মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায়

 মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় । সোরিয়াসিস কে আমরা সংক্ষেপে জানি। এটি ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি রিস্কেল্প। কথাটির অর্থ হচ্ছে অনেকদিন থাকবে। বারবার হতে পারে। এক ধরনের ইনফেকশন জনিত চামড়ার অসুখ। এটি সাধারণত নারী-পুরুষ উভয়েরই হয়।

মাথায়-সোরিয়াসিস-থেকে-মুক্তির-উপায়

যেখান থেকে এক ধরনের সিলভার স্কেল বের হয়। তার মানে কথাটির অর্থ হচ্ছে মাছের আঁশের মতো ধূসর বর্ণের বা সাদা বর্ণের চামড়া উঠে আসে। সেই অসুখটাকে আমরা সোরিয়াসিস বলে থাকি। এটি সাধারণত  ৩০ থেকে ৩৫ এই ধরনের বয়সে সোরিয়াসিসের কনসেপ্ট টা বেশি হয়ে থাকে ।

পেজ সূচিপত্রঃ  মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় 

 মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায়

সোরিয়াসিস হলো একটি প্রদাহজনিত চর্মরোগ বা ইনফারমেটরি স্কিন ডিজিজ । মাছের আঁশের মত । চামড়াতে মানুষের প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজারের মতো বিভিন্ন প্রকারের চর্মরোগ হয়ে থাকে । এর মধ্যে সবচাইতে জটিল , কমন এবং সংকটময় একটি রোগ হচ্ছে সোরিয়াসিস । এটি কোন ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ না । সোরিয়াসিস রোগ নির্ণয় করার পর প্রাথমিকভাবে মুক্তির জন্য অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা কয়লা টার বা অন্য যে সকল শ্যাম্পু আছে সে সকল শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুবেন। 

আর প্রচুর পরিমাণ শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন মাথা ওয়াশ করলে আঁশের পরিমাণ কমে যায় । টপিকাল বা স্থানীয়ভাবে ঔষধ লাগানোর ক্ষেত্রে ইমিউলিয়ন লাগানো যায় । অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল লাগানো যেতে পারে আক্রান্ত স্থানে। আবার কিছু ক্রিম আছে যেমন ইউরিয়া ক্রিম বা লো পার্সেন্টে সেলিসালিক এসিড লাগানো যেতে পারে। এটি হলো স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের কৌশল । এছাড়া চুলকানো কমানোর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে ।

 মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

সোরিয়াসিস এটি একটি জেনেটিক ডিজিজ ও বটে । সোরিয়াসিস দীর্ঘস্থায়ী ও অস্বস্তিকর চর্মরোগ । যা নিয়মিত ভাবে মেনে চললে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় । ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিলে সোরিয়াসিস আরাম দেয় । চুলকানি কম হয় এবং আঁশের মতো খোসা উঠা রোধ করা সম্ভব হয় । তবে মাথায় রাখতে হবে এই পন্থা গুলো চিকিৎসার বিকল্প নয় বরং সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে।

অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিকভাবে এন্টি ইনফ্লেমেটরি হওয়াতে সোরিয়াসিস এর লালচে ভাব ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। তবে এটি প্রতিদিন তাজা অ্যালোভেরার পাতার জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে দিনে দুই থেকে তিন বার । সামান্য গরম পানিতে ডেড সি সল্ট , ইপসোম সল্ট বা ওটমিল মিশিয়ে প্রতিদিন গোসল করতে পারলে ত্বকের খোসা নরম হয়। সেই ক্ষেত্রে এক কাপ ওটমিল বা লবণ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজাতে হবে এবং এরপরে হালকা করে একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করে ফেলুন ।

আরো পড়ুনঃ   শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

সোরিয়াসিস হলে মাথার ত্বক শুকিয়ে যায় এবং খসখসে হয়ে যায় তাই নারকেল তেল ত্বককে হার্ড্রেট রাখে ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই দিনে এক থেকে দুইবার আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল মেসেজ করুন । রাতে ঘুমানোর আগে দিলে বেশি কার্যকরী । শুধু তাই নয় এক চামচ মেথি ঘুরার সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে গরম করে লাগালে ত্বকের প্রদাহ কমায়। মাথার ত্বকে ভিনেগারের ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে বেশ কার্যকর । তবে রক্তপাত দেখা দিলে বা ফাটা দেখা দিলে ব্যবহার না করাই ভালো ।

