লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি - লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি, জানতে হবে। ইউরোপের সব থেকে ছোট এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ। ছোট দেশ হওয়াতে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় এখানে প্রবাসী বাংলাদেশী সংখ্যা খুবই কম। কাজের ধরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা এর উপর নির্ভর করে কাজের বেতন লুক্সেমবার্গে সব থেকে বেশি।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন ,ইউরোপের এই অন্যতম ধনী দেশটিতে কিভাবে আপনি
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত প্রকার এবং কত টাকা খরচ
হবে । কি কি ডকুমেন্টস লাগবে ভিসা পেতে। এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে বিস্তারিত
জানানোর চেষ্টা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি
- লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি
- লুক্সেমবার্গ বেতন কত
- লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- লুক্সেমবার্গ ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগে
- লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে
- লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
- লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়
- লুক্সেমবার্গ ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- লুক্সেমবার্গ কেনো দেশটি সবার থেকে আলাদা
- শেষ কথাঃ লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি
লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি
এই দেশে কাজের সুযোগ আছে এবং সাধারণত হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট সেক্টরে বেশি লোক
নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা ওয়েটার , সেফ বা রুম বয়ের কাজ করতে পারে তাদের জন্য
এখানে চাকরির সুযোগ অনেক। এ কাজগুলোতে লুক্সেমবার্গে ভালো আয় হয় এবং সেখানে
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়েও বেতন বেশি হয়। শুধু তাই নয় লুক্সেমবার্গে
কাজের জন্য বেতন ভিন্ন ভিন্ন হয়। সাধারণত হোটেল , রেস্টুরেন্ট ,পরিষেবা ও আইটি
সেক্টরে বেতন ভালো হয়ে থাকে।
লুক্সেমবার্গ বেতন কত
লুক্সেমবার্গে কাজের জন্য বেতন ভিন্ন ভিন্ন হয়। সাধারণতঃ হোটেল , রেস্টুরেন্ট,পরিষেবা ও আইটি সেক্টরের বেতন ভালো হয়ে থাকে । ওয়েটার বা রুম বয় প্রতিমাসে ২০০০ থেকে ২৫০০ ইউরো পর্যন্ত আয় করতে পারে । যা বাংলাদেশি টাকায় হয় ২ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সেফ ২৫০০ থেকে ৩৫০০ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৮০ হাজার থেকে চার লাখ টাকা। সফটওয়্যার ডেভলপার ৪০০০ থেকে ৪৫০০ ইউরো । যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৮ লাখ টাকা। ক্লিনার বা হাউস কিপার বাংলাদেশী টাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুনঃ কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে - কাতার যেতে কত টাকা লাগে
সেলসম্যান বা কাস্টমার সার্ভিস বাংলাদেশী টাকায় ২ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নির্মাণ শ্রমিক প্রতিমাসে বাংলাদেশী টাকায় আয় করে ২ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। ইলেকট্রিসিয়ান বা প্লাম্বার ২ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। লুক্সেমবার্গে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষ কর্মীদের চাহিদা অনেক রয়েছে। কাজের ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং লুক্সেমবার্গ বেতন কত জেনে যাওয়া উচিত তবে এই দেশে কাজ করতে হলে উচ্চ শিক্ষা আপনার থাকলে ভালো হয়।
লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি কিভাবে লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসার আবেদন করা যায় তা আবেদন করার আগে আপনাকে সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। লুক্সেমবার্গ একটি বহুভাষিক দেশ। যা নাগরিক এবং বিদেশী উভয় কর্মীদের জন্য সুবিধা প্রদান করে। মোট জনসংখ্যা বেশি না হওয়ায় একটি ভালো বেতনে চাকরি পাওয়া প্রক্রিয়া সহজে হয়ে থাকে। লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক ভিসার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের প্রকারভেদ হচ্ছে তিন প্রকার।
- টাইপ - এ ওয়ার্ক পারমিট
- টাইপ - বি ওয়ার্ক পারমিট
- টাইপ - সি ওয়ার্ক পারমিট
এই ধরনেরর ওয়ার্ক পারমিট একজন বিদেশীকে লুক্সেমবার্গে যে কোন নিয়োগকর্তা দ্বারা নিযুক্ত করার অনুমতি দেয়। আর এই ওয়ার্ক পারমিট কাজের প্রক্রিয়াটি সীমাহীন সময়ের জন্য হতে পারে। টাইপ - এ ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটি জিনিস সংযুক্ত ; একজনকে অবশ্যই তার টাইপ - বি ওয়ার্ক পারমিট ব্যবহার করে কমপক্ষে চার বছর ধরে লুক্সেমবার্গে বসবাস করতে হবে। এটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার জন্য যায় এবং ১২ মাসের জন্য স্থায়ী হয়।
ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে এটি পূর্ণ বিকিরণ করা যেতে পারে । টাইপ - সি ওয়ার্ক পারমিট এই ওয়ার্ক পারমিট ১২ মাস স্থায়ী হয় । টাইপ - সি ওয়ার্ক পারমিট এর সুবিধা হল এটি বিদেশীদের লুক্সেমবার্গে বিভিন্ন নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করতে হয় । এটি পূর্ণ বিকিরণও করা যেতে পারে। তবে এ ধরনের ওয়ার্ক পারমিট হচ্ছে গৃহকর্মী, অস্থায়ী কৃষি কর্মী, আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্যদের কাজে দেওয়া হয়। লুক্সেমবার্গে চাকরির সুযোগ অনেক । এই কাজগুলোতে লুক্সেমবার্গে ভালো আয় হয় এবং সেখানে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়েও বেতন বেশি হয়।
লুক্সেমবার্গ ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগে
লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি আপনি যখন যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেবেন তখন এটি জানা অবশ্যই আপনার উচিত। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ লুক্সেমবার্গ। সেখানকার মানুষের মাথাপিছু আয় ১কোটি ৪০লক্ষ টাকা। আপনি সেই দেশে গিয়ে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে। সেই দেশটির নাম হচ্ছে লুক্সেমবার্গ। এই দেশটিকে ইউরোপের স্বর্গ বলা হয়। এটি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ ।
এই দেশটিতে আপনি একবার যেতে পারেন তাহলে ইউরোপের বাকি ২৭ টি দেশে বিনা ভিসায় আপনি ট্রাভেল করতে পারবেন। লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- একটি জন্ম সনদপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- কারিকুলাম ভিটা কপি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার কপি
- নিয়োগ কর্তা এবং আপনার দ্বারা স্বাক্ষরিত কর্মসংস্থানের চিঠি
- একটি আবাসিক পারমিট ফরম
- দক্ষতার সার্টিফিকেট
- ভিসা ফি জমা দেওয়ার রশিদ
লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি সরকারি ভাবে লুক্সেমবার্গে যেতে পারেন । অর্থাৎ সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে তাহলে আপনার সর্বোচ্চ খরচ হবে তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা। সরকারিভাবে যেতে পারলে আপনি নিরাপদে যেতে পারবেন। এখানে কোন প্রতারণা ভয় থাকে না । আর যদি আপনি কোন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে অর্থাৎ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যান তাহলে আপনার খরচ হবে ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এর কার্যকারী তথ্য
তবে আপনি ইচ্ছে করলে নিজে নিজে আবেদন করতে পারেন এতে আপনার খরচ হবে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। ফ্লাইট খরচ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার থেকে শুরু করে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে । এটি সাধারণত ঢাকা থেকে ব্রাসেলরস হয়ে আপনাদেরকে লুক্সেমবার্গ নিয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ ১২ হাজার টাকা হতে ১৫০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এটি একটি সেনজেন ভিসা। লুক্সেমবার্গ আশার পূর্বে আপনাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা রাখার চেষ্টা করবেন।
লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায় এবংলুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে আপনার জানা অতি প্রয়োজন। আপনি চাইলে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে কাজের জন্য লুক্সেমবার্গে যেতে পারবেন। বোয়েসেল একটি সরকারি এজেন্সি। অনেকে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের উন্নত দেশে লুক্সেমবার্গে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য এই দেশে কাজের ভিসা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে থাকে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। পৃথিবীর এই উচ্চ আয়ের দেশটিতে দক্ষ কর্মীর কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে ।
ভাষার দক্ষতা থাকলে এই দেশে সহজে যাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এই দেশে শিক্ষার্থীরা খুব সহজে যেতে পারে । এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ভাষা দক্ষতা তাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। কোম্পানির কাছ থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করে নিতে হবে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য। টুরিস্ট ভিসার জন্য ভ্রমণকারীকে উচ্চ পেশা, ব্যাংক ব্যালেন্স এবং ট্রাভেল রেকর্ড তার থাকতে হবে।
লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়
লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি । বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন সুযোগ নেই। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হয় । তবে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করলে কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হয় । বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এজেন্সি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা ফি জমা দিতে হবে ।
