গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় কোন দুশ্চিন্তা ছাড়াই একটি ফল আপনি খেতে পারবেন আর তা হলো কলা । গর্ভাবস্থায় কলা খেলে এত উপকার যা জানলে আপনি অবাক হবেন । গর্ভাবস্থায় কলা খেলে মর্নিং সিকনেস দূর হয় । আর তাই, বিশেষজ্ঞদের মতে কলা  বি ভিটামিনে পূর্ণ ।

গর্ভাবস্থায়-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা
মাথা ব্যথা এসিডিটি ইত্যাদি নিয়ে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠা খুব কষ্টকর। তাই সতেজ ও সুস্থ থাকার জন্য কলা খাবেন এবং প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের কলা খাওয়া উচিত । যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে বমি রোধ করতে কাজ করে। গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় কলা যোগ করলে মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে।

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলা হচ্ছে অন্যতম একটি সুপার ফুড। কারণ কলা সারা বছর পাওয়া যায়। কলার বিভিন্ন ক্যাটাগরি থাকে। যেমনঃ আমাদের দেশে সবরি কলা , চম্পা কলা , সাগর কলা বা বাংলা কলা বিভিন্ন রকম বলে। পাহাড়ি কলা থাকে  , এসবই যখন অর্গানিক থাকে তখন প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য  ভালো । জাত অনুযায়ী গ্লাইসোমিকস ইনডেক্স । ও কিছু ক্যালোরি ভেরি করে থাকে । অনেকের গর্ভাবস্থায় কলাতে গ্যাস ফর্ম করে। সে ক্ষেত্রে কলার নাম অনুযায়ী পরিবর্তন করে কলা খেয়ে দেখতে পারেন। অর্থাৎ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কলা চেঞ্জ করে খাওয়া যায় । 

একচুয়ালি সব জাতের কলা গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী। কারণ রিচ পটাশিয়াম থাকে , আইরন থাকে , ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই তিনটা মৌলিক জিনিস অর্থাৎ ইলেকট্রোলাইট বা নিউট্রালাইট আমরা কলা থেকে পাই । তাই কলাতে যে পরিমান ফ্রুকটোজ থাকে অর্থাৎ ভাত না খেয়ে কেউ যদি কলা ইনটেক করে তাহলে গর্ভবতী মা হিসেবে সে আরো বেশি এনার্জিটিক হবে এবং প্রচুর নিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে বিশেষ করে ইলেক্ট্রোলাইট এর কথা বলব । অর্থাৎ সোডিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , পটাশিয়াম ব্যালেন্স করার জন্য গর্ভবতী মায়েদের কলা অনেক উপকারী ।

কলা খেলে যে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়

কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকার কারণে স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ । গর্ভাবস্থায় প্রায় রক্তচাপের উঠানামা হয়। যা নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে এড়ানো যায়। তাই গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেরি না করে কলা খাবেন । গর্ভাবস্থায় কলা খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে । আইরনের মাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা । সেখানে কলা কাজে আসে । কলাতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে । আর আয়রন শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খাদ্যে প্রাকৃতিক আয়রন সম্পূরক হিসেবে কাজ করে ।

আরো পড়ুনঃ শরীরে লাল লাল রেশ চুলকানি - কার্যকরি ঘরোয়া প্রতিকার

তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনই কলা খাওয়া উচিত। কলাতে আছে ভিটামিন বি সিক্স, আইরন ও ফলিক এসিড । যা মস্তিষ্কে স্বাস্থ্যের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । গর্ভাবস্থায় কলা খেলে এই উপকারগুলো পাওয়া যাবে অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় পুষ্টিগুণগুলো পাওয়া যায় । তাই গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় অবশ্যই কলা রাখুন । গর্ভাবস্থায় অনেকেরই বুক জ্বালার সমস্যা থাকে। যদিও এই ধরনের উপসর্গ সম্পূর্ণ ভাবে এড়ানো যায় না, তবে কলা খেলে তা খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে অম্ল তার মাত্রা কমিয়ে রাখে । এটি আপনাকে কিছু হলেও স্বস্তি দিবে । তাই গর্ভাবস্থায় এই ধরনের সমস্যা কমাতে চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন ।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি

