মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি তা জেনে নিন। মাথা ঘোরার সবচেয়ে যে কমন কারণটি রয়েছে তা হলো লো ব্লাড প্রেসার বা প্রেসার কমে যাওয়া। আমাদের শরীরে প্রেসার কমে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ডিহাইড্রেশান। আমাদের শরীরে প্রতি নিয়ত কিছু কিছু পানি লস হচ্ছে ।
আপনি যদি মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখা সমস্যা নিয়ে ভুবে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব যে, কি কি কারণে আপনার মাথা ঘোরার সমস্যা বা ভার্টিগো হতে পারে? এবং কিভাবে আপনি বাসায় বসে এর সমাধান পেতে পারেন।
পেজ সূচিপত্রঃ মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি
- মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি
- ঝাপসা দৃষ্টির সাধারণ কারণ
- শুয়ে থাকলে মাথা ঘোরে কেন
- কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে
- চোখে ঝাপসা দেখার কারণ ও করণীয়
- মাথা ঘোরা কমানোর উপায়
- মাথা ঘোরার ফলে যে সমস্যা হয়
- মাথা ঘোরার ঘরোয়া চিকিৎসা
- মাথা ঘোরার জন্য কখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন
- শেষ কথাঃ মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি
যেহেতু আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু পানি লস হচ্ছে । যেমনঃ আমাদের শরীরে
ঘামের মাধ্যমে পানি লস হয় , প্রস্রাবের মাধ্যমে পানি লস হয়। আমরা যে
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে পানি বের
হয়ে যায়। এইরকম বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হয় । পানি শূন্যতা
রোধ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করি না ফলে শরীরে পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা
দেয়।
ডিহাইড্রেশনের ফলে রক্তে ভলিউম কমে যায় । রক্তে ভলিউম কমে গেলে আমাদের
রক্তে চাপ কমে যায় । যখন রক্তের চাপ কমে যায় তখন আমাদের মস্তিষ্কে ব্লাড
সাপ্লাই কমে যায় । তখন আমাদের মাথা ঘুরে ও চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করি । মাথা
ঘোরার আরেকটি কারণ হচ্ছে অর্থস্ট্যাটিক হাইপারটেনশন। এই সমস্যাটি হচ্ছে যারা মাথা
ঘোরার সমস্যার কথা বলে তাদের মধ্যে অত্যন্ত কমন । জায়গা থেকে উঠে দাঁড়ানো অথবা
শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ানো তখন তাদের মাথা ঘুরাতে শুরু করে ।
আরো পড়ুনঃ মাথায় সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায়
মাথা ঘোরার আরেকটি খুবই কমন রোগ হচ্ছে কানের রোগ । অন্তকর্নের মধ্যে যদি কোন রকম
সমস্যা দেখা দেয় তখন আমরা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারি না । তখন আমাদের
ভার্গোটাইগো হবে বা ডিজিনেস হবে। ভার্টাইগো মানে হচ্ছে আপনার চারপাশে সব কিছু
ঘুরছে। এরকম যে রোটেশনাল কল্পনাটা রয়েছে এটাকে সাধারণ্ত ট্রু ভাটাইগো বলা
হয় । অর্থাৎ শরীরের মুভমেন্টের সাথে সাথে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়। হতে পারে
মাথা নিচু ,মাথা কাত বা সোজা হয়ে দাঁড়ানো ।
ঝাপসা দৃষ্টির সাধারণ কারণ
ঝাপসা দৃষ্টি বলতে সাধারণভাবে আমরা বুঝি দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্ণতা কমে যাওয়া । এমন
কিছু কারণ আছে যা মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরার সাথে ঝাপসা দৃষ্টি সম্পর্ক ভাবে জড়িত।
যা হতে পারে চোখে চাপ বৃদ্ধি বা ইন্ট্রা ক্রাণীয়াল চাপ বৃদ্ধি। একজন ব্যক্তির
জন্য অভিজ্ঞতা মূলক ঝাপসা দৃষ্টির অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে হল চোখের রোগ বা
মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা । সাধারণত যেসব কারণগুলি বা পরিস্থিতি গুলি সাময়িকভাবে
হঠাৎ ঝাপসা দৃষ্টির দিকে পরিচালিত করতে পারে তা হলঃ
- দীর্ঘক্ষণ ধরে ইলেকট্রনিক্স ক্রিম ব্যবহার করা বা পড়া ফলে চোখের উপর চাপ পড়া ।
- দুর্বল আলো বা আলোর অবস্থার হঠাৎ কোন পরিবর্তন দেখা দিলে ।
- ঘুম কম হলে ।
- শরীরে পানি শুন্যতার ফলে চোখে শুষ্কতা বা অস্বস্তি দেখা দেয় ।
- ধোয়া বা ধুলো এসবের সংস্পর্শে থাকলে চোখ ঝাপসা হয় ফলে মাথাব্যথা আসে।
- শারীরিক ক্লান্তির কারণে অনেক সময় মাথা ঘুরে ও চোখ ঝাপসা দেখা দেয় ।
শুয়ে থাকলে মাথা ঘোরে কেন
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি। শুয়ে থাকার সময় একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত। শুয়ে থাকার সময় মাথা ঘোরার প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বেনাইন প্যারোক্সি মাল পজেশনাল ভার্টিগো । এটির কারণেই একটা অভ্যন্তরীণ সমস্যা যা কানের ভেতরে ক্ষুদ্র ক্যালসিয়ামযুক্ত কণাগুলি যখন স্থানচ্যুত হয় তখন সেমি সার্কুলার ক্যানেলে চলে যায়। যার ফলে মাথার অবস্থানে পরিবর্তনের সময় মাথা ঘোরার মত অনুভূতি আসে । বিশেষ করে শুয়ে থাকা অবস্থায় বা শোয়া থেকে উঠে বসলে ।
আরো পড়ুনঃ শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার
দাঁড়ালে বা ঘাড় কাঠ হয়ে শোয়ার সময় এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়। তবে এই সমস্যাগুলো হয় ক্ষণস্থায়ী। ক্ষণস্থায়ী হলেও এটি বারবার হতে পারে এবং জীবনযাত্রায় বেশ বিঘ্ন ঘটাতে পারে। শুধু তাই নয় কানের ভেতরে ইনফেকশন হলে। যেমনঃ লেব্রেরিয়ান থাইটিস বা ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস এর কারণে যখন শুয়ে থাকা হয় , তখন মাথা ঘোরার মত এক অনুভূতি তৈরি হতে পারে। আর এরকম সমস্যা দেখা দিলে ভেস্টিবুলার সিস্টেমের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। তখন শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সমস্যা হতে পারে এবং মাথা ঘোরে ।
কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাথা ঘোরা একটা বিড়ম্বনা। আর তাই সচেতন হয়ে জীবনযাত্রা করা এক বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমি মনে করি । মাথা ঘোরা কমানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার যা আমাদের জন্য কার্যকরী হতে পারে । এর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ যে খাবারগুলো আছে বিশেষভাবে তা অনেক কার্যকর । স্নায়ুতন্ত্রে ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাদ্য কার্যকারিতা এবং পেশী শিথিল করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই তার মাথা ঘোরার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যে খাবারগুলোতে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ তাহলো বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে। যেমনঃ আমন্ড , কাজুবাদাম , সূর্যমুখীর বীজ , ফ্ল্যাক্স সিড এবং চিয়া সিড । এছাড়াও মটরশুটি , সিম , স্পিনাচ এবং অন্যান্য ডার্ক লিফি গ্রীনসও অনেক ভালো ম্যাগনেসিয়ামে উৎস। শুধু তাই নয় মাথা ঘোরার জন্য ডিহাইড্রেশন একটি সাধারণ কারণ হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আপনার শরীরকে ম্যাগনেসিয়াম ও খনিজ উপাদানের ঠিক রাখতে সাহায্য করবে দই , কম চর্বিযুক্ত দুধ , কলা ও এভোকেটের মতো ফল । যা আপনার মাথা ঘোরা প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে ।
চোখে ঝাপসা দেখার কারণ ও করণীয়
