ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম জানতে বলতে হয় ইউরোপ বিশ্বের মধ্যে এক অন্যতম মহাদেশ।
ইউরোপ প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে তৈরি এবং বর্তমান সভ্যতা্র এক কেন্দ্রস্থল। ইউরোপের
প্রায় ৫০টির মতো দেশ রয়েছে। আজ আমি ইউরোপের ২৬ টি দেশ নিয়ে আলোচনা করব।
সাধারণত ইউরোপকে ২৬ টি স্বাধীন দেশের সমন্বয়ে তৈরি বলে মনে করা হয় । ইউরোপের
এই দেশগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে । (১) সেনজেন ভুক্ত দেশ। (২) নন সেনজেন
ভুক্ত দেশ। তবে এক জানুয়ারি ২০২৩ সালে নতুন করে ক্রোয়েশিয়া দেশটিকে সেনজেন
দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছে।
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম জানতে হলে ইউরোপ মহাদেশকে জানতে হবে। ইউরোপ অন্যতম
প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর এক মহাদেশ। এ মহাদেশটি তে সভ্যতার এক নিদর্শন বহমান আছে।
এ মহাদেশ বিশাল রাজ্য এবং ছোট ছোট দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপের
২৬ টি দেশের নাম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বহন করে। ইউরোপের দেশগুলো দুই ভাগে
বিভক্ত ১। সেনজেনভুক্ত দেশ ২। নন সেনজেন ভুক্ত দেশ । সেনজেন ভিসার এক সুবিধা
হল এই দেশগুলোতে বিনা বাধায় ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যায় । যা পর্যটকদের জন্য
অত্যন্ত আনন্দদায়ক কথা যে এক ভিসাতে বিনা বাধায় বিভিন্ন দেশে ঘোরা যায়।
সেনজেন ভুক্ত দেশ ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৬ টি দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু
পরবর্তীতে ২০২৩ সালে পহেলা জানুয়ারি নতুনভাবে ক্রোয়েশিয়া সেনজেন দেশের তালিকা
ভুক্ত হয় বর্তমানে । তাহলে ইউরোপে সেনজেন দেশ হলো ২৭ টি। আনন্দের কথা যে একজন
পর্যটক বা একজন ব্যবসায়ী এই ২৭টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবে বিনা বাধায় এক
সেনজেন ভিসা দিয়ে। ইউরোপীয় ৫০ টি দেশের মধ্যে ২৭ টি দেশ ইউরোপীয়
ইউনিয়নের সদস্য । ভ্যাটিকান সিটি ছাড়া ৪৯ টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য । যাদের ভ্রমণ
বা সেখানে কাজ নিয়ে থাকার ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই, তাদের এই মহাদেশের দেশগুলোর
নাম জানতে অনেক আগ্রহ প্রকাশ হয় আর তাদের জন্যই সেনজেনভুক্ত ২৬ টি দেশের নাম
রাজধানীর সহ উল্লেখ করা হলোঃ
ক্রমিক নং
দেশের নাম
রাজধানীর নাম
১
ফ্রান্স
প্যারিস
২
জার্মানি
বার্লিন
৩
ইতালি
রোম
৪
স্পেন
মাদ্রিদ
৫
যুক্তরাজ্য
লন্ডন
৬
নেডারল্যান্ডস
আমস্টারডাম
৭
বেলজিয়াম
ব্রাসেলস
৮
গ্রিস
এথেন্স
৯
পর্তুগাল
লিসবন
১০
অস্ট্রিয়া
ভিয়েনা
১১
সুইডেন
স্টকহোম
১২
নরওয়ে
অসলো
১৩
ডেনমার্ক
কোপেনহেগেন
১৪
ফিনল্যান্ড
হেলসিঙ্কি
১৫
পোল্যান্ড
ওয়ারসা
১৬
হাঙ্গেরি
বুদাপেস্ট
১৭
চেকপ্রজাতন্ত্র
প্রাগ
১৮
সুইজারল্যান্ড
বার্ন
১৯
আয়ারল্যান্ড
ডাবলিন
২০
আইসল্যান্ড
রেইকজাভিক
২১
এস্তোনিয়া
তালিন
২২
বুলগেরিয়া
সোফিয়া
২৩
রোমানিয়া
বুখারেস্ট
২৪
সার্বিয়া
বেলগ্রেড
২৫
স্লোভাকিয়া
ত্রাতিস্লাভা
২৬
স্লোভেনিয়া
লিউব্লিয়ান
২৭
ক্রোয়েশিয়া
জাগরেব
