নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে তা জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার
জন্য। নরওয়ে অবস্থিত ইউরোপের উত্তর কোণ জুড়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান
উপদ্বীপের হৃদয়ে । নরওয়ে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং অপরাধ প্রবণতা নেই বললেই
চলে । উন্নত আইন দ্বারা পরিবেষ্টিত আন্তর্জাতিক জরিপগুলোতে দেখা গেছে।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনি পাবেন নরওয়ে যাওয়ার সহজ উপায় , সেখানে কাজের বেতন
কত এবং ভিসা কিভাবে পাবেন তার খরচ কি পরিমান লাগে এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে
জানানো চেষ্টা করব। এখানে কাজের মজুরি অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায়
একটু বেশি। নরওয়ে দ্বিতীয় ধনী দেশ।
ইউরোপের একটি উন্নত দেশ নরওয়ে সেই জন্য সেখানে যেতে কিছু ব্যয় বেশি হয়। তবে কি
পরিমান খরচ হবে তা নির্ভর করে, আপনি কিভাবে আবেদন করছেন ঠিক তার উপরে . যদি আপনি
কোন এজেন্সির মাধ্যমে নরওয়ে যাওয়ার আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১২ থেকে
১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত । কারণ এজেন্সি গুলো আপনার ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে
ফ্লাইট টিকিট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক যেসব কাজ আছে সব কাজ করে বলে একটু বেশি হয়
।
অন্যদিকে আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করতে পারেন তাহলে খরচ তুলনামূলক কিছুটা কম হয়
। তাহলে দেখা গিয়েছে যে তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মধ্যে তা হয়ে যাওয়া সম্ভব বলে
আমি মনে করি । অনেক সময় দেখা গেছে টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে কিছুটা
খরচ কম হয়। স্কলারশিপ থাকার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা একটু বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশ
থেকে আপনি যদি নরওয়ে যেতে চান । তাহলে একটু খরচটা বেশি হয় । কারণ বাংলাদেশ থেকে
নরওয়ে যাওয়া অনেক কঠিন তবে বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারেন তাহলে তার খরচ দাঁড়ায় ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা
প্রায়।
নরওয়ে যেতে কত বছর বয়স লাগে
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে এটা জানার সঙ্গে সঙ্গে নরওয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন
মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করে। কারণ নরওয়ে হল ইউরোপের একটা দেশ।
নরওয়ে যেতে হলে সেখানে ভ্রমণ শিক্ষা বা কাজের উদ্দেশ্য যদি আপনার হয়, তাহলে
সেখানে বয়স সংক্রান্ত শর্তগুলো এক এক করে আপনাকে পূরণ করতে হয়। ভ্রমণের
ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নাই । তবে ১৮ বছরের নিচে যদি কেউ হয়ে থাকেন
তাহলে তার অভিভাবক সহ ভ্রমণ করা সেখানে বাধ্যতামূলক ।
আর আপনি যদি কাজের ভিসা করতে চান তাহলে আপনার বয়স হতে হবে নূন্যতম আঠারো বছর ।
তবে ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে যদি আপনার বয়স হয়ে থাকে তাহলে ভিসা পাওয়ার জন্য
সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য সর্বোচ্চ কত বয়স সীমা হতে হবে এরকম
কোন বয়স সীমা নরওয়েতে নেই। ইউরোপের একটি দেশ হওয়াতে সেখানে কাজের
বেতনটা একটু বেশি। উন্নত জীবনযাপন নিরাপদ দেশ হওয়াতে প্রবাসী প্রেমীদের
জন্য একটু বেশি ভালোলাগা তৈরি হয়ে থাকে এই নরওয়ে দেশের প্রতি।
নরওয়ে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে এই ভাবনাটির সঙ্গে সঙ্গে নরওয়েতে কোন কাজটি ভালো এবং
সেখানে কেমন বেতন পাওয়া যায় এ ভাবনাটিও রাখতে হবে। আর তাই বাংলাদেশিরা যদি
নরওয়ে যাওয়ার কথা ভাবে তাহলে তাদের জন্য একটু বেশি খরচ পড়ে। ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা ব্যবহার করে বাংলাদেশীরা যদি নরওয়ে যেতে চায় ,তাহলে তাদের খরচ করবে ৯ লক্ষ
