বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে - বিস্তারিত
write poth
১৭ অক্টো, ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। বাংলাদেশী বসবাসকারী আমরা অনেকেই
উন্নত জীবন যাপনের আশায় আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। কেউ সেখানে কাজ করতে যায়,
কেউ ভ্রমণ করতে, কেউ পড়াশোনা করতে , কেউ আবার চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য।
যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন । তাদের মনে একটি প্রশ্ন বাংলাদেশ থেকে
আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ? আমেরিকার ভিসার খরচ কত? বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে
কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করবে বেশ কিছু বিষয়ের উপর । যেমনঃ ভিসা ক্যাটাগরি ,
ভিসার মেয়াদ , লোকেশন ইত্যাদি।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে।
স্টাডি ভিসা , ওয়ার্ক পারমিট ভিসা , মেডিকেল ভিসা , টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি । তবে
ভিসার ধরন ভেদে আবেদনের খরচও আলাদা । বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ আছেন যারা
আমেরিকার ভিসা করতে চান। কিন্তু আমেরিকার ভিসা করতে বাংলাদেশ থেকে কত টাকা খরচ
হয় , তা আপনারা অনেকেই জানেন না। আমি আমেরিকার ভিসা খরচ সম্পর্কে কিছু ধারনা
দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আর এখানে আমি যে ধারণাটি দিবো সেটি আপনার সর্বনিম্ন একটি খরচ। তবে দালাল বা
এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনার টাকার পরিমান অনেক বেশি হতে পারে
। তবে আমি এখানে নরমাল যে খরচ হয় সেটি উল্লেখ করার চেষ্টা করব । আর আপনার যদি
আমেরিকাতে নিকট আত্মীয় থাকে তাহলে তার মাধ্যমে আমি যদি ভিসা করেন । আপনার ভিসা
খরচ অনেক কম পড়বে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে আপনি আমেরিকা যেতে চান ।
তাহলে খরচ হবে ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই খরচটি হচ্ছে আপনার বেসিক বা
নরমালি যে খরচটা হয় অর্থাৎ মূল খরচ। বা আপনি নিকট আত্মের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে
আপনার এর বেশি খরচ হয় না। যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ ২০
থেকে ২৮ লক্ষ মত হয়ে যায়। আবার তা কখনো কখনো ৩০ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে
আপনার ১২ লক্ষ টাকা বাজেট থাকলে আপনি যেতে পারবেন আমেরিকাতে।
আমেরিকাতে ভিসা ক্যাটাগরি কি কি
পৃথিবী অন্যতম সুন্দর এবং শক্তিশালী দেশ আমেরিকা । দেশটিতে চাকরি , পরিবার ,
শিক্ষা সহ বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় রয়েছে । যারা
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে চান তাদের জন্য বেশ কয়েকটি ভিসার মধ্যে হলঃ
স্টুডেন্ট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা ইউ এস এ যেতে চাইলে আপনাকে ১৯
হাজার ১৪৭ টাকা দিয়ে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং একটি উচ্চ
আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে। যখন আপনার একাডেমিক ভালো ফলাফল এবং উচ্চ আই ই এল টি
এস স্কোর থাকবে তখনই আপনি এই ওয়েবসাইটে গিয়ে https//bd.USembassy.gov/visas/ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।তারপর ওই কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করবে যে আসলে
আপনার ফলাফল ভালো আছে কিনা এবং ভালো ielts আছে কিনা । তারপরে আপনাকে
সিলেক্ট করবে ওই কর্তৃপক্ষ।
কাজের ভিসাঃ ইউএস এ ওয়ার্ক ভিসা বা বাংলাদেশ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে্
২২হাজার ১৪৭ টাকা দিয়ে মার্কিন কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যে চাকরির
