মালটা যেতে কত টাকা লাগে - আপডেট তথ্য

 মালটা যেতে কত টাকা লাগে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশীদের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে সহজ দেশ হতে পারে মালটা। এ দেশটিতে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের ভিসায় আসা প্রসেস আগের থেকে অনেক বেশি সহজ করা হয়েছে বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের জন্য। কারণ এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিত্তিক কাজ রয়েছে।

মালটা-যেতে-কত-টাকা-লাগে

আপনি যদি মালটার কাজের ভিসা নিয়ে আগ্রহী হন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আমি আলোচনা করব মালটার কাজের যোগ্যতা , প্রয়োজনীয় কাগজপত্র , খরচ , সময়কাল এবং কিভাবে মালটা যেতে ভিসার আবেদন করবেন তা নিয়ে। প্রতিটি ধাপ আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

পেজ সূচিপত্রঃ মালটা যেতে কত টাকা লাগে

মালটা যেতে কত টাকা লাগে

মালটা যেতে কত টাকা লাগে এটি নির্ভর করে আপনি কিভাবে যাচ্ছেন তার উপর। সরকারি প্রক্রিয়ায় যদি আপনি যান তাহলে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। অতিরিক্ত খরচ যেমন মেডিকেল বাসস্থান বা ঘর ভাড়া টিকেট ইত্যাদি হয়ে থাকে। মালটা বা যেকোন দেশে আপনি দুই ভাবে আসতে পারবেন এক আপনি এজেন্সির দ্বারা আরেকটি হচ্ছে আপনি নিজে আসতে পারবেন । নিজে আসতে হলে আপনি কোম্পানির মাধ্যমে আসতে পারবেন। কোম্পানির সাথে আপনি কন্ট্রাক্ট করবেন। 

কোম্পানী আপনাকে রিপ্লাই করবে এবং সেই মত অবস্থায় কোম্পানি আপনাকে প্রসেসিং করে আপনাকে নিয়ে আসতে পারবে মাল্টাতে। আরেকটি হচ্ছে অর্থাৎ এজেন্সির মাধ্যমে আসতে নির্দিষ্ট কোন টাকা বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। নির্দিষ্ট টাকার পরিমান বলা যায় নিজে আসলে। আপনি যদি কোম্পানিএর মাধ্যমে  আসেন তাহলে আপনি যখন কোম্পানি সঙ্গে কন্টাক্ট করবেন । কাজের সব বিষয়ে যখন কোম্পানির রাজি হয়ে যাবে আপনাকে আনার। তখন প্রথমে আপনার খরচ হবে ওয়ার্ক পারমিট ফি ৬০০ ইউরো । 

এরপর আপনি যখন ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবেন তখন আপনাকে কোম্পানি সমস্ত ডকুমেন্টস আপনাকে ফ্রি ভাবে প্রোভাইড করবে। কিন্তু অ্যাকোমেডেশন এর জন্য আপনাকে নূন্যতম ৩০০ থেকে ৪০০ ইউরো খরচ করতে হবে । এরপর আপনি যখন এম্বাসি ফেস করবেন বা ভিএফএস শেষ করবেন তখন আপনাকে ২৫০ ইউরো খরচ করতে হবে । এরপর এম্বাসির ভেতরে যখন আপনি প্রবেশ করবেন সেখানে আপনার ভিসা ফি আসে ১৫০ ইউরো। মালটা যাওয়ার জন্য যত ডকুমেন্টস আছে তা তৈরি করতে আপনার খরচ ১৫০ থেকে ২০০ ইউরোপ হয়ে যাবে । তাহলে আপনার খরচ হবে নূন্যতম ১৬০০ থেকে ১৭০০ ইউরো ।

মাল্টার ওয়ার্ক ভিসা

মালটা যেতে হলে মালটা ওয়ার্ক ভিসা কিভাবে করবেন তা জানা আপনার জন্য যেমন জরুরী তেমনটি জরুরী মালটা যেতে কত টাকা লাগে। ২০২৫ সালে মালটা নতুনভাবে বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশী কর্মীদের নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। বর্তমানে নির্মাণ , হসপিটালিটি , ফ্যাক্টরি , ডেলিভারি সার্ভিস এবং কৃষি খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে । মাল্টার সরকার বিদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার চেষ্টা করছে ।.২০২৫ সালে বিভিন্ন সেক্টরে ১৫ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। পূর্বে যেখানে ৬ থেকে ৮ মাস লাগতো ভিসা প্রসেসিং শেষ করতে এখন আনুমানিক তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ।

আরো পড়ুনঃ কানাডা যেতে কত টাকা লাগে - কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

