মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত - মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা
write poth
১৭ নভে, ২০২৫
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত? মাথার ভেতর একটা স্বপ্ন ঘুরছে ইউরোপে কাজ করবেন ।
ভালো আয় করবেন , আর নিজের আর্থিক জীবনটা বদলে ফেলবেন। এমন একটি ইউরোপীয় দেশ আছে
বাংলাদেশীদের জন্য খরচ তুলনামূলক কম। সেই দেশটি হতে পারে নর্থ মেসিডোনিয়া।
এখন আপনার প্রশ্ন আসবে সেখানে কিভাবে যাওয়া যায় ? কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় ?
মাসে কত বেতন হতে পারে ? খরচ কেমন ? আর ভিসা প্রক্রিয়া কতটা জটিল ? চিন্তা নেই
সবকিছু আমি ধাপে ধাপে বলব । যেটা জানলে মেসিডোনিয়া যাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
নর্থ মেসিডোনিয়ায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা আছে হোটেল রেস্তোরাঁ , সুপার মারকেট ,
ডেলিভারি সার্ভিস , কনস্ট্রাকশন বা ম্যানুয়াল লেবার , ক্লিনিং আর কেয়ার সার্ভিস
এর মত কাজে। এছাড়া যদি ইংরেজি বা স্থানীয় ভাষা জানেন তাহলে ছোটখাট আইটি বা
টেকনিক্যাল সাপোর্টের কাজও পাওয়া যায়। আর যদি আগে থেকে ইলেকট্রিশিয়ান ,
প্লাম্বার বা ওয়েল্ডার বা কোন বেসিক আইটির দক্ষতা থাকে তাহলে আপনার জন্য আয় অনেক
বেশি হতে পারে । এমনকি চাইলে রেস্টুরেন্ট বা ডেলিভারির মতো জায়গায় পার্ট টাইম
কাজ শুরু করা যায়।
ঘন্টা হিসেবে পার্ট টাইম কাজ করলে আয় হতে পারে দুই থেকে পাঁচ ইউরো । ফুলটাইম বা
আন স্কিল বা ম্যানুয়াল কাজ করলে মাসিক বেতন ৪০০ ইউরো থেকে ৭০০ ইউরো পর্যন্ত হতে
পারে । আর যদি আপনার স্কিল থাকে তাহলে আইটি বা টেকনিক্যাল কাজ থেকে আয় হতে পারে
৭০০ ইউরো থেকে ১২০০ ইউরোপ বা তারও বেশি । বাংলাদেশী টাকায় রূপান্তর করলে দেখা
যায় সেটি ৫৫ হাজার থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার মত । তবে কর ও সামাজিক বিমার
জন্য হাতে এসে একটু কমে যেতে পারে ।
মেসিডোনিয়া ভিসা রেশিও কেমন
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত মেসিডোনিয়া তে যেতে চাইলে এটি জানা আপনার যেমন
প্রয়োজন। তেমনটি প্রয়োজন মেসিডোনিয়া ভিসা রেশিও কেমন? মেসিডোনিয়াতে বর্তমান
সময়ে ভিসা রেশিও অনেক ভালো । সব ক্যাটাগরির ভিসা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হচ্ছে
স্টুডেন্ট ভিসা , ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার ভিসা, নতুন করে ভ্যাকেন্সি হয়েছে । সেগুলো
হলো টেক্সটাইল , গার্মেন্টস । এইসবে ওয়ার্কার এর চাহিদা বাড়ায় এই ভিসা গুলো
নতুন করে চালু হয়েছে । তবে আপনি যখন ফাইল জমা দেবেন তখন ভালো মাধ্যম দেখে ফাইল
জমা দিবেন। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে বর্তমানে সব ভিসার রেশিও ভালো।
যারা মনে করছেন একটু আরামে থাকবেন বা আরামে কাজ করবেন তারা রেস্টুরেন্টের কাজ
শিখে আসতে পারেন । ওয়েটার বা সেটের কাজ , নয়তো ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ ভালো
রকমের চাহিদা আছে । আর যাদের কোন কাজে অভিজ্ঞতা নেই তারা ফ্যাক্টরি কাজের ভিসায়
আসতে পারেন । বর্তমানে প্রতিটি কাজের চাহিদায় ভালো সব সেকশনে বর্তমানে ভিসা
হচ্ছে। যারা ভাল এজেন্সি যারা লিগ্যাল ভাবে কাজ করছে তারা মেসিডোনিয়াতে ভিসার
জন্য বেশ ভালো কাজ করছে । কোম্পানি ভাল হলে ভিসা ৯০% থেকে ৯৮% হয়ে থাকছে।
মেসিডোনিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে
নর্থ মেসিডোনিয়া ভলকানো কান্ট্রি। নিয়া একেবারে নতুন একটি দেশ। সুতরাং খুবই কম
কম্পিটিশন এখানে। তাই আপনি যদি প্রপার চ্যানেলে ওয়ার্ক পারমিট বের করতে পারেন
তাহলে আপনি খুব কম সময়ে নর্থ মেসি দুনিয়ায় চলে আসতে পারবেন । বর্তমান সময়ে
নর্থ মেসিডোনিয়ায় আসার জন্য ইন্ডিয়া যেতে হচ্ছে না । অথরাইজ করে দিলে এজেন্সি
