ব্রুনাই ভিসার দাম কত - ব্রুনাই বেতন কত

 ব্রুনাই ভিসার দাম কত? ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগে? ব্রুনাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ধনী একটি রাষ্ট্র এবং ইসলামিক শান্তি সমৃদ্ধ ধনী দেশ । আয়তনে ছোট হলেও দেশটির মানুষ অনেক সুযোগ-সুবিধা পায় সরকার থেকে । এ দেশে কোন ভিসাতে গেলে ভালো হবে তা জানানোর চেষ্টা করবো।

ব্রুনাই-ভিসার-দাম-কত

ব্রুনাই আপনি বোয়েসেলের মাধ্যমে যেতে পারবেন এবং বোয়েসেল ছাড়া যে কোন রিক্রুটিং এজেন্সি গুলো রয়েছে যারা ব্রুনাই নিয়ে কাজ করে তাদের মাধ্যমেও ভিসার কাজ করতে পারেন । ব্রুনাই ছোট্ট কিন্তু ধনী দেশ । টেক্স ফ্রী কান্ট্রি। নিরাপদ, মুসলিম ফ্রেন্ডলি এবং বাংলাদেশীদের জন্য খুব ভালো একটি গন্তব্য ।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্রুনাই ভিসার দাম কত

ব্রুনাই ভিসার দাম কত

মূলত ব্রুনাই ওয়ার্ক পারমিটে দুই ভাবে যাওয়া যায় । একটি হচ্ছে বাংলাদেশ এমপ্লয়মেন্ট বোয়েসেলের মাধ্যমে । আর একটি হচ্ছে এজেন্ট এর মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে । এজেন্টের মাধ্যমে যেতে চাইলে অবশ্যই টাকা বেশি লাগবে । আর আপনি যদি বাংলাদেশ এমপ্লয়মেন্ট বোয়েসেলের মাধ্যমে আসতে চান তাহলে আপনার টাকার খরচটা অনেকটা কমে আসবে । কিন্তু বোয়েসেলের মাধ্যমে আপনি যেতে চাইলে আপনার অবশ্যই কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে। এজেন্টের মাধ্যমে ব্রুনাই যেতে চাইলে আপনার .৩ লাখ টাকা থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

আর যদি ব্রুনায়ে নিজের কাছের লোক থাকে তাহলে ভিসা লাগাতে আপনার খরচ হবে আড়াই লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা এর মধ্যে হয়ে যেতে পারে । তবে আপনি যদি বোয়েসেলের মাধ্যমে ব্রুনাই আসতে পারেন তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ২ লক্ষ টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে । সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি আপনি সরকারি খরচে অর্থাৎ বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করলে আপনার ব্রুনাই আশা এবং কাজ ভাল পাওয়া ও বেতন বেশি পাওয়া আপনার জন্য অনেক বেশি সহজ হতে পারে।

ব্রুনাই বেতন কত

ব্রুনাই ভিসার দাম কত? ব্রুনাই বেতন কত? আপনাকে যেতে হলে ব্রুনাই সম্পর্কে জানা উচিত । ব্রুনাই তে যারা কাজ করে তারা কিন্তু প্রতি মাসে দক্ষতা স্বরূপ ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন। যারা ব্রুনাইতে সাপ্লাইয়ের ভিসায় কাজ করে তারা প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা থেকে.৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোম্পানি বেতন প্রদান করে থাকে । এতে কাজের দক্ষতার পাশাপাশি বেতনের পরিমাণও বৃদ্ধি হয়ে থাকে । তবে কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট নিয়ে ব্রুনায়ে যেতে পারলে আপনি কাজের বেতন শুরু থেকে বেশি পেতে পারেন । এবার আমরা জানবো ব্রুনায়ে সর্বনিম্ন কত বেতন হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত -  মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা 

কন্সট্রাকশনে বা বিল্ডিং এর কাজ করতে আপনি যদি চান তাহলে ২০ ডলার বেতন হয়ে থাকে প্রতিদিন সর্বনিম্ন। তবে যারা ক্লিনারের কাজ করে থাকেন তারা ১৫ ডলার আয় করে থাকেন । ইতিমধ্যে আপনি বুঝে গেছেন নতুন অবস্থায় কাজের বেতন কত হয়ে থাকতে পারে। তবে এখানে কাজের বেতন হয়ে থাকে প্রতিদিন হিসেবে । আপনি যতদিন কাজ করবেন দিন হিসেবে ব্রুনাই এর কাজের বেতন পেয়ে থাকবেন । হেলপার বা লেবার যারা ন্যূনতম বেতন বাংলাদেশী টাকায় ৩৫০০০ থেকে ৪৫ ০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন । ড্রাইভার ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন ।

