বুলগেরিয়া বেতন কত - বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

বুলগেরিয়া বেতন কত ও বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানতে হলে বুলগেরিয়া ইউরোপের একটি উদীয়মান দেশ। যা বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। ২০২৪ সালে সেনজেনভুক্ত অঞ্চলে প্রবেশের মাধ্যমে এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বুলগেরিয়া-বেতন-কত

শিক্ষা ও কাজের খরচ ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী বলা চলে। ইতিমধ্যে বুলগেরিয়া সম্পূর্ণ সেনজেনভুক্ত হয়েছে। এর ফলে সেনজেন অঞ্চলের ২৯ টি দেশের সুবিধা বুলগেরিয়া শিক্ষার্থী এবং অভিবাসীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে । বুলগেরিয়াতে দুই ক্যাটাগরির ওয়ার্ক পারমিট হয়ে থাকে ।

পেজ সূচিপত্রঃ বুলগেরিয়া বেতন কত

বুলগেরিয়া বেতন কত

সেলারি সিস্টেমটা আপনার ভাষাগত দক্ষতা আপনার কাজের যোগ্যতা এইসব কিছুর উপর ডিপেন্ড করে। আপনি যদি বুলগেরিয়াতে পার্ট টাইম কাজ করলেও ৭০০ থেকে ১২০০ ইউরো পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন । ফুল টাইমের ক্ষেত্রে ১৫০০ ইউরো থেকে আড়াই হাজার প্লাস ইউরো আপনি ইনকাম করার সম্ভাবনা আছে। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে আয় আরো বেশি হতে পারে । এখানে আপনি কাজ করবেন পাঁচ দিন সপ্তাহে। ৮ ঘণ্টা করে ৪০ ঘণ্টা কাজ করবেন পারউইক। ওভার টাইমের কথা যদি বলতে হয় ওভার টাইমের অপশন বুলগেরিয়াতে খুবই কম । 

দেখা যায় সেটি সপ্তাহে একদিন আপনি ওভার টাইম করতে পারেন । এখানে কোম্পানি আপনাকে থাকা খাওয়া ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু এখানে থাকাটা মোটামুটি আপনাকে কোম্পানি প্রোভাইড করে । কিন্তু খাওয়াটা দেখা যায় অর্ধেক কোম্পানি দেয় অর্ধেক আপনাকে বিয়ার করতে হয় । তো সবকিছু মিলে মিনিমাম আপনি এখানে.৪০থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত জমাতে পারবেন । এখানে কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে ইউরোপিয়ান কান্ট্রি হলেও কম হওয়ার পরে , জীবন যাত্রার খরচ অনেক কম হওয়াতে এখানে চলাচল করা অনেক সহজ হয় ।

বুলগেরিয়া ভিসা রেশিও

বাংলাদেশ থেকে বা মিডিলিস্ট থেকে যারা চেষ্টা করেন বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য । আপনি জেনে খুশি হবেন যে বুলগেরিয়াতে দুই ধরনের দুই ক্যাটাগরি ওয়ার্ক পারমিট হয়ে থাকে। প্রথমত, যে পারমিট এর কথা বলব সেটা হচ্ছে সিজিনাল ওয়ার্ক পারমিট । আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে নন সিজিনাল ওয়ার্ক পারমিট । সিজিনাল ওয়ার্ক পারমিট হল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়ে আনা হয়। আবার নির্দিষ্ট সময় পর  দেশে চলে যেতে হয় সেটি হলো সিজিনাল ওয়ার্ক পারমিট।

প্রতিবছর ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে যখন ঠান্ডার সময় আসে তখন কিন্তু প্রচুর শ্রমিক লাগে । বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি বা এই ধরনের কৃষিজ জায়গায় কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়। তখন বাইরের দেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানি বা ফ্যাক্টরি গুলো কর্মী এনে থাকে । যেমনঃ বিভিন্ন রকম ফলের ফ্যাক্টরি হতে পারে । বিভিন্ন রকম ফুলের ফ্যাক্টরি হতে পারে । এসব জায়গায় তখন শ্রমিক সংকট দেখা দেয় । তাই প্রতি বছর বাইরের দেশ থেকে শ্রমিক আনে অর্থাৎ এরাই সিজিনাল ওয়ার্কার। 

আরো পড়ুনঃ লাটভিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও সর্বনিম্ন বেতন কত 

