নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে - নরওয়ে বেতন কত
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে তা জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। নরওয়ে অবস্থিত ইউরোপের উত্তর কোণ জুড়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান উপদ্বীপের হৃদয়ে । নরওয়ে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং অপরাধ প্রবণতা নেই বললেই চলে । উন্নত আইন দ্বারা পরিবেষ্টিত আন্তর্জাতিক জরিপগুলোতে দেখা গেছে।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনি পাবেন নরওয়ে যাওয়ার সহজ উপায় , সেখানে কাজের বেতন কত এবং ভিসা কিভাবে পাবেন তার খরচ কি পরিমান লাগে এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো চেষ্টা করব। এখানে কাজের মজুরি অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় একটু বেশি। নরওয়ে দ্বিতীয় ধনী দেশ।
পোস্ট সূচীপত্রঃ নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
- নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
- নরওয়ে যেতে কত বছর বয়স লাগে
- নরওয়ে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- নরওয়ে বেতন কত
- নরওয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- নরওয়ে কিভাবে যাওয়া যায়
- নরওয়েতে যেসব সেক্টরে বেশি বেতন দেওয়া হয়
- অর্থনীতিতে উন্নত নরওয়ে
- শেষ কথাঃ নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপের একটি উন্নত দেশ নরওয়ে সেই জন্য সেখানে যেতে কিছু ব্যয় বেশি হয়। তবে কি পরিমান খরচ হবে তা নির্ভর করে, আপনি কিভাবে আবেদন করছেন ঠিক তার উপরে। যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে নরওয়ে যাওয়ার আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত । কারণ এজেন্সি গুলো আপনার ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে ফ্লাইট টিকিট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক যেসব কাজ আছে সব কাজ করে বলে একটু বেশি হয় । অন্যদিকে আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করতে পারেন তাহলে খরচ তুলনামূলক কিছুটা কম হয় ।
তাহলে দেখা গিয়েছে যে তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মধ্যে তা হয়ে যাওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি । অনেক সময় দেখা গেছে টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে কিছুটা খরচ কম হয়। স্কলারশিপ থাকার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা একটু বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি নরওয়ে যেতে চান । তাহলে একটু খরচটা বেশি হয় । কারণ বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যাওয়া অনেক কঠিন তবে বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারেন তাহলে তার খরচ দাঁড়ায় ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা প্রায়।
নরওয়ে যেতে কত বছর বয়স লাগে
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে এটা জানার সঙ্গে সঙ্গে নরওয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করে। কারণ নরওয়ে হল ইউরোপের একটা দেশ। নরওয়ে যেতে হলে সেখানে ভ্রমণ শিক্ষা বা কাজের উদ্দেশ্য যদি আপনার হয়, তাহলে সেখানে বয়স সংক্রান্ত শর্তগুলো এক এক করে আপনাকে পূরণ করতে হয়। ভ্রমণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নাই । তবে ১৮ বছরের নিচে যদি কেউ হয়ে থাকেন তাহলে তার অভিভাবক সহ ভ্রমণ করা সেখানে বাধ্যতামূলক ।
আরো পড়ুনঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আর আপনি যদি কাজের ভিসা করতে চান তাহলে আপনার বয়স হতে হবে নূন্যতম আঠারো বছর ।
তবে ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে যদি আপনার বয়স হয়ে থাকে তাহলে ভিসা পাওয়ার জন্য
সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য সর্বোচ্চ কত বয়স সীমা হতে হবে এরকম
কোন বয়স সীমা নরওয়েতে নেই। ইউরোপের একটি দেশ হওয়াতে সেখানে কাজের
বেতনটা একটু বেশি। উন্নত জীবনযাপন নিরাপদ দেশ হওয়াতে প্রবাসী প্রেমীদের
জন্য একটু বেশি ভালোলাগা তৈরি হয়ে থাকে এই নরওয়ে দেশের প্রতি।
