রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি

রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি ? রাতে বিছানায় শুয়ে উস-খুস  করেন। হাত-পা প্রচুর চাবায় বা কামড়ায় । বারবার এপাশ ওপাশ করেও কোনো মতে ঘুম আসতে চায়না । আজকের এই আর্টিকেলটিতে হাত-পা কামড়ানোর সমস্যা সম্পূর্ণরূপে দূর করে কার্যকরী ঘরোয়া উপায়ে তথ্য নিয়ে এসেছি ।

রাতে-হাত-পা-কামড়ানোর-কারণ-কি

হাত ও পায়ের অস্থিরতা দূর করে মুহূর্তে শরীর শান্ত করে ঘুমের কোলে ঢলে পড়তে অসাধারণ কার্যকরী ঘরোয়া উপায়টি জানার জন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। অনেকেই আছে যে রাত্রে বেলায় পা চাবায়। শোয়ার পরে দেখা যায় পা প্রচন্ড চাবাচ্ছে বা কামড়াচ্ছে। এই সিমড্রোমটি হলো রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। 

পেজ সূচিপত্রঃ  রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি

রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি

কিছু জিনিসের অভাবের কারণে আপনার পা চাবায় বা কামড়ায় এবং এত বেশি কামড়ায় যে রাতে ঘুমাতে পারা যায় না । তখন বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতে হয় । যেমনঃ দড়ি দিয়ে বা গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধতে হয় । মজার ব্যাপার দিনে কিন্তু পা ভালো থাকছে । অথচ রাত্রে ঘুমাতে গেলে তখনই আসলে এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে । এর কতগুলো কারণ হচ্ছেঃ ঋতু পরিবর্তন এটার কারণেই কিন্তু পা চাবায় । বল যত বাড়ে তত সমস্যা বাড়তে পারে ।

পুষ্টির ঘাটতি , আপনার যদি ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম বা পটাশিয়ামের ঘাটতি হয় তাহলে কিন্তু আপনার এই ধরনের সমস্যা হতে পারে । পানি শূন্যতা যারা পানি কম খান । তারা কিন্তু ইলেকট্রোলাইটস অর্থাৎ আমাদের শরীরে যে ইলেকট্রোলাইটস গুলো আছে তার কিন্তু ব্যালেন্স বা ভারসাম্য ঠিক থাকে না । এর কারণে কিন্তু আমাদের পা চাবায় বা কামড়ায়। বিশেষ করে আমাদের হাঁটু থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত যে পিছনের দিকে মাসল রয়েছে সে মাসলগুলো বেশি আক্রান্ত থাকে বা কামড়াতে থাকে ।

এছাড়া রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া হয়ে থাকলে রাতে হাত-পা কামড়াতে পারে । ডায়াবেটিক্স যদি থাকে , হরমোনাল প্রবলেম বা হাইপোথাইরয়েড হয়ে থাকে তাহলে হাত-পা কামড়াতে পারে । কারো যদি ফলিক এসিড ডেফিসেট হয় তাহলেও হতে পারে । ক্রনিক ম্যানুফ্যাথি থাকে তাহলেও রাতে  হাত-পা কামড়ানোর সমস্যা হতে পারে । পার্কিং সন ডিজিজ বলে একটি ডিজিজ আছে । ইনডাইটরী প্রবলেম এর জন্য হতে পারে এই সমস্যা । আবার কিছু ফুড হেবিট এর জন্য এবং প্রেগনেন্সির সময় রাতে হাত-পা কামড়ানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

রাতে হাত পা কামড়ালে করণীয় কি

রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি এটা জানা যেমন আপনার প্রয়োজন তেমনি আপনাকে জেনে নিতে হবে রাতে হাত-পা কামড়ালে করণীয় কি? হাত-পা কামড়ানো প্রতিরোধ করতে গেলে আপনাকে কিছু খাবারের দিকে ও কিছু লাইফ স্টাইল মোটিফিকেশন, জীবন যাত্রার কিছু পরিবর্তন আনতে হবে । এখানে খাবারের ব্যাপারে আপনাকে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে । ম্যাগনেসিয়াম খাবারের অনেক সোর্স রয়েছে। তবে কিছু কমলি সোর্স রয়েছে যেমনঃ সিমের বিচি , কুমড়ার বিচি , বাদাম , শাকসবজি , ছোট মাছ এগুলোর ভিতর ম্যাগনেসিয়ামের ভালো সোর্স ।

