ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান - ট্রিকস ও টিপস সহ
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান নিয়ে আমরা ভাবি কোনটা কিনলে আমাদের ত্বক ফর্সা হবে। আমরা পৃথিবীতে এসেছি কেউ কালো, কেউ ফর্সা, কেউ শ্যামলা হয়ে। কিন্তু প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটা সৌন্দর্য আছে। এই সৌন্দর্য টাকে ধরে রাখার জন্যই আমাদেরকে প্রকৃতির মাঝে বিচরণ করতে হবে ।
তাই আজকে আপনার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে কার্যকরী হয় এমন একটি সাবানের কথা বলবো। যা আপনাকে সাবানটি অনন্য ও আকর্ষণীয় করে তুলবে, প্রতিদিনের ব্যবহারের ফলে। নিজের কর্ম ক্ষেত্রে ভালো লাগা তৈরি হবে। কাজে বিশ্বাস ফিরে আসবে এবং ধীরে ধীরে আপনাকে যুগোপযোগী ভাবতে ভালো লাগবে।
পেজ সূচিপত্রঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
- ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
- ত্বক ফর্সা করার জন্য জনপ্রিয় সাবান
- প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি সাবান
- ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা রাখার নিয়ম
- রুপচর্চায় কাঁচা হলুদের সাবান
- মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার সাবান
- প্রাকৃতিকভাবে বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়া সাবান
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে নিমপাতার সাবান
- অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম
- শেষ কথাঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান নিয়ে জানার আগে আমাদের জানতে হবে সাবান কিভাবে
ব্যবহার করতে হয় । অর্থাৎ কোন ধরনের সাবান স্কিনের জন্য ভালো সেটা
জেনে নিতে হবে। তাই প্রথমে জানতে হবে নিজের ত্বকের ধরন এবং সে ধরন
অনুযায়ী সাবান নির্বাচন করে নিন। আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তাহলে আপনাকে
এক ধরনের সাবান ব্যবহার করতে হবে। আবার যদি শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে আরেক ধরনের
সাবান ব্যবহার করতে হবে। শুধু সাবান নয় সাবানের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক উপায়ে
কিছুটা পরিচর্যা করতে হবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি যে সাবান গুলো হয়ে থাকে সাধারণত সে সাবান গুলো শুধু
ত্বকে লাবণ্যতায় নিয়ে আসে না ত্বক কে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এই ধরনের সাবান
গুলোর মধ্যে হচ্ছে একটা লেবু সাবান। লেবু যেহেতু ভিটামিন সি তাই ত্বকের
জন্য অনেক কার্যকরী হয়। তবে সেটা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় না এতে ক্ষতি
হয় লেবু সাবান ব্যবহার করলে স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ফর্সা দেখাবে এবং
ত্বকে ধীরে ধীরে লাবণ্যতা ফিরে এসে ত্বক দাগ মুক্ত হবে। নিচে কিছু ত্বক ফর্সা হয়
এমন জনপ্রিয় সাবানের নাম দেওয়া হলঃ
- জাফরান সাবানঃ সাবানটি ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বলে এ সাবানটির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। জাফরান সাবান সাধারণত তৈরি হয় ১০০% প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। জাফরানের গুনাগুন ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরী।
- লেবু সাবানঃ ত্বক পরিষ্কার এর পাশাপাশি দাগ মুক্ত হতে সাহায্য করে। কারণ ভিটামিন "সি" সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বকের জন্য খুব ভালো এবং ত্বক দাগ মুক্ত হয়।
- মধু যুক্ত সাবানঃ এই সাবান ত্বকের জন্য খুব ভালো । প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি বলে এই সাবান ত্বককে ফর্সা হওয়ার জন্য বেশ কার্যকরী।
