নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে - নিউজিল্যান্ড কৃষি ভিসা

 নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা জানা দরকার। নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি সুন্দর দ্বীপ রাষ্ট্র।  প্রতিবছর নিউজিল্যান্ড সরকার অনেক বিদেশী কর্মী নিয়োগ করে থাকে। নিউজিল্যান্ডে প্রচুর সংখ্যক কর্মী সংকট থাকার কারণে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে।

নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

তাই আপনি যদি নিউজিল্যান্ড যেতে চান তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনি নিউজিল্যান্ডের ভিসা পেতে পারেন এবং যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে ? নিউজিল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি ? নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হবে এই আর্টিকেলটিতে আপনাকে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ -পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি সুন্দর দ্বীপ রাষ্ট্র । এর রাজধানী হল ওয়েলিংটন। ইংরেজি এখানে প্রধান ভাষা । নিউজিল্যান্ড শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে পরিচিত এবং উন্নত জীবনযাত্রা ও উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে যাওয়ার জন্য অনেকে আগ্রহ থাকে। আজ আলোচনা করব কিভাবে নিউজিল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে।

  •  সরাসরি কোম্পানি জব সার্কুলার এর জন্য আবেদন করে।
  • এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে ।
  • আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে স্পন্সার শীপ নিয়ে ।

আপনার যদি আত্মীয় থাকে নিউজিল্যান্ডে তাহলে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা খরচ কম ও হতে পারে। এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাইলে খরচ হবে ৫ থেকে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত। এজেন্সি অনুযায়ী টাকার রেট কমবেশি হয়ে থাকে । আর আপনি যদি নিজে আবেদন করেন এবং সকল সঠিক তথ্য পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনার খরচ হবে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। নিউজিল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ অনেক কম । আর এজেন্সির মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসা করলে খরচ  কিছুটা বেশি হয়।

নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

বর্তমান সময়ে নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় অনেক সহজ। তবে  আপনাকে কাজের ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া জানতে হবে। আপনি চাইলে ঘরে বসে নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসার আবেদন করার জন্য আপনাকে  www. immigration. gov.nz  ভিজিট করতে হবে । তারপর আপনি কোন ভিসা ক্যাটাগরিতে নিউজিল্যান্ড যাবেন, সেটা সিলেক্ট করে যাবতীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ লুক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি - লুক্সেমবার্গ  যাওয়ার উপায়   

এর মাধ্যমে মূলত দালাল মুক্ত নিজেই নিউজিল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ থেকে আপনার নিউজিল্যান্ড যাওয়ার খরচ অনেকটা কম হবে। বাংলাদেশ থেকে আবেদনের জন্য নিউজিল্যান্ডে অফিশিয়াল ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার ভি, এ্‌স , সি বা ভি ,এফ ,এস গ্লোবালের মাধ্যমে ডকুমেন্টাল জমা দিতে হবে। আর আপনি যদি একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু খুব সহজে নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন।

নিউজিল্যান্ডের বেতন কত

নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে। অন্যান্য দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডে কাজের বেতন কত তা জানা জরুরী। নিউজিল্যান্ডে কাজের বেতন অনেক বেশি।এছাড়াও অভিজ্ঞ ও দক্ষ শ্রমিকদের বেতন অন্যান্যদের চেয়ে অনেক বেশি। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নিউজিল্যান্ড একজন শ্রমিক মাসিক বেতন ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। আবার যেসব শ্রমিক অভিজ্ঞ ও বেশি সময় ধরে ওভারটাইম করে তাদের মাসিক বেতন গড়ে ৪ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকার উপরে। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রবাসীরা অনেক ধরনের কাজ করে। 

যেমনঃ কৃষি কাজ , রেস্টুরেন্টের কা্‌জ, ক্লিনার, ফাস্টফুড প্যাকেজিং এবং কাজের বেতন এখানে ঘন্টা হিসেবে দেওয়া হয় । এখানে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ডলার প্রতি ঘন্টায় দেওয়া হয় । আপনি সাধারণত ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন । কিন্তু এর বেশি কাজ করলে সেটা ওভারটাইম হিসেবে বেতন পাবেন। ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। যা বাংলাদেশী টাকায় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নিউজিল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