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি তা আমাদের জেনে নেওয়া অবশ্যই উচিত। কারণ চোখের ঝাপসা দেখা একটা সাধারণ ঘটনা হলেও তা উপেক্ষা করার মত নয় । এই সমস্যাটি হঠাৎও দেখা দিতে পারি আবার কখনো ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকতে পারে । চোখে ঝাপসা দেখার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমনঃ চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হওয়া , চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া , উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস , লেন্সের সমস্যা বা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে ।
তাই চোখ ঝাপসা দেখলে আপনার করণীয় নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা । বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে যারা ভুগছেন তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা উচিত । চোখের অতিরিক্ত চাপ এড়ানোর জন্য প্রতি 15 থেকে 20 মিনিট পর পর কম্পিউটারের স্ক্রিন বা মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন। বাইরে বের হলে রোদ এবং ধুলোবালি এরোতে সানগ্লাস নিয়মিত ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোতে চেষ্টা করুন এবং পুষ্টিকর খাবার নিয়মিতভাবে গ্রহণ করুন।
বিশেষ করে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার যেমনঃ গাজর ,পালং শাক , ডিম ও মাছ । আর যদি
ঝাপসা দেখা আপনার জন্য দীর্ঘস্থায়ী মনে হয় । চোখে ব্যথা বা আলো সহ্য করতে
পারছেন না এমনটি মনে হলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। একজন
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চললে তুলনামূলক আপনি বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে ভালো
থাকবেন বলে আমি মনে করি। আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত চোখ
চেকআপে থাকুন।
মাথা ঘোরা কমানোর উপায়
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি তা জেনে নেওয়া একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে উচিত। তেমনি ভাবে জেনে নিতে হবে মাথা ঘোরা কমানোর উপায় গুলি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মের মধ্যে চলার মধ্য থেকে বাড়িতে বসে থেকে আপনি কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে মাথা ঘোরা থেকে রিলিফ পেতে পারেন । প্রথম এক্সারসাইজ একটা কলম বা পেন্সিল নিয়ে রোগীর বডি থেকে এক হাত দূরত্বে রাখতে হবে এবং হাত দিয়ে পেন্সিলটা বা কলমটা ধরে রাখলেই চলবে ।
আরো পড়ুনঃ শরীরে লাল লাল রেশ চুলকানি - কার্যকরি ঘরোয়া প্রতিকার
চোখ দুটো ওই কলমের দিকে ফিক্স ড করতে হবে । কলমটা দিয়ে হাওয়াতে একটা রেক্ট অ্যাঙ্গেল আঁকাতে হবে । এরপর রেক্টঅ্যাঙ্গেল ডাইনোগ্রামে আঁকাতে হবে । সারাদিনে ৫০ থেকে ৬০ বার রিপিট করলে ভালো রেজাল্ট দেখতে পাওয়া যাবে । দ্বিতীয় এক্সারসাইজ একটা বল নিতে হবে এবং এক হাত থেকে অন্য হাতে লুকুলোফি করতে হবে । তৃতীয় এক্সারসাইজটি করার সময় চোখের নজরটাকে দেয়ালে কিংবা ডিসটেন্স কোন পয়েন্টে ফিক্সড করে রাখতে হবে । এরপর মাথাকে আস্তে আস্তে ডানদিকে এবং বাম দিকে বাঁকাতে হবে ।
প্রথম প্রথম কোন একদিকে যেতে দেখা যাবে যে বড্ড অসুবিধা হচ্ছে । কিন্তু স্থির থেকে আপনি যদি কন্টিনিয়াসলি প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তাহলে কিন্তু এটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে । এইভাবে আপনি যদি চোখটাকে স্থির রেখে সুন্দরভাবে কলম বা পেন্সিলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুভমেন্টের সাথে সাথে ঘুরাতে পারেন এবং বলটা দিকে নজর রেখে চোখের মুভমেন্ট করতে পারেন তাহলে মাথা ঘোরা থেকে আপনি রিলিফ পেতে পারেন বলে আমি আশা রাখি।