- মুলতানি মাটি দিয়ে তৈরি সাবানঃ মুলতানি মাটি এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অন্যতম উপাদান। এই সাবান ব্যবহারে রোদে পোড়া ভাব ত্বক থেকে দূর হয়। সেজন্য সাবানটি ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।
ত্বক ফর্সা করার জন্য জনপ্রিয় সাবান
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করে ত্বক কিভাবে ভালো রাখা যায়। নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য প্রথমে আপনি নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখুন। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বক দূরে রাখুন। এর জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন এবং কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খান।
পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বলতা যখনই আপনার বাড়বে তখন আপনার
কে ফর্সা দেখাবে এবং হবেন লাবণ্যময়। সৌন্দর্য যখন বৃদ্ধি পায় তখন নিজের প্রতি
আস্থা বেড়ে যায় এটি আমি মনে করি। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবানের
মধ্যে জনপ্রিয় সাবান গুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাবান
- হাইড্রেটিং সাবান
- ব্রণ প্রতিরোধী সাবান
- টোনার যুক্ত সাবান
- নিষ্কাশনকারী সাবান
- মশ্চারাইজিং সাবান
- গ্লিসারিন যুক্ত স্বচ্ছ সাবান
- ডিওডরেণ্ট সাবান বা গন্ধহারি বা গন্ধনাশক সাবান
- ভেষজ ওষধী যুক্ত সাবান বা মেডিকেটেড সাবান
- তরল সাবান বা বাম জেল
-
ত্বক ফর্সা করার ডাক্তারি সাবান ( KOZICARE )
- জাফরান হানি সোপ
তবে এলোভেরা যুক্ত সাবান নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে ত্বকে আসবে উজ্জ্বলতা।
অ্যালোভেরাতে আছে এমন একটি উপাদান , যাকে প্রাকৃতিক হাইলাইটার বলা হয়
।সাবানটি ব্যবহার করলে নিয়মিত ভাবে ব্রণের দাগ দূর হয় । এলোভেরাতে আছে
এণ্টীফ্ল্যামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান । ব্রণ নিরাময় করতে খুব সাহায্য
করে তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন। নিজেকে লাবণ্যময়ী করার জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা
আছে এই অ্যালোভেরা যুক্ত সাবানটি্র। আর ব্যবহারের পর পা রাখুন সৌন্দর্যের
নতুন দিগন্তে।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি সাবান
সব সময় নিজেকে সুন্দর রাখবো আর এই সুন্দরকে ধরে রাখার মধ্যে সর্ব
প্রথমে মনে হয় সাবানের কথা। তাই ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান হল প্রাকৃতিক
উপাদান দিয়ে তৈরি সাবান। কারণ আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকি। তাহলে
প্রাকৃতিক উপাদানই তো আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো বলে আমি মনে করি। তাই ঘরে তৈরি
সাবান আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি
পাবে. ধীরে ধীরে হবেন আপনি অসাধারণ এক লাবণ্যময়ী। সৌন্দর্যে কল্পনার রূপক
কাঠির মত আপনার প্রতিদিন আসবে পরিবর্তন। ঝটপট ঘরে বসে তৈরি করে নিন প্রাকৃতিক
উপায়ে তৈরি সাবান।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা রাখার নিয়ম
ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য বাজারে কিছু বিশেষভাবে তৈরি হওয়া ফর্সা করার সাবান পাওয়া যায় ঠিক এর পাশাপাশি আপনি ব্যবহার করবেন রুটিন মাফিক ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিম। তবে সব সময় খেয়াল রেখে সাবান ব্যবহার করতে হবে পাশাপাশি ত্বক ফর্সা রাখার কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে হবে। উপায়গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- নিয়মিত ত্বক পরিস্কার করা
- সানস্ক্রিম ব্যবহার করা
- পর্যাপ্ত পানি পান করা
- স্বাস্থ্যকর সবুজ - রঙিন শাকসবজি খাবার হিসেবে গ্রহণ করা