ওয়েল্ডার বা ইলেক্ট্রিশিয়ান বা প্লাম্বার তারা বাংলাদেশী টাকায় বেতন পেয়ে থাকেন ৫৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত । আর হোটেল বা রেস্টুরেন্ট স্টাফ এরা বেতন পেয়ে থাকেন প্রায় ৪৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত । ব্রুনাই এ গিয়ে যারা একাউন্টেন্ট বা সুপারভাইজার এর কাজ পেয়ে থাকে তারা প্রথমদিকে বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন। আইটি বা ইঞ্জিনিয়ার এদের বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে শুরু হয় । এবং তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বেতন ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ব্রুনাই ভিসা ফর বাংলাদেশী

ব্রুনাই যাওয়ার জন্য কয়েক ধরনের ভিসা আছে । যারা ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক তারা টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন । কয়েকটি আলাদা সুযোগ সুবিধা আছে । টুরিস্ট ভিসায় যেতে চাইলে ২ লক্ষ টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা বাজেট করতে হবে । বর্তমানে ব্রুনাই যেতে ফ্রি ভিসা বাংলাদেশিরা বেশি খোঁজে থাকেন । কারণ ফ্রি ভিসার মধ্যে অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা আছে। ব্রুনাই ফ্রি ভিসায় গিয়ে যেকোনো কাজ করতে পারবেন। আপনার ইচ্ছা মত যে কাজ ভালো লাগবে সে কাজ করতে পারবেন

ব্রুনাইতে মূলত দুই ধরনের ওয়ার্ক ভিসা হয়ে থাকে । প্রথমত , এসপি ভিসা অর্থাৎ সার্ভিস ভিসা । এটি অ স্থায়ী চাকরির জন্য । দ্বিতীয়ত , এমপ্লয়মেন্ট ভিসা । এটি দুই ধরনের মেয়াদী চাকরির জন্য যারা মনোনীত হন তাদের জন্য । দুই ধরনের ভিসাতেই জব কনফারমেশন ছাড়া হয় না । অর্থাৎ আগে জব লেটার পাবেন তারপর ভিসার এপ্লাই করতে পারবেন। ব্রুনাই ভিসা সরাসরি এপ্লাই করার সিস্টেম নেই । আগে জব অফার বা ওয়ার্ক পারমিট অ্যাপ্রুভাল লাগে । তারপর বাংলাদেশে ব্রুনাই দূতাবাস থেকে ভিসা স্ট্যাম্প হয় ।

ব্রুনাই কোন কাজে চাহিদা বেশি

ব্রুনাই ভিসার দাম কত? ব্রুনাই যেতে চাইলে আপনাকে এর পাশাপাশি জেনে নেওয়া উচিত ব্রুনাই কোন কাজে চাহিদা বেশি । ব্রুনাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুরের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান উন্নয়ন সূচক এবং একটি উন্নত রাষ্ট্র। ব্রুনাই একটি রাজতান্ত্রিক ইসলামিক দেশ । যার রাজধানী বন্দর সেরি বেগা ওয়ান। ব্রুনাইয়ের উত্তর দক্ষিণে চিনা সাগর এবং এই তিন পাশে মালয়েশিয়া দেশ অবস্থিত। বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মানুষ জীবিকার উদ্দেশ্যে ব্রুনাই যায় ।

আরো পড়ুনঃ সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে - সুইডেনে বেতন কত

ব্রুনাই ছোট্ট একটি দেশ হলেও এটি অনেক শান্তিপূর্ণ ও ইসলামিক কান্ট্রি হওয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য হতে পারে একটি সুন্দর গন্তব্য । বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ব্রুনাই যায় । তবে বর্তমানে ব্রুনাইয়ে যে সকল কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে হচ্ছে কনস্ট্রাকশন কাজ , ফ্যাক্টরির কাজ, রেস্টুরেন্টের কাজ , টাইলস মিস্ত্রি , কৃষিকাজ এবং ড্রাইভিং । তবে দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য যে কোন দেশে কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। সেজন্য দক্ষ হয়ে ব্রুনাই যাওয়া আপনার উচিত বলে আমি মনে করি ।

ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগে

আপনি যখন ব্রুনাই যাবেন তখন আপনাকে জেনে নিতে হবে ব্রুনাই ভিসার দাম কত এবং ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগে? ব্রুনাই স্বপ্নের মত ছোট্ট রাজ্য। যেখানে বিশাল আয়ের সম্ভাবনা । তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ এই শান্তিপূর্ণ দেশটিতে এখন বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য খুলে দিয়েছে এক দারুন সুযোগ । সরকারি খরচে অর্থাৎ বোয়েসেলের মাধ্যমে একেবারে স্বচ্ছ এবং নিরাপদ প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মী । দক্ষ সম্পন্ন কর্মী হয়ে আপনি ব্রুনাই যেতে পারেন তাহলে আপনি বেশি লাভবান হবেন ।

ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগে তার সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন। এদেশে যেতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি আছে। যেমনঃ স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা , কাজের ভিসা এবং মেডিকেল ভিসা । স্টুডেন্ট ভিসায় আপনার খরচ পড়বে প্রায় .২ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত। টুরিস্ট ভিসা, এই ভিসায় যেতে হলে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় । এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ব্রুনাই-ভিসার-দাম-কত

ভ্রমণের উদ্দেশ্য আপনার নির্ধারণ করে ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নিতে হবে। সেই প্রেক্ষাপট থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে আপনার খরচ হতে পারে ৩ লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত । মেডিকেল ভিসা এখানে খরচ হবে প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত । আপনি যদি নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন তাহলে আপনার খরচ কম হতে পারে । আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন প্রতারক চক্রে না পড়ে সরাসরি সরকারিভাবে ব্রুনাই যেতে।

ব্রুনাই যেতে কোন ডকুমেন্টস লাগে

ব্রুনাই ভিসার দাম কত? ব্রুনাই যেতে হলে আপনাকে তা জানার পাশাপাশি আরো জেনে নিতে হবে ব্রুনাই যেতে কোন ডকুমেন্টস লাগে? আমাদের দেশে দৈনিক পারিশ্রমিক কম হওয়ায় , একটু বেশি পারিশ্রমিকের আশায় প্রতিবছর কয়েক হাজার শ্রমিক ব্রুনাই দেশে যাচ্ছেন। ব্রুনাই দেশ একটি ধনী দেশ হওয়ায় সেখানে একজন শ্রমিক প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২০ ডলারের কাছাকাছি উপার্জন করতে পারে । তাই যারা উপার্জনের স্বার্থে বিদেশে যেতে চান , তাদের কাছে ব্রুনাই একটি খুব পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে।

ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ব্রুনাই যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কিছুটা আলাদা হতে পারে । তবে ব্রুনাই যেতে যে ডকুমেন্টসগুলো লাগে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।

  • বৈধ পাসপোর্ট। মিনিমাম যার মেয়াদ হবে দুই বছর।
  • ছবি পাসপোর্ট সাইজ। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • সিভি
  • অফার লেটার এবং কন্ট্রাক্ট পেপার
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • বিশ্ববিদ্যালয় অফার লেটার
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
  • জন্ম নিবন্ধন পত্র
  • ব্যাংক সলভেন্সি। মিনিমাম জনপ্রতি তিন লক্ষ টাকা রাখতে হবে।
  • টিন সার্টিফিকেট
  • টুরিস্ট ভিসা হলে ফ্লাইট রিটার্ন টিকিট থাকতে হবে।

ব্রুনাই যেতে কত বছর বয়স লাগে

কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত খুলেছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত উদ্যোগে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ব্রুনাইয়ে কর্মী পাঠানো হচ্ছে । নিরাপদ কর্মপরিবেশ , নিয়মিত বেতন এবং বিদেশি অভিজ্ঞতা অর্জনের অসাধারণ সুযোগ ব্রুনাই। যোগ্য প্রার্থীরা এখনই আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড অর্থাৎ বোয়েসেল এর মাধ্যমে সরকারিভাবে ব্রুনাইয়ে যাওয়া বর্তমানে অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে ।


আপনি যদি ব্রুনাই যেতে চান তাহলে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৫৫ বছর পর্যন্ত আপনি যেতে পারবেন। তবে বয়স আপনার প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অর্থাৎ ২১ বছর হলে ভালো হয়। কারণ কাজের ভিসায় বয়সটা একটা ম্যান্ডেটরি হয়ে গেছে। সেজন্য ২১ বছরের ভিসা আবেদন করলে আপনার ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। পাসপোর্ট এবং এনআইডি থাকতে হবে এতে করে আপনার বয়সটি প্রমাণ করা আপনার জন্য ম্যান্ডেটরি ।