গর্ভাবস্থায় একজন হবু মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয় । কোন খাবার খেলে উপকার হবে এবং কোনটি খাওয়া ঠিক নয় তা জেনে তারপর খাবার খেতে হয় । আর এই কারণেই গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান অনেকেই । গর্ভবতী যে কোনো সময়ে মায়েদের জন্য কলা খুব উপকারী । যদি তার অন্য কোন প্রবলেম না থাকে অর্থাৎ অ্যালার্জি না থাকে । এছাড়াও বাচ্চা হেলদি , বাচ্চা ব্রেইনি বা বাচ্চা সুন্দর হওয়ার জন্য কিন্তু কলা ফ্রুটস এর মধ্যে অন্যতম এবং বাচ্চার কালারের জন্য কলা অনন্যা ।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা জানা আপনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন । আর আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে তো কোন কথাই নেই । কলা খেলে মর্নিং সিকনেস দূর হয় । রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে । কলা খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে । শুধু তাই নয় গর্ভাবস্থায় কলা খেলে শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশ ঘটে । তাই নিজেকে শরীরের সাথে মানিয়ে নিয়ে একটু বুদ্ধি করে চলতে পারলে কলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে ।

গর্ভাবস্থায় কলা খেলে মা ও সন্তান উভয়েরই উপকার

আপনি যদি এই সময় গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জেনে নেওয়া উচিত গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা । কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম , ভিটামিন বি ও সি সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যুক্ত ও মিনারেল । এগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে ডাইটারি ফাইবার। মর্নিং সিকনেছে সাহায্য করে। নিয়মিত গর্ভাবস্থায় কলা খেলে পেট ভালো থাকে এবং বমি বমি ভাবটা অনেকখানি কমে যায় শুধু তাই নয় কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভাবস্থায় যদি হয়ে থাকে তাহলে তা কমতে সাহায্য করে কারণ কলায় থাকে উচ্চফাইবার । কলাতে যে ক্যালসিয়াম আছে তা শিশুর হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে।

আরো পড়ুনঃ  রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি 

আর তাই গর্ভ অবস্থায় যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাহলে আপনাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে কলা খাওয়া উচিত। শুধু তাই নয় কলাতে প্রাকৃতিক এন্টাসিড আছে। যা বুক জ্বালা পোড়া কমাতে সাহায্য করে । তাই এটি গ্যাস্ট্রো ই সোফিগাল রি ফ্লাক্স ডিজিস হওয়ার সম্ভাবনা কম হয় । কলাতে স্বাস্থ্যকর ক্যালোরি থাকে তাই এটি ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । কিন্তু ভালো এক ধরনের ক্যালরি থাকায় এটি অতিরিক্ত ওজন আটকাতে সাহায্য করে। ফলে মা সাবধানতা অবলম্বন করে জীবন অতিবাহিত করলে একটি সুস্থ সন্তান পৃথিবীতে আনতে পারে ।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া নিরাপদ উপায়

গর্ভাবস্থায় আরও বেশি আপনাকে সতর্ক থাকতে হয়। কারণ তখন আপনার শরীরের ভিতরে আরেকজনের বাড়তে থাকে অর্থাৎ আর একটি প্রাণ বড় হতে থাকে। তাই তখন নিজের সঙ্গে সঙ্গে আরও একজনের দায়িত্ব আপনাকে নিতে হয়। সেজন্য ভাবি মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকার পথ অবলম্বন করতে হয় । আর তাই আপনি যদি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোত্রের মধ্যে না থাকেন। তাহলে আপনি নিরাপদে পরিমিত ভাবে কলা খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায়-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-কার্যকারিতা

কলা খাওয়ার সময় আপনি সবসময় দেখে নিবেন গলাটি যেন ফ্রেশ এবং পাকা কলা হয় । আর যদি আপনি গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিসে থাকেন অথবা বেশি মোটা হয়ে থাকেন। যেন আপনাকে ওজন কমাতে চেষ্টা করতে হয় তাহলে দিনে মাত্র একটি করে কলা খাবেন। এতে করে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আধা পাকা কলা কিংবা বেশি পেকে গেছে এমন কলা না খাওয়ার চেষ্টা রাখবেন। আর আপনি যদি কাঁচা খেতে চান বা  স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে চান তাহলে খোসাটি ধুয়ে নিয়েন এতে করে খাবারটি স্বাস্থ্যসম্মত হবে ।

গর্ভাবস্থায় কলা সম্পর্কে সাধারণ ভুল ধারণা

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে আপনার জেনে নেওয়া অবশ্যই উচিত। এতে করে আপনার কোন কলা সম্পর্কে গর্ভাবস্থায় কোন ভুল ধারণা থাকবে না। কোন খাবারটি খেলে আপনার গর্ভাবস্থায় উপকার হবে আর কোনটি ক্ষতিকার হবে তা জেনে নেওয়া আপনার জন্য বড় উপকারী একটা উপায় হবে। সেই কারণে গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকাটা হতে হবে অনেক সচেতন শীল এবং পুষ্টিকর। সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চলা আপনার উচ...

গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকার। আর সেই উপকারী ফলের মধ্যে একটি এবং অন্যতম ফল হলো কলা। কিছু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অবশ্য কলা একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফল হতে পারে তবে এটি গর্ভ না ধারণ করার কোন ফল নাই এরপরেও অনেকের গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার সম্পর্কে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়ে গেছে । যেমনঃ কলা গর্ভপাত ঘটাতে পারে এটির কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই । কলা আপনার জন্য হতে পারে এক চমৎকার খাবার ।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য কলা একটি পুষ্টি নির্দেশিকা

আপনি যদি একজন গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারিতা কি তা আপনার জেনে না অবশ্যই উচিত । গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য কলা একটি পূর্ণ খাবার তৈরি করে কারণ এতে কোন ধরনের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকে না। গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় আপনি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন কলা। এতে অনন্য পুষ্টিগুণ আছে  যার ফলে খাদ্য তালিকায় পুষ্টিগত দিক থেকে কলা আলাদা।

  • পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কলা অর্থাৎ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
  • কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ আছে। এটি গর্ভবতী মায়ের শিশুর গর্ভাবস্থায় ভ্রুনের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
  • কলাতে আছে প্রাকৃতিক শর্করা। যা তাৎক্ষণিকভাবে শক্তির জন্য ফ্রুটুলস এবং গ্লুকোজ এর মত কাজ করে থাকে ।
  • ফাইবারের ভালো উৎস থাকার জন্য কলা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।
  • কলা কম চর্বি এবং কোলেস্টেরল মুক্ত হয়।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে , গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারিতা জানা খুব প্রয়োজন। কাঁচা কলায় আঁশ থাকে এবং রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে । তাই গর্ভকালীন অবস্থায় যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে তা প্রতিরোধে কার্যকার ভূমিকা রাখতে পারে কাঁচা কলা । এতে থাকে ভিটামিন বি৬ । তাই গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে কাঁচা কলা সাহায্য করে শুধু তাই নয় টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বেশ উপকারী ।

আরো পড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় পেট জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় 

কাঁচা কলা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বেশ কার্যকরী। কারণ এতে থাকে পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ফলে সুস্থতা বজায় রাখে । তবে যাদের কিডনি রোগের সমস্যা রয়েছে অথবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে । তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম পরিমাণে গ্রহণে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা । ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য কাঁচা কলা হজমে বেশ সহায়ক এটি প্রাকৃতিক এনজাইম তাই পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

গর্ভাবস্থায় কলা কখন খাবেন না

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের একেকজনের একেক ধরনের শারীরিক সক্ষমতা হয়ে থাকে। ফলে বিভিন্ন ধরনের খাবার সহ্য করার ক্ষমতা একেক মায়ের একেক ধরনের হয়। আর তাই আপনার শরীর বুঝে আপনাকে খাবার গ্রহণ করতে হবে। যদি বুঝতে পারেন কলা আপনার জন্য ক্ষতি করছি কিংবা খারাপ লাগছে তাহলে না খাওয়াই ভালো । আবার মর্নিং সিকনেস থাকার ফলে অনিকের বমি বমি ভাব হয় এর ফলে কলা না খাওয়া উচিত ।

গর্ভাবস্থায়-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা

যেহেতু কলা প্রাকৃতিক ফল হওয়ার পরেও কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি । এতে ব্লাড সুগার বাড়তে পারে । তাই আপনার যদি জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে আপনার পরিমাণে বেশি কলা না খাওয়াই উচিত। আবার অনেক সময় কলা খেলে এলার্জি হয় তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য সেই সময় কলা না খাওয়াই ভালো বলে আমি মনে করি । সাধারণ অবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা পরিমাণে কম কলা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য তা ভালো হয়ে থাকে তাই প্রতিদিন একটি বা দুটি করে কলা খেতে পারে অতিরিক্ত কলা শরীরের জন্য না খাওয়াই ভালো ।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায় হয়ে আসে তার জীবনে । তাই এই সময়টা শরীরের প্রতি বেশি যত্নবান হওয়া উচিত। এই যত্নের সাথে সাথে খাবারের চাহিদার দিকেও বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই জেনে নিতে হবে আপনাকে যে গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার নিরাপদ কিনা? মনে করেন যে গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া অত্যন্ত নিরাপদ এবং এটি পুষ্টিকর । প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকার জন্য শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

এবং স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে পারে কলাতে পটাশিয়াম থাকাই। শুধু তাই নয় কাঁচা প্রচুর পরিমাণ আয়রন।  যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে । তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে বা পেটের সমস্যা আছে অর্থাৎ পেট ফোলার সমস্যা রয়েছে। তাদেরকে গাজা কলা খাওয়া ব্যাপারে এড়িয়ে চলা সব সময় উচিত । তবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সব সময় কলা সহ বেশিরভাগ ফল বেশ নিরাপদ এবং সহনশীল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url