সব কাজ করে দেবে। মেসিডোনিয়াকে বর্তমানে নর্থ মেসিডোনিয়া বলা হয়।
অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম টাকা খরচ হচ্ছে । তবে আমি বলব যে আপনার যদি কোন
অপরচুনিটি থেকে থাকে। অর্থাৎ পরিচিত কেউ আগে পরে আপনার এই নট মেসিডোনিয়াতে এসেছে
সেই রকম কোন চ্যানেল থাকলে আপনি যেতে পারেন খুব অল্প টাকায়। তবে এই দেশে আবেদন
করতে হলে যে ডকুমেন্টস গুলো লাগে তা হলঃ
একটি বৈধ পাসপোর্ট
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
একাডেমিক সার্টিফিকেট। তবে একটি বাধ্যতামূলক নয়।
কাজের অফার লেটার
এনআইডি কার্ড
কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
স্বাস্থ্য সনদ বা ইন্সুরেন্স
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
ভিসা আবেদন ফরম
মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
মেসিডোনিয়া বর্তমানে উত্তর বা নর্থ মেসিডোনিয়া নামে পরিচিত। এটি ইউরোপের দক্ষিণ
পূর্ব অংশে অবস্থিত । বাংলাদেশ থেকে এই ভলকেন উপদ্বীপে আগ্রহীদের এই মেসিডোনিয়া
যেতে কত টাকা লাগে তা জেনে রাখুন । এটি ইউরোপের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশের
অর্থনীতি মূলত কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের উপর নির্ভরশীল । মেসিডোনিয়া
যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী সাধারণত ভিসা খরচ আলাদা হয়ে থাকে । বাংলাদেশ থেকে
ইউরোপের এই দেশে পড়াশোনা , কাজ ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহীদের মেসিডোনিয়া
কত টাকা লাগে তা আপনি জেনে নিন ।
বাংলাদেশ থেকে মেসিডোনিয়া যাওয়ার খরচ নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । যেমনঃ
ভিসা ক্যাটাগরি , ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদি । নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারলে
ভিসা খরচ কম হয় । বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মেসিডোনিয়া যেতে প্রায় ৮ লাখ টাকা
থেকে ১০ লাখ টাকা লাগতে পারে । বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং
করলে মেসিডোনিয়া যাওয়ার খরচ বেশি হয় । ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ
করে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারলে আপনার খরচ কম হবে।
অফিসিয়াল খরচে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে এই দেশে যেতে পারবেন । মেসিডোনিয়ার বেতন
কাঠামো কম হলেও জীবনযাত্রা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক খরচ কম
। অতিরিক্ত কাজ করলে ঘন্টা প্রতি বেতনের দেড় গুণ বেশি পাওয়া যায় । পরিশ্রম এর
পাশাপাশি দক্ষতা যখন বাড়তে থাকবে তখন আপনার বেতন ও বাড়তে থাকবে। সে
ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনি যদি অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তৈরি করে কোন কাজ নিয়ে আসেন
তাহলে আপনি বেশি লাভবান হবেন।
মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত জানার পাশাপাশি মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা কিভাবে করবেন
তা জানারও প্রয়োজন আছে। আপনারা জানেন ইউরোপের একটি দেশ হচ্ছে নর্থ মেসিডোনিয়া।
এই মেসিডোনিয়ায় অসংখ্য বাংলাদেশীরা গিয়েছেন কারণ এটি ননসেনজেন দেশ। নর্থ
মেসিডোনিয়াতে তুলনামূলকভাবে কাজের ভিসা তে যাওয়া সহজ । নর্থ
মেসিডোনিয়াতে যদি আপনি যেতে চান তাহলে সেখানকার আইন অনুযায়ী আপনাকে
কোম্পানি টিআরসি কার্ড করে দিতে বাধ্য।
যদি কোনো কারণে টিআরসি কার্ড না পান আপনার কোম্পানি টি আর সি কার্ড করে না দেয়।
সে ক্ষেত্রে আপনার কোম্পানিকে সেই দেশের প্রশাসন বড় অংকের একটা জরিমানা করবে ।
আর তাই নর্থ মেসিডোনিয়ায় যে ভ্যালিড কোম্পানি আছে। তারা তাদের কর্মীদেরকে নিয়ে
যাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে টিআরসি বা টেম্পোরারি রেসিডেন্সি কার্ড করে
