সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে তা জানতে হলে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ , শান্তির
দেশ , সুন্দর সমৃদ্ধির দেশ সুইডেন । সুইডেনে অনেকে যেতে চান কিন্তু সুইডেন একটি
সেনজেন যুক্ত দেশ খুবই উন্নত রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে সোশ্যাল সিকিউরিটি
থাকায় যে কেউ যেতে পারে না।
সেখানে আপনাকে স্কিলড ফুল হয়ে যেতে হবে। সেখানে আপনার কারিগরি শিক্ষা হোক আর
একাডেমিক শিক্ষা যদি আপনার এনাফ এডুকেশনাল এবং এক্সপেরিয়েন্স থাকে তাহলে আপনি
সুইডেনের জন্য চিন্তা করতে পারেন। সুইডেনে রয়েছে এক অপার সুযোগ। আমরা
জানবো আজ সুইডেন নিয়ে।
সুইডেন ইউরোপের অন্যতম উন্নত দেশ। যেখানে অনেকে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করতে
চান। আমাদের দেশের হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর সুইডেন পড়াশোনা বা কাজের
উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন । যদি আপনি সুইডেনে কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে । তবে বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে যেতে আপনার প্রায় ১২
থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে । এর মধ্যে ফ্লাইট খরচ , ভিসা প্রসেস , স্বাস্থ্য
বীমা ও অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে ।
১২ থেকে ১৫ লক্ষ যে টাকাটি খরচ হবে এটি আপনার কাজের ভিসায় যেতে চাইলে। কিন্তু
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা তে যেতে চান তাহলে বর্তমান সময়ে আপনার খরচ পড়বে প্রায়
সাড়ে সাত লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত । আর আপনি যদি টুরিস্ট
ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় প্রায ৫ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা
পর্যন্ত । তবে সুইডেন যাওয়ার জন্য এই ভিসাটি পাওয়া একটু কঠিন হয়ে যায়
।
সুইডেন কাজের ভিসা
সুইডেনে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে ভ্যালিড কোন কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক
পারমিট ম্যানেজ করতে হবে । যদি আপনি কোন ভ্যালিড কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিটটি
ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হন । তাহলে আপনাকে সিজিনাল ওয়ার্ক পারমিট ম্যানেজ করতে হবে
। হয় জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট অথবা সিজিনাল ওয়ার্ক পারমিট ম্যানেজ করেই
আপনি সুইডেনে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। এই দুটো ছাড়া আরেকটি উপায় আছে যদি
আপনি ইউরোপের যে কোন নন সেনজেন বা সেনজেন দেশে আছেন।
আপনার ইউনিয়ন ব্লু কার্ড আছে। তাহলে আপনি এটি ব্যবহার করে সুইডেনে যেতে পারবেন ।
ইউরোপের সর্ব উত্তরের দেশ সুইডেন । এদেশের অধিকাংশ সময় প্রচন্ড পরিমাণ ঠান্ডা
থাকে। কারণ এটা উত্তর মেরুর কাছাকাছি হওয়ায় এবং বছরের অল্প সময় সুইডেনে কাজের
পরিবেশ থাকে । এই সময় সুইডেন চেষ্টা করে সারা বছরের কাজগুলো এই নির্দিষ্ট সময়
করার জন্য । আর তাই তারা অন্যান্য দেশ থেকে স্কিলড ওয়ার্কার বা জেনারেল
ওয়ার্কারদের হায়ার করে সিজনাল ওয়ার্ক ভিসায় ।
সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা
যদি আপনি সুইডেন আসতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কি কি উপায়ে সুইডেন আসতে পারেন এবং
সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে? বেসিকলি আপনি যদি সুইডেন আসতে চান সে ক্ষেত্রে দুইটা
গেটওয়ে আছে । আপনি আসতে পারবেন স্টুডেন্ট ভিসায় অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে চান সেক্ষেত্রে আপনি ব্যাচেলার অথবা মাস্টার্সের
জন্য আসতে পারবেন । আর এখানে যখন আপনি অ্যাপ্লিকেশন করবেন সে ক্ষেত্রে একটি
ওয়েবসাইট আছে admission.ac।
ঐখানে গিয়ে আপনি চারটা ইউনিভার্সিটির সিলেক্ট করতে পারবেন এবং আপনার
পছন্দের যে কোর্সগুলো আছে সেখানে এপ্লাই করবেন । সে ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন ফি
হচ্ছে অ্যারাউন্ড বাংলাদেশী টাকায় ১০ হাজার টাকা । তারপর আপনি যখন ইউনিভার্সিটি
থেকে অফার লেটার পাবেন । তখন ভিসার জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে । আর ভিসা
অ্যাপ্লিকেশন করার ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে । তবে ব্যাংক
স্টেটমেন্ট দেখানোর জন্য সুইডেন হচ্ছে কমপ্লিটলি ডিফরেন্ট অন্যান্য কান্ট্রির
চেয়ে ।
কারণ এখানে কিন্তু আপনার এফডিআর বা ফিক্সড ডিপোজিট দেখানোর কিছুই নাই । কারণ
হচ্ছে সুইডেন কিন্তু আপনার সেভিংস একাউন্ট থেকে টাকা দেখতে চায় । এবং সেক্ষেত্রে
তিন মাসের ট্রান্সজেক্টর সহ আপনার বাংলাদেশী টাকায় ১৫ লাখ টাকার মত আপনার নিজের
একাউন্টে থাকতে হবে । আর আপনি যখন ইউনিভার্সিটি থেকে সিলেক্টেড হয়ে যাবেন এবং
ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করবেন । সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে বাংলাদেশী টাকায় এরাউন্ড
১৮ হাজার থেকে বিশ হাজার টাকা ।
আর টিউশন ফি হলো ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিটি এবং কোর্স টু কোর্স ভেরি করে
। তারপরে বর্তমান সময়ে এক বছরে খরচ পরে প্রায় ১৩ লক্ষের কাছাকাছি । সুইডেনে
দুইটা ইনটেক আছে একটা হচ্ছে জানুয়ারি ইনটেক আর অন্যটি হচ্ছে সেপ্টেম্বর ইনটেক ।
জানুয়ারি ইনটেকে তেমন বেশি কোর্স পাওয়া যায় না । কিন্তু সেপ্টেম্বর ইনটেক
হচ্ছে মেইন ইনটেক। তবে মাস্টার্সের কোর্স দুই বছর । সে ক্ষেত্রে খরচ ১ বছর ১৩
লক্ষ হলে তার ডাবল হবে । তবে সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ
টাকা থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে ।
সুইডেন যেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে তা জানা আপনার খুবই প্রয়োজন যদি আপনি সুইডেন যেতে চান
। আর প্রয়োজন সুইডেন যেতে কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগে তা জানা । সুইডেনে
যাওয়ার জন্য দুটো টাইপে ভিসা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে শর্ট স্টে ভিসা এবং অপরটি
হচ্ছে লং স্টে ভিসা। সুইডেন যেতে চাইলে শর্ট স্টে ভিসার মধ্যে যে ক্যাটাগরি ভিসা
হয় তা হলোঃ টুরিস্ট ভিসা , বিজনেস ভিসা ও মেডিকেল ভিসা। আর লং স্টে ভিসার মধ্যে
যে ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলো হলোঃ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও ফ্যামিলি
ভিসা ।
তাহলে এই ভিসা গুলোর মাধ্যমে সুইডেনে যেতে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরির জন্য কিছুটা
আলাদা ডকুমেন্টস হতে পারে । সুইডেন যেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হলঃ
পাসপোর্ট যার মেয়াদ কমপক্ষে এক বছর হতে হবে ।
