আয়ারল্যান্ড বেতন কত জানুন আপডেট তথ্য

আয়ারল্যান্ড বেতন কত, আপনি যদি আয়ারল্যান্ডের অভিবাসন প্রত্যাশী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলটি লাইফ চেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। সাধারণত ইউরোপ মহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই আয়ারল্যান্ডে সব ক্যাটাগরির কাজের মান এবং বেতন অনেক বেশি।

আয়ারল্যান্ড-বেতন-কত

আয়ারল্যান্ড সরকার তাদের দেশের ওয়ার্কার সর্টেজ পূরণ করার জন্য ২০২৫ - ২৬ অর্থবছরে ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কার নেওয়ার রেক্রুটমেন্ট চালু করেছে । অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কথা ভেবে বাংলাদেশ প্রবাসীরা আয়ারল্যান্ড মুখী হচ্ছে  এবং সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই দেশটি।

পেজ সূচিপত্রঃ আয়ারল্যান্ড বেতন কত

আয়ারল্যান্ড বেতন কত

কাজের ভিসায় আসার সুযোগ হচ্ছে ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ আয়ারল্যান্ডে। বর্তমান সময়ে আয়ারল্যান্ড দেশটিতে দক্ষ শ্রমিকের বেশ ঘাটতি রয়েছে। যার ফলে দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে কাজের জন্য স্কিল ওয়ার্কার প্রয়োজন। আর এই সুযোগটা যথাসময়ে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ অথবা মিডিলিস্টের দেশগুলোতে কর্মরত যারা রয়েছেন তারা আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে আসতে পারবেন। তবে জেনে নেওয়া যাক আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক ভিসায় আসলে কি সুবিধা পাবেন। আয়ারল্যান্ড ধনী একটি দেশ। 

এই দেশটিতে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে আসলে আপনার মান্থলি স্যালারি হবে ৩০০০ থেকে ৫০০০ ইউরোর মধ্যে। যা বাংলাদেশী টাকায় তিন লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা মত। তাছাড়াও আয়ারল্যান্ড একটি ধনী দেশ হওয়ায় যেমন ভাল পরিমান একটি অর্থ আয় করতে পারবেন। তেমনি আপনার জীবনযাত্রার ব্যয় হবে কিছুটা বেশি। যদি আপনি আয়ারল্যান্ড ক্যাপিটাল শহরে থাকেন। সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে থাকা খাওয়া পোশাক-পরিচ্ছদ বিভিন্ন ট্যাক্স মিলিয়ে ভালো পরিমাণে একটি অর্থ খরচ হবে। এরপরও আপনি চাইলে প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা সেভ করতে পারবেন বা তারও বেশি হতে পারে।

সাধারণত আয়ারল্যান্ডে সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ৬০ হাজার থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত । আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসায় কয়েকটি ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে আর একেক ক্যাটাগরির কাজের বেতন একেক ভাবে নির্ধারণ করা থাকে। আপনার কাজের দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা থাকবে। সাধারণত আয়ারল্যান্ড কাজের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ।

তবে যদি কোন ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করে থাকে তাহলে সে প্রতিমাসে তিন লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবে। যারা নতুন অবস্থায় আয়ারল্যান্ড কাজের জন্য যাবে তারা ৬০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবে । কিন্তু যদি কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে নতুন অবস্থায় ৭০০০০ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার উপর ইনকাম করতে পারবে । মূলত আপনার কাজের ক্যাটাগরি এবং কাজের অভিজ্ঞতার উপর সম্পূর্ণ বেতন নির্ভর করে।

আয়ারল্যান্ড কোন কাজে চাহিদা বেশি

আয়ারল্যান্ড বেতন কত জানতে হলে আয়ারল্যান্ডে প্রচলিত কারেন্সি হচ্ছে ইউরো। অবাক করা তথ্য হচ্ছে , সমস্ত ইউরোপের মধ্যে ওয়ার্কারদের সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়ে থাকে ইউরোপের এই দেশটি। তো এইবার জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের কাজের উপর ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে আসা যায়। আপনি চাইলে দেশটিতে যে কোন কাজের উপর স্পন্সরশীপ নিয়ে এখানে আসতে পারবেন না। কারণ আইল্যান্ড সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কতগুলো  নির্দিষ্ট পেশার উপর ভিসা নিয়ে এই দেশটিতে আসতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে - সার্বিয়ায়  বেতন কত

যার মধ্য থেকে আমি শুধু "সিএসও" নিয়ে আলোচনা করব। যার অর্থ হচ্ছে ক্রিটিক্যাল স্কিল অকুপেশনস। যে সমস্ত পেশা আয়ারল্যান্ডে রয়েছে এগুলোর উপর আপনি আসতে পারবেন। লিস্টে যে কাজগুলো আছে তা হচ্ছেঃ