ক্রোয়েশিয়া নতুন যুক্ত হওয়া দেশ । তার রাজধানীর নাম জাগরেব।
ইউরোপের ধনী দেশের তালিকা
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম মানে ইউরোপ মহাদেশ। ইউরোপ মহাদেশে যে ধনী দেশগুলো আছে
তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সমৃদ্ধ। অর্থাৎ বলা হয় অর্থনৈতিক দিক থেকে
সমৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে। ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম যা জীবনযাত্রার মান কে করে
অনেক উন্নত এবং সামগ্রিক দিক থেকে অর্থাৎ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে এই
২৬ টি দেশ বিখ্যাত।এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক স্বচ্ছল অর্থাৎ সফলতা এবং
উন্নত জীবনমান এই দেশে অনেককে আকৃষ্ট করে। তবে ইউরোপে ধনী দেশগুলির মধ্যে
রয়েছেঃ
মোনাকো
লুক্সেমবার্গ
নরওয়ে
সুইজারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ড
আইসল্যান্ড
ডেনমার্ক
নেদারল্যান্ডস
সুইডেন
জার্মানি
যেহেতু ইউরোপের মধ্যে ধনী দেশ। সেই হেতু আপনি বুঝতেই পারছেন যে এই
দেশগুলো ইউরোপের মধ্যে থেকে অন্যতম দেশ এবং উন্নত। অর্থনৈতিক দিক থেকে এবং শিল্প,
শিক্ষা , প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এইসব দিক থেকে এই দেশগুলো অনেক এগিয়ে। আপনার এই
উন্নত দেশগুলোতে গ্রহণ করতে ইচ্ছে করলে এক সেনজেন ভিসা দিয়ে অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ
করতে পারবেন আর সে জন্যই ভ্রমণ করার আগে এইভাবে ২৬ টি উন্নত দেশের
নাম রাজধানী জেনে নিই এবং কোন দেশ সম্পর্কে আপনার ভালোলাগা জেনে, ভ্রমণ করে
নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন এবং ভালো লাগায় পরিপূর্ণ হতে পারবেন।
ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
পৃথিবীতে আছে মোট সাতটি মহাদেশ। বা এভাবে বলি সবচেয়ে বড় ভূখণ্ডের মধ্যে ইউরোপ
মহাদেশ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মহাদেশ বা ভূখন্ড। আপনার একটা সুপ্ত স্বপ্ন আছে যে
আপনি ইউরোপের কোন এক দেশে যাবেন। হয়তো ঘুরতে বা একেবারে থাকার জন্য। তাহলে
যে কোন একটি দেশে পড়ার জন্য বা থাকার জন্য বা ঘোরার জন্য যেতে হলে আপনাকে
ইউরোপের দেশ সম্পর্কে জানতে হবে। জানতে হবে সেখানকার মানচিত্র সম্পর্কে।
জানতে হবে সেখানকার ইতিহাস। ঘুরতে গেলে বা এই মহাদেশের গল্প শুনলে বা জানলে
মনে হয় ইউরোপের প্রতিটি শহর,প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি মানুষ যেন এক একটি ইতিহাস
সাক্ষী বা ইতিহাসের অংশ নিয়ে বেঁচে আছে। প্রতিটি রাস্তা দেখলে মনে হয় যেন
কোন এক সাক্ষ্য বহন করছে কোন পূর্ব ঘটনার। ইউরোপ মহাদেশের উত্তরে আছে আর্কটিক
মহাসাগর। পূর্বে আছে এশিয়া মহাদেশ, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর এবং পশ্চিমে আটলান্টিক
মহাসাগর অবস্থিত । এভাবে ২৬ টি দেশের নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
অস্ট্রিয়া
বেলজিয়াম
চেক প্রজাতন্ত্র
ডেনমার্ক
এস্তোনিয়া
ফিনল্যান্ড
ফ্রান্স
জার্মানি
গ্রিস
হাঙ্গেরি
আইসল্যান্ড
ইতালি
লাটভিয়া
লিচেন স্টাইল
লিথুয়ানিয়া
লুক্সেমবার্গ
মালটা
নেদারল্যান্ডস
নরওয়ে
পোল্যান্ড
পর্তুগাল
স্লভেনিয়া
