ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে - ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫

  ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা বেশিরভাগ মানুষই জানে না। বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড অনেকে যেতে চায়। ফিনল্যান্ড সেনজেন ভুক্ত দেশ হওয়ার কারণে ভিসা ছাড়া প্রায় ২৯ টি দেশে ভ্রমণের সুবিধা আপনি পেয়ে থাকবেন। সেনজেনভুক্ত দেশ ফিনল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য । 

ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

এটি ইউরোপ মহাদেশের একটি উন্নত দেশ। এই দেশে সাধারণত কাজের বেতন একটু বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও উন্নত এই দেশে কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে সুযোগ রয়েছে। ইউরোপের এই নিরাপদ দেশে যেতে চাইলে আগ্রহী প্রার্থীদের ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা জেনে নিতে হবে ।

পেজ সূচিপত্রঃ ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

 ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

ফিনল্যান্ড যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে আলাদা হয়ে থাকে। যেমনঃ স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। বেসরকারিভাবে যখন আপনি বিভিন্ন এজেন্সি থেকে ভিসা প্রসেসিং করবেন তখন খরচ একটু বেশি লাগে। বর্তমানে কাজের ভিসা নিয়ে ইংল্যান্ডে যেতে চাইলে টাকা লাগে প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। আর স্টুডেন্ট ভিসা থেকে যেতে চাইলে টাকা লাগে প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। 

টুরিস্ট ভিসায় যেতে প্রায় ফিনল্যান্ডে খরচ পড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ইউরোপের এই দেশে যেতে আপনি যদি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে ফিনল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং করেন তাহলে কম খরচে যেতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা করার জন্য কনসালটেন্সি সার্ভিস নিতে পারেন। নিজে নিজে আবেদন করার জন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে ভারতের নয়া দিল্লিতে অবস্থিত ফিনল্যান্ডের দূতাবাসে।

খরচের ছকটি টেবিল আকারে নিম্নে দেওয়া হলঃ 


ক্রমিক নং ভিসা ক্যাটাগরি ভিসার দাম ( টাকা )
স্টুডেন্ট ভিসা ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা
ট্যুরিস্ট ভিসা ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা

ফিনল্যান্ড যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা জানার পাশাপাশি আপনি যে কাজের উপরে আবেদন করতে চাচ্ছেন , সে কাজের বিষয়ে অবশ্যই আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। তাছাড়া আপনার ইংলিশ লার্নিং এ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত দেশগুলির একটি ফিনল্যান্ড। এখানে রয়েছে ঘনসবুজ অরণ্য ও প্রচুর হ্রদ। উত্তর পশ্চিম ইউরোপে বালটিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড। এই সুন্দর দেশটিতে যেতে পারলে জীবন ব্যবস্থার মান অনেক উন্নত হবে।

শান্তিময় দেশ হল ফিনল্যান্ড। ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এটা যেমন জানা প্রয়োজন। তেমন ফিনল্যান্ডে ভিসার জন্য আবেদন করতে প্রয়োজন যে কাগজপত্রগুলো, সেগুলো প্রথমে প্রস্তুত করা। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আলাদা ও ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে যেসব কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হয় তাহলোঃ
  • ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট  ( আই ই এল টি এস, জি আরই, টোফেল স্কোর )
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার
  • রিকমেন্ডেশন লেটার
  • ভ্রমণের ইতিহাস
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট

 বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশে দূতাবাস না থাকার কারণে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য সরাসরি ভাবে কোন সুযোগ নেই। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে রয়েছে ফিনল্যান্ডের অ্যাম্বাসী। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আপনি ইউরোপের এই দেশটিতে যেতে পারেন খুব সহজে। ফিনল্যান্ড ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নেওয়ার পরে, আপনি প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ফিনল্যান্ড ভিসার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।


অথবা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে যেকোনো ধরনের ভিসা প্রসেসিং করে এদেশে আপনি যেতে পারবেন। আর তাই ফিনল্যান্ড যেতে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তা জানা খুব প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদনকারীদের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে। ভিসা পেয়ে সেনজেন ভিসা ,স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের উন্নত এই দেশে যেতে পারবেন খুব সহজে। বর্তমান সময়ে ফিনল্যান্ডে দিন দিন বেড়েই চলেছে বিভিন্ন কাজে চাহিদা।

ফিনল্যান্ড যেতে কত বছর বয়স লাগে

ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এটা জেনে নেওয়া যেমন জরুরি তেমন জরুরী ফিনল্যান্ড যেতে কত বছর বয়স লাগে সেটা। ফিনল্যান্ড ইউরোপে সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত দেশগুলির মধ্যে একটি। হেলসিঙ্কি ফিনল্যান্ডের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। ফিনল্যান্ড বালটিক সাগরে উপকূলে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। ফিনল্যান্ডে বিভিন্ন কাজের চাহিদা দিন দিন যেমন বেড়ে চলেছে। তেমন প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে কাজ করার জন্য অনেক কর্মী। 

অনেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ও পড়াশোনার জন্য ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। তাই ফিনল্যান্ড দেশটি সম্পর্কে জানার আগ্রহর পাশাপাশি ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে, ফিনল্যান্ড ভিসা কিভাবে পাবেন এবং ফিনল্যান্ড যেতে কত বছর বয়স লাগে এগুলো জানা খুব প্রয়োজন। দেশটিতে যাওয়ার জন্য বয়সের কোন রিকোয়ারমেন্ট নেই। তবে ভিসা আবেদন করতে আবেদনকারীদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। কাজের ভিসা যারা করবেন সেই আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বয়স ২১ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

ফিনল্যান্ড কাজের হিসাবে আবেদন প্রক্রিয়া অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে। কেননা অনেকেই ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় এই বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। তাই আপনি চাইলে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সরাসরি দূতাবাসের মাধ্যমে করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে যারা ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসা নিতে চান তারা সরাসরি দিল্লিতে অবস্থিত ফিনল্যান্ড দিল্লী এম্বাসি থেকে ভিসার কাজ সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

 বাংলাদেশ অনেক সরকারি ও বেসরকারি এজেন্সি রয়েছে ,যারা দিল্লির দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনার ভিসার কাজ সম্পূর্ণ করে ভিসা পাইয়ে দিয়ে থাকে। তবে আপনার জেনে রাখা ভালো যে যারা ফিনল্যান্ডের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন। তারা প্রথমে নির্দিষ্ট একটা কাজের উপরে আবেদন করে এবং সেই কাজে নির্বাচিত হয়ে নিজে দূতাবাসে গিয়ে ইনভাইটেশন লেটার সংগ্রহ করে ভিসারজন্য আবেদন করে থাকেন।

ফিনল্যান্ডে কাজ পাওয়ার উপায়

বর্তমানে ফিনল্যান্ডে আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে কাজ পাওয়া। ফিনল্যান্ডে যদি আপনার কোন পরিচিত কোম্পানি থেকে থাকে বা কোন আত্মীয় থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য ফিনল্যান্ডের কাজের ভিসা তাদের মাধ্যমে করে নিতে পারেন সহজ উপায়ে। এছাড়াও সরাসরি ফিনল্যান্ডের জব ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট কাজের উপরে আপনি আবেদন করতে পারেন। যদি আপনার আবেদনটি গৃহীত হয়। তখন আপনি এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্ডের ভিসা করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে এজেন্সি গুলো সরাসরি ফিনল্যান্ডে কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ করে ভিসা কার্য সম্পন্ন করে থাকে। তাই এক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। তবে আপনি যদি ফিনল্যান্ডে গিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার এই খরচের টাকাটা উঠে আসবে।
তবে জেনে রাখা ভালো যে ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া সব থেকে বিশ্বস্ত উপায়। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এটি একটি দুর্ভাগ্যজনিত কারণ যে বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের কোন এজেন্সি নাই।

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা

ফিনল্যান্ড অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন শক্তিশালী একটি দেশ ঠিক তেমনি শান্তিপ্রিয় একটি দেশ। সেখানে উত্তরাঞ্চলে শীতকালে রাতের দৈর্ঘ্য বিশ ঘন্টার বেশিও হয়ে থাকে। আবার দক্ষিণাঞ্চলে শীতকালে প্রায় ছয় ঘন্টার কম দিনের আলো অবস্থান করে। এই সুন্দরতম দেশে যেতে পারলে আর ফিনল্যান্ডে গিয়ে যদি কোন ভাল কাজে নিয়োজিত হতে পারেন । তাহলে সেখানে আপনি চাইলে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগও রয়েছে। আপনি যখন ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তখন নিশ্চয়ই আপনার ভাবনা আসবে ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এবং ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা কেমন হবে ।


 সেখানে অনেক ধরনের কাজ আছে বিধায় আপনি যে কাজের উপরে দক্ষ সে কাজ বিবেচনা করে আবেদন করবেন এবং এই আবেদন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার তার সঙ্গে সংযোগ করতে হবে । তার মধ্যে ইংলিশ লার্নিং এর সার্টিফিকেট অবশ্যই প্রয়োজন হবে। ফিনল্যান্ডের কর্মীরা সপ্তাহে কাজ করে থাকেন ২৮ ঘন্টা করে । তাছাড়া কোম্পানির ভিসায় ফিনল্যান্ডে যারা কাজ করতে যান । তাদের কাজ করার পাশাপাশি যে বেতন পেয়ে থাকে তার পাশাপাশি অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা কর্মীরা পেয়ে থাকে।

ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম

ইউরোপে ফিনল্যান্ড দেশটি শিল্পপ্রধান একটি দেশ । এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে । যারা স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে যান তাদের ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা অবশ্যই জানতে হবে । কারণ সেখানে যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষের প্রতিবন্ধকতা হলো ভিসা খরচ । তাই উন্নত জীবনযাপন , মান সম্মত শিক্ষা যতই হোক না কেন ফিনল্যান্ডে ভিসার দাম কত তা- না জেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া এক ধরনের বোকামি হবে ।