টাকা থেকে১০ লক্ষ টাকা মত। আবার কখনো কখনো দেখা গেছে যে কারো ক্ষেত্রে খরচের
পরিমাণটা একটু বেশি হয়ে থাকে। আসলে এটা নির্ভর করে আপনি কার মাধ্যমে অর্থাৎ কোন
এজেন্সির মাধ্যমে ভিসাটা করতে চাচ্ছেন বা করছেন।
একটা উচ্চমান সম্পন্ন দেশ যেখানকার জীবনযাত্রা অনেক উন্নত তাদের নরওয়ে খুব ভালো
লাগবে। নরওয়েতে এক ক্রোন সমান বাংলাদেশি টাকা প্রায় ১০. ৬৭ টাকা। নরওয়েতে
৬.৭% শিক্ষা খাতে জিটিপি খরচ করে যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। এখানে কোন প্রবাসী
স্থায়ীভাবে কাজ পেয়ে থেকে যেতে পারলে তার জীবন ব্যবস্থা সমৃদ্ধ হবে এবং তার
ধীরে ধীরে উন্নত মানে কাজের ব্যবস্থা হয়ে থাকবে । অভিজ্ঞতার সাথে সাথে কাজের মান
উন্নত হতে থাকে এবং পাশাপাশি বেতন ও বৃদ্ধি হতে থাকে । তাই নরওয়ে আমাদের কাছে
একটা স্বপ্নের দেশ । আর এই নরওয়েতে যেতে যে কাগজপত্রগুলো লাগবে তা আলোচনা করা
হলোঃ
পাসপোর্ট
ভিসা আবেদন ফরম
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
কাজের অফার লেটার
নিয়োগ কর্তার চুক্তিপত্র
সিভি
স্বাস্থ্য সনদ
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
কাজের দক্ষতার প্রমাণ
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
নরওয়ে বেতন কত
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে এবং পাশাপাশি নরওয়ে দেশটির
সম্পর্কে জেনে নিয়ে যেতে পারলে জীবন উপভোগ করা বেশি সহজ হবে বলে আমি মনে করি।
যেতে কত টাকা লাগেউত্তর ইউরোপের ক্যান্ডি নেভিয়ার পশ্চিম অংশে অবস্থিত নরওয়ে।
নরওয়ে উত্তর ,পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে ব্যারেন্টস সাগর । আরো অবস্থিত হয়েছে
নরওয়েজিয়ান সাগর, উত্তর সাগর এবং Skagerrak . ইউরোপে দ্বিতীয় জনবহুল
রাষ্ট্র হচ্ছে নরওয়ে । তেল গ্যাস রপ্তানি করে নরওয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেল
রপ্তানিকারক হিসেবে পরিচিত । এছাড়াও তৃতীয়ভাবে হয়েছে বৃহত্তম গ্যাস
রপ্তানিকারক দেশ। সমৃদ্ধশালী দেশ হচ্ছে নরওয়ে। নরওয়ের কাজের বেতন সাধারণত একটু
বেশি হয়ে থাকে।
এখানে কর্মঘন্টা গণনা করা হয় কাজের উপরে অর্থাৎ সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘন্টা কাজ করতে হয়
।আর কাজের বিরোতি পান প্রতিদিন ৩০ মিনিট । ওভারটাইম হিসেবে এখানে কাজের বেতন
পাওয়া যায়। এটি ইউরোপের একটি সেনজেন ভুক্ত দেশ । তাই নরওয়েতে
কাজের গড় বেতন একটু বেশি। শুধু তাই নয় সেভাবে ন্যূনতম বেতন কাঠামো সেখানে নাই
বললেই চলে । প্রতি ঘন্টা অনুযায়ী এখানে বেতন হিসাব করা হয় তাহলে বর্তমানে
সেখানে বেতন দাঁড়ায় মাসিক হিসেবে চার হাজার ৭০০ ডলার । কনভার্ট করি তাহলে দেখা
যাবে যে পাঁচ লাখ ছয় হাজার টাকা হয় প্রায়। আর বর্তমানে নরওয়েতে কাজের জন্য যে
ভিসা আমরা করি সেখান থেকে যে বেতন আমরা পেয়ে থাকি তা আনুমানিক তিন লক্ষ থেকে 5
লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
নরওয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
নরওয়ে পৃথিবীর মধ্যে একটি অন্যতম সুখী দেশ ।দেশটির একটানা ছয় মাস দিন থাকে আবার
একটানা ৬ মাস রাত থাকে। যারা কাজের ভিসা নিয়ে উন্নত দেশটিতে যাওয়ার জন্য
সিদ্ধান্ত নেন এবং যেতে চান তাদের অবশ্যই জানতে হবে যে, নরওয়ে কোন কাজের চাহিদা
আছে বর্তমানে বেশি। নরওয়ে ইউরোপের একটি সেনজেন ভুক্ত দেশ । সেখানে
অনেক ধরনের কাজের সুযোগ আছে । উন্নত দেশ হওয়ায় নরওয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া
যায় । তবে এখানে যারা যেতে চান তাদের বলে রাখা ভালো যে যাওয়ার আগে নরওয়েতে কোন
কাজের চাহিদা বেশি , সে সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে যাওয়া। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার
মূল্য প্রতিটি জায়গাতেই বেশি থাকে।