জন্য আমেরিকা যেতে চান সেই কাজ সম্পর্কে আপনার গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ যখন
আপনাকে সিলেক্ট করা হবে । তার আগে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করা হবে ।
আসলে আপনি ওই কাজের জন্য উপযুক্ত কি না।
টুরিস্ট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে যারা টুরিস্ট ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসতে
চান তাদের জন্য ১৯১৪৭ টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে । একটি টুরিস্ট ভিসা
পাবেন যার মেয়াদ থাকবে ছয় মাসের জন্য। এর জন্য নেপাল , ভারত , ভুটান ইত্যাদি
কিছু দেশে ভ্রমণের জন্য আপনার নথির প্রয়োজন হবে । আমেরিকা যাওয়ার জন্য
সবচেয়ে সহজ পন্থা হবে এই টুরিস্ট ভিসা।
মেডিকেল ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে যারা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান
তাদের ১৯১৪৭ টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে । এই ভিসা পেতে হলে মেডিকেল
সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে এবং যে রোগের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা আসতে চান সেই
কাগজ -পত্র লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার বিমান ভাড়া কত
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার বিমান ভাড়া জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে,বাংলাদেশ থেকে
আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। আমেরিকা অনেকে স্বপ্নের দেশ । বিশেষ করে বাংলাদেশ ও
এশিয়া অঞ্চলে মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের এই দেশটি
। একটা সময় ছিল বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা কে মনে করা হতো চাঁদের দেশ। বাংলাদেশ থেকে
আমেরিকার যেতে হলে ওয়াশিংটনে বিমান ভাড়া ১৬০০ ডলার থেকে ১৮০০ ডলার।
ডালাসের বিমান ভাড়া ১৮০০ থেকে ১৮৫০ ডলার । নিউইয়র্কের বিমান ভাড়া
১৪০০ থেকে ১৬০০ ডলার। শিকাগোর বিমান ভাড়া ১৪০০ থেকে ১৬৫০ ডলার। বোস্টনের বিমান
ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার। ফ্রান্সিসকোর বিমান ভাড়া ১৮০০ থেকে ২০০০ ডলার।
ইসেটানের বিমান ভাড়া ১৭০০ থেকে ১৯০০ ডলার । লস এঞ্জেলোসের বিমান ভাড়া ১৬০০ থেকে
১৯০০ ডলার। তবে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা আপনি সরাসরি বিমানে যেতে পারবেন না। মাঝে
আপনাকে ট্রানজিট নিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
বিশ্বায়নের যুগে পরিবর্তন হচ্ছে পৃথিবী । বর্তমানে আমেরিকাতে চাকরি , পরিবার ও
শিক্ষা সহ বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ সুযোগ রয়েছে । যার
মধ্যে অন্যতম উপায় হচ্ছে এমপ্লয়মেন্ট বি সিরিজ। যারা আমেরিকাতে স্থায়ীভাবে
চাকরির ভিসা পেতে আগ্রহী । তারা ইবি সিরিজের ১ থেকে.৫ পর্যন্ত ক্যাটাগরিতে আবেদন
করতে পারবেন। এমপ্লয়মেন্ট বেস্ট সিরিজ - ১ এর মধ্যে কেউ আমেরিকায় প্রবেশ করতে
চাই তাহলে কোন বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা ও বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকতে হবে
।
এছাড়াও গবেষণার ক্ষেত্রে ভাল দক্ষতা থাকলে গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের চাকরির
জন্য ভিসা পাওয়া যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয় ।
ইবি -২ এর মাধ্যমে আমেরিকা যেতে কোন ব্যক্তির যদি কোন ব্যতিক্রমী দক্ষতা বা
উচ্চতর শিক্ষা থাকে। তাহলে তিনি স্থায়ী চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে
আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ওই ব্যক্তির কাছে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে ।