নিউজিল্যান্ডের কিছু জব সেক্টরে কর্মীর অনেক চাহিদা রয়েছে । আপনারা যে ক্যাটাগরিতে স্কিল্ড আছেন । পারদর্শী আছেন। তারা এই সকল সেক্টরগুলোতে জবের জন্য এপ্লাই করে , নিউজিল্যান্ড থেকে স্পন্সারশিপ ভিসার মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ থেকে বা পৃথিবীর যেকোনো দেশে আপনি থেকে থাকেন না কেন। আপনি নিউজিল্যান্ডে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে সরাসরি কোম্পানি খরচে স্পন্সার শিপ ভিসার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে গমন করতে পারবেন।

নিউজিল্যান্ডে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো হলঃ

  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট জব
  • ডেলিভারি ম্যান
  • ড্রাইভার
  • কৃষিকাজ সেক্টর
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • ইলেকট্রনিক্স এর কাজ
  • মেকানিক্যাল
  • শপিংমলে বিক্রয় কর্মী
  • ক্লিনার
  • নার্সিং
  •  ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর
  • আইটি নির্মাণ
  • হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম সেক্টর
  • কনস্ট্রাকশন

আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার সিভি এবং কভার লেটার নিউজিল্যান্ডের যে সিভি এবং কভার লেটার রয়েছে সেই ফরমেট অনুযায়ী রেডি করে আপনার জবের জন্য আবেদন করা শুরু করে দিতে পারেন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার প্রতিটি ডকুমেন্টস যেন হাই কোয়ালিটি হাই প্রফেশনাল অনেক বেশি হয়। যাতে কোম্পানির লোকজন আপনার ডকুমেন্টস গুলো দেখে আপনার প্রতি আগ্রহিত হয়। আপনার সিভি এবং কভার লেটার এগুলো দেখে যেন তারা কনভেন্স হয়।

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তাদের অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে। নিউজিল্যান্ড দেশটি অপূর্ব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উন্নত জীবনযাত্রা ওকর্মসংস্থানের জন্য বিখ্যাত। নিউজিল্যান্ড কাজ করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা । মূলত এটি একটি আইনগত অনুমোদন পত্র । যা আপনাকে নিউজিল্যান্ডে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার বা বসবাস করার জন্য অনুমতি দিবে। নিউজিল্যান্ড বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা প্রদান করে থাকে যার মধ্যে হলোঃ

  •  এসেনশিয়াল স্কিলড ওয়ার্ক ভিসা।
  • স্পেসিফিক পারপাস ওয়ার্ক ভিসা । নির্দিষ্ট প্রকল্প বা ইনভেন্টরি কাজের জন্য দেওয়া হয় ।
  • পোস্ট স্টাডি ভিসা । এই ভিসাতে আপনি পড়াশোনা শেষ করে কাজের জন্য সুযোগ পাবেন ।
  • ওয়ার্ক হলিডে ভিসা এই ভিসায় ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে যারা কাজের পাশাপাশি ভ্রমণ করতে চায়।
নিউজিল্যান্ডে কাজ করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা হল এসেনশিয়াল স্কিলড ওয়ার্ক ভিসা। নিউজিল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য একটি যোগ্যতা থাকতে হবে। তার মধ্যে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা থাকতে হবে আপনার একটি চাকরির অফার লেটার । চাকরিটি আপনার নিউজিল্যান্ডের ইমিগ্রেশনের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে । সঙ্গে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে


নিউজিল্যান্ড ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে

বাংলাদেশ থেকে আপনি নিউজিল্যান্ড যেতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাকে জেনে নিতে হবে  নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে। ওশেনিয়া মহাদেশের একটি উন্নত দেশ হলো নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে । কিন্তু সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ কর্মী না থাকার কারণে নিউজিল্যান্ডর সরকার প্রতিবছর বেশ কিছু বিদেশী কর্মী নিয়োগ করে থাকে। এখানে শুধুমাত্র শিক্ষিত ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা হয় ।