দেশটিতে ভিসা ক্যাটাগরি তিনটি আছে এই তিন ভিসা তে আপনি যেতে পারবেন। যেমনঃ ভিজিট ভিসা , স্টুডেন্ট ভিসা , কাজের ভিসা। প্রথমেই আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি বাছাই করে নিতে হবে । এরপর আবেদনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফিনল্যান্ডে ঘনসবুজ অরণ্য ও প্রচুর হ্রদ রয়েছে ।্দেশটিতে প্রাকৃতিক সম্পদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বনভূমি । আর প্রাচীর ঘেরা প্রাসাদের পাশাপাশি আছে সুন্দর সুন্দর অত্যধিক দালান কোঠা । 

দেশটির বনভূমি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদকে ফিনল্যান্ডের "সবুজ সোনা" নামে ডাকা হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এই দেশটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য যেতে চাই আর এজন্যই প্রয়োজন হয় ভিজিট ভিসা। এই ভিসা পেতে ট্রাভেল হিস্ট্রি , ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতনের স্লিপ ইত্যাদি প্রয়োজন হবে। আর স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি অফার লেটার লাগবে । পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে দেশটিতে আপনার স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন খুব সহজে।

ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা 

উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথিবী বিখ্যাত হল ফিনল্যান্ড । আপনি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে পারবেন। সেখানে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে আপনি অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন । কারণ দেশটি প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক বেশি উন্নত ও এগিয়ে । ফিনল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য যে শর্তগুলো আছে তার মধ্যে হলো- দেশটির সরকার স্বীকৃত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফার লেটার লাগবে। 


পাশাপাশি আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে আপনি খুব সহজেই দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন। উচ্চশিক্ষার মান পৃথিবী খ্যাত হওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েরা ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং সেখানে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কারণে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আপনি আবেদনের জন্য অনলাইনে সরাসরি ভাবে ফি পরিশোধ করে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে পারেন। তারপর দূতাবাসে আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেন এভাবে আপনি ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করে নিতে পারবেন খুব সহজে।

ফিনল্যান্ডে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে মানুষ স্টুডেন্ট , ভিজিট ভিসা এবং কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে গিয়ে থাকে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে সেটা সময়ের সাপেক্ষে পরিবর্তিত হয়। নিজে নিজে যদি আপনি ফিনল্যান্ডের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন, তাহলে অল্প খরচে স্বপ্নের দেশটিতে খুব সহজে যে কোন ভিসা নিয়ে আপনি পাড়ি জমাতে পারবেন। আর সেখানে আপনি যদ.৫থেকে.৭ বছর বসবাস করে থাকেন । তাহলে আপনি দেশটিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবার সেখানে যদি আপনি টানা ৫বছর বসবাস করেন তাহলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন । তবে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে শেষের দুই বছর একটানা অর্থাৎ নিরবিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করতে হবে । মনে রাখতে হবে ফিনল্যান্ডে নাগরিকত্ব পেতে অবশ্যই আপনার কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। আর সেখানে নাগরিকত্ব পেতে  আপনাকে দেশটির ভাষা শিখতে হবে। ভাষা শেখার পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা ও পেয়ে থাকবে আর তাই জীবনকে সুন্দর করে উপভোগ করার জন্য ফিনল্যান্ড পাড়ি দেন।

শেষ কথাঃ ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে 

ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এটি জানা আপনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। উত্তর ইউরোপে সবচেয়ে উন্নত দেশ হচ্ছে ফিনল্যান্ড। সেখানে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের বেশ সংকট রয়েছে । তাই পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজে চাহিদাও রয়েছে । বর্তমান ফিনল্যান্ডে কাজে্র চাহিদা সবচেয়ে বেশি । কারণ দেশটি শিল্প প্রধান দেশ। ফিনল্যান্ডে কনস্ট্রাকশন , প্লাম্বিং,ড্রাইভি্‌ং, ইলেকট্রনিক , ওয়েল্ডিং এবং ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ইত্যাদি কাজে বেশ চাহিদা রয়েছে।
ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

ফিনল্যান্ড কিন্তু শিল্প প্রধান দেশ । তাই শ্রমিকদের বেতন সেখানে অনেক বেশি হয়ে থাকে । কাজের ক্যাটাগরি , কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা , কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে ফিনল্যান্ডে কাজের বেতন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে । বর্তমানে ফিনল্যান্ডের কাজের বেতন প্রায় ২লক্ষ ৫০০০০ টাকা থেকে হয়ে থাকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত । অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেতনও বেশি হতে থাকে। এখানে বেশি টাকা ইনকাম করা যায় ড্রাইভিং ও প্লাম্বিং কাজ করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url