ইবি-৩ এই ক্যাটাগরিতে দক্ষতা বিষয়ে আমেরিকার কোন প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার
লেটার থাকতে হবে।
কিন্তু এই বিষয়ে আমেরিকায় কর্মী পাওয়া সহজ কিনা যাচাই করে নিতে হবে। কারণ
সেখানে দক্ষ জনবল থাকলে আপনি ভিসা আবেদন পাবেন না। ইবি - ৪ এই ক্যাটাগরিতে বিশেষ
প্রবাসীদের ভিসা দিয়ে থাকে। আমেরিকা দেশটির ইমিগ্রেশন এন্ড ইনস্টালিটি অ্যাট
উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাটোর সাবেক কর্মী বা নাটোর সাবেক কর্মীর
স্পাউস, চিকিৎসা , সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য্ , ইরাক ও আফগানিস্তানের ভাষা জানেন এবং
ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারেন এমন ব্যক্তি।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা কর্মী ও অন্যতম। এর জন্য চাকরির অফার লেটার দরকার
হয় না। ইবি ৫ আপনার যদি আমেরিকায় গিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার মত অর্থ থাকে ।
তাহলে ভিসা পেতে পারেন । তবে এই ক্যাটাগরিতে আপনাকে ভিসা পেতে হলে কমপক্ষে ১০ জন
আমেরিকা বাসিকে চাকরি দেওয়ার সমর্থন থাকতে হবে। এমনকি বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি
টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। তবে আরও কয়েকটি সুযোগে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে
যেমন কর্মসংস্থান ভিত্তিক।
আমেরিকা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি আর চাকচিক্যময় জীবনের জন্য অনেকের
আকাঙ্ক্ষিত এক গন্তব্য হচ্ছে আমেরিকা। বিশ্বের সবকয়টি রাষ্ট্রের মধ্যে আমেরিকা
অন্যতম। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা
পাওয়া যায়। বিশেষ করে স্টুডেন্ট ভিসা, আমেরিকান ভিজিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা সহ
বিভিন্ন কাজের ভিসায় বাংলাদেশ থেকে লোকজন আমেরিকা যায়। আর আমেরিকার ভিসা
পাওয়ার জন্য কিন্তু বিশেষ যোগ্যতা অবশ্যই লাগে।
সুতরাং সবচেয়ে আগে জানতে হবে যে আমেরিকা যাওয়ার বা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি?
ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা গুলো হলঃ
ইংরেজি ভাষায় অনেক দক্ষতা থাকতে হবে এবং ইংরেজি কথা বলা খুব সহজে জানতে হবে
।
সব শেষ ইন্টারভিউ দক্ষতাই পাস করতে হবে ।
এরপর আপনাকে একটা ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে । অবশ্যই এই ফর্মের
মাধ্যমে তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে ।
ছয় মাসের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে । পাসপোর্টের পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকা
বাধ্যতামূলক।
অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
মেডিকেল রিপোর্ট ।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ।
বৈধ ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে ।
ভিসা ফি প্রাপ্ত রশিদের নম্বর লাগবে।
আইইএলটিএস এ উত্তীর্ণ হতে হবে ।
টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এটা জানা যেমন আপনার খুব প্রয়োজন। তেমন
জেনে নিতে হবে আপনাকে টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? আমেরিকাতে ভিসা
পাওয়ার জন্য মূলত ব্যাংকের কত টাকা থাকা প্রয়োজন এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আমেরিকাতে টুরিস্ট ভিসা বা বিজনেস ভিসার জন্য B1 ও B2 ক্যাটাগরিতে এপ্লাই
করতে হয়। মূলত B1 হচ্ছে আপনার বিজনেস মিটিং এর জন্য বা যেকোনো ধরনের বিজনেস
ইনভিটেশন এর পেয়ে আবেদন করে তাদেরকে বলা হয় B1 ক্যাটাগরি।
আর B2 ক্যাটাগরি হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা। তাই আমরা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে আলোচনা করব
