জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে - জার্মানি ভিসা খরচ ২০২৫
write poth
১৮ সেপ, ২০২৫
জার্মানি বিশ্বের মধ্যে একটি প্রধান শিল্প উন্নত দেশ । অর্থনীতির দিক থেকে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , চীন ও জাপানের পরে বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক
চালিকাশক্তি হলো জার্মানি। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই স্বপ্ন দেখে
ইউরোপের এই দেশে যেতে।
জার্মানিতে নগরায়নের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা গেছে যে সেখানে নগরায়নের হার
অত্যন্ত উঁচু। বার্লিন দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর জার্মানি। আর তাই
জার্মানি যাওয়া যার স্বপ্ন তা বাস্তবায়ন করতে যারা আগ্রহী আছেন ।
তাদের অবশ্যই জার্মানি থেকে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে একটা ধারণা রাখতে হবে।
জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে তা আপনাকে যেতে হলে অবশ্যই জানা প্রয়োজন। বাংলাদেশ
থেকে যারা জার্মানি যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন। তাদের অবশ্যই জানতে হবে যে
ভিসার খরচ হয় সাধারণভাবে ভিসা ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে । আর আপনি যদি কোন
এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করে থাকেন তাহলে তার খরচ আরেকটু ভিন্ন হতে পারে। বর্তমানে
বাংলাদেশ থেকে যারা জার্মানি যেতে চান তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে খরচ
পরে প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত ।
পাশাপাশি যারা জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাদের খরচ পড়ে প্রায়
পাঁচ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। টুরিস্ট ভিসার জন্য খরচটা একটু কম হয় ,
এখানে খরচ পড়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। আবার আপনি যদি নিজে
ভিসা প্রসেসিং জার্মানি যাওয়ার জন্য করে থাকেন, তাহলে ভিসা খরচ তুলনামূলকভাবে
অনেকটা কম হয়। এটুকু অন্তত জানতে হবে আমাদেরকে যে, যখনই আমরা এজেন্সির মাধ্যমে
ভিসা প্রসেসিং করব তখন তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক বেশি হবে আর তাই অল্প খরচে
জার্মানি যেতে চাইলে আপনাকে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়
জার্মানি আয়তনের দিক থেকে ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। এখানকার প্রধান ভাষা
জার্মানি ভাষা। এই সুন্দরতম জায়গায় যেতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে
তুলনামূলকভাবে যাওয়া অনেক সহজ হয় । তবে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যারা যেতে চান
,সেই আবেদনকারীকে একাউন্টে ব্লক মানে হিসেবে জার্মানির কোন ব্যাংকে ন্যূনতম ১৬
লাখ টাকা তাকে জামানো হিসাবে দেখাতে হবে। বাংলাদেশ থেকে আপনি সরকারিভাবে
কাজের ভিসা চাইলে সেখানে কাজের ভিসা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
তবে কাজের ভিসার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি আছে যাদের মাধ্যমে
জার্মানি ভিসা আবেদন করতে পারবেন। নিজে নিজে যখন ভিসা প্রসেসিং করবেন তখন
জার্মানির কোন কোম্পানির কাছ থেকে চাকরির অফার লেটার প্রথমে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
বিজনেস ভিসা বলে যে ভিসাটি আছে সেটি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে এই ভিসা নিয়ে
যাওয়ার জন্য যারা আগ্রহী আছেন। তাদের জার্মানিতে কমপক্ষে ১০ লাখ ইউরো
ইনভেস্ট করতে হয়। শুধু তাই নয় ১০ জন জার্মান নাগরিকের কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা করে দিতে হয়।
জার্মানি যেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়
জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে সেটা অবশ্যই জানা আপনার জরুরী। কারণ জার্মানিতে যেতে
হলে আপনাকে জার্মানির সমস্ত খোঁজখবর নিয়ে আপনাকে ভিসা আবেদন করা প্রয়োজন ।
জার্মানি অতি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় , তার জীবন যাত্রার মান হয় অনেক উন্নত। আর
তাই ভিসার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ভিসা আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় সে যোগ্যতাগুলো
নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
ইংরেজি অথবা জার্মান ভাষা দক্ষতা (IELTS অথবা TOEFL স্কোর )
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট ,স্পন্সারশিপ লেটার)
পাসপোর্ট
দক্ষতার সার্টিফিকেট
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
স্বাস্থ্য বীমা ভিসা আবেদন ফর
রিটার্ন টিকেট
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
ট্রাভেল রেকর্ড
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
ভিসার ফি জমা দেওয়ার রশিদ
অন্যান্য কাগজপত্র
জার্মানি ভিসা খরচ ২০২৫
জার্মান একটি স্বপ্নশীল দেশ। উচ্চ শিক্ষা , উন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং সমৃদ্ধ
সংস্কৃতি এসবের টানে অনেকেই সেখানে পাড়ি জামাতে চান। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন
হয় জার্মানি ভিসা । তাহলে তো প্রসঙ্গ চলে আসে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে এটা
জানা আপনার জন্য কতটা প্রয়োজন । কারণ জার্মানি ভিসা খরচ ২০২৫ কেমন হবে, তার উপর
নির্ভর করে আপনি জার্মানির ভিসা আবেদন ২০২৫ সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন ।
আবেদন করার জন্য যে ধরনের খরচ হবে তা জানাটা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক জার্মানি ভিসা খরচ এর জন্য যে প্রক্রিয়াটি হয়
তার প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে। জার্মানিতে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে
এবং এই ভিসার গুলোর আলাদা আলাদা ফি প্রযোজ্য। জার্মানির ভিসা খরচ ২০২৫ এর
যে সম্ভাব্য খরচ হয় আবেদন ফি এর জন্য নিম্নে টেবিল আকৃতিতে বুঝানো হলো।
ক্রমিক নং
ভিসার ধরণ
খরচ ( ইউরো )
বাংলাদেশী টাকা (প্রায়)
১
পর্যটন ভিসা (শেনজেন)
৮০ ইউরো
১০০০০ টাকা
২
স্টুডেন্ট ভিসা
৭৫ ইউরো
৯৫০০ টাকা
৩
কাজের ভিসা
৭৫ - ১১০ ইউরো
৯৫০০ - ১৩০০০ টাকা
৪
ব্যবসায়িক ভিসা
৮০ ইউরো
১০০০০ টাকা
৫
পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা
৭৫ ইউরো
৯৫০০ টাকা
৬
ট্রানজিট ভিসা
৬০ ইউরো
৭৫০০ টাক
জার্মানি কিসে আবেদনের সময় আরো কিছু কিছু অতিরিক্ত খরচ হতে পারে শুধু আবেদন ফ্রি
নয় আরো যেসব খরচ হতে পারে তা হলো
বায়োমেট্রিক ডাটা ফি
ভিসা প্রসেসিং ফি
স্বাস্থ্য বীমা খরচ
ডকুমেন্ট ট্রান্সলেশন ফি
ভিসার প্রকারভেদ এবং প্রাথমিক খরচ
শিল্প উন্নত দেশ জার্মানি । যেখানে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত। শিক্ষা ব্যবস্থা
থেকে শুরু করে জীবনকে করে সমৃদ্ধ। সেখানে যেতে হলে আমাদেরকে ভিসা প্রসেসিং করতে
হয়। তাই জার্মানিতে যেতে কত টাকা লাগে এটা ভালোভাবে জেনে নিয়ে আপনাকে জার্মানি
ভিসা সম্পর্কে ভালোভাবে তথ্য নিতে হবে।ঃ কারণ জার্মানির ভিসা মূলত দুই ধরনের হয়ে
থাকেঃ সেনজেন ভিসা যা স্বল্প মেয়াদী ভিসা হয়ে থাকে এবং জাতীয় ভিসা এটি
দীর্ঘমেয়াদি।
ভিসা বিভিন্ন প্রকারের হওয়ার জন্য এর খরচটাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
সেনজেন ভিসাঃ পর্যটন ,ব্যবসা বা স্বল্প মেয়াদে ভ্রমণের জন্য যারা যেয়ে থাকেন
তাদের এই ভিসা প্রয়োজন হয়।
জাতীয় ভিসাঃ যারা পড়াশোনা করতে চান কাজ বা দীর্ঘ মেয়াদে বসবাস করার জন্য
যান তাদের এই ভিসাটি প্রয়োজন হয়।
প্রাথমিক খরচ শুরু হয় সাধারণত ৮০ ইউরো থেকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই খরচ কম
বেশিও হয়ে থাকে আর জাতীয় ভিসার ক্ষেত্রে ৭৫ ইউরোপ হয়ে থাকে তবে মনে রাখতে হবে
এই খরচ গুলো ভিসার আবেদনে প্রাথমিক পর্যায়ে খরচ এর বাইরে কিংবা এর পরেও আরো খরচ
কিছু যুক্ত হতে পারে।
জার্মানি ভিসা আবেদন ২০২৫
জার্মান অন্যতম প্রধান শিল্প উন্নত একটি দেশ ।যেখানে যেতে পারলে অনেক উন্নত
মানের, স্বপ্নবিলাসী জীবন যাপন করার সুযোগ পাওয়া যাবে। তাই অনেক বাংলাদেশীদের
মনে স্বপ্ন থাকে জার্মানি যাওয়া। জার্মানি যেতে হলে প্রথমে জেনে নিতে হবে
জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে এবং সেখানে ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া কি
ধরনের। তাই সমস্ত তথ্য -উপাত্ত দিয়ে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
জার্মানি ভিসা আবেদন ২০২৫ সালে আপনি যদি প্রস্তুতি নিতে চান । তাহলে আপনাকে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেমনঃ
আবেদন প্রক্রিয়া
ডকুমেন্টেশন
আর্থিক প্রস্তুতি
ভাষা দক্ষতা
স্বাস্থ্য বীমা
ভিসা আবেদনে যে খরচ হয় তার খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব হবে । যদি,
আপনি আবেদনটি এজেন্টের মাধ্যমে না করে নিজে নিজে আবেদনটি করা যায় তাহলে
খরচ কিছুটা কম হয় । সঠিকভাবে খুব সাবধানের সাথে কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে
।সঠিকভাবে স্বাস্থ্য বীমা কাজটি করে নিলে খরচ কিছুটা কমবে ।
এছাড়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ পর্যাপ্ত টাকা থাকলে বারবার নতুন করে কাগজপত্র
তৈরি করতে হবে না।
আপনি যে উদ্দেশ্যে জার্মানি যাচ্ছেন সে উদ্দেশ্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করে ভিসা
ক্যাটাগরি বেছে নেবেন। এরপর অনলাইনে আবেদন ফরমটি সঠিক পর্যায়ে পূরণ করে নিতে হবে
। অনলাইন ফর্মটি নিতে হবে জার্মান দূতাবাসে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে গিয়ে
সংগ্রহ করতে হবে । পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্বাস্থ্য
বীমা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্র গুলো আছে তা সব সঠিকভাবে সংগ্রহ করে
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ জমা দিতে হবে।
ব্যাংকের মাধ্যমে বা অনলাইন পেমেন্ট ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি জমা দিন। সবশেষে
আসবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট। সাক্ষাৎকারের জন্য একটা নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ
নির্দিষ্ট তারিখে সময় আপনাকে বুক করে নিয়ে সাক্ষাৎকারের জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে
হবে। তারপর একদিন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য দূতাবাস কর্মকর্তার কাছ সঠিক তথ্য
দিন। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আপনাকে সাধারণভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় অপেক্ষা করতে
হবে। আবার কখনো কখনো এই সময়ের চেয়ে বেশি সময়ও লাগতে পারে ।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে
জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে তা বাংলাদেশ থেকে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেই খরচ
নির্ধারণ হয়ে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির জন্য ভিন্ন ভিন্ন খরচ হয়ে
থাকে। তবে সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে আপনি
বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কিংবা নিজে নিজে জার্মানি ভিসা
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেখানে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন। বর্তমানে
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে যে খরচ হয় তা হল প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ
টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে উল্লেখ্য এই যে
জার্মানি ভিসা আবেদন ফি মাত্র খরচ
হয় সাত হাজার টাকা থেকে প্রায় বারো হাজার টাকা পর্যন্ত। জার্মানি ভিসা আবেদনে
বয়সের কোন বাধা থাকে না । তবে কাজের ভিসার দেওয়ার জন্য কোম্পানি কতৃক কখনো কখনো
নির্ধারিত বয়সে requirement পূরণ করতে হয়। তখন দেখা যায় যে, সাধারণ ভিসা আবেদন
করতে আবেদনকারীদের বয়স ১৮ বছর ন্যূনতম হতে হয়। বাংলাদেশ থেকে জার্মান যেতে যে ৮
লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে সেটা আপনি যদি আবেদনটি নিজে
নিজে করতে পারেন তাহলে খরচটা কিন্তু আর একটু কমেও যেতে পারে।
জার্মানি কাজের ভিসা প্রসেসিং
জার্মানি হল পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম এক বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অর্থনীতির দিক থেকে
শক্তিশালী এই দেশটিতে যেতে চাইলে জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন।
জার্মানির এই দেশটিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যোগ্যতা ও
দক্ষতা অনুযায়ী যে কাজের ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হয় । বাংলাদেশ থেকে
জার্মানি যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা একমাত্র ভিসা । এই ভিসা সেনজেন ভিসা
না । এ ভিসা জাতীয় ভিসা নামে পরিচিত।