আরো পড়ুনঃ   রাতকানা রোগ কেন হয় কোন ভিটামিনের অভাবে

তারপর আপনাকে হাইড্রেট থাকতে হবে। পানির ঘাটতি যেন আপনার শরীরে না হয় । পর্যাপ্ত পানি দিনের বেলায় আপনাকে খেতে হবে । এতে করে আপনি আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে পারবেন। রাতের বেলায় পায়ের কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যেগুলো আপনাকে করতে হবে। এই ব্যায়ামগুলো যদি আপনি নিয়মিত গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু মুক্তি পেতে পারেন । এগুলো রাতে হাত-পা কামড়ানোর ন্যাচারাল প্রতিষেধক । আর তা না হলে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। 

হাত পা চাবানোর ঘরোয়া চিকিৎসা

রাত্রে ঘুম না আসার মূর্খ কারণ হলো ঘুমের মধ্যে পা কামড়ানো । কারণ হলো শরীরের মধ্যে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব । আর কুমড়ার বীজ হলো এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান । কুমড়োর বীজে থাকা শক্তিশালী এক টক্সিডার এবং ট্রিপফা অ্যাসিডার মেনাটোলিন এবং সেরো টনিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে গভীর ভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে । ম্যাগনেসিয়াম , ওমেগা থ্রি এসিড এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে ভরপুর কুমড়ার বীজ মাংসপেশী টান ও খিচুনি দূর করে।

শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে শিথিলতা তে প্রদান করে এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করে পা কামড়ানোর সমস্যা সম্পূর্ণরূপে দূর করে । এবার উল্লিখিত সমস্যাগুলো দূর করতে কুমড়োর বীজ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করছি । প্রতিদিন রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে রাখা ছয়টি থেকে সাতটি কুমড়োর বীর একটা হালকা গরম দুধ অথবা জলের সঙ্গে খেতে হবে । প্রতিদিন এই উপায় ব্যবহার করলে অনিদ্রা এবং সমস্যা দূর হবে এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঘুমের কোলে ঢলে পড়বেন।

রাত হলে যাদের পা কামড়ায় তাদের জন্য ঘরোয়া আর একটি সমাধান হল হাফ ইঞ্চি আদা কুচি করে নিন । তারপর তাতে এক চামচ মেথি দিন। এরপর সরিষার তেলের মধ্যে তিন কোয়া রসুন কুচি করে কেটে দিন। তারপর এই তেল চুলায় দিয়ে গরম করে নিন। দুই থেকে তিন মিনিট গরম হওয়ার পরে নামিয়ে ফেলুন । তারপর হালকা ঠান্ডা হলে আপনার পায়ে এই তেল হালকা হাতে মালিশ করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট । রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে এই তেল মালিশ করুন । দেখবেন পা আর কামড়াবে না । 

হাত-পা কামড়ানোর সমস্যা কখন বেশি দেখা যায়

আপনি যখন দীর্ঘ সময় একটি জায়গায় বসে থাকবেন বা দাঁড়িয়ে থাকবেন। এই থাকার কারণে অনেক সময় রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে। এর ফলে হাত-পা চাবানোর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া আপনার মাংসপেশী শিথিলতা এবং স্নায়ুর কার্যক্রমের পরিবর্তনের ফলে এই সমস্যাগুলোর কারণ হতে পারে । এই কার্যক্রম গুলো সাধারণত আমরা দিনের বেলা হাত করে থাকি , শুধু তাই নয় বেশি শিথিলতা এবং স্নায়ুর কার্যক্রমের পরিবর্তনেও ব্যথা হতে পারে ।

আরো পড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় পেট জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় 