নন সিগন্যাল ভিসা হল লং টার্ম পারমিট এর জন্য যে ভিসা ইস্যু করা হয় সেগুলোকে ননসিজিনাল পারমিট ভিসা বলে। নন সিজিনাল ভিসার মেয়াদ হয় এক বছর থেকে তিন বছর । এই পারমিট গুলো বিভিন্ন রকম ফ্যাক্টরি বা কোম্পানিতে ওয়েল্ডার , ইলেকট্রিশিয়া্‌ন  ,প্লাম্বার , প্লাস্টার অর্থাৎ বিভিন্ন রকম স্কিল ওয়ার্কারদের বেশিরভাগ পারমিট হয়ে থাকে । ভিসা ক্যাটাগরি "D" অর্থাৎ লং টার্ম ভিসার জন্য যে পারমিট গুলো ইস্যু হয়ে থাকে। 

এই বিষয়গুলোতে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নাই । যেকোনো সময় কোম্পানির ইচ্ছে করলে ওয়ার্কার আনতে পারবে। অর্থাৎ যে ওয়ার্ক পারমিটে আপনার টিআরসি হবে সেই পারমিট হচ্ছে লং টার্ম পারমিট।  বুলগেরিয়াতে নন সিজিনাল ভিসা পার্মে ভিসা রেশিও ভালো । এখানে ভিসার আবেদন থেকে ৯৫%  আবেদন মঞ্জুর হয়ে থাকে। আর তাই আপনি যদি বুলগেরিয়ার যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন তাহলে আপনার জন্য সঠিক গন্তব্য ।

বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

আজকে আমরা কথা বলব বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বুলগেরিয়া বেতন কত। আমাদের অনেক বাংলাদেশী ভাই আছেন যারা বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়া যেতে চাচ্ছেন। বুলগেরিয়াতে যেতে চাইলে আপনাদের কেমন টাকা খরচ হবে এই ২০২৫ সালে এসে । যখন দেশটি ননসেনজেনভুক্ত ছিল তখন বুলগারিয়া যেতে খরচ কম হতো কিন্তু সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ার পরে বুলগেরিয়াতে যাওয়ার খরচটা এজেন্সিরা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয় ।

এখন খরচের বিষয় বলতে গেলে আমি বলব যে, আপনার মাধ্যমটা আসলে কে ? মাধ্যম টার উপর কিন্তু খরচে পরিমাণ নির্ভর করছে । স্থান, কাল , পাত্র ভেদে আপনার খরচটা নির্ভর করবে। আপনার নিজের যদি কোন মাধ্যম থেকে থাকে । দেখা যাচ্ছে যে বুলগেরিয়াতে আপনার পরিচিত কোন মানুষ আছে। আপনার ফ্যামিলির কেউ পরিচিত আছে বা বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন তাদের মাধ্যমে দিয়েও ট্রাই করে থাকেন । অবশ্যই আপনাকে এজেন্সির কাছে যেতে হবে।

 ভিসা প্রসেসিং করার ক্ষেত্রে নিজে নিজে সব করতে পারবেন না । আপনি যার মাধ্যমে দিয়ে ওয়ার্ক পারমিট টা তুলেছেন আপনার পরিচিত মাধ্যম আছে সে শুধুমাত্র আপনার প্রসেসিং কার্যক্রমটা আপনার এজেন্সিকে দিয়ে করে দেবে । বাদবাকি সকল কার্যক্রম সে সেখান থেকে হ্যান্ডেল করবে । তবে আপনি যদি নিজের মাধ্যম দিয়ে করেন তাহলে ১০ লাখের কমে আপনি বুলগেরিয়াতে যেতে পারবেন । আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে আপনি যদি সরাসরি কোন রিক্রুটিং এজেন্সি , ভালো এজেন্সি যাদের ভিসা সাকসেস আছে যাদের আর এল নাম্বার আছে। 

সরকার নির্ধারিত যেসব এজেন্সি আছে । আপনি তাদের মাধ্যম দিয়ে ট্রাই করে থাকেন একটা ভালো ওয়ে দিয়ে । এক্ষেত্রে কিন্তু দেখা যাবে যে বর্তমান সময়ে ১০ লাখ থেকে বারো লাখ টাকার ভেতরে আপনি বুলগেরিয়াতে ঢুকতে পারবেন । তবে এর বেশি চাইলে আপনি আরো দু-চারটা বিশ্বস্ত এজেন্সির সাথে কথা বলে নিতে পারেন। কারণ ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার বেশি চাইলে বা তার বেশি টাকাতে আসলে বুলগেরিয়াতে আপনার জন্য খুব একটা সফলময় গন্তব্য হবে না। 

বুলগেরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

বুলগেরিয়া বেতন কত? এটি জানার পাশাপাশি আপনাকে জেনে নিতে হবে বুলগেরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? বাংলাদেশিরা সাধারণত যে কাজগুলো বুলগেরিয়া গিয়ে বেশি করে। এখানে টেক্সটাইল রিলেটেড কাজ করা যায় । যেমনঃ টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি, কটন ফ্যাক্টরি এবং ওয়ার হাউজ আছে । এই সব জায়গায় বাংলাদেশীরা সাধারণত কাজ করে থাকে। তার পাশাপাশি অবশ্যই কন্সট্রাকশন রিলেটেড অনেক কাজ হয়। এছাড়া রেস্তোরাঁ বা হোটেল ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে। স্বাস্থ্য সেবা যেমনঃ নার্সিং ,ফার্মাসি প্যারামেডিক ইত্যাদি।

বুলগেরিয়া-বেতন-কত-বুলগেরিয়া-যেতে-কত-টাকা-লাগে

তবে আপনি সব সময় কনস্ট্রাকশন রিলেটেড যে কোন অভিজ্ঞতা অর্জন করে বুলগেরিয়া আসতে চেষ্টা করবেন । লজিস্টিক ট্রান্সপোর্ট ,কাস্টমার সার্ভিস ও টেলি মার্কেটিং সেক্টরেও কাজ অনেক পাওয়া যায় ।  বুলগেরিয়াতে দুই ধরনের কাজ হয় । একটি হলো হোয়াইট কলার অর্থাৎ ঘাম দিয়ে কলার ভেজে না। এক কথায় বলা যায় যে ঘরের মধ্যে থেকে কম্পিউটারে কাজ করে । আরেকটা হল মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে সেটি হল ব্লু কলার । ব্লু কালার রিলেটেড কাজ হলঃ

  •  ইলেকট্রিশিয়ান ,
  •  প্লাম্বার , 
  • হেবি ভিকেল  ড্রাইভার  ,
  • ওয়েল্ডার , অর্থাৎ ট্রান্সপোর্টেশন এর জন্য যে ভিকেল গুলো আছে ।
  • মেশিন অপারেটর 
  • কার্পেন্টার
  • অটোমোটিভ টেকনিশিয়ান । যারা গাড়ির কাজ জানেন । তাদেরও ভালো চাহিদা রয়েছে ।
  • হিটিং ভেন্টিলাইজেশ এর কাজ (HVAC)
  • লজিস্টিক রিলেটেড কাজ
  • ওয়্যার হাউজ রিলেটেড কাজ

আর যারা স্কিলড । যারা পড়াশোনা করেছেন তাদের ক্ষেত্রে একটা ভালো অপশন আছে । আইটি রিলেটেড , কম্পিউটার রিলেটেড যে কোন জবের প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।

বুলগেরিয়া ভিসা প্রসেস

বুলগেরিয়া বেতন কত জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জেনে নিতে হবে বুলগেরিয়া ভিসা প্রসেস  । সর্বপ্রথমে অবশ্যই একটি এজেন্সি খুঁজে বের করতে হবে । এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে কাজ করতে হবে । যদি আপনি নন-ইস্কিলড ওয়ার্কার হন । এখন আপনাকে ফুল প্রসেসের কথা বলি। আপনি একটা ফাইল সাবমিট করবেন। আপনার পাসপোর্টের যে ডি ই ও কপিটা আছে আপনার সব ডাটা দেওয়া তার একটা কপি লাগবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে এবং আপনার ছবি লাগবে । এই তিনটা ডকুমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশের এজেন্সি বুলগেরিয়া অবস্থিত । তাদের কোন কন্ট্রাক্টচুয়াল যে এজেন্সি অথবা প্রতিনিধি আছে তাদের কাছে আবেদন করবেন। 