স্লোভাকিয়া
স্পেন
সুইডেন
সুইজারল্যান্ড
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম ২০২২ সালে ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু পহেলা জানুয়ারি ২০২৩
সালে নতুন ভাবে ক্রোয়েশিয়া সেনজেন দেশের তালিকালভুক্ত হয়েছে তাহলে বর্তমানের
সেনজেন দেশ হলো ২৭ টি
ইউরোপ মহাদেশের ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র
১,০১,৮০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ইউরোপের আয়তন। প্রতি কিলোমিটার ইউরোপে
জনসংখ্যা প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন। ইউরোপ একটি মহাদেশ যা বৃহত্তর ইউরেশীয় মহাদেশীয়
ভূখণ্ডের পশ্চিমে যে উপদ্বীপ টি আছে তা নিয়ে গঠিত। সাধারণভাবে বলতে হয়
ইউরাল ও ককেশাস পর্বতমালা, ইউরাল নদী, কাস্পিয়ান এবং কৃষ্ণ সাগর এর যে জল
বিভাজিকা আছে এবং কৃষ্ণ ও এজিয়ান সাগর জলপথ সংযোগকারী যে জলপথ আছে তার ইউরোপকে
এশিয়া মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে।
ইউরোপের উত্তরে আছে উত্তর মহাসাগর , পশ্চিমে আছে আটলান্টিক মহাসাগর , দক্ষিণে
ভূমধ্যসাগর এবং দক্ষিণ -পূর্বে কৃষ্ণসাগর ও সংযুক্ত জলপথ রয়েছে যা ইউরোপকে করেছে
মনোমুগ্ধকর।ইউরোপ তার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার
জন্য বেশ সুপরিচিত এটি আটলান্টিক মহাসাগরের পাশে অবস্থিত এই মহাদেশ বৈচিত্র্যময়
আবহাওয়া আঞ্চলিক নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ভাষার বৈচিত্র্যতার দেখা যায়। যেমনঃ উত্তর
ইউরোপে যখন ঠান্ডা থাকে দক্ষিণ ইউরোপে সেই সময় তুলনামূলক বেশ গরম। ভ্রমণকারীদের
জন্য বেশ আকর্ষণীয় মনে হয় এই বৈচিত্র্যতা।
সেনজেন দেশ বলতে কি বুঝায়
সেনজেন দেশ বলতে বোঝায় সেনজেন অঞ্চল। যেখানে সাতাশটি ইউরোপীয় দেশ আছে এবং যারা
নিজেদের অভ্যন্তরীণ বর্ডার তুলে দিয়ে মানুষদের যাতায়াতে সীমাবদ্ধতা দূর করেছে।
নাগরিকদের মধ্যে সম্প্রীতি আনা এবং সাধারণ বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ও
বাইরের সীমানাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। তবে দেখা
যায় যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশ সেনজেন অঞ্চলের মধ্যে
পড়ে।
আপনি বড় বড় নিয়ম কানুন ছাড়াই সেনজেন অঞ্চলের যে দেশগুলোর সেগুলোতে
নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে একজন ভ্রমণকারী
হিসেবে থাকার অনুমতি দিবে আপনাকে। যেমনঃ আপনি ভারত থেকে যদি ভ্রমণ করেন তাহলে
আপনার সেনজেন ভিসা আপনাকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকার অনুমতি দিয়ে থাকতে পারে।
সেনজেন অঞ্চলের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
কোনরকম চেকিং ছাড়াই যে কোন দেশের নাগরিকরা সেনজন যোনের আভ্যন্তরীণ
সীমানা অতিক্রম করতে পারবে।
বিচার বিভাগ এবং পুলিশ একসাথে কাজ করে অপরাধমূলক কাজে ব্যবস্থাপনা ভালো রাখার
জন্য।
ইউরোপে ননসেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য একটি মাত্র ভিসা হলে যথেষ্ট। এই একটি ভিসা
দিয়ে 27 টি দেশে ভ্রমন করা যায় কিন্তু ননসেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য
আলাদা আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ শালী ইউরোপ মহাদেশে এই
ননসেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভিসা পাওয়া তুলনামূলক অনেক কঠিন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ
থেকে অনেকে পড়াশোনা, ভ্রমণ ও চাকরি নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি দেয়।
বাংলাদেশের এক তৃতীয় অংশ লোকের স্বপ্ন ইউরোপে পাড়ি দেওয়া এবং ইউরোপে ঘুরে
বেড়ানো বা বসবাস করার। তবে ইউরোপে ননসেনজেন ভুক্ত দেশে গিয়ে এক দেশ থেকে আরেক
দেশে যাওয়া সহজ হয় না। কারণ একটি ভিসা দিয়েই একটি দেশে যাওয়া হয় ।এই সময়
দেখা গেছে যে ননসেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভিসা পাওয়া সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোর চেয়ে
অনেক কঠিন হয়ে যায়। ইউরোপের ননসেনজেন ভুক্ত দেশগুলো হলোঃ
আলবেনিয়া
মলদোভা
আজারবাইজান
বেলারুশ
বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা
ইউক্রেন
জর্জিয়া
সার্বিয়া
মেসিডোনিয়া
আর্মেনিয়া
মন্টিনিগ্রো
রাশিয়া
তুরস্ক
যুক্তরাজ্য
কসোভো
ভিসার প্রয়োজনীয়তা
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম নিয়ে জানতে হলে আপনার নাগরিকত্ব এবং ভ্রমণের উপর নির্ভর
করে ননসেনজেন দেশগুলোতে ভিসার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব পায়। কিছু কিছু দেশ
আছে যা বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা অন এরাইভাল অফার করে। এটা একটা বিশাল সুযোগ
বলে আমি মনে করি। এই অফারে যেতে পারলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। আবার কিছু কিছু
দেশ ভ্রমণের জন্য আগে থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করে থাকতে হয় । তা না হলে ভিসা
পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।
আপনি যখন ভ্রমণ করবেন বা সেখানে পড়ালেখার জন্য যাবেন বা সেখানে কাজ নিয়ে
এককালীন থাকার জন্য যাবে্ন বলে সিদ্ধান্ত নিবেন, তার পূর্বে আপনার ভ্রমণের আগে
আপনি কোথায় যেতে চান তা নির্ধারণ করুন এবং সেই কাঙ্ক্ষিত দেশের জন্য আপনি সেই
কাঙ্ক্ষিত দেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন। কা্রণ এই যোগাযোগ আপনার জন্য
জরুরী, এতে করে আপনি আপনার ভিসার প্রয়োজনীয়তা ও নিশ্চিত তা বুঝতে পারবেন।
রাশিয়া ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ
সাতটি যে মহাদেশ আছে এর মধ্যে ইউরোপ মহাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম। আর পৃথিবীর বৃহত্তম
দেশ রাশিয়া। রাশিয়া নামটি এসেছে রুশ নামক মধ্যযুগীয় একটি
রাষ্ট্র থেকে। রুশ শব্দটি পুরনো ল্যাটিন ভাষার। পৃথিবীর মোট আবাস যোগ্য জমির
এক অষ্টমাংশ জুড়ে রাশিয়া । দেশটির মোট আয়তন ১৭, ০৭্ ৪০০ বর্গ কিলোমিটার।
জনবহুল দেশ এখানে অনেক রকমের পরিবেশের সমন্বয় ঘটেছে। বৃহত্তম দেশের জন্য এটি
সম্ভব হয়েছে। রাশিয়াকে বলা হয় ইউরেশিয়া কারণ এটি এশিয়া মহাদেশেরও
অন্তর্ভুক্ত ।
রাশিয়াতে প্রচুর শীত পড়ে তাই শীতলতম দেশ বলে। সারা বছর থাকে হিমশীতল এবং
শৈত্য প্রবাহ থাকে। অতিরিক্ত শৈত্য প্রবাহ থাকে এবং সারাদিন এই
শৈত্য প্রবাহ চলতে থাকে । বছরের প্রায় ১০ মাস এই অবস্থায় থাকে এবং ৮ মাস আবার