মধু প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে তাই কাঁচা মধু আক্রান্ত স্থানে 20 মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলে দিতে পারেন । পাশাপাশি হলুদে থাকে কার্কিউমেন যা প্রদাহ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর । তাই এক চিমটি হলুদ গুড়ার সাথে কিছু কুসুম কুসুম গরম দুধ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে আবার এই কাঁচা হলুদ এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগানো যেতে পারে।

মাথায় সোরিয়াসিসের লক্ষণ

 মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় জানা প্রতিটি সচেতন ব্যক্তির জন্য উচিত । যদি কোন এক ব্যক্তির মাথার ত্বকে আঁশযুক্ত চুলকানি বা লাল স্কেলপ থাকে তাহলে তাদের মাথার ত্বকে হতে পারে ভবিষ্যতে সোরিয়াসিস । অনেক সময় দেখা যায় মাথার ত্বকে  লালচে হয়ে থাকে আবার কখনো কখনো বেশিরভাগ মাথাটি ঢেকে দেয় এটি সোরিয়াসিসের লক্ষণ ও উপসর্গ হতে পারে । আবার কখনো দেখা যায় মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং সহজে তা ফাটল ধরে থাকে ।

কিছু ব্যক্তির মাথায় চুলকানি মাঝারি আকারের আবার কখনো গুরুতর আকারে হতে পারে যা আঁচড় দিলে রক্তপাত পর্যন্ত দেখা দিতে পারে এটি সোরিয়াসিস প্যাচগুলিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। স্ক্যাল্প সোরিয়াসিস বেশিরভাগ সময় এক জ্বলন্ত সংবেদন এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি যুক্ত করে থাকে । দেখা যায় যে এই প্যাচ গুলি বিরল পরিস্থিতি তৈরি করে এক বেদনাদায়ক হতে পারে । এইসবের কারণে অনেক সময় অস্থায়ীভাবে চুল পড়ে যেতে থাকে।

মাথায় সোরিয়াসিসের কারণ

 মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় জেনে নেওয়ার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে মাথায় সোরিয়াসিসের কারণ। মাথায় সোরিয়াসিস একটি অত্যধিক সক্রিয় টাইপের ইমিউন সিস্টেম থেকে বিকশিত হয় । আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকার পরেও ভালো ত্বকের কোষ গুলোকে ধীরে ধীরে আক্রমণ করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয় এই প্রদাহ জনিত প্রতিক্রিয়া গুলো ধীরে ধীরে ত্বকের কোষগুলির মধ্যে একটি ত্বরান্বিত বৃদ্ধি চক্রের দিকে পরিচালিত হতে থাকে ।

আরো পড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারিতা

কিছু কিছু পরিবেশগত কারণের জন্য মাথার তালুতে সোরিয়াসিসের সূচনা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। কারণ  গুলির মধ্যে হয়ে থাকে ত্বকের আঘাত , রোদে বেশিক্ষণ থেকে চামড়া পোড়া বা স্ট্রেস এর অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারা । শুধু তাই নয় ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে সোরিয়াসিস বৃদ্ধি হয়ে থাকে। কিছু ঔষধ  আছে । যেমনঃ লিথিয়াম , প্রেডনিসন এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সোরিয়াসিসের লক্ষণ গুলিকে ট্রিগার এর সাথে যোগ  করা হয়েছে ।

মাথায় সোরিয়াসিসের জন্য চিকিৎসা

মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় জানা যে কোন ব্যক্তির জন্য উচিত ।এই রোগটি যেকোনো বয়সে মানুষের হওয়া হতে পারে । তবে যেহেতু এটি ছোঁয়াচে নয় । সেহেতু সেভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে যদি চিকিৎসা করা যায় তাহলে তা ভয়ের কোন কারণ হয়ে দাঁড়ায় না । মাথায় যখন খুশকির চেয়ে আরো প্রদাহ জনিত ভাবে মাছের আইসের মতো জটলা আকারে দেখা যাবে তখন দেরি না করে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ কে দেখানো খুব বুদ্ধিমানের কাজ। 