আর তাই দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মীদের নরওয়েতে উচ্চ বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তাই
সেখানে কাজ শিখে যেতে পারলে বেতন বেশ ভালো পাওয়া যায়। কাজের পাশাপাশি সেখানে
উন্নত মানের পরিবেশ পাওয়া যা্য। সাধারণত যেসব সেক্টরে বেশি বেতন পাওয়া যায় তার
মধ্যে উল্লেখযোগ্য সেক্টর গুলো হল কনস্ট্রাকশন , কৃষি ও ফার্মিং, ক্লিনিং
স্টা্ফ, ইলেকট্রনিক্স হসপিটালিটি , রিসার্চ ইত্যাদি। এছাড়াও
নরওয়েতে বর্তমানে আরও বেশ কিছু কাজের চাহিদা আছে সেগুলো হলঃ
Plumber
ইলেকট্রিশিয়ান
নির্মাণ শ্রমিক
ক্লিনার
রেস্টুরেন্ট কর্মী
হোটেল কর্মী
ডেলিভারি ম্যান
ড্রাইভিং
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে কারণ নরওয়েতে ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা সব সময় পাওয়া যায় না । সেখানে এই ভিসাটি মাঝেমধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে।
যেহেতু সেখানে কাজের জন্য যেতে চান, তাহলে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পন্ন হয়ে কাজে
গেলে সেখানে ভালো কাজ পাওয়া যাবেন । কাজের বেতনও বেশ ভালো পাওয়া যায় তাই
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যেতে হলে আপনাকে কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট নিয়ে
যেতে হবে।
যখন কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসাটি করবেন , তখন সেখানে
অবশ্যই কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেটটি দাখিল করবেন ।এতে করে সেখানে গিয়ে আপনি একটি
সুনির্দিষ্ট কাজ পেয়ে থাকবেন। উচ্চ জীবনযাত্রা পেতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প
নেই। তাই দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে নরওয়ে এসে উন্নত জীবন যাপন
করুন। নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে যে কাগজপত্র গুলো দাখিল করতে হবে
তা হল
তাদের দক্ষতা সার্টিফিকেট
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
মেডিকেল রিপোর্ট
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
পাসপোর্ট
পূর্বের ট্রাভেলের প্রমাণপত্র (যদি প্রয়োজন পড়ে)
কাজের অভিজ্ঞতা
নরওয়ে কিভাবে যাওয়া যায়
নরওয়েতে কয়েক ধরনের ভিসা পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ থেকে যারা যেতে চান , নরওয়েতে
ভিসা পাওয়া তাদের জন্য অনেকটা কঠিন অর্থাৎ প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। দেখা
গেছে বাংলাদেশ থেকে কিছু ছাত্র-ছাত্রী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্টুডেন্ট আবেদন করে
থাকেন এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সকল কাজ যখন সম্পূর্ণ হয় তখন ভিসা পেতে অনেকটা
ঝামেলায় পড়ে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশীদের জন্য নরওয়ে যাওয়া অর্থাৎ
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়। তবে যাওয়ার জন্য কয়েক ধরনের ভিসা
করা যেতে পারে তা হলঃ
নরওয়ে স্টুডেন্ট ভিসা
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নরওয়ে টুরিস্ট ভিসা
তবে নরওয়ে যেতে চাইলে এই তিন ধরনের ভিসার মাধ্যমে নরওয়ে যাওয়া সহজ।
অনেকেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে নরওয়ে পড়াশোনার জন্য যেয়ে থাকেন । ইউরোপের একটি
দেশ হলো নরওয়ে যেখানে টুরিস্ট ভিসা বলে যাকে চিনি আমরা সেই ভিসাকে সেনজেন ভিসা
বলে চিহ্নিত করা হয়। ৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ.৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণ করার জন্য
সময়সীমা থাকে। আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এটি মাঝে মধ্যে নরওয়ে দিয়ে থাকে
। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে আপনি যদি যেতে চান, তাহলে আপনার কাজের দক্ষতার
সার্টিফিকের্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট আপনার মেডিকেল রিপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্রের
