লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে - ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
write poth
৩১ আগ, ২০২৫
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জানতে ইচ্ছে করে, যখন ইউরোপের মধ্যে অনেক
জনপ্রিয় একটি দেশ লিথুনিয়া যেতে চাই। লিথুনিয়া হল সেনজেনভুক্ত বাল্টিক
দেশ।্লাতভিয়া ও এস্তোনিয়ার সাথে আরেকটি দেশ লিথুনিয়াও হল বাল্টিক
রাষ্ট্র। তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তম রাষ্ট্র হচ্ছে লিথুনিয়া।
প্রতিবছর লিথুনিয়া শ্রমিক নিয়োগ করে বিভিন্ন কাজের জন্য। এই দেশে
আছে অনেক ধরনের কাজ। আপনি লিথুনিয়ায় ভিসা নিতে পারবেন যে কোনো ধরনের কাজ
পছন্দ করে । আর অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারবেন খুব সহজে।
কম খরচের মধ্যে লিথুনিয়া যেতে চাইলে আপনি সরকারিভাবে আবেদন করুন।
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ লিথুনিয়া। লিথুনিয়া হল উত্তর ইউরোপের একটি
রাষ্ট্র। স্বাভাবিকভাবেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে চাইলে একটা ভিসার মাধ্যমে সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব হবে। কারণ ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার খরচ নির্ধারণ হয় । তবে
সরকারিভাবে লিথুনিয়ে ভিসা পেয়ে যেতে পারলে খরচের মধ্যে অর্থাৎ সাধ্যের মধ্যে
লিথুনিয়া যাওয়া যায়। সরকারিভাবে ভিসার খরচ সর্বোচ্চ চার লক্ষ
টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে।
আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে কোন এক এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়া ভিসার
আবেদন করতে চান, তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা করতে খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা আর কাজের ভিসার জন্য খরচ হবে ৭ লক্ষ টাকা
থেকে ৯ লক্ষ টাকা। লিথুনিয়া যেতে হলে আপনাকে একটা ভিসা ক্যাটাগরি
পছন্দ করতে হবে এবং তার উপরে আপনার ভিসা খরচ এর ভিন্নতা কিছুটা আলাদা হতে পারে। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার তথ্যগুলো সঠিকভাবে
পূরণ করে ,যদি এজেন্সির সাহায্য নিয়ে ভিসা করেন। তাহলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে তেমন কোন জটিলতা ভোগ করতে হবে না।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জানার জন্য প্রথমে আপনাকে কোন এজেন্সির সাথে
যোগাযোগ করতে হবে। অনেকের স্বপ্ন থাকে ইউরোপে যে কোন দেশে যাওয়ার । বিশেষ করে
ইউরোপের লিথুনিয়া দেশ হলে তো কোন কথাই নেই । কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য
এক অন্যতম ভালোলাগা । কারণ অন্য দেশের তুলনায় কিছুটা কাজের বেতন বেশি পাওয়া
যায়। সরকারিভাবে লিথুনিয়া প্রতি বছরে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করেন ।
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে সরকারিভাবে খরচ হয়
প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা । আর বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে
লিথুনিয়ার ভিসার আবেদন করতে পারেন তাহলে দেখা যায় যে স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ হয়
৪লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা এবং কাজের ভিসার জন্য খরচ হয় ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ
টাকা। বাংলাদেশি প্রবাসী লিথুনিয়াতে অনেক কম। চারটি ক্যাটাগরিতে লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলোঃ
সাধারণ কর্মীদের জন্য = ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য = EU Blue Card
সিজনাল = কাজের ভিসা।
ইন্ট্রা = কোম্পানির ভিসা।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
বর্তমানকালে অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন । লিথুনিয়াতে সরকার বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে থাকেন। সার্কুলার
অনুযায়ী আপনি আবেদন করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে google ক্রমে প্রবেশ করতে হবে ।
এরপর Lithuania visa application লিখে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন আপনি
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি। তখন আপনি সে ওয়েবসাইটে ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করে নিতে
পারবেন । এরপর আপনি ধারাবাহিকভাবে সঠিক তথ্য পুরন করে এজেন্সির সাহায্যে ওয়ার্ক
পারমিট এর ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের কাছে গেলে তাড়াতাড়ি তারা কাজ করে
দেবে।
কাজের ভিসা প্রসেসিং করার আগে আপনাকে ভিসা