কারণ এখানে ইংরেজিতে ভালো জানে এমন লোকদের মাধ্যমে কাজ করানো হয়ে থাকে । আর তাই আপনি যখন যাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড ভিসার আবেদন করবেন। নিউজিল্যান্ডের কাজ করতে যাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়।
  • নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদন ফরম
  • বৈধ পাসপোর্ট ৬ মাস মেয়াদী
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য অফার লেটার
  •  পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • করোনা ভ্যাকসিন এর টিকা কার্ড

নিউজিল্যান্ড কৃষি ভিসা

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিদেশ যেতে চায় । কিন্তু যারা যেতে চায় তাদের অধিকাংশ মানুষ আনস্কিল হয়ে থাকে। তেমন কিছু অভিজ্ঞতা থাকে না । যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজে ,ক্লিনার কাজে বা কনস্ট্রাকশনের কাজে যেতে চায়। আপনি যদি কৃষি বা ফার্মিং ভিসা নিয়ে উন্নত দেশ নিউজিল্যান্ড যেতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি নিউজিল্যান্ড কৃষি ভিসার জন্য নিজে নিজেই আবেদন করতে পারবেন এবং কোনরকম থার্ড পার্টির প্রয়োজন হবে না । 

ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি সবকিছু করতে পারবেন । কিছু ডকুমেন্ট রেডি করে নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন এবং স্পন্সারশিপ নিয়ে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবেন। যে কোম্পানিতে যাবেন ওই কোম্পানির অফার লেটার, কন্ট্রাক্ট পেপার নিয়ে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আনস্কিল ক্যাটাগরিতে কৃষি সেক্টরে যে জব আছে সেগুলোতে ডকুমেন্টস তৈরি করে আবেদন করতে হবে । ফুড প্যাকেজিং, ফার্মিং রিলেটেড অনেক জব আছে সেগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন ।

শীত মৌসুম চলে আসছে চাইলে আপনি কৃষি ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই তারা কৃষি ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ড আসতে পারবেন। আজকে আলোচনা করব রিকগনাইজড সিজনাল এমপ্লয়ার লিমিটেড ভিসা নিয়ে। এই ভিসা নিয়ে আপনি যদি আসতে চান সেক্ষেত্রে আপনার নিউজিল্যান্ড ভিসা ফি মাত্র ৩২৫ নিউজিল্যান্ড ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ২৩ হাজার টাকা। এই ভিসার প্রসেসিং টাইম প্রায় এক সপ্তাহ লাগে। ১৮ বছর থেকে যে কেউ চাইলে এই ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

রিকগনাইজড সিজনাল এম্প্লয়েড লিমিটেড ভিসা প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার ৭৫০কর্মী নিবেন নিউজিল্যান্ড সরকার। মাত্র ২৩ হাজার টাকায় আপনি যদি নিউজিল্যান্ড আসতে চান। এই ভিসার জন্য যাবতীয় খরচ কোম্পানি বহন করবে। এই ভিসার সর্বোচ্চ মেয়াদ ১ থেকে ২ বছর।আপনি চাইলে পরবর্তীতে ভিসা এক্সটেন্ড করতে পারবেন । এই ভিসায় ঘন্টায় যে বেতন তা বাংলাদেশী টাকায় প্রায়.২ হাজার টাকা । প্রতিদিন ৮ ঘন্টা কাজ । সপ্তাহে ৫ দিন কাজ । দুই দিন ছুটি । চাইলে ছুটির দিন ওভারটাইম করতে পারবেন।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে নিউজিল্যান্ড ভিসা চেক

আপনাকে নিউজিল্যান্ড ভিসা চেক করার জন্য আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে https://nzeta.immigration.govt.nz/check-status এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে ভিজিট করতে হবে। এরপর আপনি ইয়েস বাটনে ক্লিক করে নিউজিল্যান্ড ভিসার রেফারেন্স নাম্বার এবং আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি লিখবেন। এবার ন্যাশনালিটি থেকে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে সার্চ বাটনে গিয়ে ক্লিক করুন। তারপরে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার নিউজিল্যান্ড ভিসার স্ট্যাটাস চেক করা।

নিউজিল্যান্ড ভিসা চেক পদ্ধতিঃ
ভিসা চেক করার জন্য অনলাইনে যে পদ্ধতি গুলো আছে তা উল্লেখ করা হলো ধাপগুলো ফলো করে নিউজিল্যান্ড ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।

