এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - এস্তোনিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা । এস্তোনিয়া হল ইউরোপের মধ্যে অবস্থিত একটি সেনজেন ভুক্ত দেশ।  আপনি কি ইউরোপে কাজের জন্য স্বপ্ন দেখছেন? আপনি কি চান আধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর চমৎকার সমৃদ্ধ একটি দেশে জীবন গড়তে? তাহলে আপনার জন্য হতে পারে  এস্তোনিয়া সেরা অপশন।

এস্তোনিয়া-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা

এস্তোনিয়া সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকেন। দেশটিতে দিন দিন কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে । তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন। আপনাদের জন্য আজকে এই আর্টিকেলটি।  

পেজ সূচিপত্রঃ এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনারা যারা এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু তার আগে জানতে হবে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কোন কোন কাজের ভিসা গুলো রয়েছে । আর একটি কথা হচ্ছে , যে কাজের ভিসার মাধ্যমে যান না কেন সে ভিসার মেয়াদ থাকে মাত্র এক বছর । তাহলে বুঝতেই পারছেন এক বছর পর সেই ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে। যাই হোক বন্ধুরা আমরা জেনে নেই,  ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কোন কোন কাজগুলোর ভিসা রয়েছে। 

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে যেমনঃ প্রথমে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা । এরপর আছে ক্লিনারিং ভিসা। তৃতীয়তে আছে কৃষি ভিসা ও গার্মেন্টস ভিসা। তাহলে বুঝতেই পারছেন  ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে এই সকল কাজের ভিসা গুলো রয়েছে। এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ কথা জানার প্রয়োজন। সেটি হচ্ছে আপনি যে ধরনের কাজের ভিসার মাধ্যমে যান না কেন , অবশ্যই সে কাজের ভিসার উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন।

এস্তোনিয়া বেতন কত

এই বিষয়টি আসলে ভিসার উপর নির্ভর করে। কোন ভিসায় কি কাজের মাধ্যমে যাবেন তার উপর নির্ভর করে। আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে বিভিন্ন কাজের ভিসা জানতে পেরেছেন । তাহলে বুঝতেই পারছেন কোন কাজের উপর বেতন কেমন হবে। যেমনঃ ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা এবং কৃষি ভিসায় ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি এস্তোনিয়ায় এবং বেতনও অনেক বেশি। এ সকল ভিসা গুলোতে যদি ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে। তাহলে প্রতি মাসে বেতন পড়বে বাংলাদেশী টাকায় এক লক্ষ আশি হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকার মত। 

আর ক্লিনার ভিসা,গার্মেন্টস ভিসাতে  ডিমান্ড থাকলেও তেমন খুব একটা স্যালারি পাওয়া যায় না । তার পরেও এই সকল ভিসাতে এস্তোনিয়া সর্বনিম্ন বেতন দিয়ে থাকে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকার মতো। এস্তোনিয়াতে যারা কন্সট্রাকশনের কাজ করে থাকেন তারা মাসে ৮০০ থেকে ১২০০ ইউরো আয় করে থাকেন। আর যারা বাসা বাড়ি সহ অন্যান্য কাজ করে থাকেন তারা প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ৯০০ ইউরো বেতন পান। 

আরো পড়ুনঃ  দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে - ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া 

আবার যারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ওয়ার ডেভেলপমেন্ট , নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার  এবং প্রোগ্রামার তারা প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ১৫০০ ইউরো পর্যন্ত বেতন পান। এছাড়াও যাদের শিক্ষকতা যোগ্যতা ভালো রয়েছে এবং কোন কাজের বিষয়ে ভালো দক্ষতা রয়েছে তারা এস্তোনিয়াতে গিয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা  এস্তোনিয়াতে অনেক বেশি। এখানে ইংরেজি ভাষা প্রচুর ব্যবহৃত হয়।

এস্তোনিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী

এস্তোনিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী বলতে বাংলাদেশীদের জন্য এস্তোনিয়া ভিসা কেমন হবে? আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে চাচ্ছেন। তারা যদি বাংলাদেশে এস্তোনিয়া ভিসা এজেন্সি বা অফিসে গিয়ে কোন কিছু জানতে চান তাহলে জানতে পারবেন। এছাড়া যদি এস্তোনিয়ার আরও বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে https://visathing.com/estonia.com এই ওয়েবসাইটে ঢুকে সকল ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। 