আবেদনকারী হিসেবে বৈধ কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে । আর
আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়া কাজের ভিসা প্রসেসিং করে থাকেন, তাহলে তারাই
অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে দেবে। আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন জব্পোর্টাল ওয়েবসাইট আছে, সেখানে লিথুনিয়ার জব খুঁজতে হবে। কোন কোম্পানি যখন
আপনার নির্বাচিত করবেন তখন বৈধ জব অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এরপর আপনি ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।
লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ লিথুনিয়া। বাংলাদেশ থেকে যখন লিথুনিয়া যাওয়ার
জন্য মনস্থির হয়, তখন সর্বপ্রথম জানতে প্রয়োজন পড়ে, লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে। বিভিন্ন ধরনের ভিসার ক্যাটাগরি আছে আর আর সেই
ভিসার জন্য আবার ভিন্ন ভিন্ন রকমের রিকোয়ারমেন্ট আছে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন
ধরনের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ
থেকে আপনি যদি যান ,তাহলে লিথুনিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার দেখাতে
হবে। তার সঙ্গে ফাইন্যান্সিয়াল সক্ষমতা এর প্রয়োজন পড়বে।
কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে আপনার কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন হবে। লিথুনিয়া ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে
আপনাকে প্রথমে ট্রাভেল রেকর্ড ও ফাইনান্সিয়াল সক্ষমতা দেখাতে হবে।নিজে নিজে আপনি ভিসা প্রসেসিং করে লিথুনিয়ায় যেতে পারবেন। তবে কিছু বেসরকারি
এজেন্সি আছে তাদের মাধ্যমে লিথুনিয়া যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জমা দিলে তারা সম্পূর্ণ কাজটি আপনাকে করে দেবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন
এক্ষেত্রে আর্থিক প্রতারণা না হয় । তাই কাজ বুঝে পাবার আগে কখনো
অগ্রিমভাবে টাকা পরিশোধ করবেন না।
লিথুনিয়া ভিসার দাম কত
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জানার পাশাপাশি লিথুনিয়া ভিসার দাম কত তা আপনাকে জেনে নিতে হবে। তবে লিথুনিয়ায়
বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। আর এই ভিসার দাম নির্ভর করে আপনি কোন ক্যাটাগরির
ভিসাতে যাবেন তার ওপর। বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিসার দাম নিয়ে নিম্নে আলোচনা
করা হলোঃ
আপনি যদি কোম্পানি ভিসায় লিথুনিয়া যেতে চান তখন আপনার ভিসার দাম হবে
প্রায় চার থেকে ছয় লক্ষ টাকা।
আবার যদি স্টুডেন্ট ভিসায় লিথুনিয়া যেতে চান , তাহলে ভিসার দাম হবে এক লাখ ৫০
হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।
টুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা এই ভিসাতে লিথুনিয়া যেতে চাইলে ভিসার দাম পড়বে প্রায়
দুই লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা
ফ্যামিলি ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে চাইলে ভিসার দাম হবে দুই লাখ টাকা থেকে ৪লাখ
টাকা।
ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া যেতে চাইলে তখন আবার ভিসার দাম হবে ৪ লাখ টাকা
থেকে পাঁচ লাখ টাকা।
ক্রমিক নং
ভিসার নাম
ভিসার খরচ
১
কোম্পানি ভিসা
৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ
২
স্টুডেণ্ট ভিসা
দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ
৩
ভ্রমণ ভিসা
২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ
৪
ফ্যামিলি ভিসা
২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ
৫
ড্রাইভিং ভিসা
৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ
লিথুনিয়া কাজের ভিসা করতে কি কি লাগে
এক সময় লিথুনিয়া অনেক বড় একটি দেশ ছিল । বর্তমান বেলারুশ ও ইউক্রেনের
অধিকাংশ এলাকা ছিল এর অধীন। লিথুনিয়া দেশটি বালটিক সমুদ্রের তীরে অবস্থিত
হওয়ায়, এই দেশটিকে বলা হয় সেনজেনভুক্ত বালটিক দেশ । দেশটি ইউরোপের একটি
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। আমরা সাধারণত লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে যখন মনে
প্রশ্ন আসে, তখনই লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কথা মনে হয় । আর ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা বলতে আমরা দেশের কাজের ভিসাকে বুঝে থাকি । সবচেয়ে আনন্দের কথা এই যে
সরকারিভাবে কম খরচে বর্তমানে লিথুনিয়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সরকারিভাবে লিথুনিয়া যেতে চাইলে পারমিট ভিসা তৈরি করতে মোটামুটি ভাবে খরচ হয়