। মূলত আপনি যদি আমেরিকার পছন্দ অনুযায়ী টুরিস্ট ভিসা করতে চান তাহলে
আপনাকে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভিসার জন্য খরচ করতে হবে । এই টাকা টা শুধু
ভিসা অ্যাপ্লাইয়ে খরচ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই এজেন্সির মাধ্যমে টুরিস্ট
ভিসা করে থাকেন । আর তাই আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে এটি করে থাকেন। তাহলে আপনার
বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য যাবতীয় খরচ সহ আপনার খরচ পড়তে পারে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে
ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ।
মূলত B2 টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার থাকতে হবে ভিজিট ।
আপনি যে রিয়েলি একজন ট্রাভেলার । রিয়েলি একজন টুরিস্ট । সেটা কিন্তু আপনাকে
প্রুফ করতে হবে । তাই এই প্রুফ করার জন্য আপনাকে ইন্ডিয়াতে ভিজিট করেছেন বা দু
এক দেশ ভ্রমণ করে আবেদন করে ফেললেন আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য এমনটি নয় । আপনাকে
রিয়েল ট্রাভেলার প্রুফ করার জন্য বছরের দু-একবার ফ্রিকুয়েন্টলি ভ্রমণ করতে হবে
বিভিন্ন দেশে ।
এইরকম একটা ট্রাভেল হিস্ট্রি থাকা আপনার প্রয়োজন। ট্র্যাভেল হিস্ট্রি
বানানোর জন্য আপনাকে এশিয়ার কান্ট্রি গুলো ভিজিট করা প্রয়োজন । এর মধ্যে রয়েছে
মালেশিয়া , সিঙ্গাপুর , থাইল্যান্ড , দুবাই জাপান , কোরিয়া এসব দেশে ভিজিট ভিসা
পেয়ে যান । তাহলে আপনার প্রোফাইল অনেক স্ট্রং হয়ে যাবে । আমেরিকার ভিসা নির্ভর
করে ভিসা কনসিলারের উপর এবং ইন্টারভিউ এর উপরে। আর আপনি নিজে DS 160 ফরম টি ফিলাপ
করবেন । এতে করে ইন্টারভিউ এর সময় আপনার প্রশ্নের উত্তর গুলো দিতে সহজ হবে।
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ও যাওয়ার উপায়। আমেরিকায় স্টুডেন্ট
ভিসার কথা বলি । স্টুডেন্ট ভিসায় হোক ব্যাচেলার, হোক মাস্টারস , কত টাকা খরচ হয়
। এটা জানা আপনার জন্য খুব প্রয়োজন। এপ্লিকেশন ফি ব্যাচেলার এর ক্ষেত্রে অনেক
ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি থাকে আবার মাস্টার্স এর ক্ষেত্রে ফ্রি কম থাকে। তারপরে ধরে
নেওয়া হল আপনার অ্যাপ্লিকেশন ফি ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা । আপনাকে এম্বাসিতে জমা
দিতে হবে প্রায় ২৩ হাজার টাকা ।
এছাড়া সেভিংস ফি ৩৫০ ডলার । এছাড়া অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক খরচ মিলে ৮০
থেকে ১লক্ষ টাকা খরচ হবে। তা ভিসা হওয়ার আগে । এটা অনার্স হোক অথবা
মাস্টার্স অফ দুইটার ক্ষেত্রে মোটামুটি ভাবে এই খরচ প্রযোজ্য । শুধুমাত্র
অ্যাপ্লিকেশন ফি যেটা সেটার মধ্যে পার্থক্য থাকে অনার্স এবং মাস্টার্সের জন্য।
তবে স্পাউস সহ আসলে কত টাকা খরচ হয় সেটা আরেকটি জানার জায়গা। তা হল
এক্সট্রা কোন খরচ তেমন নেই। এক্সট্রা যে খরচ হয় সেটা হল এম্বাসি ফি , ভিসা ডেট
নেওয়ার জন্য আপনার যে ফি দিবেন F1 এর জন্য। আপনার কাছে যে F2 থাকবে তার জন্য
আরেকটা এম্বাসি জমা দিতে হবে।
এক্সট্রা খরচ বলতে শুধুমাত্র এপ্লিকেশন ফি দিতে হবে। এরপর আসি টিউশন ফি। এটা
ইউনিভার্সিটির অনুযায়ী তা পার ইয়ার ১০ হাজার ডলার কোথাও ১২ হাজার ডলার আবার ১৫
হাজার ডলার হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে যে ইউনিভার্সিটিতে পড়বেন সেখানে ছয় মাসের
টিউশন ফি আনতে হয় । চলাফেরার জন্য , থাকা খাওয়ার জন্য যে খরচ টা হবে তা আপনাকে
নিয়ে আসতে হবে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশী টাকায় আপনি ছয় মাসের জন্য ১২ থেকে ১৫
লাখের মধ্যে আসতে পারবেন ।
আমেরিকাতে কি কি কাজের চাহিদা বেশি
