মলদোভা কাজের বেতন কত আপডেট তথ্য জানুন
মলদোভা কাজের বেতন কত? ইউরোপের ননসেনজেন একটি কান্ট্রি । বর্তমানে এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই আছেন যারা মলদোভাতে যেতে চাচ্ছেন । মলদোভা অনেক ভালো ও সুন্দর একটি দেশ । বর্তমান সময়ে যারা মলদোভাতে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি ।
মলদোভা বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট খুব ইজিলি পাওয়া যায় । যদি ভালো একটা লইয়ার দিয়ে ট্রাই করেন।তাহলে আপনি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে মলদোভার ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সম্ভব । মলদোভা কাজের বেতন কত এবং কাজের ভিসা সংক্রান্ত জানা-অজানা তথ্য নিয়ে আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে ।
পেজ সূচিপত্রঃ মলদোভা কাজের বেতন কত
- মলদোভা কাজের বেতন কত
- মলদোভা ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং
- মলদোভা যেতে কত টাকা লাগে
- মলদোভা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
- মলদোভা ওয়ার্ক ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- মলদোভা ভিসা ক্যাটাগরি
- মলদোভা সর্বনিম্ন বেতন কত
- মলদোভা কোন কাজে চাহিদা বেশি
- মলদোভা ভিসা রেশিও কেমন
- শেষ কথাঃ মলদোভা কাজের বেতন কত
মলদোভা কাজের বেতন কত
মলদোভাতে কাজ করলে আপনি প্রতিমাসে আয় করতে পারবেন ৬০০০০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত । আপনি যদি কোম্পানিতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে । তবে জেনে রাখা উচিত বিভিন্ন কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে বেতন কম অথবা বেশি হতে পারে । মান্থলি আপনি যদি ডলারে হিসাব করেন সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে যে ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার সেলারি পাবেন । আর আপনি যদি ইউরো হিসেব করেন সেক্ষেত্রে ৪০০ ইউরো থেকে ৪৫০ ইউরো বা বেশি হলে ৫০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে এটি আপনার কাজের দক্ষতার উপরে নির্ভর করে। যারা আইটি সেক্টরে থেকে মলদোভা যায় । কিংবা যারা উচ্চ লেভেলে বা উচ্চ পদস্থ লোক যারা স্কিল্ড ওয়ার্কার , দক্ষ কর্মী তাদের সেলারি বেশি হয়ে থাকে । সেখানে দেখা যায় যে ৬০০ ডলার থেকে ৭০০ ডলার বা তার বেশি যাবে । একজন দক্ষ শ্রমিক স্কিল্ড ওয়ার্কারের চাহিদা সব জায়গাতেই বেশি হয়ে থাকে । থাকা খাওয়ার ব্যাপারে থাকাটা কোম্পানি দেয় । কিন্তু খাওয়াটা সব কোম্পানি দেয় না । তারা খাবারের টাকাটা দিয়ে দেয় স্যালারির সাথে ।
মলদোভা ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং
মলদোভা কাজের বেতন কত? জানার পাশাপাশি মলদোভা ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং জানা আপনার
জন্য খুবই প্রয়োজন । মলদোভা ভলকেন ইউরোপের একটি দেশ । প্রথমে আপনাকে
এখানে আসতে হলে ওয়ার্ক পারমিট কালেক্ট করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট টি ওই দেশের যে
ফরেন মিনিস্ট্রি আছে সেখান থেকে আপনার সার্টিফাইড হয়ে আসে। যার জন্য
মলদোভাতে যদি আসতে চান সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট পান ।
তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার ৯৯% ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা । এছাড়াও আপনি বাংলাদেশে
বসে মলদোভার ভিসাটি পাবেন।
আরো পড়ুনঃ বুলগেরিয়া বেতন কত - বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
কিন্তু মলদোভার জন্য "ই" ভিসা হয় এবং "ই" ভিসার থ্রোতে আপনি ওইখানে যাওয়ার পরে
যে কোম্পানিতে যাবেন তাদের রেফারেন্সে আপনি টিআরসি কার্ড পাবেন । স্টেপ বাই স্টেপ
আপনি মলদোভায় নাগরিক পর্যন্ত নিতে পারবেন। বর্তমানে মলদোভা ভিসা রেশিও বেশ ভালো ।
এখানে আপনি ভিসা প্রসেসিং করে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে এখানকার "ই" ভিসা হওয়া সম্ভব
। মলদোভা ওয়ার্ড পারমিট আসতে ২ মাস থেকে ৩ মাস সময় পর্যন্ত লাগতে
পারে । এটা কিন্তু এজেন্সি ভেদে সময় কম বা বেশি হতে পারে ।
মলদোভা যেতে কত টাকা লাগে
মলদোভা একটি ইউরোপের ননসেনজেন কান্ট্রি। এই দেশটিতে আমাদের অনেক বাংলাদেশী ভাই বিগত দিনগুলোতে সেখানে গিয়েছে। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো এই দেশটিতে আমাদের বাংলাদেশী শ্রমিক মূলত নেই । তবে আপনি যদি মলদোভাতে যেতে চা্ন সেইক্ষেত্রে মলদোভাতে এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে যেতে চাইলে আপনি বিশ্বস্ত বিভিন্ন এজেন্সি বা বিভিন্ন দালাল এর মাধ্যমে অবশ্যই আপনি যেতে পারবেন।
মলদোভাতে বর্তমান সময়ে যেতে চাইলে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। ছোটখাটো কোন এজেন্সি বা স্থানীয় কোন দালালের মাধ্যমে যেতে চাইলে ৯ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তারা নিতে পারে । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ কম বা বেশি খরচ হতে পারে । অবশ্যই আপনাকে বুঝতে হবে আপনার মাধ্যমটা কে? যদি মাধ্যম ভালো হয়ে থাকে, নিজের কোন পরিচিত বা আত্মীয় স্বজন । সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচটা অনেক কমে আসবে ।