পাঁচ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।বর্তমানে আপনি যদি ওয়ার্ক
পারমিট ভিসায় লিথুনিয়া যেতে চান তাহলে খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে
আপনি বাংলাদেশ সরকারের যে এজেন্সি গুলো আছে , সেখানে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র জমা দিতে পারেন। উল্লেখ্য এই যে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজপত্র আলাদা
হয়ে থাকে। কি কি কাগজপত্র লাগে তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
পাসপোর্ট
ভোটার আইডি কার্ড
আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
জব অফার লেটার (ওয়ার্ক পারমিট)
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি অফার লেটার (স্টুডেন্টস ভিসা)
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (স্টুডেন্ট ও টুরিস্টদের )
একাডেমিক সার্টিফিকেট
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (স্টুডেন্ট দের)
কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ
মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
রিকমেন্ডেশন লেটার (স্টুডেন্টদের)
আইইএলটিএস কোর (স্টুডেন্টদের)
লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
লিথুনিয়া উত্তর ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। লিথুনিয়া অরণ্য, হ্রদ ও নদীতে
পরিপূর্ণ। ভিলনিয়াস হলো লিথুনিয়ার রাজধানী। লিথুনিয়া সেনজেনভুক্ত বালটিক দেশ।
বর্তমানে লিথুনিয়া যেতে সরকারিভাবে কম খরচে সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে আপনি
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন। লিথুনিয়া তে
জনসংখ্যা কম হওয়ায় তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ
করতে হয়। তাই আপনি লিথুনিয়া যেতে চাইলে কয়েক ধরনের কাজ করতে সুযোগ পাবেন ।
যাওয়ার আগে কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে তা সমস্ত তথ্যগুলো জেনে নিয়ে আপনি
যাওয়ার কাগজপত্র অর্থাৎ ভিসা প্রসেসিং করবেন । সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি
স্থানীয় প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । তাহলে সঠিকভাবে জেনে নিতে পারবেন
যে , লিথুনিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে। নিজ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার
দিয়ে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পছন্দ ্করে লিথুনিয়া যেতে পারবেন। নিম্নে লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আলোচনা করা হলোঃ
কনস্ট্রাকশন
ইলেকট্রিক্যাল
ড্রাইভিং
ওয়েলডার
ফ্যাক্টরি
রেস্টুরেন্ট
ক্লিনার
এ ধরনের কাজে সেখানে শ্রমিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
লিথুনিয়া কাজের বেতন কত
কাজের স্বীকৃতি অর্থাৎ পরিশ্রমের পর পারিশ্রমিক পেলে কাজ করতে ভালোলাগা আরো বেড়ে
যায়। সে ক্ষেত্রে কোন কাজ যখন শুরু করবেন তা আগে জেনে নেন। সে কাজের চাহিদা
কেমন এবং পারিশ্রমিক কি রকম পাওয়া যায়। সেই উদ্দেশ্যে বর্তমানে অনেক মানুষ
লিথুনিয়ার কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা জানতে
পারলেও অনেকে জানেন না যে বেতন কত নির্ধারণ করা আছে কাজেটির জন্য। তবে বর্তমানে অনলাইন এর মাধ্যমে লিথুনিয়ায় কাজের বেতন
সম্পর্কে বিভিন্নভাবে তথ্য জেনে নিন।
লিথুনিয়ায় কাজ ঘন্টা চুক্তি সেই কাজের জন্য
ইউরো দিয়ে থাকে । অর্থাৎ লিথুনিয়া আপনার অভিজ্ঞতার উপর কাজের বেতন
নির্ধারণ করে। নতুন যদি কাজে যোগদান করা হয় অর্থাৎ কাজের কোন অভিজ্ঞতা না থেকে
তাহলে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন । বাংলাদেশ সেই
টাকা হিসাব করলে দেখা যায় ৬০ থেকে ৭০০০০ টাকা হয় । আর অভিজ্ঞতা যদি কাজে
ভালো থাকে তাহলে তো কথাই নেই , সেখানে পাওয়া যায় প্রতিমাসে বাংলাদেশী টাকায় ৮০
হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ভাবনাটির সঙ্গে সঙ্গে কাজের জন্য নিথুনিয়া তে কত
বছর বয়স লাগে সেটা ও চলে আসে। ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ লিথুনিয়া। তাই এই
দেশ থেকে আরো কয়েকটি দেশে যাওয়া যায়। যেমনঃ পোল্যান্ড, লাটভিয়া, বেলারুশ
ইত্যাদি দেশে আপনি এক ভিসা থেকে যেতে পারবেন। খুব মজার বিষয় যে, ইউরোপীয়
ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত দেশে সহজে যাওয়া যাবে । এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে
লিথুনিয়ার এম্বাসি নেই।
আমাদেরকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ভিসার সমস্ত কাগজপত্র প্রসেসিং করতে হয় ।