আপনি বাংলাদেশ থেকে চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে আবেদন করে অল্প টাকা খরচে এস্তোনিয়াতে  যেতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে জব ওয়েবসাইটে গিয়ে জব সার্চ করে আপনি আবেদন করতে পারবেন। আপনার আবেদন পেপারে সকল তথ্য সঠিক থাকলে খুব সহজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন এবং আপনি এম্বাসি ফেস করে খুব সহজে এস্তোনিয়াতে অল্প টাকায় যেতে পারবেন। এছাড়াও বাংলাদেশে অসংখ্য রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে । 

যারা এস্তোনিয়াতে কম টাকায় পাঠিয়ে থাকেন। অবশ্যই রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন।এস্তোনিয়াতে কয়েক ধরনের ভিসা ব্যবহার করে খুব সহজে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়াতে যেতে হলে টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এই ভিসা গুলোর মাধ্যমে যেতে পারবেন। এই ভিসা গুলো ব্যবহার করে ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়াতে খুব সহজে যাওয়া সম্ভব। এস্তোনিয়া হতে পারে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ একটি দেশ। 

দেশটির সরকার তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পুরোপুরি আন্তর্জাতিক করে তোলার চেষ্টা করছে। এইজন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তারা স্বাগত জানাচ্ছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে ব্যাচেলার, মাস্টারস , পিএইচডি , ডক্টরাল ও শর্ট কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া এস্তোনিয়াতে কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যার কারণে প্রবাসীদের জন্য এই দেশটি অনেক পছন্দের। আর বাংলাদেশীদের জন্য হতে পারে এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য।

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে 

এস্তোনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে হলে এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত অনেক এজেন্সি রয়েছে । তাদের মাধ্যমে এস্তোনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ৭ থেকে ১০লক্ষ টাকার মত খরচ হয়ে থাকে । তবে কেউ যদি দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করে থাকেন তাহলে তার খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত। তবে জেনে রাখা ভালো, বর্তমানে এস্তোনিয়া ভিসা ফি হিসেবে ১২০ ইউরোর মত নেওয়া হচ্ছে।

এস্তোনিয়া-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা

এস্তোনিয়া লোকবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে । বিভিন্ন দেশ থেকে এই দেশে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার হলে অনেকেই এখানে যেতে চাচ্ছে এবং মোটামুটি ভালো একটি বেতন উন্নত জীবনযাপনের আশায় অনেকে এস্তোনিয়া পাড়ি জমাচ্ছে । আপনি যদি সরকারিভাবে বৈধ উপায়ে ভালো একটা রিক্রুটিং এজেন্সি যাদের RLনাম্বার আছে। যাদের বৈধ লাইসেন্স আছে । যারা মূলত বাংলাদেশ নির্ধারিত লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত । তাদের মাধ্যম দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন । এতে করে আপনার প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিটে কেন আবেদন করবেন

আপনি এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট কেন আবেদন করবেন।এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, তা দ্রুত প্রসেসিং হয় অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায়। কাজের পাশাপাশি বসবাসের সুযোগ আছে। পরিবার নিয়ে আসার সুযোগ আছে। কয়েক বছরের মধ্যে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা পেয়ারে আবেদন করার সুযোগ আছে। এস্তোনিয়াতে ওয়ার্ক ভিসাতে আসা যায় খুব ভালোভাবে। এস্তোনিয়া ইউরোপে একটি দেশ। এটি একটি বালটিক সাগরের পূর্বে অবস্থিত।

আরো পড়ুনঃ নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে - নিউজিল্যান্ড কৃষি ভিসা

এর আশেপাশের দেশগুলো হচ্ছে ফিনল্যান্ড , রাশিয়া , লাটভিয়া । এস্তোনিয়া একটি সেনজেনভুক্ত দেশ । এখানে আপনি আসতে পারলে অন্যান্য সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে অবাধে ঘুরতে যেতে পারবেন। তাই  ওয়ার্ক পারমিট থাকলে আপনি যা যা পাবেন তা হলঃ