আরো পড়ুনঃ  মালটা যেতে কত টাকা লাগে - আপডেট তথ্য 

তারা যখন আপনার নামে ওই কোম্পানির যদি আপনার দরকার হয় তারা তখন আবেদন করবেন । তখন একটা ছাড়পত্র দেয় । যে হল আপনার ওয়ার্ক পারমিট । ওয়ার্ক পারমিট এর সাথে সাথে আপনার ওয়ার কন্ট্রাক্ট লেখা থাকবে । এরপর আপনার এই কাজগুলো শেষে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে । সম্পূর্ণ প্রসেসে আপনার খরচ হতে পারে বুলগেরিয়া আসার জন্য বর্তমানে একটু বেশি হয়। কারণ যখন থেকে বুলগেরিয়া সেনজেনিয়া ঢুকে গেছে তখন থেকে খরচটা বৃদ্ধি পেয়ে .৯ লাখ থেকে বারো লাখ টাকা ।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসা

বুলগেরিয়া দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের একটি দেশ । ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য যে সিস্টেম বা ওয়ার্ক পারমিটটা যেভাবে রেনু হয় , তার সাথে বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিটের কিছুটা পার্থক্য আছে । সেটি হচ্ছে বুলগেরিয়াতে আপনি যখন প্রথমত যাবেন এক বছরের ওয়ার্ক পারমিট হবে। আপনি যখন থাকবেন তখন আপনার সময় আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। অর্থাৎ এক বছর মেয়াদী ওয়ার্ক পারমিট একবার একবার করে যখন আপনার তিনবার হবে। 

এরপর হয় আপনাকে সেখানে ভিসাটি আবার রেনিউ করতে হবে । রিনিউ যদি না করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার নিজ দেশে ফেরত চলে আসতে হবে । তবে বুলগেরিয়াতে কাজের ভিসার রেশিও অনেক ভালো। বর্তমান সময়ে যারা বুলগেরিয়াতে কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ। আপনি জানলে খুশি হবেন যে আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য বুলগেরিয়া ভিসা রেশিও ৯০% । কিন্তু আপনার ভিসা পাওয়া টা নির্ভর করবে দক্ষতার উপরে , আপনার এজেন্সির উপরে , আপনার লইয়ার এর উপরে এবং আপনার ওই কোম্পানির উপরে নির্ভর করবে আপনার ভিসাটি হবে কিনা ।

বুলগেরিয়া যেতে কি কি লাগে

বুলগেরিয়া বেতন কত ? বুলগেরিয়াতে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে জেনে নিতে হবে এবং বুলগেরিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে সেটিও আপনাকে জেনে নেওয়া প্রয়োজন । বুলগেরিয়া হচ্ছে ওয়ার্কিং ফ্রেন্ডলি কান্ট্রি। অর্থাৎ বুলগেরিয়ায় সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে যাওয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিসা রেশিও খুবই ভালো। বাজেট ফ্রেন্ডলি বুলগেরিয়া হওয়ায় সেখানে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকায় যেতে পারেন খুব সহজে । 

আরো পড়ুনঃ আয়ারল্যান্ড বেতন কত জানুন আপডেট তথ্য

তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য তিনটা ক্যাটাগরি আছে কাজের ভিসা ,স্টুডেন্ট হিসাবে এবং ভিজিট ভিসাতে আপনি ফাইল জমা দিতে পারবেন । বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজপত্র ভিন্ন ভিন্ন রকম  জমা দিতে হয়ে থাকে। যে প্রয়োজনীয় কাগজগুলো জমা দেওয়া হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো ।

  • বৈধ পাসপোর্ট। যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় থেকে এক বছর হতে হবে ।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • কোম্পানি অফার লেটার
  • আপনি যে কাজ করতে আগ্রহী এবং যে কাজ করতে চান তার একটি ভিডিও লাগবে ১ থেকে দেড় মিনিটের
  • ভিসা আবেদন ফি
  • কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • আই ই এল টি এস স্কোর
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার

বুলগেরিয়াতে কেন যাবেন

বুলগেরিয়া বেতন কত জানতে হলে বুলগেরিয়াতে কেন যাবেন সেটিও জেনে নেওয়া অবশ্যই আপনার জন্য অতি প্রয়োজন । স্বল্প খরচে পড়াশোনা ও জীবনযাপন ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় শিক্ষা ও থাকার খরচ তুলনামূলক অনেক কম। সেনজেন সুবিধাসহ সহ সহজেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলোতে ভ্রমণ ও কাজের সুযোগ। উন্নতমানের শিক্ষা , বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণার সুবিধা । স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পড়াশোনা শেষে কাজ করার জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায় । তাছাড়া বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়াতে কাজের অনেক সুযোগ । 