  • ডক্টর
  • নার্স
  • আইটি স্পেশালিস্ট
  • প্রোগ্রামার
  • ইঞ্জিনিয়ার এবং
  • হেলথ কেয়ার

 এর বিভিন্ন প্রফেশনাল এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং এইসব কাজের ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার দরকার হবে। অন্যদিকে কতগুলো টেকনিক্যাল প্রফেশনাল কথাগুলো বলা হয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি

  • ওয়েল্ডিং
  • প্লাম্বিং
  • পেইন্টিং
  • কনস্ট্রাকশন সেক্টরে

বিভিন্ন কাজের উপর আপনি আসতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার হবে না। তবে আপনার অবশ্যই বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা ও তার প্রমাণ পত্র স্বরূপ ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেটে অবশ্যই দরকার হবে।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

প্রত্যেক বছরেই একটা নির্দিষ্ট সময়ে আয়ারল্যান্ডের সরকার আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় প্রচুর শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। সাধারণত যখন আয়ারল্যান্ডে কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা কম থাকায় আয়ারল্যান্ড সরকার কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তখন আপনি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে অল্প খরচে সরকারিভাবে আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সাধারণত দুই ধরনের আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। একটি হল আয়ারল্যান্ড জেনারেল ওয়ার্ড পারমিট ভিসা এবং অপরটি হচ্ছে স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেকোনো কাজের অভিজ্ঞ লোকেরা এই আয়ারল্যান্ড জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। এই আয়ারল্যান্ড জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা "ইইউ" নাগরিকদের জব বা কাজ করার অনুমতি দিয়ে থাকে। 

তবে আপনাদের জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য যোগ্য হতে হবে আপনাকে কয়েকটি ধাপ বা ও উপায় অবলম্বন করতে হবে। স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা শুধুমাত্র দক্ষ - উচ্চ আন্তর্জাতিক কর্মীদের এই আয়ারল্যান্ড স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে থাকে। সাধারণত ক্রিটিকাল স্কিন এমপ্লয়মেন্ট পারমিটের অধীনে ন্যাচারাল , আইসিটি , সোশ্যাল সাইন্স , অধ্যাপনা , শিক্ষা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি শুধু এইসব ক্ষেত্রে বা এইসব বিষয়ে পেশাদাররা স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা খরচ কত

আয়ারল্যান্ড বেতন কত জানার পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা খরচ কত তা জানা আপনার জন্য জরুরী। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের স্বপ্ন ইউরোপ মহাদেশের কোন একটি দেশে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করবে। ইউরোপ মহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই আয়ারল্যান্ডের অবস্থা এবং কাজের মান অনেক ভালো। এজন্য হাজারো বাঙ্গালী কাজের জন্য যেতে চায়। সাধারণত আয়ারল্যান্ডে কাজের জন্য যেতে চাইলে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কানাডা যেতে কত টাকা লাগে - কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

তবে আয়ারল্যান্ড এর কাজের ভিসা প্রসেসিং করার আগে ভিসার খরচ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ সময়ের ব্যবধানে যখন ডলারের রেট কম বা বেশি হয় তখন ভিসার খরচ কম বা বেশি হয়। তবে আপনি যদি এম্বাসির মাধ্যমে কাজের ভিসা করতে চান তাহলে খরচ একটু কম হবে । আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে কাজের ভিসা করতে চান তাহলে খরচ একটু বেশি হবে। এজন্য অনেকে আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসার খরচ সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে। 

তাই এখন আপনাদের মাঝে আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ ত বিস্তারিত তুলে ধরব । বর্তমানে যদি আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসার জন্য ভারতের এমবাসির মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। এছাড়াও যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা করতে চান তাহলে ৬ লক্ষ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা খরচ হবে । মূলত এম্বাসিতে ভিসা করতে একটু কম খরচ হয় আর এজেন্সিতে ভিসা প্রসেসিং করতে একটু বেশি টাকা খরচ হয় ।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায়

বর্তমানে যারা আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অথবা কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকের আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় গুলো জানা থাকে না। আর তাই আয়ারল্যান্ড বেতন কত জানার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় সমূহ জেনে নেওয়া আপনার জন্য খুব জরুরী। সাধারণত আয়ারল্যান্ড কাজের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই আয়ারল্যান্ডের একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকতে হবে। 