আপনাকে মনে রাখতে হবে জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যখন আপনি আবেদন করবেন তখন
অবশ্যই আপনাকে জব অফার লেটার সংগ্রহ করে রাখতে হবে। জার্মানি কাজের ভিসা সাধারণত
দুই ভাবে প্রসেসিং করা যায়। আপনি চাইলে নিজে নিজেও করতে পারেন। সরকারি কিংবা
বেসরকারি কোন এজেন্সির মাধ্যমে জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন
করতে পারবেন। আপনি যখন অনলাইনে জার্মানি সরকারি কাজের ভিসার জন্য বোয়েসেলের
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন কত
জার্মানিতে ন্যূনতম কাজের মজুরি পূর্ব নির্ধারণ করা থাকে সরকার কর্তৃক।
ইউরোপীয় যে দেশগুলোন আছে সেই দেশগুলোতে প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা বেসিক ডিউটি পালন
করতে হয়। জার্মানিতে বর্তমানে কাজের বেতন প্রতি ঘন্টায় সর্বনিম্ন ১২৪১ ইউরোপ
পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশী টাকায় হয়ে থাক.১৪৫০ টাকা। বর্তমানে জার্মানিতে
সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা আছে। ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মত দেশটিতে যে কোন কাজ
করলে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো প্রদান করা হয়।
জার্মান নাগরিকরা প্রতিমাসে গড়ে বেতন পেয়ে থাকেন আনুমানিক
প্রায় চার লক্ষ ৫০হাজার টাকা। জার্মানিতে কাজ করার জন্য যখন আপনি ওয়ার্ক পারমিট
নেবেন , তখন এই ভিসা পারমিটের জন্য আপনাকে জার্মানি ভাষায় দক্ষ থাকতে হবে । আর
বৈধ কাজের অফার লেটার প্রয়োজন হবে আপনার জার্মানি ভিসা পাওয়ার জন্য। তবে
জব অফার লেটার তখনই পাওয়া যায় ,যখন আপনি জার্মানির বিভিন্ন কোম্পানিতে জবের
আবেদন করার পরে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবেন।
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
জার্মানিতে যারা বাঙালি প্রবাসী আছেন তারা তাদের দক্ষতাভিত্তিক কাজগুলো সবচেয়ে
বেশি করে থাকেন । স্বপ্নের এই দেশটিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে
যে , কোন কাজের চাহিদা বেশি। কারণ শক্তিশালী অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক ধরনের কাজ
করার সুযোগ পাওয়া যায়। জার্মানি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্যতম চালিকাশক্তি
প্রধান অর্থনৈতিক দিক থেকে। তাই সেখানে কাজ করতে যেতে পারলে জীবনমান অনেক উন্নত
হবে ।
সমৃদ্ধশালী এক জীবন যাপন করার সৌভাগ্য তৈরি হবে বলে আমি মনে করি। তাই
প্রথমে জেনে নিতে হবে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে । ভিসা প্রসেসিং করার আগে
আপনাকে জেনে নিতে হবে জার্মানিতে কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি । যেসব কাজের চাহিদা
বেশি সে কাজগুলো তালিকা নিম্নে দেওয়া হলঃ
ফুড সার্ভিস
হাউজ কিপিং
ইলেকট্রিশিয়ান
ডাক্তার
নার্স
ক্লিনার
ফুড ডেলিভারি ম্যান
ড্রাইভিং
কন্সট্রাকশন
শ্রমিক
ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
সিকিউরিটি গার্ড
হোটেল boy
মেকানিক
প্লাম্বার
শেষ কথাঃ জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া হয় । তখন
আগ্রহীদের মনে একটা প্রশ্ন থাকে যে জার্মানির সর্বনিম্ন কত বেতন হতে পারে। কারণ
হচ্ছে জার্মানি পৃথিবীর একটি উন্নত দেশ। বিদেশী কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য
বিভিন্ন সেক্টরে কাজ পেয়ে থাকে এবং এদের এখানে কাজের জন্য চাহিদাও রয়েছে।
বিশ্বের অভিবাসীদের কাছে দেশটি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায় এই
হিসেবে বেশ পরিচিত।
উন্নত জীবনমান অধিকারের সুযোগ ,সেখানে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ
থেকে শুরু করে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা সুবিধা বাইরের দেশের অভিবাসীদের কাছে এটিকে
আকর্ষণীয় করে তোলে। জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত একটি শিল্প
উন্নত দেশ হিসেবে বেশ সমৃদ্ধ। বর্তমানে দেখা গেছে জার্মানিতে দক্ষতা
নির্ভর কাজগুলোর মধ্যে কনস্ট্রাকশন ,ইলেকট্রনিক ফ্যাক্টরি, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট
কর্মী, কৃষি শ্রমিক, ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ,ড্রাইভিং্প্লাম্বার ইত্যাদি
কাজে সাধারণভাবে বেশি বেতন হয়ে থাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url