শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ। সমসাময়িক সময়ে আমরা আমাদের পরিবারের শিশুদের বিভিন্ন জ্বরের কারণে কিছুটা আতঙ্ক , কিছুটা উৎকণ্ঠায় আমরা আমাদের সময় পার করি । বর্তমান সময়ে ব্যাকটেরিয়া জনিত জ্বর আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেমনঃ টাইফয়েড জনিত জ্বর ।
সম্মানিত পাঠক ,আমরা আজকে শিশুদের সাথে টাইফয়েড জ্বরের বিভিন্ন লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। টাইফয়েড জ্বর ব্যাকটেরিয়া জনিত একটি রোগ। যা কিনা দূষিত খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এই জ্বরের জীবাণুর নাম সালমোনেলা টাইফয়েড।
পেজ সূচিপত্রঃ শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
- শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
- শিশুর টাইফয়েড জ্বরের কারণ
- টাইফয়েড জ্বর কিভাবে নির্ণয় করবেন
- টাইফয়েডের ঝুঁকির কারণগুলো কি কি
- টাইফয়েড জ্বরের জটিলতা গুলো কি কি
- টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত
- টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা
- টাইফয়েড জ্বরের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার
- টাইফয়েড জ্বর প্রতিকারের উপায়
- শেষ কথাঃ শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
এ জ্বরের তীব্রতা বেশ ব্যাপক। এই জ্বর সাধারণত হুট করে কিছু বুঝতেও পারা যায় না। আমি যদি লক্ষণ গুলো একটু বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখেন প্রথমত জ্বর তো অবশ্যই থাকবে এবং এই জ্বরটি কিন্তু ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে । অনেকটা সিঁড়ির ধাপের মত । শুধু তাই নয় বাড়তে বাড়তে গিয়ে দেখা যায় যে এই জ্বর ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে থাকে । দিনে তিন থেকে চারবার আসতে থাকে এই জ্বর । আবার অনেক সময় দেখা যায় যে ওষুধ দিয়ে জ্বরকে দমিয়ে রাখা যায় না ।
কিছুক্ষণ পর দেখা যায় যে জ্বর আবার সামনে চলে আসে । পাশাপাশি এই জ্বরের সাথে যেটা থাকে; দেখা যায় যে তার পেট ব্যথা , তার বমি বমি ভাব , তার ক্ষুধা মন্দা , তার মাথাব্যথা এই ধরনের বিভিন্ন রকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে । তবে জ্বর ৭ দিনের বেশি হলে একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, জ্বরের সাথে সাথে এই লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে শিশুকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে ।
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের কারণ
রোগটার নাম হচ্ছে টাইফয়েড জ্বর। আবার সালমোনেলা প্যারা টাইফয়েড নামক জীবাণু দিয়ে যে রোগটি হয়ে থাকে। তাকে বলা হয়ে থাকে প্যারা টাইফয়েড জ্বর। টাইফয়েড জ্বর ও প্যারা টাইফয়েড এর পার্থক্য হল মূলত টাইফয়েড জ্বরের তুলনায় প্যারা টাইফয়েড জ্বর একটু দুর্বল টাইপের জ্বর। লক্ষণগুলো একই রকমের থাকে। তবে তীব্রতার দিক থেকে সেভাবে প্রকাশ করে না । পাশাপাশি এর চিকিৎসার যে ধরণটা আছে মোটামুটি একই রকম ।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারিতা
তার মানে একই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এই রোগের চিকিৎসাটা করা যায় এবং এ রোগের জটিলতা ও তীব্রতা সবকিছুই বিচার ও বিবেচনায় সে টাইফয়েড জ্বর থেকে পিছিয়ে থাকে। এই ধরনের কারণ থেকে ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে বাইরের কোন খাবার খেয়েছে যেটাকে বলা হয় স্ট্রিট ফুড । দেখা গেল যে গোসলের পানি বা ব্রাশ করার পানি এ থেকেও কিন্তু এই জীবাণুটি তার মধ্যে প্রবেশ করে থাকতে পারে । এভাবেই এই রোগের উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ।
টাইফয়েড জ্বর কিভাবে নির্ণয় করবেন
একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে জেনে নিতে হবে শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ গুলি ।টাইফয়েড হচ্ছে একটি খাদ্যবাহিত রোগ। এই রোগটি সাধারণত খাবারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তার যদি অভাব ঘটে থাকে। যেমনঃ বাসি খাবার বা রেস্টুরেন্টের খাবার বা কোন ধরনের যদি অ নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করি তখন টাইফয়েড রোগটি হতে পারে । একে ফিকোওরাল রোগ বলে। টাইফয়েড রোগ নির্ণয়ের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যতম পন্থা গুলো রয়েছে তা হলঃ
- ল্যাবরেটেরি পরীক্ষা অর্থাৎ জ্বর পরীক্ষা করার জন্য।
- রক্ত , পেশাব , পায়খানার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা
- অস্থিমজ্জা পরীক্ষা করা ।
তবে টাইফয়েড জনিত রোগ নির্ণয় করতে হলে প্রথমে আপনাকে প্রাথমিকভাবে কোন
বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে অর্থাৎ এটি নির্ণয় করার জন্য প্রাথমিক প্রাথমিকভাবে
ক্লিনিক্যাল হতে হবে । তবে সবচেয়ে সাধারণ ভাবে যে কৌশলটি ব্যবহার করা হয় ,তাহলো