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
এন আই ডি কপি
জবের অফার লেটার
কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট ।
টিন সার্টিফিকেট ।
ট্যাক্স রেন্ট সার্টিফিকেট ।
বিশ্ববিদ্যালয় অফার লেটার (স্টুডেন্টদের জন্য) ।
রিকমেন্ডেশন লেটার (স্টুডেন্টদের জন্য) ।
আইইএলটিএস স্কোর ।
একাডেমি ট্রান্সক্রিপ্ট ।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ।
মেডিকেল সার্টিফিকেট ।
একাডেমিক সার্টিফিকেট ।
কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট ।
সুইডেন কোন কাজের চাহিদা বেশি
সুইডেনে দক্ষ আন্তর্জাতিক কর্মীদের জন্য বিশাল সুযোগ রয়েছে। আর তাই ২০২৫ সালে
ম্যানপাওয়ার গ্রুপে রিপোর্ট অনুযায়ী সুইডেনে ৭৬% নিয়োগ কর্তা দক্ষ কর্মী খুঁজে
পেতে হিমশিম খাচ্ছে । চাহিদা সম্পন্ন খাত গুলোর মধ্যে রয়েছে আইটি সেক্টর। যেমনঃ
সফটওয়্যার ডেভলপার, নেটওয়ার্ক এডমিন । স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে রয়েছে নার্স,
কেয়ারগিভার ও ডাক্তার। নির্মাণ খাতের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিশিয়ান মেসন ,
প্লাম্বার । ট্রান্সপোর্ট ও লজিস্টিক এর মধ্যে রয়েছে ট্রাক ড্রাইভার ও ওয়ার
হাউস স্টাফ।
হসপিটালিটির মধ্যেই রয়েছে কুক , হোটেল ক্লিনার ও ওয়েটার । তবে সুইডেনে দক্ষ
কর্মীর চাহিদা অনেক বেশি। তবে আপনার যদি নির্দিষ্টভাবে কোন কাজে দক্ষতা ও
অভিজ্ঞতা থেকে থাকে এবং পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার
সুইডেনে কাজ পেতে অনেক সহজ হতে পারে এবং কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক সহজ হতে
পারে । সুইডেনে প্রকৃতি ও আধুনিক জীবনযাত্রা চলে হাত ধরাধরি করে। আর তাই
অভিবাসীদের কাছে সুইডেন হতে পারে এক সুন্দর গন্তব্য ।
সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
সুইডেন যেতে চাইলে আপনার জানা প্রয়োজন সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে। সুইডেনে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ কে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হল সরকারি ফি এবং আবেদন
খরচ। তৃতীয়টি হল এজেন্সি ফি । সুইডেন কাজের ভিসার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিট নিতে
হয় । এই পারমিটের জন্য সরকারি ফি সাধারণত ২০০০ এমএ কি । যা বাংলাদেশী টাকায় ১৯
হাজার ৫০০ টাকার সমতুল্য । ভিসা ফি দীর্ঘমেয়াদি ভিসার জন্য কোন নির্দিষ্ট ফি
নেই। কারণ ওয়ার্ক পারমিট হল প্রধান অনুমোদন । একবার পারমিট পেলে ভিসার জন্য
আলাদাভাবে আবেদন করতে হয় না ।
বরং পারমিটের ভিত্তিতে সুইডেনে প্রবেশ করা যায় । বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য
প্রশাসনিক খরচের জন্য অতিরিক্ত ফি লাগতে পারে । সুইডেনে আপনার ওয়ার্ক পারমিট
ভিসার জন্য এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে চান এক্ষেত্রে এজেন্সি আপনার কাছ থেকে
প্রায় বারো লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নিতে পারে । তবে এটি
নির্ভর করে এজেন্সি পরিসীমার উপর । যেমনঃ ডকুমেন্ট প্রসেসিং অনুপাত , নোটারি এবং
সুইডেনের নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগের উপর নির্ধারিত হয় ।
এছাড়াও মেডিকেল পরীক্ষার খরচ , পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর খরচ ,
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার সনদের অনুপাত খরচ এই সকল বিষয়ে বেশ কিছু