নরওয়ে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে এই ভাবনাটির সঙ্গে সঙ্গে নরওয়েতে কোন কাজটি ভালো এবং সেখানে কেমন বেতন পাওয়া যায় এ ভাবনাটিও রাখতে হবে। আর তাই বাংলাদেশিরা যদি নরওয়ে যাওয়ার কথা ভাবে তাহলে তাদের জন্য একটু বেশি খরচ পড়ে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ব্যবহার করে বাংলাদেশীরা যদি নরওয়ে যেতে চায় ,তাহলে তাদের খরচ করবে ৯ লক্ষ টাকা থেকে১০ লক্ষ টাকা মত। আবার কখনো কখনো দেখা গেছে যে কারো ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণটা একটু বেশি হয়ে থাকে। আসলে এটা নির্ভর করে আপনি কার মাধ্যমে অর্থাৎ কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসাটা করতে চাচ্ছেন বা করছেন।
একটা উচ্চমান সম্পন্ন দেশ যেখানকার জীবনযাত্রা অনেক উন্নত তাদের নরওয়ে খুব ভালো লাগবে। নরওয়েতে এক ক্রোন সমান বাংলাদেশি টাকা প্রায় ১০. ৬৭ টাকা। নরওয়েতে ৬.৭% শিক্ষা খাতে জিটিপি খরচ করে যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। এখানে কোন প্রবাসী স্থায়ীভাবে কাজ পেয়ে থেকে যেতে পারলে তার জীবন ব্যবস্থা সমৃদ্ধ হবে এবং তার ধীরে ধীরে উন্নত মানে কাজের ব্যবস্থা হয়ে থাকবে । অভিজ্ঞতার সাথে সাথে কাজের মান উন্নত হতে থাকে এবং পাশাপাশি বেতন ও বৃদ্ধি হতে থাকে । তাই নরওয়ে আমাদের কাছে একটা স্বপ্নের দেশ । আর এই নরওয়েতে যেতে যে কাগজপত্রগুলো লাগবে তা আলোচনা করা হলোঃ
- পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কাজের অফার লেটার
- নিয়োগ কর্তার চুক্তিপত্র
- সিভি
- স্বাস্থ্য সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- কাজের দক্ষতার প্রমাণ
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
নরওয়ে বেতন কত
নরওয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- Plumber
- ইলেকট্রিশিয়ান
- নির্মাণ শ্রমিক
- ক্লিনার
- রেস্টুরেন্ট কর্মী
- হোটেল কর্মী
- ডেলিভারি ম্যান
- ড্রাইভিং
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- তাদের দক্ষতা সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- মেডিকেল রিপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- পাসপোর্ট
- পূর্বের ট্রাভেলের প্রমাণপত্র (যদি প্রয়োজন পড়ে)
- কাজের অভিজ্ঞতা
নরওয়ে কিভাবে যাওয়া যায়
- নরওয়ে স্টুডেন্ট ভিসা
- নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- নরওয়ে টুরিস্ট ভিসা
নরওয়েতে যেসব সেক্টরে বেশি বেতন দেওয়া হয়
- কৃষি ও ফার্মিং
- কনস্ট্রাকশন
- ক্লিনিং স্টাফ
- সি ফুড ওয়ার্কার্স
- ইলেকট্রনিক্স হসপিটালিটি
- রিসার্চ
অর্থনীতিতে উন্নত নরওয়ে
অর্থনীতিতে নরওয়ে অনেক সমৃদ্ধ । বিশ্বের মধ্যে নরওয়ে কে পঞ্চম বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক হিসেবে চেনে। আর বৃহত্তম তৃতীয় বৃহত্তম গ্যাস রপ্তানিকারক হচ্ছে নরওয়ে। সেখানকার সরকার তেলক্ষেত্রের প্রধান অপারেটর যারা আছেন পেট্রোলিয়াম সম্পদ তাদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তাই নয় বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আছে নরওয়ে। এছাড়াও সেখানে আছে একটাবৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র যার বৈদ্যুতিক শক্তি প্রায় 98.99 % উৎপন্ন করে।
শেষ কথাঃ নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
এগ্রিকালচার কিংবা ফার্মিং এর জন্য মূলত নরওয়েজিআনরা সিজিনাল ভিসায় লোক নিয়ে থাকে বাহিরের দেশ থেকে এবং সেই বাহিরের কর্মীদের দিয়ে তারা কাজ বেশ বেতনে করে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশ থেকে কর্মী অনেক আগে বাদ পড়েছে। বাদ পড়ার জন্য যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে - ৬ মাস কাজ শেষ করার পরে আবার দেশে চলে যেতে হবে । পরবর্তীতে সেখানে থেকে কোনভাবে মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না।
এই শর্তগুলো পূরণ করে আপনাকে দেশে চলে আসতে হবে এবং সেকেন্ড টাইমের জন্য
আবার সিজিনাল ভিসায় নরওয়ে জ আপনি যেতে পারবেন কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে
বাংলাদেশী যারা আগে সিজিনাল ভিসায় সেখানে গিয়েছেন, তারা কেউ আর নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে ফেরত আসেনি । ফলে নরওয়ে সরকার বাংলাদেশীদের জন্য এগ্রিকালচার ও
ফার্মিং ভিসাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। আশা করি এই পোষ্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে
এবং নরওয়ে কিভাবে যাবেন তার সহজ উপায় জানতে পেরেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url