মাথায়-সোরিয়াসিস-থেকে-মুক্তির-উপায়

তা ছাড়াও মেডিকেটেড শ্যাম্পু যাতে কয়লা টার , স্যালিসিলিক এসিড বা জিংক পাইরেসিনের মত যে শ্যাম্পু গুলোতে উপাদান থাকে সেগুলো ব্যবহার করা । প্রাথমিক পর্যায়ে শ্যামপুর পাশাপাশি সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে ভিটামিন ডি ক্যাপসুলগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওরাল রেটিনয়েড ,মেথোট্রেক্সেট এবং সাইক্লোস্পিরিন ওষুধ যা আমাদেরকে দিয়ে থাকেন তা অত্যন্ত কার্যকরী। শুধু তাই নয় হালকা করে ফটো থেরাপি দেয় যা ত্বকের কোষের বৃদ্ধি কমাতে ও প্রদাহ কমাতে এই অতিবেগুনি আলো ব্যবহার করে থাকেন। 

মাথায় সোরিয়াসিস প্রতিরোধ

মাথায় সোরিয়াসিস এটির কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। এটি একটি জেনেটিক ডিজিজ হলেও বংশ পরম্পরায় হতে হবে এমনটি এই রোগ নয়। মাথায় সোরিয়াসিস থাকলেও শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে না বরং এটি মানসিক সুস্থ থাকে ও অনেক ভাবে স্পর্শ করে থাকে। তবে যাই হোক সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগটি বিভিন্ন চিকিৎসার বিকল্প অন্বেষণ গুলো পাওয়া যায় এবং প্রতিরোধ করা যায় । যেকোনো ব্যক্তি ফ্লেয়ার ফ্রিকুয়েন্সি এবং প্রদাহের তীব্রতা কমাতে বেশ কিছু সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন ।

মাথায় সোরিয়াসিস হলে আপনার উচিত ত্বককে ভালোভাবে হাইড্রেট রাখা । বিরক্তিকর ত্বক প্রশমিত করার জন্য এবং প্রদাহ কমাতে নারকেল তেল এবং এলোভেরা জেল নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করতে পারেন । এরকম অবস্থায় সব সময় মনোযোগী থাকতে হবে যেন ত্বকে আঘাত না লাগে । গোসলের সময় খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার না করাই উচিত । মাঝারি সূর্যের এক্সপোজার আলোটি উপকারী হতে পারে । কারণ অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধিকে ভিড় করে দেয় ।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

মাথায় সোরিয়াসিস একটি দীর্ঘ মেয়াদী চর্মরোগ। পুরুষ মহিলা শিশু সবাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এটি ত্বকের একটি নিয়ন্ত্রণ যোগ্য রোগ হলেও একেবারে নিরাময়যোগ্য রোগ নয় ।স্কাল্প সোরিয়াসিস হল মাথার ত্বকে রুপালি আরযুক্ত লাল বা গোলাপি চটলা দেখা দেয়। সেখানে হতে পারে চুলকানি, ব্যথা ও জ্বালাপোড়া । আর এসব বৃদ্ধি পেতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আক্রান্ত স্থান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।

আরো পড়ুনঃ শরীরে লাল লাল রেশ চুলকানি - কার্যকরি ঘরোয়া প্রতিকার

এবং এই সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করবেন।  আপনার পারিবারিক ইতিহাস, সোরিয়াসিসের লক্ষণ ,সমস্যা ইত্যাদি। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আপনার শুধু মাথার চটলা খুশকির মত যেগুলো সেগুলো দেখে কাল্প সিরিয়াস শনাক্ত করতেও পারেন। আবার তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ত্বকে বায়োপসি পরীক্ষার প্রয়োজন তাঁর হতে পারে। তবে এই রোগটি যেহেতু একেবারেই নিরাময় যোগ্য নয় তাই ক্যাল্ক সোডিয়াসিস সময় সময়ে বাড়তে পারে আবার সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণেও থাকতে পারে ।