টাকা খরচ হবে । বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে বিমান ভাড়া প্রায় ৬০ হাজার থেকে শুরু করে
এক লক্ষ টাকার মতো পড়ে । কিছু ক্ষেত্রে আবার বেশিও পড়তে পারে । এটি নির্ভর করবে
কোন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যাচ্ছেন এবং টিকিটটি কখন কাটা হয়েছে এই সকল বিষয়ে
উপর । তবে অবশ্যই বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করার চেষ্টা করবেন ।
সুইডেনে বেতন কত
আপনাকে জেনে নিতে হবে সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে ও সুইডেনে বেতন কত? সুইডেনে মোস্ট
ডিমান্ডেবল যে ১০ টি জব আছে তাদের স্যালারি নিয়ে কথা বলব । প্রথম দশটি জবের
লিস্টের নাম আছে তা আগে জানিয়ে দেই । পরে কাজগুলোর স্যালারি রেঞ্জ নিয়ে আলোচনা
করব । তাহলে কাজগুলো নাম বলি , সফটওয়্যার ডেভেলপার , সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ,
নার্সিং জব , প্রাইমারি স্কুল টিচার , আইটি রিলেটেড জব , কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার ,
ডেন্টিস্ট , ইলেকট্রিশিয়ান , সাইকোলজিস্ট , এই জবগুলো সুইডেনে খুবই
ডিমান্ডেফুল জব ।
সফটওয়্যার ডেভলপার এর সেলারি শুরু হয় ৪০ হাজার ক্রোনা থেকে ৫০
হাজার ক্রোনা পর্যন্ত। নার্সিং জব নার্সিং জব ২৫ হাজার ক্রোনা থেকে ৪৫ হাজার
ক্রোনা পর্যন্ত । সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন ৩৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার ক্রনা । যা
বাংলাদেশী টাকায় ৩৫ হাজার সমান প্রায় ৪ লক্ষ টাকা । প্রাইমারি স্কুল টিচার
শুরুতেই ২৮ হাজার ক্রোনা থেকে ৪০ হাজার ক্রোনা পর্যন্ত । অবশ্যই আপনাকে সুইডেন
থেকে টিচিং কোর্স থাকতে হবে ।
যারা আইটি জব বা আর্কিটেক্ট আছে তাদের স্যালারি ৪৫ হাজার ক্রোনা দিয়ে শুরু হবে।
যা বাংলাদেশী টাকায় পাঁচ লাখ বিশ হাজার প্রায় হয়ে থাকে। তারপর কনস্ট্রাকশন
ওয়ার্কার যারা আছে তাদের সেলারি ২৫ হাজার ক্রোনা থেকে ৪৫ হাজার ক্রনা পর্যন্ত ।
ডেন্টিস্টদের বেতন সুইডেনে অনেক বেশি যা ৫০০০০ ক্রোনা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার
ক্রোনা হয়ে থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় ৬ লাখ টাকা প্রায়। সাইকোলজিস্ট ৪০০০০
ক্রোনা দিয়ে শুরু করে। যা বাংলাদেশী টাকায় ৫ লাখ।
যারা ইলেকট্রিকের কাজ করে তাদের ডিমান্ড সুইডেনে অনেক বেশি। তাদের স্যালারি ৩০
হাজার ক্রোনা থেকে শুরু করে। যা বাংলাদেশী টাকায় তিন লাখ টাকা বেতন হয়ে থাকে।
তবে অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের বেতন বাড়তে থাকে। আর আপনি যদি দক্ষতা
নিয়ে কাজে যোগদান করেন তাহলে আপনার বেতন শুরুতেই আর কিছুটা বেশি হয়ে থাকবে ।
সুইডেনে দক্ষ কর্মী ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীদের অনেক চাহিদা হয়ে থাকে।
সুইডেনে নাগরিকত্ব লাভের উপায়
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করার জন্য বিদেশের দেশগুলোর
মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলোকে পছন্দ করে থাকে । ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর
মধ্যে অন্যতম দেশ হচ্ছে সুইডেন । যেখানে চার বছর বৈধভাবে কাজ করতে পারলে পিআর
পাওয়া যায় । আর পাঁচ বছর পরে আপনি নাগরিকের জন্য আবেদন করতে পারবেন । সবচেয়ে
ভালো খবর পরিবারকেও নিয়ে যাওয়া যাবে ।