- ত্বকে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
- মানসিক চাপমুক্ত থাকা
- ফেস মাস্ক ব্যবহার করা
রুপচর্চায় কাঁচা হলুদের সাবান
কাঁচা হলুদের ভেতরে ব্লিচিং বলে একটা উপাদান আছে। যার জন্য ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় কাঁচা হলুদের ভূমিকা অনেক , কাঁচা হলুদের সঙ্গে এলোভেরা জেল, মধু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা মিশিয়ে কিছুক্ষণ বলতে 15 থেকে 20 মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখার পর আলতো করে ঘষে রুম টেম্পারেচারের পানি দিয়ে মুখটা সুন্দর করে ্ধুয়ে নেবেন। এটা সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করতে পারলে ধীরে ধীরে দেখা যাবে আপনার চেহারায় অনেক উজ্জ্বলতা চলে এসেছে।
যখন আপনার উজ্জ্বলতা আসবে তখন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং অনেকদিন নিজের বয়সটাকে কমিয়ে রাখা সম্ভব হবে । এছাড়া ত্বকে পি এইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ যখন ত্বকে পেইজ ভারসাম্য বজায় থাকে তখন ত্বককে দেখতে সুস্থ এবং উজ্জ্বল দেখায় সেক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে যে কাঁচা হলুদ রূপচর্চায় এক বিশাল অবদান রাখে। কাঁচা হলুদ অ্যান্টিসেপটিক এর কাজ করে সেজন্য ব্রণে এর খুব ভালো কাজ দেয় অর্থাৎ ব্রণ তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার সাবান
- মুলতানি মাটি ও টমেটো বেসন দিয়ে তৈরি সাবানঃ মুলতানি মাটি একটি জনপ্রিয় উপাদান । আমাদের সৌন্দর্যের জন্য মুলতানি মাটি দিয়ে মধু, টমেটো বেসন এসব মিশ্রণ করে একটা সুন্দর প্যাক তৈরি করার পরে সেটির ভিতরে আরেকটু ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশান.। তাহলে দেখা যাবে এটা একটি সুন্দর ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি হয়ে যাবে যা ব্যবহারে আপনি ধীরে ধীরে হবেন লাবণ্যময়ী। উজ্জ্বলতায় ভর্তি হবে আপনার সুন্দর মুখখানি।
- মুলতানি মাটি ও টক দই, দু্ধ, গোলাপ জল দিয়ে তৈরি সাবানঃ মুলতানি মাটি, টক দই, গোলাপ জল ব্যবহার করে যে সাবানটি তৈরি হয় এটি সাধারনত তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব উপকারী। মুলতানি মাটি আমরা বলে থাকি এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরী কিন্তু টক দই দুধ দিয়ে যদি মুলতানি মাটি একটি সাবান তৈরি করা হয় তাহলে শুষ্ক ত্বকে তা অনেক কাজ করে অর্থাৎ ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে, ত্বকে লাবণ্যতা ফিরে আসে।
প্রাকৃতিকভাবে বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়া সাবান
বেসনে সাধারণত ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়ে থাকে । তাই আমরা ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিকভাবে বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সাবান তৈরি করে নিতে পারি খুব সহজে ঘরে বসে। বাজারের সাবানে ক্ষার থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেক টা। কিন্তু ঘরে তৈরি সাবানে ক্ষারের পরিমাণ একেবারেই থাকে না বললে চলে। এতে করে সাবানটি ব্যবহারের পরে ত্বক কোমল তুলতুলে অনুভব করা যায়।
- মুখের কালো দাগ দূর হয়
- তৈলাক্ত ভাব কমে আসে
- ত্বক মসৃণ করে
- ব্ল্যাকহেডস দূর হয়
- মৃত কোষ এক্সফোলিয়েট করে
- রোদে পুড়া ট্যান অপসারণ করে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে নিমপাতার সাবান
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান বলতে মনে হয় সব প্রথমে নিম পাতার
সাবান।অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য গুলো নিম
পাতার ভিতরে থাকায় বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত নিম পাতা
ব্যবহার করলে ত্বক জনিত সংক্রমণ ব্যাধি নির্মূল হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও
স্বাস্থ্যজ্জল হয়। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ এক সঙ্গে বেটে নিয়ে একটি ভিটামিন ই
ক্যাপসুল মিশ্রিত করে ময়েশ্চারাইজার যুক্ত সাবান কেটে তা জাল দিয়ে গলিয়ে নিয়ে
একটি মিশ্রণ তৈরি করেন। এরপর কোন মোল্ডে ঢেলে নিয়ে অপেক্ষা করলে তৈরি হয়ে যাবে
প্রাকৃতিক উপায়ে নিম সাবান।
প্রাচীনকাল থেকেই নিমপাতা ব্যবহার হয়ে আসছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়। তাই
এটি একটি ভেষজ উপাদান হওয়ায় অ্যান্টিসেপটিক, এন্টিফাঙ্গাল,
এন্টিফ্লামেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকায় মানুষের ত্বকে
সংক্রমণ জাতীয় রোগ কম হয়। গোসলের সময় নিয়মিতভাবে সাবানের মত ব্যবহার করলে
সেটিও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে ত্বক
মসৃণ ও সুন্দর দেখায়।
অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান বলতে মনে পড়ে এলোভেরা জেল দিয়ে ব্যবহার করা
সাবান।অ্যালোভেরা জেল সরাসরি অনেকের ত্বকে সহ্য হয় না । কারণ যাদের অ্যালার্জি
জাতীয় কোন সমস্যা থেকে থাকে তারা সরাসরি অ্যালোভেরা জেল দিতে পারে না । তবে যদি
এলোভেরা জেল নিয়ে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে সাবানটি তাদের জন্য। জেল বের করে
নিয়ে আলাদাভাবে তাতে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যাবে ।
শুধু তাই নয় এলোভেরা জেল এর সাথে নারকেল তেল ও লেবু মিশেয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে
ত্বক রোদে পোড়া দাগ নির্মূল হবে এবং ত্বক মসৃণ সুন্দর
দেখাবে। তবে এর ফলাফল ও কার্যকারিতা নিয়মিত ব্যবহার করার পরে ত্বকে আসে
প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহার করলে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ ধীরে ধীরে দূর হবে। ব্রণের
দাগ , ট্যান দূর হবে কারণ এলোভেরাতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আন্টি
ফ্ল্যামেটিরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো থাকায় ব্রণ
নিরাময় হয় খুব সহজে । আরেকটি সাবানের কথা বলি যা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে তৈরি হয়
অ্যালোভেরা জেলের ভেতরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে আলতো করে মুখে ঘষে নিয়ে বেশ
কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে দেখা যাবে ধীরে ধীরে মেছতার দাগ
দূর হবে।
শেষ কথাঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ত্বক ফর্সা করার জন্য দ্রুত কোন সমাধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। একটা স্বাস্থ্যকর সুন্দর জীবনধারা অব্যাহত রাখলে এবং নিজেকে সঠিক যত্নের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলা যায়। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে, বিশ্রাম নিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে সুন্দর ও সুস্থ থাকা যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে সাবান তৈরি করতে হলে ফর্সা তৈরি হওয়ার জন্য যে সাবান গুলো পাওয়া যায় সে সাবান গুলো কেটে গলিয়ে নিতে হবে ।
এরপর প্রাকৃতিক উপাদান যেমন নিমপাতা, কাঁচা হলু্ দুধ, লেব্ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এগুলো খুব সুন্দর করে মিশিয়ে নিয়ে একটা মোল্ডে ঢেলে জমাট বাধার মত সময় দিতে হবে । জমাট বাধা হয়ে গেলে সেটা সাবানের আকৃতি হবে এবং সাবান হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে সব ধরনের সাবান সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ডাক্তারের পরামর্শে অথবা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি সাবান নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url