ব্রুনাই ভিসা আবেদনের ধাপ

ব্রুনাই ভিসার দাম কত এটি জানার পাশাপাশি আপনার জেনে নিতে হবে ব্রুনাই ভিসা আবেদনের ধাপ এর প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়াটি সহজ হলেও কিছু নির্দিষ্ট ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হয় । প্রথমে আপনি আপনার উদ্দেশ্য নির্বাচন করুন এবং এরপর তার ভিত্তিতে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন। যেমনঃ টুরিস্ট ভিসা , ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসা নির্দিষ্ট করুন। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যেমনঃ আপনার পাসপোর্ট, ছবি , ফ্লাইট বুকিং , ব্যাংক সলভেন্সি , ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে ।

এরপর আপনাকে ব্রুনাইয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা দূতাবাস থেকে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। এরপর আপনাকে আবেদন ফ্রি পরিশোধ করতে হবে। এবং আপনার আবেদন ফরমটি জমা দিয়ে দিতে হবে। সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন কর্ম দিবসের মধ্যে ভিসা প্রসেস করা হয়ে থাকবে । তবে জরুরী ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস প্রসেসিং নামে যে সুবিধাটা আছে সে সুবিধা পাওয়া যায় । এভাবে ধাপে ধাপে আপনাকে ব্রুনাই ভিসা আবেদনটি করতে হবে । ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে ।

ব্রুনাই কাজের  ভিসা

বর্তমান সময়ে ব্রুনাই কাজের ভিসা চালু রয়েছে । অনেকে বেশি টাকা ইনকামের উদ্দেশ্যে এক দেশ থেকে আরেকটি উন্নত দেশে কাজের উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছেন । তেমনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বেশি টাকায় ইনকামের জন্য পারফেক্ট একটি দেশ । বর্তমানে 2025 সালে ব্রুনাই কাজের ভিসা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে । বর্তমানে সময়ে বোয়েসেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে G2G চুক্তির কারণে আবেদন সহজ ভাবে করা যায়। এর ফলে এই ভিসায় যাওয়ার  সংখ্যা বাংলাদেশীদের বাড়ছে।
ব্রুনাই-ভিসার-দাম-কত

 কারণ এই ভিসায় যেতে পারলে বেতন ভালো এবং সেখানে বসবাসযোগ্য অর্থাৎ লিভিং কস্ট কম। আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্রথমে আপনি একটি জব অফার সংগ্রহ করুন। তারপর ডকুমেন্টস গুলো জমা দিন । আপনি আবেদন করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে অথবা হাইকমিশনার এর ওয়েবসাইট -এ গিয়ে। এজেন্সি মাধ্যমে গেলে আপনাকে তারা সব ধরনের সাহায্য করবে এবং আপনার জন্য তা অনেকটা সহজ হবে কিন্তু চার্জ তারা একটু বেশি নিয়ে থাকে । ২০২৫ এ যে নতুন রুলস বের হয়েছে তার প্রেক্ষাপটে স্পন্সর কোম্পানি আপনার দায়িত্ব নিয়ে থাকবে থাকা খাওয়ার।

উপসংহারঃ ব্রুনাই ভিসার দাম কত

 অসংখ্য পদে বর্তমানে বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য কোম্পানি শ্রমিক নিয়োগ করছে। মাসিক সেলারি খুবই ভালো। বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য কর্মী নিচ্ছে ব্রুনাই। কোন দালাল নয় সরকারি তত্ত্বাবধানে একেবারে ন্যায্য খরচে বিদেশি কাজের সোনালী খরচ । কাজের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবে চকচকে শহর, রেমিটেন্স পাঠানোর এক দুর্দান্ত সুযোগ । বাংলাদেশ থেকে ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার দূরে ব্রুনাই শহর। সেখানে আছে কাজের দুর্দান্ত সুযোগ।


বাংলাদেশ থেকে ব্রুনাই টুরিস্ট ভিসা একেবারে অল্প টাকায়  মাত্র ১৪৪০ টাকায় ভিসা দিচ্ছে। তারা বাঙালিদেরকে সহজে ভিসা দিচ্ছে । টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হচ্ছে তিন মাস। ইস্টে ভিসা মেয়াদ হচ্ছে মাত্র এক মাস। ব্রুনাই গেলে আপনি খুব সহজে মালয়েশিয়া ট্যুর করতে পারবেন। অল্প টাকায় ব্রুনায় যাওয়া আসা করতে পারবেন এবং এতে করে আপনার ভিসাটিতে বিভিন্ন দেশ যোগ হওয়ার সুযোগ থাকবে। সব মিলে হতে পারে ব্রুনাই আপনার জন্য একটা সেরা গন্তব্য। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url