এরপরে বলতে হয় বাংলাদেশ থেকে যখন কেউ কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আবেদন করেন তখন তার
বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২০ বছর। আর যারা স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসায় আবেদন করবেন
তাদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর। কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে আগ্রহী
হন তাহলে আপনার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে । এই বয়সের মধ্যে ভিসাটা করতে
পারলে কাজের জন্য তাড়াতাড়ি ভিসাটি হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া কোন দেশের পাশে অবস্থিত
লিথুনিয়া উত্তর ইউরোপের একটি রাষ্ট্র । উত্তরে লাতভিয়া ও এস্তোনিয়ার সাথে
লিথুনিয়া ও একটি বালটিক রাষ্ট্র এবং এই তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রের মধ্যে লিথুনিয়া
বৃহত্তম। লিথুনিয়া বালটিক সাগরের পূর্ব উপকূলে সুইডেন , ঠিক তার বিপরীত তীরে
অবস্থিত। এর উত্তরে আছে সীমান্তে লাটভিয়া পূর্ব -দক্ষিণে আছে বেলারুশ, আর
দক্ষিণ-পশ্চিমে পোল্যান্ড ও কালিনীনগ্রাদ ওবলাস্ত নামক এক রুশ ছিট মহল। একসময়
অনেক বড় দেশ ছিল লিথুনিয়া ।বর্তমান বেলারুশ ও ইউক্রেনের অধিকাংশ এলাকাটাই ছিল লিথুনিয়ার অধীনে।
পরিপূর্ণ আছে অরণ্য , নদী ও হ্রদে লিথুনিয়া। জনসংখ্যার বেশিরভাগই
লিথুয়ানিয়া এবং তারা রোমান ক্যাথলিক গির্জার সদস্য। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে
লিথুনিয়া একসময় বড় একটি দেশ ছিল। তাই দেখা যাচ্ছে যে দেশটি ইউরোপীয়
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বর্তমানে পরিচিত। এখানে বসবাস করার জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ
দেশ আর তাই কাজের জন্য প্রবাসীরা সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করতে চান।
সেখানকার জীবনমান অনেক উন্নত, আবহাওয়া বসবাস উপযোগী এবং লোক সংখ্যা কম হওয়ায়
চলাফেরা করে অনেক ভালো লাগে।
কাজের জন্য লিথুনিয়া দেশ কেমন
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এটা জানতে হলে প্রথমে জানতে হয় লিথুনিয়া দেশটিতে
গেলে কাজ কেমন পাওয়া যাবে। সেখানে লোকসংখ্যা কম হওয়ায় কাজের পরিমাণ বেশি
থাকায় তারা শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে এবং সরকারিভাবে সেখানে শ্রমিক নিয়োগের কথা
বিজ্ঞপ্তিতে জানান সেই বিজ্ঞপ্তি জানার পরে বিভিন্ন দেশ থেকে অনলাইনে কাজের জন্য
ভিসা আবেদন করে। উন্নত জীবনমান ও শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য
দেশটি অন্যতম।
লিথুনিয়া কাজ বেশি থাকার ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক সেখানে গিয়ে কাজ
করার সুযোগ পায় এবং এই সুযোগে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশকে করে
সমৃদ্ধ । আর জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করার সুযোগ করে দেয় । কাজের
জন্য লিথুনিয়া দেশ অন্যতম, কারণ সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপরে বেতনের
মান অনেক ভালো । নতুন অবস্থায় কিছুটা কম পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠলে
সেখানে ভালো কাজের পাশাপাশি পারিশ্রমিকও ভালো পাওয়া যায়। আর সেখান থেকে উন্নত
জীবনের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।
শেষ কথাঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
সঠিকভাবে সকল ডকুমেন্ট লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের জন্য প্রদান করতে
পারলে মাত্র.১২ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ভিসা তৈরি করা যায়। তবে খুব সাবধানে থাকতে
হবে সেটা যেন অসাধু কোন এজেন্সির মাধ্যমে না যায় । তাই দেখে শুনে বুঝে একজন
প্রতিষ্ঠিত এজেন্সি মাধ্যমে কাজে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করবেন
এবং তাদের কাজের ফি কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে পরিশোধ না করাই ভালো। এতে হয়রানি কম
থাকে।
ইউরোপের একটি উন্নত দেশ লিথুনিয়া। ইউরোপের এই দেশটিতে স্থায়ীভাবে প্রবাসী হতে
পারলে সেখানে বিচারক, সফটওয়্যার ডেভলপার, পাইলট, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ,
ফাইন্যান্স এন্ড ইন্সুরেন্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার
ইত্যাদি পেশাজীবীদের বেতন হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। আর বাঙালি প্রবাসীদের ক্ষেত্রে
সাধারণত কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে যেগুলোতে তাহলো ড্রাইভিং , প্লাম্বিং ,
ইলেকট্রনিক, ফুড ডেলিভারি এবং কনস্ট্রাকশনের কাজ।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url