সুইডেনে যাওয়ার জন্য চারটি জনপ্রিয় ভিসা হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা , ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা বা ইইউ ব্লু কার্ড ,job seeker visa. যেখানে আপনি নয় মাস চাকরি খোঁজার
সুযোগ পাবেন । সেনজেন বিজনেস বা ট্রাভেল ভিসা । এই চারটি ভিসার মাধ্যমে আপনি
সুইডেনে খুব সহজেই যেতে পারবেন । নিচে এই সাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার স্বপ্নের
চাকরি খুজে নিতে পারবেন । ওয়েবসাইটগুলো দেওয়া হলঃ
abetsformedlingen.se
linkdin.com
jobbsafari.se
eures.europa.eu
এই ওয়েবসাইট ছাড়াও সরকারি অথবা কোম্পানির ওয়েবসাইট এ গিয়ে চাকরি খুঁজে নিতে
পারবেন । ইউরোপে ভালো জীবন যাপন , ভালো বেতন আর স্থায়ীভাবে সেটেল হওয়ার
স্বপ্ন যদি হয়ে থাকে তাহলে সুইডেন হতে পারে আপনার জন্য সেরা গন্তব্য
।
সুইডেন টুরিস্ট ভিসা
সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে তা সুইডেন যেতে চাইলে আপনার জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আপনি যদি সুইডেন যাওয়ার কথা চিন্তা করেন তাহলে জেনে খুশি হবেন যে সুইডেন এম্বাসি
বাংলাদেশে আছে এবং আপনি ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে আপনি আপনার ফাইলটি সাবমিট করতে
পারবেন। তাহলে আপনার ভিসার রেশিও হওয়ার চান্স বেশি থাকবে। যেকোনো বছরের মাঝামাঝি
সময়ে ইউরোপ ঘোরার জন্য খুবই পারফেক্ট একটা সময় । তাই এই সময় অনেক
ইন্টারন্যাশনাল টুরিস্টরা ইউরোপ ভ্রমণ করেন ।
তাই সুইডেনে বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইন্টারনেসনাল টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি হয়ে
থাকে। তাই এই সময় ভিসা রেসিওটা বেড়ে যায়। কেন যেতে চান তা যখন আপনি খন্ডায়ন
করতে পারবেন এম্বাসিতে। অর্থাৎ আপনার উদ্দেশ্য ঠিক রাখতে পারেন তাহলে আপনি ভিসা
পেয়ে যাবেন । সুইডেন টুরিস্ট ভিসাই অ্যাডাল্ট পারসন এর জন্য ৯০ ইউরো । এছাড়া
আপনার সাথে যদি কোন চাইল্ড থাকে তাদের বয়স যদি হয় ৬ বছর থেকে ১২ বছর তাহলে
তাদের ৪৫ ইউরো এর মত আপনার ভিসা ফি আসবে।
শেষ কথাঃ সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে
উত্তর ইউরোপের এক কোণে আছে এক বিস্ময়কর দেশ । যেখানে শীতে সূর্য ওঠেই না আর
গ্রীষ্মের মাঝ রাতেও সূর্য আকাশে ঝলমল করে । এখানে আকাশে নাচে রঙিন অরোরা । আর
শহরে গড়ে ওঠে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর সাম্রাজ্য । যেখানে শিক্ষার কোন খরচ নেই ।
স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সমান । আর উদ্ভাবনের ছোট্ট স্টেপগুলো হয়ে ওঠে বিশ্বসেরা
। এটাই সুইডেন । ভাইকিং দেশ । নোবেল পুরস্কার এর জন্মভূমি আর আইকে আই এর ঘর ।
যেখানে প্রকৃতি ও আধুনিক জীবনযাত্রা চলে হাত ধরাধরি করে ।
সে দেশটি হলো ইউরোপের একটি দেশ সুইডেন। ইউরোপের বৃহত্তম পঞ্চম একটি রাষ্ট্র
সুইডেন । যদি আপনার কর্মদক্ষতা কৃষকের উপর হয়ে থাকে তাহলে সুইডেনে এই বর্তমান
সময়ে জব ভেকেন্সি অ্যাভেলেবেল আছে । আবার আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ার বা আইটি হয়ে
থাকেন তাহলে জব ভ্যাকেন্সি সেখানেও অ্যাভেলেবল আছে । খুশির খবর হচ্ছে সুইডেনে
একজন দক্ষ শ্রমিকের অ্যাভারেজ মান্থলি স্যালারি প্রাইস ৪৫০ ইউরোর বেশি । যা
বাংলাদেশি টাকায় ৫ লক্ষ টাকা উপরে ।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url