আয়ারল্যান্ড-বেতন-কত-জানুন-আপডেট-তথ্য

তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য সার্কুলার অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে । এরপর ভিসা প্রসেসিং কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বিমানের টিকিট কেটে নিলেই খুব সহজে আয়ারল্যান্ড যেতে পারবেন । আপনি চাইলে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন । সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি যেতে পারেন তাহলে অনেক কম খরচে যেতে পারবেন । আর বাংলাদেশে অসংখ্য রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠিয়ে থাকে।

আয়ারল্যান্ড যেতে কোন কোন কাগজপত্র লাগে

আয়ারল্যান্ড ইউরোপের এই দেশে যাওয়া অনেকেরই স্বপ্ন। এই কারণে যে ইউরোপের যে দেশগুলোতে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডে দুই ধরনের ভিসা হয়। একটি হচ্ছে ক্রিটিকাল স্কিল এমপ্লয়মেন্ট ভিসা। আর অন্যটি হচ্ছে জেনারেল স্কিল এমপ্লয়মেন্ট ভিসা । ক্রিটিকাল স্কিল এমপ্লয়মেন্ট ভিসা সবাই পাবে না । যারা কাজে খুব দক্ষ অর্থাৎ যাদের কাজের দক্ষতা আছে তারা শুধু পাবে । 

আর জেনারেল স্কিল এমপ্লয়মেন্ট ভিসা মোটামুটি যারা কোনো কাজ পারে বা কোন একটি কাজে মিনিমাম দক্ষতা আছে তারা যেতে পারবে । আর এই দুই ধরনের ভিসায় আয়ারল্যান্ড যেতে হলে যে ধরনের কাগজগুলো লাগে তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  • আয়ারল্যান্ডের যেতে চাইলে সব প্রথমে একটা জব অফার লেটার লাগবে । অর্থাৎ আপনাকে সেই দেশে ক্রিটিক্যাল স্কিল এমপ্লয়মেন্ট বা জেনারেল স্কিল এমপ্লয়মেন্টে নিয়ে যাচ্ছে সেই কোম্পানি থেকে একটা জব অফার লেটার জমা দিতে হবে ।
  • একটা পাসপোর্ট। যার মেয়াদ থাকবে ন্যূনতম ৬ মাস এবং ৫ পৃষ্ঠা থেকে ৭ পৃষ্ঠা বাকি থাকতে হবে ।
  • এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • জব এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
  • হেলথ ইন্সুরেন্স
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে । আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলেও অবশ্যই  আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে ।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

 আপনাকে জেনে নিতে হবে আয়ারল্যান্ড বেতন কত পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তার একটি সঠিক ধারণা। বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড আসতে আপনাকে আবেদন করতে হবে হায়ার স্কিল ওয়ার্ক পারমিটে আর এই আবেদন ফি বাবদ আপনার ১০০০ ইউরো লাগবে। আর আপনি যদি জেনারেল ওয়ার্কারে আবেদন করতে চান সেখানেও ১০০০ ইউরো লাগবে। মনে রাখবেন এটা হচ্ছে শুধুমাত্র আবেদন ফি ।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে - বিস্তারিত

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে আপনার খরচ পড়বে মোটামুটি ভাবে পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত । কিন্তু আপনি যদি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে থাকেন তাহলে আপনার খরচ আরো বেড়ে যাবে অর্থাৎ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১০ লাখ টাকার মত । তবে আবেদন করতে গিয়ে যদি আপনি ব্যর্থ হন তাহলে আপনার আবেদন ফি ৯০% ফের ত পাবেন । অর্থাৎ আপনি ৯০০ ইউরো মত ফেরত পাবেন।

আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব  কিভাবে পাবেন

আয়ারল্যান্ডে আপনি যেতে চাইলে আপনাকে জানতে হবে আয়ারল্যান্ড বেতন কত এবং আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব কিভাবে পাবেন । আয়ারল্যান্ড পাসপোর্ট হচ্ছে সকল পাসপোর্টে মধ্যে মোস্ট ডিজাইরেবল পাসপোর্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে ছোট দেশ হল আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের বাহিরে জন্মগ্রহণকারী যারা বৈধভাবে বসবাস করতে চান। তারা এই দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। আইরিশ পাসপোর্ট পেলে আপনি ভিসা ছাড়া ১২৭ টি দেশ ঘুরতে পারবেন। যার মাঝে ১৪২ টি দেশ হচ্ছে ভিসা ফ্রি এক্সেস দিবে আপনাকে এবং ৩৪ টি দেশে ভিসা অনারেবল পাবেন ।

 আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট হচ্ছে ওয়ার্ল্ড রেংকিংয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে। আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে ন্যাচারালিজেশনের মাধ্যমে পাসপোর্টে এপ্লাই করতে চান তাহলে এটা নিয়েও জেনে নিন। ন্যাচারালিজেশনের মাধ্যমে আপনাকে পাসপোর্ট পেতে হলে অবশ্যই এই দেশে পাঁচ বছর বসবাস করতে হবে এবং এর মধ্যে এক বছর টানা আপনাকে এই দেশে থাকতে হবে । অর্থাৎ এই এক বছরের মধ্যে আপনি আয়ারল্যান্ডের বাহিরে কোথাও যেতে পারবেন না । 

এই এক বছর সময়টা পাঁচ বছরের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত । আপনি যদি একজন আইরিশ নাগরিককে বিয়ে করে থাকেন তাহলে আপনি তিন বছর পরে এই আবেদনটি করতে পারবেন । এপ্লিকেন্ট প্রতিবছরে ১৫০ পয়েন্টে স্কুলে পৌঁছাতে হবে । রেসিডেন্সি ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে ক্যালকুলেট করে দেখতে পারবেন আপনি এই মুহূর্তে ন্যাচারালাইজেশনে এপ্লাই করতে পারবেন কিনা । এইভাবে আপনি আয়ারল্যান্ডে নাগরিকত্ব গ্রহণ করে বসবাস করার সুযোগ পাবেন।

আয়ারল্যান্ড জব অফার পাওয়ার প্রক্রিয়া

আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট কিভাবে কোন পদ্ধতিতে পাওয়া যায় অর্থাৎ আয়ারল্যান্ড জব অফার পাওয়ার প্রক্রিয়া এই বিষয়টি সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। ইউরোপীয় ইকোনমিক এরিয়ার বাহিরে দেশগুলো থেকে আয়ারল্যান্ড সরকার প্রতিবছর হাজার হাজার লোক নিয়ে থাকে । বাংলাদেশ থেকে বা ইউরোপীয় ইকোনোমিক এরিয়ার বাহিরে দেশগুলো থেকে সরাসরি আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন না । এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি জব অফার লেটার বা জব কন্ট্রাক্ট । এখন প্রশ্ন হলো জব অফার লেটার বা জব কন্টাক্ট আপনি কিভাবে পাবেন?

 আয়ারল্যান্ডের জব অফার লেটারটি পাওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি মাধ্যমে খোঁজ করতে হবে । যেমনঃ নিকট আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে। এছাড়া আপনি বিভিন্ন জব সাইটের মাধ্যমে কভার লেটার বা রেজমির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। আয়ারল্যান্ডের কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বা ব্যক্তি যদি তাদের কর্মীর প্রয়োজন হয় । সেই ক্ষেত্রে আপনার কভার লেটার বা রেজুমিটি দেখে যদি মনে হয় তাদের কাজের জন্য আপনি কোয়ালিফাইড ।

আয়ারল্যান্ড-জব-অফার-পাওয়ার-প্রক্রিয়া

তাহলে তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। প্রয়োজনে তারা আপনার ইন্টারভিউ নিতে পারে। এরপর তারা যদি আপনাকে উপযুক্ত ক্যান্ডিডেট মনে হয়  , তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইবে এবং আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আয়ারল্যান্ডের যথাযথ কর্তৃপক্ষের "ডিপার্টমেন্ট অফ এন্টারপ্রাইজ ট্রেড এন্ড ইমপ্লয়মেন্ট" [DETE] এর কাছে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে। আপনার নামে ওয়ার্ক পারমিট হয়ে গেলে ওয়ার্ক পারমিটের কপি অর্থাৎ কোম্পানির জব অফার লেটার আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবে।

শেষ কথাঃ আয়ারল্যান্ড বেতন কত

আয়ারল্যান্ড একটি ইংলিশ কান্ট্রি। উচ্চ আয় , আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির দেশ আয়ারল্যান্ড। ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রটি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রযুক্তির খাত ও রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় শ্রেষ্ঠ জায়গাটি পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। দেশটিতে প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশিদের বসবাস। রাজধানী ডাবলিনের পাশাপাশি কর গ্যালিলিও তে বড় হচ্ছে বাংলাদেশী কমিউনিটি। একই সঙ্গে বাড়ছে প্রবাসীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে নতুন  কর্মসংস্থান।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সুনাম অর্জনের কারণে আইরিসদের কাছে বাড়ছে বাংলাদেশী খাবারের কদর । পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাফল্যের গল্প । পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে আয়ারল্যান্ডে ব্যবসায় সাফল্যের ভিত তৈরি করেছে বাংলাদেশীরা এবং দিন দিন বাড়ছে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশী কমিউনিটি । উন্নত জীবনযাপন এবং সন্তানদেরকে শিক্ষাগ্রহণের জন্য দেশটি পছন্দের তালিকায় অনেকের।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url