বরফাচ্ছন্ন হয়ে যায়। রাশিয়াতে প্রচুর খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি সম্পদ আছে যার ফলে
বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে রাশিয়া পরিচিত। রাশিয়া
বিশ্বের কাছে দশম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ভূমিকা রাখে।
ইউরোপের সাথে জড়িত কিছু সংস্কৃতিক দিক
ইউরোপের প্রতিটি দেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও তার ভূগোলের মতোই নানাভাবে
বৈচিত্র্যময়। প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরপুর ইউরোপের প্রতিটি দেশ। ভিয়েনার মিউজিক হল
গুলিতে ধ্বনিত হয় সব সময় বিথোভেনের সুর। এবং পার্সোনাল প্রাণবন্ত
রাস্তাগুলো ছন্দময় বিটে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। ভেনিস কার্নিভাল এর মত বছরের
পুরোটা বছর ধরে উদযাপিত হয় ইউরোপীয় সাংস্কৃতি কালচারাল প্রোগ্রামগুলো। আর তাই
এইসবের কারণে আমাদের বাংলাদেশ এর মানুষেরা স্বপ্ন দেখে ইউরোপের যে কোনো দেশে
যাওয়ার। আমাদের কাছে এক স্বপ্নের দেশ ইউরোপের যে কোনো দেশে বসবাস।
ইউরোপের প্রাকৃতিক ভূ দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীরা দেখে মুগ্ধ। কারণ সেখানে মনে হয়
যে শ্বাসরুদ্ধকর এক অপার সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে। ইউরোপীয় সংস্কৃতিকে যদি
সংজ্ঞায়িত করা হয় তাহলে বলতে হয় প্রাণবন্ত ঐতিহ্য এবং তাদের স্থানীয়দের এই
উৎসবগুলোর মধ্যে দিয়ে যে এক অংশগ্রহণ । তারা প্রতিটি উৎসবে করে থাকে তা আমাদের
মত ভ্রমণ পিপাসু মানুষ বা সেখানে বসবাস করতে যাওয়া মানুষদের সত্যিকার অর্থে
ইউরোপের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে পারা । এক মুগ্ধকর পরিবেশের মত মনে হয় এবং এটি
আমাদের মত জনগণের সাথে এটা দীর্ঘস্থায়ী সংযোগ স্থাপন করা হয়।
উপসংহারঃ ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম এর সাথে আলোচনা করি ইউরোপে সম্পদ নিয়ে ।ইউরোপকে বলতে
হয় মাটি বন সমুদ্র এবং খনিজ পদার্থের (বিশেষ করে কয়লা) একটি উল্লেখযোগ্য
সম্পদের পাহাড়। ইউরোপবাসীরা সাধারণভাবে সুশিক্ষিত এবং উচ্চদক্ষ ও পরিশ্রমী । যার
ফলস্বরূপ সেখানে নগর - শিল্প অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। উৎপাদন এবং কৃষিতে ইউরোপ
বর্তমানে অসাধারণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ইউরোপে্র অব্যাহত সাফল্য অর্থনৈতিক ভাবে
হয়েছে তার ফলস্বরূপ উচ্চ জীবন যাত্রার মান এবং প্রযুক্তিগত সাফল্য তার
প্রমাণ।
ইউরোপের ২৬ টি দেশ আছে সেনজেন দেশ বিভিন্ন সুবিধা সহ কাজের জন্য ভ্রমণের জন্য
অনেক সহায়ক। সেনজেন এবং ননসেনজেন দুই ধরনের দেশ রয়েছে সে দেশগুলোর প্রতিটি দেশই
অনন্য বৈশিষ্ট্য ও ভালো লাগায় ভরপুর। তবে ক্রোয়েশিয়া নতুনভাবে ২০২৩ সালে এক
জানুয়ারি সেনজেন দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়। তাহলে সেনজেন দেশ মোট ২৭ টি হয়।
বর্তমানে ইউরোপে সেনজেন দেশ ২৭ টি। নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে প্রতিটি দেশ সমৃদ্ধ।
উন্নত জীবনমান ও অর্থনৈতিক সফলতার জন্য এই দেশগুলোতে বসবাস করে আপনার ভালো
লাগবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url