গাছপালা আছে সুসজ্জিত, প্রাণবন্ত সবুজে ঘেরা একটি দেশ। সাধারণত আবেদন করতে টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসাতে বয়স লাগে ১৮ বছর।


 তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কিছুটা শিথিলতা আছে অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়স হলে অভিভাবকের অনুমতি পত্র প্রয়োজন হয়। উল্লেখ্য এই যে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বয়সের শর্ত পূরণ করতে হবে। আর তাই  কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে আবেদনকারীদের বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে এবং তার বেশি হলে ভালো হয় । উল্লেখ্য এই যে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী হলে এই ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে এটা সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কারো পক্ষে বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না । কারণ এই সময় বিভিন্ন কারণের জন্য অনেকটা নির্ভরশীল থাকতে হয় । যেমন সংস্থা ও বাতাসের অবস্থা অর্থাৎ আবহাওয়ার উপরেও নির্ভর করে সময় লেগে থাকে। সিঙ্গাপুর বিশ্ব রেখার মাত্র এক ডিগ্রি উত্তরে অবস্থিত বলে এখানকার জলবায়ু নিরক্ষীয় প্রকৃতির। তাই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কতটাকা এটা জানা যেমনটি প্রয়োজন। 

ঠিক তেমনটি প্রয়োজন সেখানে গিয়ে আপনি কিভাবে কাজ সংগ্রহ করবেন এবং আপনার জীবন যাপন কেমন হবে এটি জেনে যাওয়া অবশ্যই আপনার জন্য অত্যধিক প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ ফ্লাইট ব্যবহার করে সবচেয়ে দ্রুত যাওয়া যায় বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে। তাছাড়া আপনি আপনার স্বপ্নের দেশ সিঙ্গাপুরে নিম্নোক্ত এয়ারলাইন্স গুলো ব্যবহার করে পাড়ি জমাতে পারবেন।
  • এয়ার এশিয়া 
  • থাই এয়ার ওয়েজ
  • মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স
  • সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স
আপনাকে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর ৩৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে এসব এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে। বিভিন্ন ধরনের এয়ারলাইন্সের বিমান অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে আনুমানিক সময় লাগবে প্রায় সাত থেকে আট ঘন্টা।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আপনি চাইলে সরকারি ও বেসরকারিভাবে কাজের ভিসা দুই ভাবে পেতে পারবেন এবং  সিঙ্গাপুরে যেকোনো ভাবে কাজের ভিসা নিয়ে আপনি যেতে পারবেন। সরকারিভাবে বোয়েসেল এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হয় এই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য। তবে এই আবেদনটি করা তখনই সম্ভব হয় যখন সিঙ্গাপুর সরকার শ্রমিক নিয়োগ সার্কুলার প্রকাশ করেন। "আমি প্রবাসী " অ্যাপ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। যা আপনি ইচ্ছে করলে সেখান থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা এটা জেনে, আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য যেভাবে আবেদন করবেন। তাতে সেখানে যেতে পারলে আপনার কিছুদিনের মধ্যে যাওয়ার খরচ খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি। কারণ দিনে ১৮ থেকে ২২ ডলার ইনকাম করা যায়। তারা ২৬ দিনে মাস গণনা করে এবং মাসিক সেলারি ন্যূনতম ৪৮৮ ডলার হয়ে থাকে। ওভারটাইম বেতনের দেড়গুন বেতন পাওয়া যায়। তাই দেরি না করে কোন বিশ্বস্ত ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা হাতে পাওয়ার পর অবশ্যই সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করতে হবে।

সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশে মানুষের কাছে সিঙ্গাপুর হচ্ছে একটি স্বপ্নশীল দেশ। কারণ সেখানে ধন-সম্পদ , ব্যবসা-বাণিজ্য ও আধুনিকতায় যেন সবার উপরে। তাই নিজের জীবন উন্নয়নের চেষ্টা করার জন্য সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা তৈরি করা এবং সেখানে পাড়ি জমিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ও স্বাবলম্বী করা এক সহজ উপায়। আর তাই আপনাকে জেনে নিতে হবে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী এবং এজেন্সির উপর নির্ভর করেও খরচ কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। 
সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

তবে সরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারলে খরচ কম লাগে । বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত । বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি ভিসা প্রসেসিং করে থাকেন তাহলে খরচ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। নিকটতম কোন আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে পারলে খরচ কম হয়ে থাকে।


ক্রমিক নং ভিসা ক্যাটাগরি ভিসা খরচ ( টাকা )
কাজের ভিসা প্রায় ৫লাখ থেকে ৮ লাখ
স্টুডেন্ট ভিসা প্রায় ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ
ভিজিট ভিসা প্রায় ১ লাখ থেকে ২ লাখ

শেষ কথাঃ সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা জানতে হলে আপনাকে পাশাপাশি জেনে নিতে হবে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে । আর এই তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি  পড়তে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ছোট উন্নত রাষ্ট্র হল সিঙ্গাপুর । সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি মিশ্রিত। দেশটির অধিকাংশ মানুষ চীনা বংশোদ্ভূত। বিধায় সামাজিক চীনা সংস্কৃতির প্রভাব বেশি। তিনটি স্তরে সিঙ্গাপুরের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয় । 

সেখানে ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য সিঙ্গাপুরের সুনাম রয়েছে ব্যাপক । আর তাই এই আধুনিক রাষ্ট্রে জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন খুব সুন্দর করে । উন্নত জীবনযাপন ,স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা আপনাকে গড়ে তুলবে এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ হিসেবে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উন্নত এই দেশটিতে বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে এই দেশে  যাচ্ছে। তবে দেশটিতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে এবং সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা এটা ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url