ফটোকপি , পাসপোর্ট এসব কাগজপত্র সহ অভিজ্ঞতার কাগজ জমা দিতে হবে।
নরওয়েতে যেসব সেক্টরে বেশি বেতন দেওয়া হয়
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে তা জানার জন্য দেশটি সম্পর্কে জানতে হবে। ইউরোপের একটি দেশ হলো নরওয়ে। অন্যান্য দেশের তুলনায় নরওয়েতে কর্মীদেরকে একটু বেশি বেতন দিয়ে থাকে। কারণ নরওয়ে দেশটিতে যেমন বেশি বেতন পাওয়া যায় । তেমনি সেখানে খরচের পরিমাণও কম বলা যায় না। দেশটিতে অফিসিয়ালি ভাবে তেমন কোন কাজের জন্য বেতন নির্ধারণ করা নেই। বেতন কেমন হবে তা নির্ভর করে কাজে দক্ষতার উপরে ।
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি যদি কাজে যোগদান করেন, তাহলে তার বেতনের পরিমাণটা বেশি
হয়। তবে যারা গবেষণামূলক কাজে নিয়োজিত থাকেন তাদের সবচেয়ে বেশি বেতন হয়ে
থাকে। মিনিমাম কোন বেতন কাঠামো না থাকলেও নরওয়েতে সবাই যে বেতনটা পায় তার
সাধারণত বয়স, দক্ষতা আর এই যোগ্যতা মিলে কাজের বেতন নির্ধারণ করা হয়। আপনার
বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে ঘন্টা হিসেবে আপনার কাজের বেতন নির্ধারণ করবে
অর্থাৎ ঘন্টায় কত ক্রোনার আপনাকে দেবে তা নরওয়ে কাজের মালিকেরা নির্ধারণ
করে থাকেন। নরওয়েতে যেসব সেক্টরে বেশি বেতন দেওয়া হয় তাহলোঃ
কৃষি ও ফার্মিং
কনস্ট্রাকশন
ক্লিনিং স্টাফ
সি ফুড ওয়ার্কার্স
ইলেকট্রনিক্স হসপিটালিটি
রিসার্চ
অর্থনীতিতে উন্নত নরওয়ে
অর্থনীতিতে নরওয়ে অনেক সমৃদ্ধ । বিশ্বের মধ্যে নরওয়ে কে পঞ্চম বৃহত্তম তেল
রপ্তানিকারক হিসেবে চেনে। আর বৃহত্তম তৃতীয় বৃহত্তম গ্যাস রপ্তানিকারক হচ্ছে
নরওয়ে। সেখানকার সরকার তেলক্ষেত্রের প্রধান অপারেটর যারা আছেন
পেট্রোলিয়াম সম্পদ তাদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তাই নয় বিশ্বের
মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আছে নরওয়ে। এছাড়াও সেখানে
আছে একটাবৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র যার বৈদ্যুতিক শক্তি প্রায় 98.99 % উৎপন্ন
করে।
এটি যেকোনো দেশের তুলনায় বিশ্বের মধ্যে বেশি। শুধু তাই নয় নরওয়েতে উল্লেখযোগ্য ভাবে খনিজ সম্পদ রয়েছে । তাহলে বুঝতেই পারছেন নরওয়ে কত উন্নত । ইউরোপ এর দেশগুলোর মধ্যে একটি অভিজাত ও সম্পদশালী দেশ। যেখানে বসবাস করতে পারলে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান বলে মনে হবে। উন্নত জীবনমান, শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্ন্ত, বসবাসের জন্য শান্তিময় জীবন । সবকিছু মিলে যেন এক অপারময় ভালোলাগা।
শেষ কথাঃ নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
এগ্রিকালচার কিংবা ফার্মিং এর জন্য মূলত নরওয়েজিআনরা সিজিনাল ভিসায় লোক নিয়ে
থাকে বাহিরের দেশ থেকে এবং সেই বাহিরের কর্মীদের দিয়ে তারা কাজ বেশ বেতনে করে
থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশ থেকে কর্মী অনেক আগে বাদ পড়েছে। বাদ
পড়ার জন্য যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে - ৬ মাস কাজ শেষ করার পরে আবার
দেশে চলে যেতে হবে । পরবর্তীতে সেখানে থেকে কোনভাবে মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না।
এই শর্তগুলো পূরণ করে আপনাকে দেশে চলে আসতে হবে এবং সেকেন্ড টাইমের জন্য
আবার সিজিনাল ভিসায় নরওয়ে জ আপনি যেতে পারবেন কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে
বাংলাদেশী যারা আগে সিজিনাল ভিসায় সেখানে গিয়েছেন, তারা কেউ আর নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে ফেরত আসেনি । ফলে নরওয়ে সরকার বাংলাদেশীদের জন্য এগ্রিকালচার ও
ফার্মিং ভিসাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। আশা করি এই পোষ্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে
এবং নরওয়ে কিভাবে যাবেন তার সহজ উপায় জানতে পেরেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url