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে তা জেনে নিয়ে। আমেরিকাতে কি কি কাজের
চাহিদা বেশি সেটিও জেনে নিতে হবে। আমেরিকাতে সব ধরনের কাজে চাহিদা রয়েছে। তবে
এখানে যারা বৈধ হয়েছেন , পেয়ার পেয়েছেন , গ্রীন কার্ড হোল্ডার তাদের জন্য
এক ক্যাটাগরি। আর যারা অবৈধভাবে আছেন অর্থাৎ যাদের কাগজপত্র সঠিকভাবে এখনো
প্রস্তুত হয়নি তাদের জন্য আর এক ধরনের ক্যাটাগরি অর্থাৎ স্যালারির ক্ষেত্রে।
টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কাজ করেন যারা তাদের আবার রয়েছে আর এক ক্যাটাগরি। তবে
আমেরিকাতে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তির কাজের জন্য চাহিদা বেশি। এখানে যে
কাজগুলো করতে পারবেন অর্থাৎ আমেরিকাতে যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি তা হলঃ
কনস্ট্রাকশন সাইডে
ইলেকট্রিশিয়ান
Plumber
পেইন্টার
গ্রোসারী স্টোর জব
তেলের পাম্পে জব
আইটি স্পেশালিস্ট
ডাক্তার
নার্স
ইঞ্জিনিয়ার
ওয়েব ডেভলপার
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ড্রাইভিং
শেইফ
হোটেল বাই রেস্টুরেন্টে জব
আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত
আমেরিকাতে যারা বৈধ হয়েছেন । পেয়ার পেয়েছেন বা গ্রীন কার্ড হোল্ডার তাদের জন্য
কাজের সেলারি বেশি এবং তারা সর্বোচ্চ বেতনে জব করতে পারবেন । তাদের ফ্যাসিলিটি
বেশি এবং ১৫ থেকে ১৬ ডলার নিম্নে বেতন পেয়ে থাকেন। সর্বোচ্চ বেতন ১০০ ডলার প্রতি
ঘন্টায় কাজ করে পেয়ে থাকেন। যারা আইটি স্পেশালিস্ট যেমনঃ আইটি
প্রোগ্রামিং , ওয়েব ডেভলপার ,গ্রাফিক্স ডিজাইন , অ্যাপস ডেভলপার এই জব সেক্টরে
আমেরিকাতে সর্বোচ্চ বেতনে এখানে চাকরি করতে পারে। ১০০ ডলার পর্যন্ত পার ঘণ্টায়
হয়ে থাকে। ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিইয়ার,পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার অর্থাৎ সব
ধরনের ইঞ্জিনিয়ার আছে তাদের বেতন সর্বনিম্ন ৫০ ডলার হয়ে থাকে।
তবে যারা ডাক্তার এফসিপিএস বা আরো হাই কোয়ালিটির তারা ১০০ ডলার পার
ঘণ্টায় পেয়ে থাকেন। একটি কথা না বললেই নয় সেটি হল আপনি যে কাজ করেন না কেন
আপনাকে ওই দেশে ট্রেনিংপ্রাপ্ত হতে হবে।তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সেফের কাজ
শিখে যেতে পারেন এবং ড্রাইভিং এ ভালো প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে আমেরিকাতে আপনি ভালো
বেতনে চাকরি করতে পারবেন । মনে রাখতে হবে , আপনাকে কাজের জন্য অবশ্যই একমাস থেকে
তিন মাস একটা কাজের জন্য ট্রেনিং নিতে হবে ।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
আমেরিকার জীবন অনেক ব্যয়বহুল । এখানে থাকা-খাওয়া সব মিলে একটা অন্যরকম
ব্যয়বহুল জীবন কাটাতে হয় । আমেরিকাতে কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজ করতে গেলে
আমেরিকার রুল অনুযায়ী সর্বনিম্ন বেতন ১৫ ডলার থেকে শুরু হয়। এখানে কাজকে ছোট
বড় করে তুলনা করা হয় না । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক নম্বর ,দুই নম্বর কাজ বলে
সম্বন্ধ করে থাকে। প্রতিটি কাজ আমেরিকাতে সমান চোখে দেখে ও কাজকে সম্মান দেয়।
তবে কাজের দক্ষতার সাথে সাথে কাজের বেতন বাড়তে থাকে। যেমনঃ ১৫ ডলার দিয়ে শুরু
হলে কিছুদিনের মধ্যে তা ২০ ডলার হয়ে যায়। আপনি যদি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা কাজ করেন
আর আপনার স্যালারি .১৫ ডলার হয় তাহলে দেখা যায় সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করে এতে
মাসে আপনার স্যালারি আসবে প্রায় তিন হাজার ডলার। তবে এখানে মান্থলি কোন স্যালারি
হয় না। এখানে স্যালারি হয় উইকলি বা বাই উইকলি অর্থাৎ সপ্তাহে বা ১৫ দিনে
স্যালারি পেয়ে থাকা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url