  • পূর্ণকালীন কাজের অধিকার।
  • সামাজিক সুবিধা ।
  • স্বাস্থ্য বীমা ।
  • পেনশন বীমার সুবিধা ।
  • ইউরোপের অন্যান্য দেশে সহজে ভ্রমণের সুবিধা ।

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিটের ধরন

এস্তোনিয়া সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে লোক নিয়ে থাকেন । তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন । তাদের অবশ্যই এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। ওয়ার্ক পারমিটের ধরন সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

  • শর্ট টাইম এমপ্লয়মেন্ট বা টেম্পোরারি ওয়ার্ক পারমিটঃ যা ৩৬৫ দিন পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। দ্রুত প্রসেসিং এবং সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদিত হয়।
  • লং টার্ম এম্প্লিমেন্ট বা টেম্পোরারি রেসিডেন্সি পারমিট ফর এমপ্লয়মেন্টঃ যা এক থেকে দুই বছরের বেশি ভিসার  ব্যবস্থা করে থাকে। যা নবায়নযোগ্য। দীর্ঘমেয়াদী চাকরির অফারের ভিত্তিতে ইস্যু হয়।
  •  স্টাট অফ ভিসাঃ যদি নিজে উদ্যোগ শুরু করতে চান । প্রযুক্তি ইনোভেটিভ ব্যবসার জন্য।
  • ই ইউ ব্লু কার্ডঃ হাইলি স্কিলড ওয়ার্কার্স এর জন্য। উঁচু বেতনের পেশাদারীদের জন্য এক্সপেজ পারমিট। 

এস্তোনিয়া যেতে কি কি লাগে

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই এস্তোনিয়া সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে হবে । জেনে নিতে হবে আপনাকে বাংলাদেশীদের জন্য এস্তোনিয়াতে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। কি কি  কাজের চাহিদা আছে? সবকিছু অনলাইন থেকে জেনে নিয়ে আপনি  যদি ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে চান । তাহলে যে শর্তগুলি থাকতে হবে তা হচ্ছেঃ
  • বৈধ পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী হতে হবে।
  • বৈধ চাকরির অফার লেটার অর্থাৎ এস্তোনিয়ার কোন এক কোম্পানির কাছ থেকে আপনাকে একটি চাকরির অফার লেটার পেতে হবে ।
  • কোম্পানির পক্ষ হতে রেজিস্ট্রেশন কনফারেশন থাকতে হবে ।
  • নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ।
  • প্রাসঙ্গিক দক্ষতা অর্থাৎ আপনি যে কাজ সম্পর্কে যাবেন সে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে
  • ইংরেজি ভাষায় মৌলিক দক্ষতা। বিশেষ করে নির্দিষ্ট পেশা এর জন্য ।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ।
  • স্বাস্থ্য বীমা ।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
  • জন্ম নিবন্ধন পত্র ।
  • বসবাসের প্রমাণপত্র । অর্থাৎ আপনি কোথায় গিয়ে বসবাস করবেন।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট। এটি আপনার সেল্ফ সাপোর্টের জন্য।

এস্তোনিয়া কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

এস্তোনিয়া আকারে অনেক ছোট একটি দেশ কিন্তু এটি একটি ডেভেলপিং কান্ট্রি। যা বলার অপেক্ষা রাখে না। ডে বাই ডে এস্তানিয়া এত উপরের দিকে চলে যাচ্ছে যে এখানে বেশিরভাগ মডার্নাইজড পদ্ধতিতে কাজগুলো হয়ে থাকে। সবকিছুই ডিজিটালাইজড। এখানে খাতা কলমের ব্যবহার একেবারে হয়না বললেই চলে। আর এই উন্নত দেশ স্থানীয়তে প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে এবং ভালো কাজের চাহিদা রয়েছে সেগুলো হলঃ
  •  আইটি সেক্টর
  • ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার
  • কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার
  • হোটেল বয়
  • রেস্টুরেন্ট
  • ক্লিনার
  • এগ্রিকালচার