আর তাই , আপনি যখন ঘুমোতে যান তখন আপনার পেশির শিথিলতা এবং রক্ত সঞ্চালনে যে পরিবর্তন ঘটে তার কারণে রাতে পা কামড়ানোর সমস্যা অনেক সময় বেশি দেখা দেয় । শুধু তাই নয় আপনি যখন ভুল ভঙ্গিতে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করবেন তখন আপনার পা কামড়ানোর সমস্যা বাড়তে পারে ।যেমনঃ  দীর্ঘ সময়ের জন্য পানিশূন্যতা , পুষ্টির অভাব এবং অতিরিক্ত ব্যায়াম বা অতিরিক্ত সময় আপনি যখন দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস তৈরি করে ফেলবে তখন আপনার এই ধরনের পাকা মানুষ সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে।

হাত-পা কামড়ানোর জন্য হালকা ব্যায়াম

রাতে হাত-পা কামড়ালে । রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি তা জেনে নেওয়া আপনার উচিত।আপনাকে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে হবে। দীর্ঘ সময় যখন আপনি এক জায়গায় বসে থাকবেন বা দাঁড়িয়ে থাকবেন এর ফলে পা চাপানোর কারণ বেড়ে যেতে পারে । তাই নিয়মিত হাঁটাচলা বা হালকা ব্যায়াম আপনার জন্য হতে পারে একটা নিরাময় । রক্ত সঞ্চালন ভালো করার জন্য আপনাকে সবসময় একটি সহজ উপায় বেছে নিতে হবে যা হলো যথাযথ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া এবং স্ট্রেচিং । দিনে ১০থেকে ১৫ মিনিট একটা হাত পায়ের জন্য হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করে নিতে পারেন ।

রাতে-হাত-পা-কামড়ানোর-কারণ-কি


ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং এর ফলে আপনার বেশি শিথিল হবে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেবে । হাতের ব্যায়াম করতে পারেন যেমন আপনি কব্জি ঘোরানো , আঙ্গুল মোচড়ানো এবং হাতের মুঠি খুলা ও বন্ধ করা । এই ব্যায়ামগুলো আপনি নিয়মিত করতে পারেন । এর ফলে কিছুটা রাতে হাত-পা কামড়ানো থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাবে বলে আশা রাখি । শুধু তাই নয় তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি হাত পা পেতে মেসেজ করতে পারেন । নারকেল তেল কিম্বা অলিভ অয়েল দিয়ে বা সরিষার তেল ব্যবহার করে মেসেজ করলে হাত-পায়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং পেশি শিথিল করে । 

ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন

আপনার শারীরিক কার্যক্রম এর জন্য মাঝারি ধরনের কার্যক্রম বজায় রাখুন । যেমনঃ হাঁটাচলাফেরা , হালকা স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম , যা বেশি ও স্নায়ুর সুস্থতাকে নিশ্চিত করতে সহায়ক করবে । পর্যাপ্ত পরিমাণে ও নিয়মিতভাবে ঘুম , হাত পা চাবানোর সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে । আবার কখনো একটানা বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে কাজ করলে আপনি মাঝে মাঝে বিরতি নিতে পারেন এতে করে আপনার শরীরকে কিছুটা শিথিলতা বজায় রাখার ফলে হাত পা কামড়ানো দূর হতে পারে ।

আমি মনে করি এই সহজ ঘরোয়া উপায় গুলো সমাধানের জন্য হাত পা চাবানোর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে । তবে সমস্যা যদি আপনার ক্রমাগত বাড়তে থাকে এবং তীব্র ব্যথা হতে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি । তবে নিজের উপর শারীরিক সচেতনতা এবং ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে আমি আশা রাখি ।

হাত পা কামড়ানোর প্রাথমিক লক্ষণ

রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি তার পাশাপাশি হাত-পা কামড়ানোর প্রাথমিক লক্ষণগুলো আপনার জেনে নেওয়া উচিত। হাত-পায়ে আপনার যখন তীব্র ব্যথা হবে বা ফোলা ভাব দেখা দিবে কিম্বা অবশ ভাব অনুভব করবে তখনই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শুধু তাই নয় পরিবর্তন দেখবেন যেমনঃ লালচে ভাব , ত্বকের ফুসফুরি বা ফোলা ভাব দেখা দিলে । সাধারণত বাতের ব্যথা বাটে ব্যথা গিফট ফুলে যাওয়া । হাত পা নাড়াতে সমস্যা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরে পায়ের হাতের জ্যাম লাগা এসব লক্ষণ যদি চিহ্নিত হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুনঃ শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার   