আরো পড়ুনঃ বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত - সর্ব নিম্ন বেতন কত
এজেন্সি নিজ দায়িত্বে কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে ভিসা প্রসেসিং করে নিজে নিজে। অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ইন্টারভিউ দিতে হয় । এজন্য আবেদনকারীদের নিকটস্থ লুক্সেমবার্গ এম্বাসিতে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে । তারপর ভিসা প্রসেসিং শুরু হবে। লুক্সেমবার্গ চাকরি কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা প্রয়োজন হয়। আর তাই লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।
লুক্সেমবার্গ ভিসা আবেদন করার নিয়ম
লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি এটি জানার পর আপনাকে জেনে নিতে হবে লুক্সেমবার্গ ভিসা আবেদন করার নিয়মাবলী। লুক্সেমবার্গ ভিসার জন্য যখন আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ হয়ে যাবে । তখন আপনি উক্ত দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন । প্রথমে আপনাকে দেশটির ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করে নিতে হবে। আপনার ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনি ভিসা আবেদন সংগ্রহ করে নেবেন।
কারণ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদন ফরম আলাদা হয়ে থাকে। সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো আপলোড দিয়ে দিতে হবে এবং ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে তবে ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিসা ফি আলাদা হতে পারে। সকল কার্য সম্পন্ন হওয়ার পরে অফলাইনে সরাসরি লুক্সেমবার্গ বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন সম্পন্ন করতে হবে। তবে এর জন্য আপনাকে এপয়েন্টমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। তবে মনে রাখতে হবে দেশটির ভিসা প্রসেসিং হতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
লুক্সেমবার্গ কেনো দেশটি সবার থেকে আলাদা
লুক্সেমবার্গ ইউরোপের কোণে অবস্থিত একটি ছোট দেশ। অর্থনৈতিক সাফল্যে সবার মন কেড়ে নেয়। এটি শুধু আধুনিকতার প্রতীক না বরং প্রাচীন ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ। এর রাজধানী লুক্সেমবার্গ শহর একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেসাইড শহরটি দুটো স্তরে বিভক্ত । উঁচু অঞ্চল আধুনিক শহর এবং নিচু অঞ্চলে নদীর ধারে পুরানো শহর । যা একটি অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করে ।লুক্সেমবার্গ এর সংস্কৃতি মূলত ফরাসি, জার্মান এবং বেলজিয়াম সাংস্কৃতির মিশ্রণ ।
এই দেশে তিনটি সরকারি ভাষা। লুক্সেমবার্গিস , ফরাসী এবং জার্মান। স্থানীয় মানুষদের আতিথিয়তা এবং তাদের বহুমুখী সংস্কৃতি এ দেশকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। লুক্সেমবার্গ শুধু তার সৌন্দর্যের জন্য নয়। বরং তার শক্তিশালী অর্থনৈতিকতার জন্য বিখ্যাত। একটি বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ এবং জীবন যাত্রার মান খুবই উন্নত। দেশটি একটি প্রধান আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্র। বিশেষ করে ব্যাংকিং এবং বিনিয়োগের জন্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এখানে অবস্থিত।
রএর মাথাপিছু আয় বিশ্বের সর্বোচ্চ দেশগুলোর মধ্যে একটি। লুক্সেমবার্গ এর অর্থনৈতিক সফলতার সুশৃংখলনীতি দক্ষ জনশক্তি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের ফল। লুক্সেমবার্গ শুধু শহর নয় এটি গ্রামীণ এলাকা ও প্রকৃতি দেখার মত। দেশটির বেশিরভাগ এলাকা সবুজ পাহাড় গভীর উপত্যকা ও ঘন জঙ্গলে আচ্ছন্ন। লিটল সুইজারল্যান্ড নামে পরিচিত মল্লিক অঞ্চলটি তার অন্যান্য পাথরের গঠন এবং মনোরম হাইকিং ফ্লাইওভার এর জন্য পরিচিত। সব মিলে লুক্সেমবার্গ এমন একটি দেশ যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
শেষ কথাঃ লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি
লুক্সেমবার্গ চাকরি কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হয়। লুক্সেমবার্গে কাজের বেতন সবথেকে বেশি হয়ে থাকে বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম বেতন হয়ে থাকে। যেমনঃ কাজের ধরন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা , অভিজ্ঞতা ও ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি। লুক্সেমবার্গে কাজের বেতন প্রায় ৩০০০ থেকে ৫০০০ ইউরো হয়ে থাকে। এই দেশে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রয়েছে ।
এই দেশে দক্ষ কর্মীদের কাজের বেতন বেশি পেয়ে থাকে। এই দেশে উচ্চ শিক্ষা ও দক্ষ কর্মীদের চাহিদা অনেক রয়েছে। লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে যাওয়া উচিত। এই দেশে কাজ করতে হলে উচ্চ শিক্ষা থাকতে হবে। লুক্সেমবার্গে সফটওয়্যার ডেভলপার আইটি কনসালটেন্ট এদের কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং এদের বেতনও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url