মলের নমুনা বা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে টাইফয়েড রোগটি জানা ।
টাইফয়েডের ঝুঁকির কারণগুলো কি কি
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও কারণগুলো জানা আপনার উচিত একজন সচেতন ব্যক্তি
হিসেবে ।আমাদের বাংলাদেশে প্রায়শই শিশুরা টাইফয়েড জনিত অসুস্থতার কারণে গুরুতর
ভাবে অসুস্থ থাকে। টাইফয়েড রোগটি একটি গুরুতর অসুস্থতা । যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ
লক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করে থাকে এবং শিশুদের জন্য এই রোগের ঝুঁকি বেশি । শিশুর
টাইফয়েড জনিত ঝুঁকির যে কারণগুলো সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা , তা নিম্নে আলোচনা করা
হলোঃ
- অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ব্যবস্থা
- অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবহার
- ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘন যাওয়া
- টাইফয়েড এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা
- বিশুদ্ধ পানি পান না করা
যদি আপনি সংক্রমণ হতে না চান তাহলে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন এবং
শিশুকে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন দেওয়ার সুযোগ গড়ে তুলুন। শিশু টাইফয়েডের
আক্রান্ত হলে খুব তাড়াতাড়ি নিকটস্থ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন এবং চিকিৎসা
নেন।
টাইফয়েড জ্বরের জটিলতা গুলো কি কি
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং জ্বরের জটিলতা গুলো একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আপনার জানা উচিত ।টাইফয়েড জ্বর এ যারা আক্রান্ত হন তাদের সবচেয়ে বিপদজনক পরিণতি হল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির অসুস্থতার তৃতীয় সপ্তাহে উপস্থিত হয় । এটি সাধারণত ছোট বা বড় অন্ত্রে এক ধরনের গর্ত তৈরি হয়। এর ফলে গুরুতরভাবে পেট ব্যথা , বমি বমি ভাব এবং রক্ত প্রবাহে সংক্রমণ দেখা দেয় । এই রকম অবস্থা দেখা দিলে রোগীর খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসার প্রয়োজন জন্য বিশেষজ্ঞে শরণাপন্ন হতে হয়।
আবার দেখা যায় যে সব রোগীরা সঠিকভাবে এন্টিবায়োটিক কোর্স সম্পূর্ণ করে না তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক জটিলতা গুলো দেখা দেয় । আপনার শিশুটি যদি টাইফয়েড জ্বরে যারা আক্রান্ত হয় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন ও শিশুকে খাবার দিন। আপনার শিশুটির জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে যদি খাবারের অরুচি , বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া দেখেন তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টাইফয়েড জনিত টেস্টগুলো করাতে দেরি করবেন না। কারণ এতে করে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত
টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত জ্বর. জ্বর হলে সাধারণত শিশুর শরীরে একটা
ডিহাইড্রেশন তৈরি হয়। সেই ডিহাইড্রেশন কাটানোর জন্য অর্থাৎ পানি শূন্যতা এড়ানোর
জন্য শিশুকে বেশি করে পানি পান করাতে হয়। শুধু তাই নয় এমন খাবার-দাবার দিতে হয়
যেখানে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। যেমনঃ সুপ হতে পারে , ইস্টু হতে পারে । বিভিন্ন
প্রকার ঝোল জাতীয় , ডাল জাতীয় হতে পারে , নরমাল ডাবের পানি , ফলের রস এগুলো
আপনার শিশুকে খেতে দিতে পারেন ।
আরো পড়ুনঃ শরীরে লাল লাল রেশ চুলকানি - কার্যকরি ঘরোয়া প্রতিকার
কিন্তু টাইফয়েডে আক্রান্ত শিশুদের সাধারণত খিদেটা কম হয়ে থাকে। আবার কারো কারো
লিভার অ্যাটাক হওয়ার জন্য বমি ভাব বা বমি হয় । তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
তেল মসলা কম যুক্ত খাবার খেতে দিতে হয়। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন বাড়ির
তৈরির সুষম খাবার খেতে দিতে । যেটার নাম বলা হয় লাইট ফুড । বেশি তৈলাক্ত না ,
বেশি মসলাযুক্ত খাবার না এরকম খাবার আপনার শিশুকে খেতে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ গুলো জানতে পারলে আপনি জেনে নিতে পারবেন কিভাবে টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করতে হয় । টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হলে আমরা মূলত যেভাবে রোগটা শনাক্ত করতে পারি। তা হল এই রোগটি জ্বর মূলত ৫ দিনের বেশি সাত দিনের ছুই ছুই না হলে তেমন কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে এই রোগ সম্পর্কে কোন ধারণা সঠিকভাবে পাওয়া যায় না । এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা এই অবস্থায় সাত দিনের পর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে । এই রোগটি শনাক্ত করে থাকেন ।
আরো পড়ুনঃ রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি
এই রোগটি যখন শিশুর হালকা ভাবে আসে এবং শিশুর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ মুখে দিলে শিশুটি বাসায় বসে খেতে পারে বা নিতে পারে । তাহলে বাসায় রেখে চিকিৎসা করা যায় । আবার দেখা যায় যখন শিশুটি ওষুধ নিতে পারেনা বা বমি করতে থাকলো। পাশাপাশি ক্লান্ত হতে থাকে এবং পানি শূন্যতা দেখা দিতে থাকলে তখন শিশুটিকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন । তবে এই রোগটির চিকিৎসা যদি সবার মত না করা হয় তবে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে ।
টাইফয়েড জ্বরের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ জানা যেমন আপনার প্রয়োজন । তেমন টাইফয়েড জ্বর হলে
ঘরোয়া ভাবে প্রতিকারের ব্যবস্থা পেশাদার চিকিৎসা সেবা চাওয়ার পাশাপাশি
অপরিহার্য । আপনার শিশু যখন টাইফয়েড জ্বরে লক্ষণ বুঝতে পারবেন তখন জ্বরের জন্য
এই ঘরোয়া প্রতিকার গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে পুনরুদ্ধারের যাত্রা কে পরিপূরক করতে
পারেন। যা আপনার জ্বরের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে এর মধ্যে রয়েছেঃ
- টাইফয়েড জ্বর হলে শিশুর শরীর হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত জরুরী। তাই প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে দিন। ভেষজ চা বা নারিকেলের পানি। যা শিশুর শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেশন টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে এবং ডায়রিয়া হলে হারানো তরল পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে।
- রসুন হলো প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এবং ইমিউনু বুস্টার এর জন্য বিখ্যাত । সালমোনেরা টাইফিক ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরকে শক্তিশালী করতে কাঁচা রসুন পরিপূরক হিসেবে কাজ করে ।
- আদা একটি শক্তিশালী আন্টি যা হজমের জন্য অনেক সহায়ক। তাই পেট ের অসস্তি বা বমি বমি ভাব কমাতে আদা চা বা শিশুকে গ্রেট করা আদার রস খাওয়াতে পারেন ।
- তুলসী পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য এই তুলসী পাতার মধ্যে যথেষ্ট থাকায় টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে আপনার শিশু শরীরে লড়াইকে সমর্থন করার জন্য তুলসী পাতা যথেষ্ট সহায়ক।
টাইফয়েড জ্বর প্রতিকারের উপায়
আপনার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করে এই জ্বরটি কে কিভাবে আপনি ঠেকাতে পারেন? সেই ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে জেনে নিতে হবে শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ। কি কি কাজ করলে আপনি এই রোগটি থেকে শিশুকে এবং আপনার পরিবারের অন্য সকল সদস্যদের কে আপনি রক্ষা করতে পারেন তা জানাও আপনার সচেতন ব্যক্তি হিসেবে জানাও উচিত । আপনি যদি কিছু সহজ নিয়ম কানুন মেনে চলেন। যেমনঃ আপনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
আপনার বাড়ির চারপাশ মেইনটেইন করে। আপনার খাবার পানি যেন যথাযথ ফুটিয়ে আপনি পান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমরা কখনোই বাইরের খাবার দাবার গ্রহণ করা থেকে যেন বিরত থাকি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের হাত ধোয়ার চেয়ে অভ্যাসটুকু আছে সেটা যেন আমরা ঘন ঘন হাত ধোয়া বলবত রাখি । বিশেষ করে ওয়াশরুম ব্যবহার করে , খাবার গ্রহণের আগে বা খাবার তৈরি আগে যদি আমরা তা মেনে চলি তাহলে কিন্তু আমরা অনেকাংশেই এই রোগটা থেকে বেঁচে যেতে পারি ।
শেষ কথাঃ শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
শুধু তাই নয় কোন ব্যক্তি বা শিশু টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হলে এই রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির মলমূত্র থেকে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে আমরা দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করব এবং সাবধানতা অবলম্বন করে সেবা প্রদান করে থাকবো। যেহেতু তারপর জ্বর একটি গুরুতর অসুস্থতা তাই তার জন্য দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন । টাইফয়েডের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি তাড়াতাড়ি পুনরুদ্ধার পেতে পারেন ।
এবং টাইফয়েডের উপসর্গগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন নির্ধারিত ওষুধগুলো
ছাড়াও প্রতিকারের জন্য ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক জিনিসের নির্যাস থেকে। প্রাকৃতিক এবং
সামগ্রিক পদ্ধতির সাথে আধুনিক চিকিৎসার সংমিশ্রণে আপনাকে আপনার শরীরের সংক্রমনের
বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দ্রুত আরোগ্য করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে আপনার ঘরোয়া
প্রতিকার । তাই সব সময় সতর্ক থাকুন। সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিষ্কার
পরিচ্ছন্নতার বিধি মালা মেনে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন।


.webp)
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url