জীবন ধারার পরিবর্তন এবং স্বযত্ন

 মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় জেনে আপনি আপনার জীবন ধারার পরিবর্তন করুন এবং নিজেকে সযত্নে রাখুন। তাহলে আপনি মানসিকভাবে অনেকটা প্রফুল্ল থাকতে পারবেন। মন ভাল থাকলে দেখবেন আপনি শারীরিকভাবেও এবং স্বাস্থ্যগত দিকেও অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন। ডাক্তার যেভাবে আপনাকে প্রেসক্রাইবট করে থাকবেন। প্রচন্ড চুলকানি এবং ত্বকের জ্বালাপোড়ার জন্য সে ওষুধগুলো নিয়মিত খেতে থাকবেন।

গোসলের সময় ১৫ মিনিটের বেশি করবেন না এবং পারতপক্ষে ইসত উষ্ণ পানিতে গোসল করার চেষ্টা করুন। সেটি ঝর্ণাকারেও হতে পারে । চুলগুলো খুব তাড়াতাড়ি নরম তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিতে চেষ্টা করুন । সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার বা ইমুলিয়েন্ট ব্যবহার করে নিন। দিনে অন্তত দুই একবারের বেশি লোশন বা মলম দিয়ে আক্রান্ত ত্বক বা স্থানগুলিতে ময়েশ্চারাইজার করুন। বিশেষ করে গোসল এর পরে। প্রয়োজন মনে করলে ক্যাপ বা বিভিন্ন ধরনের যে হেড ওয়্যার আছে তা পরিধান করুন।

মাথায় সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য ডায়েট সুপারিশ

 মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় জানা আপনার জন্য জরুরী। কারণ আপনার সোরিয়াসিস থাকলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া , আপনার অসুস্থতার লক্ষণগুলোকে পরিচালনা করতে বেশ ভালো সহায়তা করতে পারে। ভালো শাকসবজি এই খাবারগুলিতে ভিটামিন খনিজ লবণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আপনার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। পরিশোধিত শস্যের পরিবর্তে আপনি বাদামী চাল উটমিল এবং গমের রুটির মত খাবার গুলো আপনি শস্য হিসেবে বেছে নিতে পারেন । যা আপনার পাচনতন্ত্র কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

মাথায়-সোরিয়াসিস-থেকে-মুক্তির-উপায়

সব সময় নিজের ত্বককে হাইড্রেট রাখতে চেষ্টা করুন কারণ আপনার শরীরকে টক্সিন বের করে দিতে প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন । লাল মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবার কমিয়ে দেবার চেষ্টা করুন । কারণ এই ধরনের খাবারগুলো আপনার প্রদাহ বাড়াতে পারে। ফ্লেয়ার আপ ট্রিগার কারি খাবারগুলি সব সময় এড়িয়ে চলুন। কারণ দুগ্ধজাত খাবারগুলো আপনার এই লক্ষণ গুলি কে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই আপনার শরীরের প্রতি মনোযোগী হন ।

শেষ কথাঃ  মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায় 

 মাথায় সোরিয়াসিস হলে ফটো থেরাপিতে দশ থেকে বারো সপ্তাহের আগে এর তেমন কোন ফলাফল পাওয়া যায় না । অনেক রোগীকে ৬ মাস পর্যন্ত এই থেরাপি দিয়ে যেতে হয় । যদি মাথার ত্বক বা শরীরের আরো অন্যান্য অংশে সোরিয়াসিস থাকে তাহলে লাইট থেরাপি একটি সাধারন ভাবে ভালো চিকিৎসা। বায়োলজি থেরাপি এটি এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর অথবা প্রতি ৬ সপ্তাহে । আবার দেখা গেছে কখনো কখনো তা তিন মাস পর পরও গ্রহণ করতে হয় ।

  মাথায় সোরিয়াসিস বেশি মাত্রায় ছড়ালে অথবা রোগীর শরীয়াটিক আর্থ্রাইটিস থাকলে সাধারণত বায়োলজিক্স থেরাপি চিকিৎসক ব্যবহার করে থাকেন । বায়োলজিক চিকিৎসা নিরাপদ এবং এই চিকিৎসায় সফলতার হার ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত । যদিও এই চিকিৎসাটি অনেক ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে অনেকে এই চিকিৎসাটি নিতে পারেনা । তবে  মাথায় সোরিয়াসিস হলে এই চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে এবং এতে অনেক ভালো থাকা যায় ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url