এর মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে আপনার স্কিলড ওয়ার্কারদের জন্য। সেটা আপনার এগ্রিকালচার হতে পারে। সেটা আপনার আইটি সেক্টরে হতে পারে। এই দুইটা ক্ষেত্রে এস্তোনিয়া তে কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রচলিত মুদ্রার নাম ইউরো। এক ইউরো সমান সমান বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৩ টাকা। 

এস্তোনিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপ

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হলে এস্তোনিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ  খুব ভালোভাবে আপনাকে জেনে নিতে হবে । তাহলে এস্তোনিয়া আসা আপনার জন্য খুব সহজ হবে এবং ভালোভাবে আসতে পারবেন। একটি উন্নত জীবনযাপন করতে চাইলে আপনার জন্য অন্যতম একটি দেশ হবে এস্তোনিয়া। যেখানে ভিসার এসিও ৯৮% । আর একই রেশিওতে বাংলাদেশিদের কেউ ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং টাইম হচ্ছে মাত্র ৩০ দিন।

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক ভিসা ফি হচ্ছে ১০০ ইউরো । বর্তমানে ১০০ জন এপ্লিকেন্ট এর মধ্যে প্রায় আটানব্বই জনকেই ভিসা দিচ্ছে এস্তোনিয়া । এটা বাংলাদেশী এপ্লিকেন্ট এর জন্যও প্রযোজ্য। আর তাই আপনি এস্তোনিয়া আসার সিদ্ধান্ত নিলে নিশ্চিন্তে আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপ গুলো হল প্রথমতঃ চাকরির অফার লেটার পেতে হবে। এস্তোনিয়ার কোনো কোম্পানি হতে অফার লেটারটি পেতে হবে । দ্বিতীয়তঃ রিকোয়ারমেন্ট রেজিস্ট্রেশন।
এস্তোনিয়া-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা

নিয়োগকর্তা এস্তোনিয়ার পলিসি এবং ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে আপনার চাকরির বিষয়টি রেজিস্ট্রেশন ফরে থাকবে। বাংলাদেশে এস্তোনিয়ার দূতাবাস বা ভার্চুয়াল অনলাইন আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো যা যা লাগবে তা আপনাকে আপলোড করতে হবে।ফি পরিশোধ করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে । এরপর আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। আপনার আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় নিবে ।সঠিকভাবে নিয়ম অনুসারে ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে । তাহলে আপনি খুব সহজে পেয়ে যাবেন এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

শেষ কথাঃ এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

এস্তোনিয়াতে খুব হাই ডিমান্ডডেবুল কাজগুলো হচ্ছে আই টি স্পেশালিস্ট , টেকনিক্যাল ওয়ার্কার এবং মেডিকেল স্টাফ। এই ধরনের কাজগুলো চাহিদা খুব বেশি । পাশাপাশি আপনি সেখানে নন স্কিলড জব গুলো পেয়ে থাকবেন। নন স্কিলড জবের ক্ষেত্রে যে ধরনের কাজগুলো হচ্ছে ফুড ডেলিভারি , স্টোর সোপ এর কাজ। এ কাজগুলোতে প্রতিমাসে সরকারিভাবে মিনিমাম ওয়েজ হচ্ছে ৮৮০ ইউরো। সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করলে আপনারা মাসে মিনিমাম ৮৮০ ইউরো ইনকাম করতে পারবেন। 

নির্দিষ্ট সময়ের পরে অতিরিক্ত যেটা ওভারটাইম করবেন সেটার উপার্জন আরো অতিরিক্ত ভাবে আপনি পেয়ে থাকবেন। আর আপনার সেখানে জীবনযাত্রায় খরচ হবে প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ ইউরো। আর বেশি পরিশ্রমই হলে আপনি আরো ইউরো উপার্জন করতে পারবেন । শুধু তাই নয় সেখানে পাঁচ বছর কন্টিনিউ ভাবে থাকলে আপনি সেখানে পেয়ারের জন্য আবেদনও করতে পারবেন । এস্তোনিয়াতে ভিসার ধরন হচ্ছে জব ভিসা , টুরিস্ট ভিসা , স্টুডেন্ট ভিসা এবং বিজনেস ভিসা।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url