মাথা ঘোরার ফলে যে সমস্যা হয়
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি । তা জানার ফলেই আপনি আপনার জীবনযাত্রায় সহজ হবে । মাথা ঘোরার ফলে কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা জানা। মাথা ঘোরার সমস্যাকে সাধারণত দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে ট্রু ভার্টাইগো আরেকটি হচ্ছে সিউডো ভার্টাইগো। ট্রু ভার্টাইগো হচ্ছে সত্যিকার ভাবে মাথা ঘোরা। অর্থাৎ রোগীর চারপাশের সবকিছু ঘুরছে কিংবা সে নিজেই ঘুরছে। ট্রু ভার্টাইগো হয় সাধারণত একটা মস্তিষ্কের কারণে আরেকটি কানের রোগের কারণে ।
আর সিউডো ভার্টাইগো হচ্ছে এক ধরনের ইন বেলেন্স ফিল করা। তার কাছে মনে হয় যেন সে পড়ে যাবে। সিউডো ভার্টাইগোর কারণ হচ্ছে দুশ্চিন্তা , ঘুম কম হওইয়া, আর কিছু কারণ হচ্ছে ঔষধ। কারো যদি ইন বেলেন্স থাকে । যেমনঃ পারকিনসন রোগ, বয়স্ক মানুষের হাটুতে ব্যাথা থাকে , কোমরে ব্যথা থাকে। তাদেরও কিন্তু হাঁটতে গেলে ইমব্যালেন্স এর কারণে মনে করে যে সে পড়ে যাবে। চোখে পরিষ্কার না দেখা বা এডজাস্টমেন্ট করতে পারছে না তখনও কিন্তু মাথা ঘুরে।
মাথা ঘোরার ঘরোয়া চিকিৎসা
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি তা জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই মাথা ঘোরার ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারবেন । সবচেয়ে কমন যে কারণটা হচ্ছে তাহলো মাথা ঘোরা । মস্তিষ্কের যে অংশটুকু ব্যালেন্স মেইন্টেইন করে যেটাকে ডাক্তারি কথায় ভেস্টিবুলার নিউক্লিয়াস বলে। ওইগুলো সাধারনত অনেক সময় ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়। এই রোগের তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেয়। সাথে দেখা দেয় বমি হওয়া এবং রোগী একদম চোখ খুলতে পারে না।
মাথা ঘোরা রোগীদের ডে টু ডে কাজের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। মাথা ঘোরা রোগীদের
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চলা এবং কিছু নিয়মের মধ্যে থাকা অবশ্যই প্রয়োজন । এর
পরেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ঘরোয়া ভাবে যেসব নিয়মকানুন মেনে চললে
মাথাব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায় তা হলঃ
- মাথা যখন ঘুরে তখন চোখ বন্ধ রাখবেন কারণ মাথা ঘোরার সময় চোখ খোলা থাকে তখন এমব্যালেন্স ফিল বেশি হয় ।
- মাথা ঘোরার রোগীদের মাথা নাড়াচাড়া করলে কিন্তু মাথা ঘোরা ভয়ংকর ভাবে বেড়ে যায় । এজন্য মাথা তখন না নড়াচাড়া করানো ভালো ।
- মাথা যখন ঘোরে তখন মাথাটাকে লেফট পজেশনে কাত হয়ে থাকা । কারণ মাথা যখন ঘোরে তখন এর সাথে প্রায়ই বমি থাকে । যদি সোজা থাকা হয় ভূমিকা পেছনে গিয়ে অ্যাসপিরেশন হতে পারে ।
মাথা ঘোরার জন্য কখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন
- অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করা ও সঙ্গে বমি হওয়া
- ক্রমশ চারিদিকের জিনিসপত্র ঘুরতে থাকা
- মাথা ব্যথার জন্য মাথা না তুলে থাকতে পারা
- মাথা ব্যথার কারণে চোখে ঝাপসা দেখা
- মাথাব্যথার কারণে যে কোন জিনিস ডবল দেখা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া চেতনা হারানো
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- ঘাড়ে ব্যথা বা ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া
- বুকে ব্যথা হালকা চাপ বা হালকা ভাব এসব দেখা দিলে।

.webp)
.webp)
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url