খুব সহজে বুলগেরিয়ে কাজের ভিসা  পাওয়া যায়। তবে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজের  ভিসা হয়ে থাকে। বুলগেরিয়াতে পড়াশোনার মান বলতে গেলে বুলগেরিয়া শিক্ষা ব্যবস্থা ইউরোপীয় শিক্ষাব্যবস্থার মানদন্ড মেনে চলে। মেডিকেল , ইঞ্জিনিয়ারিং , বিজনেস এবং আইটি প্রোগ্রামে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি  প্রদান করা হয় । বুলগেরিয়ার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারেন তাই এখানে পড়াশোনা করাটা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়ায় ।

বুলগেরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা

বুলগেরিয়া এটি ইউরোপের একটি দেশ। যেখানে কম খরচে মধ্যবিত্ত পরিবারের বিলং করেও আপনি ইউরোপিয়ান ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন । জার্মানি বা নেদারল্যান্ডের মতো দেশে লম্বা প্রতিযোগিতা আর বিশাল এমাউন্ট দেখে পিছিয়ে যান যারা তাদের জন্য হতে পারে সুবর্ণ সুযোগ । বুলগেরিয়া ইউনিভার্সিটিতে ফেব্রুয়ারি ইনটেক এবং সেপ্টেম্বর ইনটেক এই দুইটি সময়ে এপ্লাই করার সুযোগ আছে । মূলত এইটার বড় ইনটেক হচ্ছে সেপ্টেম্বর ইনটেক । আপনি চাইলে সেপ্টেম্বর ইনটেকে আবেদন করতে পারেন।

বুলগেরিয়া-বেতন-কত

 বুলগেরিয়ার টিউশন ফি হলো অ্যাভারেজ ২৫০০ ইউরো থেকে ৪ হাজার ইউরোর ভেতরে আপনি গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারবেন । এবং মাস্টার্স এর জন্য অ্যাভারেজ তিন হাজার ইউরো থেকে ৬০০০ ইউরো পর্যন্ত লাগতে পারে । মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট এর জন্য যারা পড়বেন তাদের জন্য আরো একটু বেশি হতে পারে । ব্যাংক স্টেটমেন্ট অবশ্যই আপনার লাগবে প্রায় ১০ লাখ থেকে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চাইলে। তবে পরিষ্কার অর্গানিক ও অথেনটিক হতে হবে । অবশ্যই ধাপে ধাপে টাকা ব্যাংকে জমা করতে হবে । একসঙ্গে রাখা যাবে না এতে করে ভিসা না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে ।

উপসংহারঃ বুলগেরিয়া বেতন কত

এখানে স্কিল ওয়ার্কার ও নন স্কিল ওয়ার্কার দুই ধরনের কাজেরই সুযোগ রয়েছে । স্কিল ওয়ার্কার এর ক্ষেত্রে ইউরোপের সব দেশে ভাল চাহিদা রয়েছে । ননস্কিল ওয়ার্কার হিসেবে আপনি চাইলে রেস্টুরেন্ট , আপনি চাইলে এগ্রিকালচার , আপনি চাইলে কনস্ট্রাকশন , চাইলে কিচেন হেল্পার , সার্ভিস বয় , প্যাকেজিং  হেল্পার , ওয়েল্ডার  , মেশন ,কার্পেন্টার অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে । তবে আপনি যদি সিজিনাল ভিসায় আসেন তাহলে আপনি কখনো টিআরসি কার্ড পাবেন না বা কোন ডকুমেন্টস দিবে না ।

আপনি যে নির্ধারণ সময়ে সিজিনাল ভিসাতে আসবেন তারপর আপনাকে ব্যাক করতে হবে । আর আপনি যদি লং টার্ম ভিসাতে আসেন তাহলে আপনি কোম্পানির মাধ্যমে আসার ফলে টিআরসি কার্ড পাবেন । স্টুডেন্ট ভিসায় বুলগেরিয়া আসলে পড়াশোনা শেষে কাজের মাধ্যমে বসবাসের সুযোগ অর্থাৎ পিআরএ সুযোগ পাবেন । নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ এবং বসবাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার সুযোগও পাবেন । স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন পাওয়ার পর পরিবার আনতে পারবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url