  • ওয়েব সাইটে ভিজিট করুনঃ যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে New Zealand Visa Cheak লিখে সার্চ করুন। অথবা আপনি ভিজিট করুন https://nzeta.immigration.govt.nz/check-status ওয়েবসাইটটিতে।
  • ভিসার জন্য তথ্য দিনঃ Do you have an NZeTA reference number? এই অপশনে গিয়ে ইয়েস সিলেক্ট করুন। এখন এন্টার দিয়ে Do you have an NZeTA reference number এই ঘরে ভিসার জন্য যে রেফারেন্স নাম্বারটি আছে সেটি লিখুন। আপনার এই রেফারেন্স নাম্বারটি আপনি আপনার আবেদন পত্রে পাবেন।
  • এরপর Enter your passport number এই ঘরে আপনি আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি লিখুন ।নাম্বারটি সঠিক হতে হবে। কারণ ভুল হলে নিউজিল্যান্ড ভিসার জন্য তথ্য আসবে না।
  • ভিসার স্ট্যাটাস চেকঃ এরপর Nationality অপশন থেকে Bangladesh সিলেক্ট সিলেক্ট করে সার্চ বাটনে গিয়ে নিউজিল্যান্ড ভিসা পরবর্তী স্ট্যাটাসগুলো জানতে পারবেন । এইভাবে আপনি চারটি ধাপ ফলো করলে রেফারেন্স নাম্বার , পাসপোর্ট নাম্বার এবং জাতীয়তা সিলেক্ট করে নিউজিল্যান্ড ভিসার তথ্য যাচাই করতে পারবেন সঠিক ভাবে।

নিউজিল্যান্ড কেন এত স্পেশাল

পৃথিবীর দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে এক টুকরো স্বর্গ যেন নিউজিল্যান্ড। এটি এমন একটি দেশ যেখানে চোখ মেললে মনে হবে যেন গল্প কাহিনীর বই থেকে সরাসরি উঠে আসা দৃশ্য। নিউজিল্যান্ড শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিখ্যাত নয় এটি বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ নিরাপদ এবং উন্নত জীবনযাত্রার দেশ হিসেবেও পরিচিত। নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যার ঘনত্ব কম হয় প্রকৃতি অনেক শান্ত। নিউজিল্যান্ড মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুসরণ করে। দেশটির অর্থনীতি মূলত কৃষি, পর্যটন , আন্তর্জাতিক শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিল্পীর উপর নির্ভরশীল ।

নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

কৃষিভিত্তিক পণ্যগুলোর রপ্তানি আয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিউজিল্যান্ড বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম দুগ্ধ জাত পণ্য রপ্তানি কারকের মধ্যে অন্যতম। পর্যটন খাত নিউজিল্যান্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাতেও দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে। কারণ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চমানের শিক্ষার জন্য আসছে। তথ্যপ্রযুক্তির সাম্প্রতিক বছর গুলোতে নিউজিল্যান্ডে বেশ গতি লাভ করছে । নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও অনন্য দিক হল মাওরি সংস্কৃতি।

উপসংহারঃ নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় সাধারণত সময় লাগে তিন থেকে ছয় মাস । নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে । কিছু পেশার জন্য বিশেষ কোয়ালিফিকেশন প্রয়োজন। যেমনঃ হসপিটালিটি , কৃষি ও নির্মাণ কাজে।  এছাড়া নিউজিল্যান্ডের প্রচুর মজুরের মান অনেক ভালো। তবে কাজের ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে ভিসার শর্তগুলো মেনে চলতে হবে। 

একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিতে কাজ করায় এবং কাজ পরিবর্তন করতে চাইলে নতুন অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু কৃষি ভিসা করার জন্য রিকগনাইজড সিগন্যাল এমপ্লয়েড লিমিটেড ভিসায় সময় লাগে মাত্র সাত দিন। এই ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ড যেতে পারলে কৃষি ভিসা সেক্টরে বা ফার্মিং সেক্টরে কাজ কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই পাওয়া যাবে। তবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের নিউজিল্যান্ডে বেশি বেতন দিয়ে কাজে কোম্পানিরা নিয়ে থাকে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url