শুধু তাই নয় স্কিনের র‍্যাস আসা , মাথার চুল পড়ে যাওয়া , মুখের ভেতর ঘা হওয়া , হাত-পা ঝিমঝিম করা এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা দিতে পারে । এই লক্ষণ গুলো হাত-পা ব্যাথার সাথে  ক্রমশ দেখা গেলে চিকিৎসক কে শরণাপন্ন হয়ে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। কারণ হাত-পা চাবানোর বা কামড়ানোর সমস্যা যদি লক্ষণগুলির সাথে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। হাত-পা কামড়ানোর প্রকৃত কারণ বের করতে ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা ইএনজি এমআরআই এগুলো সাধারণত করে থাকেন।

হাত-পা কামড়ানোর জন্য ফিজিওথেরাপি

রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি? আপনার যদি রাতে হাত-পা কামড়ায় বা চাবায় তাহলে এই সমস্যা থেকে নিরাময় পাওয়ার জন্য চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ডাক্তাররা সাধারণত স্নায়ুর ব্যথা কমাতে বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন এবং পেশী শিথিল করনের জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন । তবে সঠিকভাবে ওষুধ ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী ।

ফিজিওথেরাপি হলো এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খুবই কার্যকরী একটা উপায়। প্রথমত ফিজিওথেরাপিস্টরা বিশেষ ব্যায়াম দিয়ে থাকেন এবং করে থাকেন । ইলেক্ট্রো থেরাপি এবং মাসল স্ট্রেচিং এর মত পদ্ধতিগুলো তারা ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং পেশিশক্তি বাড়তে সাহায্য করে । ফিজিওথেরাপি নিলে পারে রাতে হাত-পা কামড়ানো অনেকটা দূর হবে এবং বেশি শক্তি যখন বৃদ্ধি পাবে তখন সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি থাকে বলে আমি আশা রাখি ।

বিকল্প চিকিৎসা আকুপাংচার বা অ্যারোমা থেরাপি

যদি সাধারণভাবে প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ না হয় তবে আপনি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিও বিবেচনা করতে পারেন। যেমনঃ আকুপাংচার বা অ্যারোমা থেরাপি । এই চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের শক্তি প্রবাহকে স্বাভাবিক করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে । শুধু তাই নয় বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে লেজার থেরাপি এবং নিউরো স্টিমুলেশন এর মত নতুন নতুন প্রযুক্তিও ব্যবহার করা যেতে পারে ।

রাতে-হাত-পা-কামড়ানোর-কারণ-কি

তবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করেও এই সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর ডায়েট গ্রহণ করা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা এবং ধূমপান বা অ্যালকোহল এড়ানো এক্ষেত্রে খুব সহায়ক বলে আমি মনে করি ।সব সময় সাবধান থাকা উচিত এবং সতর্কতা থাকা উচিত সমস্যা হাত-পা চাবানোর গুরুতর হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবে এবং তাদের পরামর্শ নিন । রিউমাটোলজিস্ট-বাতের সমস্যা ও বেশি ব্যথা নিরাময়ের জন্য এরা বিশেষজ্ঞ । পেডিয়াট্রিশিয়ান-শিশুদের হাত পা চাবানোর সমস্যা নিরাময়ের জন্য এরা বিশেষজ্ঞ ।

শেষ কথাঃ রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি

রাতে হাত-পা কামড়ানো বা চাবানো এই সমস্যাটি অনেকের কাছে সাধারণ মনে হতে পারে। তবে এটি নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে । সেই জন্য সঠিক চিকিৎসা ও আপনার লাইফ স্টাইলের পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে আপনি খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন । নিজে নিজে কোন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত । আপনি সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মিলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারেন ।

স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিয়মিত চেকআপ আপনার শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে সহায়তা করবে । সব সময় মনে রাখবেন আপনার শরীর আপনার সবচেয়ে বড় একটি সম্পদ । তাই সেটিকে খুব যত্ন সহকারে রাখা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য বলে আমি মনে করি । তবে রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি এটি সাধারণত ব্যক্তি বিশেষে চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতেও পারে। তাই সব সময় ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন অবশ্যই হওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url