কোম্পানি গুলোর জন্য আরো কঠোর নিয়ম চালু হয়েছে । যাতে প্রতারণার শিকার না হতে হয় । বাংলাদেশ থেকে মালটার কাজের উদ্দেশ্যে যেতে হলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। যেমনঃ একটি চাকরির অফার পেতে হবে। আপনার মাল্টার কোন কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে চাকরির অফারটি পেতে হবে। সরকার অনুমোদিত রিক্রেটিং এজেন্সি থেকে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি বৈধ। মালটায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিশ্চিত করতে হবে তখনই যখন আপনার কোম্পানি থেকে আপনার নিয়োগকর্তা ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করবেন।

মালটা যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

নিয়োগকর্তা আপনার ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করে থাকে। ভিসার আবেদন ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পরে মালটার দূতাবাসে বা অনলাইন পোর্টালে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে যদি আপনাকে আবেদন করতে হয় তাহলে আপনি ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগবে। তা হচ্ছেঃ

  • বৈধ পাসপোর্ট। ন্যূনতম ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট ।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
  • জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি থাকতে হবে ।
  • ভিসার আবেদন ফরম থাকতে হবে ।
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট [যদি লাগে বা থাকে] ।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট [যদি দূতাবাস চায় তাহলে দিতে হবে] ।
  • মালটায় নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠানের  অফার লেটার ।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ।

মালটা সর্বনিম্ন বেতন কত

প্রথমত মনে রাখবেন ইউরোপে অধিকাংশ ঘন্টা হিসেবে সেলারি দেয়। ঘন্টা হিসেবে যে স্যালারি টা দেয় তা আমি এখন তুলে ধরব। আপনাকে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে । এই আট ঘন্টা ডিউটিতে মিনিমাম স্টার্টিং সেলারি শুরু হয়। ঘন্টা প্রতি ৬ ইউরো । এখানে সপ্তাহে পাঁচ দিন ডিউটি করতে হয় । কোন কোন  কোম্পানি শনিবারেও ডিউটি করিয়ে থাকে। পাঁচ দিনে অর্থাৎ সপ্তাহে ১৬০ ঘন্টা কমপক্ষে আপনাকে ডিউটি করতে হবে। মালটা তে ওভার ডিউটি করার সুযোগ আছে।


১৬০ ঘন্টা ডিউটি করে আপনি কমপক্ষে ৯০০ থেকে ১০০০ ইউরো পেয়ে থাকবেন প্রতিমাসে। তবে হাউজ রেন্ট, নিজের খরচ এর মধ্য থেকে আপনাকে চালাতে হবে। ৯০০ থেকে ১০০০ ইউরো প্রতিমাসে যে স্যালারি টা পাওয়া যায় মালটাতে তা সাধারণত নতুন অবস্থায় হয়ে থাকে। আপনি যত পুরাতন হবেন অর্থাৎ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সাথে সাথে আপনার স্যালারি বাড়তে থাকবে। তবে মালটাতে যেকোনো কাজে দক্ষ হয়ে আসা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

মালটা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়

মালটা যেতে হলে মালটা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় আপনাকে জেনে নিতে হবে এবং পাশাপাশি জেনে নিতে হবে মালটা যেতে কত টাকা লাগে । বর্তমানে মাল্টা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট রুলস এবং রেগুলেশন এপ্লাই করেছে। যারা মালটা আসতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রথমত হচ্ছে মালটা আসতে হলে স্কিল সার্টিফিকেট এর ব্যাপারে জানতে হবে। অর্থাৎ যারা মালটা আসতে চায় তারা যেন কাজে দক্ষ থাকে। আর যারা দক্ষ হবেন তারা সহজে মালটা আসতে পারবেন। 

আপনি যদি জেনারেল ক্যাটাগরী নিয়ে মালটা আসতে চান অবশ্যই আপনাকে মাল্টার অথরিটি কর্তৃক যে স্কিল বা সার্টিফিকেট আছে সেই স্কিল বা সার্টিফিকেট থাকতে হবে । তাহলে এই স্কিল বা সার্টিফিকেট থাকতে হলে আপনাকে করতে হবে তা হলো মাল্টা সরকার কর্তৃক যে ওয়েবসাইট বা লিংক আছে সেখানে স্কিল বা সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে । সেখান থেকে আপনাকে ওই স্কিল বা সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে । অর্থাৎ মাল্টা সরকার রুলস করে দিয়েছেন যারা মালটা আসতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই মালটা অথরিটি কর্তৃক যে স্কিল বা সার্টিফিকেট আছে সেটা অবশ্যই আপনাকে অর্জন করতে হবে।
মালটা-যেতে-কত-টাকা-লাগে

মালটা হচ্ছে মূলত ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি । যারা ইংলিশে দক্ষ আছেন , বোঝেন, পড়তে পারেন । চাইলে আপনারা দক্ষ হিসেবে ইংলিশ সার্টিফিকেটটি অর্জন করতে পারেন। সর্বপ্রথম অনলাইনে গিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে আবেদন করতে হবে এবং কি কাজের উপর আসতে চাচ্ছেন সেটির উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে । অর্থাৎ সেখানে একটা কাজের উপর ভিত্তি করে কোর্স করতে হবে  ।এইভাবে আপনি যদি মালটার জন্য আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯% ।

মাল্টায় কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

মাল্টায় কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি  ও মালটা যেতে কত টাকা লাগে । তা আপনাকে মাল্টা যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন । নার্সিং পেশার মাল্টায় দারুন সুযোগ এবং এক দারুন সুসংবাদ। যারা বিএসসি নার্সিং ডিগ্রিধারী তাদের জন্য এই মুহূর্তে মালটা হতে পারে ইউরোপে যাওয়ার সেরা বিকল্প বা বেস্ট অপশন । মালটার স্বাস্থ্য খাতে নার্সদের বেতন চাহিদা আছে এবং বর্তমানে এখানে প্রচুর শূন্য পদ খালি আছে। সবচেয়ে ভালো খবর হল এই ক্যাটাগরিতে আবেদনের জন্য স্কিল পাস সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই । তারা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন । যেহেতু নার্সিং পেশায় যারা আছেন তারা সাধারণত ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকে ।

 তাই মালটায় তাদের জন্য কাজ খুঁজে নেওয়া এবং মানিয়ে নেওয়া আরো সহজ হবে । তাই যারা বাংলাদেশে বা দেশের বাইরে নার্সিং প্রেসার দক্ষ তারা নিঃসন্দেহে মালটায় নার্সিং ভিসার জন্য চেষ্টা করতে পারেন । বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৩২ টি দেশ থাকলেও মাল্টা একটি উন্নতমানের দেশ হিসেবে দ্রুত পরিচিতি লাভ করেছে। মালটার ভিসার সফলতার হার বা ভিসার রেশিও সত্যিই চমকপ্রদ । প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ জনই সফলভাবে ভিসা পান প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিশনের পর সাধারণত দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ভিসা পাওয়া সম্ভব।

মালটায় হোটেল , রেস্টুরেন্ট , সুপার মার্কেট , টুরিস্ট সপ ,কনস্ট্রাকশন এবং কৃষিকাজ সহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে । বিশেষ করে সেফ এবং ওয়েটারের কাজের সুযোগ এখানে প্রচুর । কারণ এটি সারা বছর পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত থাকে । মালটায় ইংরেজির ব্যাপক প্রচলন রয়েছে । যা যা ইংরেজি জানা কর্মীদের কাজ খুঁজে নেওয়া এবং যোগাযোগ করা অনেক সহজ করে দেয়। মালটায় দ্রুত টিআরসি কার্ড বা অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায় ।

মালটা আবেদন নিয়ম

মালটাতে আবেদন করার কিছু জব সাইট আছে। যেমনঃ
  • Keepmeposted.com.mt
  • Careersimalta.com
  • Jobsplus.gov.mt
এই ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে প্রোফাইল তৈরি করে আপনি আবেদন করতে পারেন। সিভি এবং কভার লেটার আপনাকে সুন্দরভাবে তৈরি করতে হবে। সিভি এবং কভার লেটার আবেদনের প্রথম ইমপ্রেশন। কোম্পানি বা কোম্পানির যেই বস বা HR হেড আপনার সিভিটা দেখবেন। সিভিটা অনেক হাই কোয়ালিটির হতে হবে । এটা আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে সেজন্য আপনার সিভিটা ইউরোপিয়ান ফরমেটে তৈরি করতে হবে ।


এবং ইংরেজিতে স্পষ্ট এবং তথ্যভিত্তিক সিভিটা তৈরি করতে হবে । আপনি কেন উল্লেখিত জব চান সেটা উল্লেখ করতে হবে এবং আপনি সেই যবে কিভাবে কাজ করে নিজেকে দক্ষ করবেন তা উল্লেখ করতে হবে। আশা করি আপনি এভাবে সিভি তৈরি করলে একটা ভালো রেসপন্স মাল্টার কোন কোম্পানি থেকে পেয়ে থাকবেন। এরপর আপনি যদি কোন মাল্টিস কোম্পানি আপনাকে চাকরি দেয় তাহলে আপনাকে পাঠাবে তারা জব অফার লেটার , এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্রাক্ট , স্পন্সারশিপ লেটার।