আর যদি কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ভিসার কাজ সম্পন্ন করা হয়। তাহলে খরচটা কিন্তু আপনার অনেক বেড়ে যাবে । আপনি যদি সেখানে যাওয়ার পর টানা তিন থেকে চার বছর থাকতে পারেন তাহলে নাগরিকের মতো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। যেহেতু এটি একটি উন্নত দেশ সেহেতু এখানে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও মলদোভাতে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাদের দেশের নাগরিকদের মতো আপনিও তা পেতে পারবেন ।
মলদোভা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
মলদোভা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। সরকার ফি এবং আবেদন খরচ। দ্বিতীয়টি হচ্ছে এজেন্সি ফি ও লং এস্টেট ফি । মলদোভা দীর্ঘ মেয়াদী ভিসার জন্য সরকারি ফি সাধারণত ১০০ ইউরোপ থেকে শুরু হয়। যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে ১১ হাজার ৬০০ টাকা সমতুল্য। যা এটি সাধারণত ডি ভিসা । ওয়ার্ক পারমিট বা রেসিডেন্স পারমিট ফি মলদোভাতে কাজের জন্য রেসিডেন্স অথবা ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন হয় । এই পারমিটের জন্য সরকারি ফি নির্ভর করে মেয়াদের উপর ।
আরো পড়ুনঃ লাটভিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও সর্বনিম্ন বেতন কত
সাধারণত এক বছরের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য ফি প্রায় ৪ হাজার এম ডি এল থেকে শুরু করে ৮ হাজার এম ডি এল । যা বাংলাদেশি টাকায় ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা মতো । অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ যেমনঃ বায়োমেট্রিক খরচের জন্য অতিরিক্ত কিছু টাকা লাগবে। এজেন্সি ফি , আপনি যদি নলদোভাতে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করেন এক্ষেত্রে আপনার কাছে থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা থেকে বারো লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারে । এটি এজেন্সির পরিসীমার উপর নির্ভর করবে ।
যেমনঃ ডকুমেন্ট পলিসি অনুপাত। মলদোভা নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগ এই সকল বিষয়ের উপর। অন্যান্য খরচ যেমনঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট , মেডিকেল পরীক্ষা , শিক্ষাগত যোগ্যতার এবং অভিজ্ঞতার কাগজপত্র । এইসবের জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ হবে । বিমান ভাড়া বাংলাদেশ থেকে পঞ্চাশ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান এই ক্ষেত্রে সর্বমোট খরচ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করতে পারে ।
মলদোভা ওয়ার্ক ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মলদোভা যেতে হলে আপনার সব প্রথমে জানা প্রয়োজন মলদোভা কাজের বেতন কত এবং সেখানেই
যেতে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে । মলদোভার শ্রমবাজারের বাংলাদেশের
শ্রমিকদের চাহিদা বেশি । মলদোভা মূলত একটি কৃষির নির্ভর অর্থনীতি । দেশোটির
জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম এবং শ্রমিক সংকট প্রকট । বিশেষ করে নিম্নমানের শ্রমের
ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশী শ্রমিক বিশেষ করে এশিয়া দেশগুলো থেকে আশা
কর্মীদের প্রতি দেশটির আগ্রহ বেড়েছে ।
মলদোভা ওয়ার্ক ভিসায় আসতে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তা হচ্ছেঃ
- বৈধ পাসপোর্ট । পাসপোর্টে সর্বনিম্ন মেয়াদ থাকতে হবে ৬ মাস থেকে এক বছর । পাসপোর্টের সর্বনিম্ন দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে ।
- জন্ম নিবন্ধন এবং ভোটার আইডি কার্ড ।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট ।
- মেডিকেল রিপোর্ট ।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি । অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা রাখতে হবে । ছবিতে কোন মাস্ক বা কালো চশমা অথবা টুপির ব্যবহার করা যাবে না ।
- নির্ধারিত ভিসা ফি ।
- কাজের অফার লেটার ।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ ।
-
মলদোভাতে যে কাজ করবেন, সেই কাজের ভিডিও এক থেকে দেড় মিনিটের লাগবে
মলদোভা ভিসা ক্যাটাগরি
মলদোভা সর্বনিম্ন বেতন কত
মলদোভা কোন কাজে চাহিদা বেশি
- গার্মেন্টস সেক্টর
- সুইং অপারেটর
- মার্চেন্ডাইজার
- প্রোডাকশন ম্যানেজার
- হেল্পার
- কনস্ট্রাকশন সেক্টর
- সাটারিং
- কার্পেন্টার
- মেশন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- প্লাম্বার
- পেইন্টার
- রেস্টুরেন্ট ও হোটেল
- ড্রাইভিং
- ক্লিনার
- হাউসকিপিং
- ওয়েটার ও কুক
- এগ্রিকালচার ফার্ম


.webp)
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url