দেয় এবং একই সাথে চমৎকার সুযোগ হচ্ছে এই নর্থ মেসিডোনিয়ায় কতগুলো
কোম্পানি আছে। তারা তাদের ওয়ার্কারদের এয়ারপোর্ট থেকে তাদের ডেলিগেট পাঠিয়ে
রিসিভ করে নিয়ে যায় ।
মেসিডোনিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত ? মেসি ডোনিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি? এইসব জানতে
হলে জানতে হবে আপনাকে মেসিডোনিয়া সম্পর্কে । মেসিডোনিয়া তে আপনি অনেকগুলো কাজের
সুযোগ পাবেন এবং যে কোন স্কিল কাজে যেতে পারবেন মেসিডোনিয়া । যেমনঃ
ইলেকট্রিশিয়ান , কৃষি ভিসা , প্লাম্বার , কার্পেন্টার। এছাড়া জেনারেল ওয়ার্কার
হিসেবে যেতে পারেন । কারখানার কাজে যেতে পারেন। ওয়ার হাউজের ভিসা হচ্ছে সেখানে
প্রচুর আপনি চাইলে সেই ভিসাতেও মেসিডোনিয়া যেতে পারেন। সেখানে অনেক ধরনের কাজের
সুযোগ রয়েছে ।
এছাড়া আপনারা যারা নিজে নিজে আবেদন করে নর্থ মেসিডোনিয়াতে যাওয়ার মত সক্ষমতা
আছে তারা নিজেরা আবেদন করবেন । নিজেরা আবেদন করার জন্য আপনার যে কাজ জানা থাকবে
সে কাজের একটা এক থেকে দেড় মিনিটের ভিডিও , একটা ইউরোপিয়ান সিভি দিয়ে
মেসিডোনিয়াতে যে কোম্পানি আছে । সেই ভ্যাকান্সি গুলো দেখে দেখে সেখানে আপনি সিভি
সাবমিট করতে পারেন । তখন তারা আপনাকে যোগ্য মনে করলে বাকি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা
করে আপনাকে তারা মেসিডোনিয়াতে নিয়ে যাবে । তবে যোগ্য , দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন
কর্মীদের চাহিদা মেসিডোনিয়া তে কাজ পাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
মেসিডোনিয়া কেন আসবেন
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত ? তা জেনে আসবেন বলকান অঞ্চলের দেশ নর্থ মেসিডোনিয়া ।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশীদের কাছে হয়তো বেশ পরিচিত। ইউরোপে এই ননসেন্স যেন
দেশটিতে কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য একটি বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে
এবং বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা রেশিও তুলনামূলকভাবে ভালো। আপনি যদি প্রোপার লিগ্যাল
ওয়েতে কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট বের করতে পারেন । বা আপনার এজেন্ট যদি
লিগ্যাল ওয়েতে লয়ারের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট বের করতে পারে আপনার ভিসা হওয়ার
চান্স থাকবে ১০০% ।
বাকিটা যদি আপনার কপালে থাকে । তবে ভিসা হবে শিওর থাকেন । বিগত কয়েক বছর
হচ্ছে নর্থ মেসিডোনিয়ার শ্রমবাজার তাদের ভিসা কার্যক্রম শুরু করেছে । যদিও ধীর
গতি শুরু হয়েছে তারপরে বিগত বছরগুলোতে বা বিগত কয়েক মাস আগেও যারা নর্থ
মেসিডোনিয়াতে গিয়েছেন গড় হিসাব করলে অল বাংলাদেশীদের ভিসা রেশিও ভালো ছিল ।
মেসিডোনিয়া এমন একটা দেশ যেখানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বা সব পেপার সঠিক থাকলে
বাংলাদেশীদেরকে নরমাল ভাবে ভিসা দিয়ে থাকে ।
কোন প্রকার বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই । নর্থ মেসিডোনিয়া এর কোম্পানিগুলোর
কিন্তু ইতিমধ্যে তারা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করা শুরু করে
দিয়েছে তাই এখনই আপনার জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ ভিসা আবেদন করার । মেসিডোনিয়াতে
ঢুকলে ইউরোপের যাওয়ার একটা বিরাট সুযোগ তৈরি হচ্ছে । এখানে আসতে আপনার খরচ কম
লাগছে এবং ভবিষ্যতে আপনি ইউরোপে মুভ করতে পারবেন । এছাড়াও নর্থ মেসিডোনিয়া তে
আপনি যদি যান সে ক্ষেত্রে কম সময়ের ভেতর ঢুকতে পারছেন ।
মেসিডোনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত জেনে নিয়ে আপনার মেসিডোনিয়া আসা উচিত। নর্থ
মেসিডোনিয়াতে বেতন চলছে ৪০০ ইউরো থেকে ৬০০ ইউরো পর্যন্ত । সর্বোচ্চ ৫০০ ইউরো