মালটা যাওয়ার সেরা সুযোগ কোনটি

মালটা যেতে কত টাকা লাগে এটা জানা আপনার জন্য অনেক জরুরী যদি আপনি মালটা যেতে চান। ঠিক ততটা জানা জরুরী মালটা যাওয়ার সেরা সুযোগ কোনটি? বাংলাদেশ থেকে মালটা ইউরোপের সেনজেন কান্ট্রি। ঢোকার সম্ভাবনার একটি গেট। বর্তমান সময়ে ইউরোপে ক্যারিয়ার গড়ার সেরা গন্তব্য গুলোর মধ্যে একটি মাল্টা। বর্তমানে মালটা যাওয়ার জন্য দুটো ভিসার আলাদা আলাদা লক্ষ্য আছে। স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা । প্রথমত আপনাকে উদ্দেশ্য ঠিক করতে হবে । পড়ালেখার পাশাপাশি আপনি পার্ট টাইম জব করতে চাইলে আপনার জন্য স্টাডি ভিসা বেস্ট। 

যদিও পড়াশুনা, এসাইনমেন্ট , ক্লাস  পাশাপাশি ইনকামের জন্য আলাদাভাবে কাজকে কন্টিনিউ করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং । তবে আপনার কনফিডেন্স হাই থাকলে আপনার জন্য মাল্টা স্টুডেন্ট ভিসা বেস্ট অপশন । আর যদি মনে করেন একটি জব করতে চায়,ফ্যামিলিকে সাপোর্ট করতে চায় এবং ইউরোপে সেটেল হতে চায় । তাহলে আপনার জন্য বেস্ট ও স্মার্ট অপশন মালটা স্কিলপাস ওয়ার্ক পারমিট হোটেল সেক্টরের ভিসা । মালটাতে একাডেমীক সার্টিফিকেট এর চেয়ে আপনার রিয়েল প্রাকটিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স এর মূল্যটা অনেক বেশি ।

মাল্টা স্কিলপাস সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন

আপনাকে প্রথমে রেলস্টেশনের জন্য অনলাইনে ৪৭৫ ইউরোপ পে করতে হবে। প্রথমে আপনাকে ফেস ওয়ান পরীক্ষা দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখে নিতে হবে পূর্ব থেকেই। ফেস ওয়ানে থাকে কতটা আপনি ইংলিশে দক্ষ এবং রাইটিং ও স্পোকনে এ কেমন? আপনি লেখা দেখে কিছু বুঝতে পারেন কিনা এইটা নিয়ে ফেস ওয়ান । এক্সাম আপনি ঘরে বসে দিতে পারবেন ।  এরপর আসবে ফেস টু। কিন্তু ফেস টু দিতে হলে আপনার নিকটস্থ ভিএফএস গ্লোবালে যেতে হবে ।
মালটা-যেতে-কত-টাকা-লাগে

ভিএফএস গ্লোবালে গিয়ে আপনাকে প্রথমে প্রফেশন চুচ করতে হবে এবং কতটা নিজ প্রফেশনে দক্ষ সেই কাজে আপনাকে ইন জেনারেল ইংলিশে ইন্টারভিউ ফেস করতে হবে । এভাবে আপনি যখন ইন্টারভিউয়ের উত্তীর্ণ হবেন আপনার সম্পূর্ণ হবে স্কিল পাস সার্টিফিকেট। স্কিল পাসের পর ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আপনি আবেদন করার প্রস্তুতি নিতে পারবেন এবং আবেদন করতে পারবেন । এরপর আপনার ওয়ার্ক পারমিট যদি এসে যায় তাহলে আপনার স্কিল পাস সহ ওয়ার্ক পারমিট এম্বাসিতে জমা দিলে ভিসা হওয়ার চান্স অনেকটাই বেশি থাকবে ।

শেষ কথাঃ মালটা যেতে কত টাকা লাগে

মালটা একটি ছোট কিন্তু পর্যটনীয় দেশ। যেখানে সারা বছর কাজের সুযোগ থাকে। মালটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র । যা পর্যটন হোটেল রেস্টুরেন্ট ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত । আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় পর্যটকরা সারা বছর মালটাতে আসে। বিশেষ করে ব্রিটিশ পর্যটক বেশি আসে । তাই হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোতে বিদেশী কর্মী চাহিদা বেশি থাকে। আর তাই বর্তমানে মাল্টা ভিসা রেশিও তুলনামূলক আগের থেকে ভালো ।

যারা মিডিলিস্টে আছেন বা বাংলাদেশের বাইরে থেকে এপ্লাই করেন এখানে তাদের চান্সটা একটু বেশি । আর যারা বাংলাদেশ থেকে এপ্লাই করবেন তাদের ভিসা রেশিও কম হওয়ার কারণ , বাংলাদেশিরা স্কিল  পাস টা কি এখন তা বুঝে উঠতে পারেনি বা স্কিল পাস এক্সাম দিতে পারেনা । তবে আপনি ইংলিশে দক্ষ হলে মালটার জন্য ট্রাই করতে পারেন । এটা গ্রেট অপরচুনিটি আপনার জন্য হবে । কারণ ইংলিশে দক্ষ হতে পারলে সেখানে কাজ করে আপনি অনেক ভালো টাকা রোজগার করতে পারবেন । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url