পাওয়া যায় নর্থ মেসিডোনিয়া তে কাজ করে । আবার যারা স্কিল ওয়ার্কার তারা আবার
কখনো কখনো ৬০০ ইউরো পেয়ে থাকে । তবে কিছু কিছু কোম্পানি ৪০০ ইউরো থেকে ৪৫০ ইউরোপ
দিয়ে থাকে যা বর্তমান সময়ে একদম কম বললেই চলে । তবে ৫০০ ইউরো থেকে ৬০০ এরো
পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সেলারি হয় ।
অর্থাৎ ৫০০ ইউরো থেকে ৬০০ ইউরো পর্যন্ত নর্থ মেসিডোনিয়াতে কাজ করে পাওয়া যায়
এবং সেখানে কোম্পানি বা ফ্যাক্টরিগুলো শ্রমিকদের কাজের বেতন দিয়ে থাকে। আপনি যদি
হার্ডওয়ার করে থাকেন । দক্ষ হন এবং নট মেসি দুনিয়াতে আসার সময় কাজের
সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে পারেন এবং দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আপনার
বেতন ৬০০ ইউরো পর্যন্ত শুরুতেই হতে পারে । সেখানে আট ঘন্টা করে ডিউটি করতে হয় ।
আবার কখনো কখনো কিছু কিছু কোম্পানি বা ফ্যাক্টরিতে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি করতে
হতে পারে তবে এখানে কোন ওভারটাইম করার সুযোগ নেই।
মেসিডোনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত তা জেনে নিন এবং মেসিডোনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
সেটা জানাও আপনার উচিত। আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে নর্থ মেসিডোনিয়া যাওয়ার জন্য
প্রস্তুতি নিচ্ছেন । দুনিয়াতে বর্তমানে কোন কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা
জেনে নিন । ইউরোপের ভলকান্ দেশ নর্থ মেসিডোনিয়া । সেখানে যেসব কাজের চাহিদা
সবচেয়ে বেশি তা হল কনস্ট্রাকশন , টাইলস , ওয়েল্ডার , প্রিন্টার এবং
ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার এর কাজ । এই কাজগুলোর বর্তমানে চাহিদা বেশি ।
আপনার যদি এই সব কাজে এক্সপেরিয়েন্স থাকে তাহলে আপনি নর্থ মেসিডোনিয়াতে কাজের
জন্য আবেদন করার এক সুবর্ণ সময় হচ্ছে বর্তমানে । কারণ ইতিমধ্যে যারা নর্থ
মসিডোনিয়াতে আবেদন করেছেন তাদের সবারই ভিসা হয়ে গেছে এবং ভিসা হচ্ছে । আপনি যদি
মনে করেন আপনার পরিচিত কোন এজেন্ট বা কোন মাধ্যম বা আপনার কোন শুভাকাঙ্খী
মেসিডোনিয়াতে থাকলে তাদের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন । ইনশাল্লাহ আপনার ভিসা ও
স্বপ্ন পূরণ হবে তাড়াতাড়ি ।
উপসংহারঃ মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত
নির্মাণ অর্থাৎ কনস্ট্রাকশন রেস্তোরাঁ এবং কারখানার কাজে রয়েছে সুযোগ বেশি ।
বর্তমানে মেসিডোনিয়ায় কাজের বেতন প্রায় এক লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত
হয়ে থাকে । মেসিডোনিয়ায় কাজের বেতন কাজের ক্যাটাগরি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
অনুযায়ী ব্যক্তি ভেবে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । উন্নয়নশীল দেশ হলেও কাজের
সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত রয়েছে । ৩৬৫ ইউরো । অতিরিক্ত কাজ করলে বেতনের
পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে । কনস্ট্রাকশন হোটেল রেস্তোরাঁ এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে
কাজ করার সুযোগ রয়েছে ।
সেই ক্ষেত্রে তারা বাহিরের দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে বেশি । আর তাই
এদেশে কর্মীদের আশা সুযোগও বেশি । এদেশে কর্মীদের ৪০ ঘন্টা বা কখনো কখনো আরও বেশি
কাজ করতে হয় তা ফ্যাক্টরি এবং কোম্পানি ভেদে হয়ে থাকে । সপ্তাহে সাধারণত ৫ দিন
কাজ করতে হয় এই কথাটা উল্লেখ করা থাকে কাজের অফার লেটারে তারপরেও এখানে ২৬ দিন
মাসে কাজ করতে হয় । এদেশে কাজের সুযোগ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে । বর্তমানে কাজের
জন্য এটি নতুন সম্ভাব্যময়ী গন্তব্য হয়ে উঠে আসছে ।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url