গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা । ড্রাগন একটি গ্রীষ্ম মন্ডলীয় ফল । যা
ভিটামিন সি , ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর ।
এই পুষ্টিগুণ আপনার এবং আপনার শিশুর উভয়েরই গর্ভাবস্থায় উপকারী । এতে উপস্থিত
আয়রন , গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে সহায়তা করে ।
পরিমিত ড্রাগন ফল গর্ভাবস্থায় খাওয়া নিরাপদ । এটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন , খনিজ
পদার্থ যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং আপনার শিশুর বিকাশকে সমর্থন করে । তবে
গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবারের মতো ড্রাগন ফলও অতিরিক্ত গ্রহণ করা ঠিক না। কারণ
উচ্চ ফাইবারের কারণে হজমে সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনি গর্ভবতী হন বা আপনার পরিচিত কেউ এই সময়টাই ভালো ফল খেতে চান। তাহলে
আর্টিকেলটি অবশ্যই কাজে আসবে। খোসায় উপস্থিত কোন কীটনাশক বা ব্যাকটেরিয়া অপসারণ
করতে ফলটি খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়াও ড্রাগন ফলে
আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়া উচিত। ড্রাগন ফল গর্ভবতী মহিলাদের
ডায়েটে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সংযোজন হতে পারে।
তবে গর্ভাবস্থায় ব্যক্তিগত ডায়েটিং পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্য সেবাদের
সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না ।চলুন জেনে নেই ড্রাগন ফলের উপকারিতা । নিম্নে
ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
ফোলেট বা ফলিক এসিড এসিডের চমৎকার উৎসঃ ড্রাগন ফলে আছে ফোলেট বা ফলিক এসিড। যা
ভ্রুণের স্নায়ু বিকাশে সহায়তা করে এবং নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধ করে ।
আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকারঃ গর্ভকালীন রক্তশূন্যতা একটি সাধারণ
সমস্যা । ড্রাগন ফল আয়রনের একটা ভালো উৎস । যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে
।
ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট ড্রাগন ফলে থাকাঃ ভিটামিন সি ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এবং মা ও শিশুর
কোষের সুরক্ষা দেয় ।
হজমে সহায়ক ফাইবারঃ কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণ সমস্যা । ড্রাগন ফলের ফাইবার হজমের
সাহায্য করে এবং মলত্যাগ সহজ করে ।
কম ক্যালরি ও প্রাকৃতিক মিষ্টতাঃ ড্রাগন ফলে ক্যালরি কম হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে
সহায়ক । যারা মিষ্টি খেতে চান তাদের জন্য ড্রাগন ফল একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প ।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিমান
ড্রাগন ফল যার ভেতরে পাবেন আপনি পুষ্টির এক অমূল্য ধন ভান্ডার । যা আপনার
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলবে । ড্রাগন
ফলের মধ্যে আছে কার্বোহাইড্রেট এর উপস্থিতি । যার ফলে কোন গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে
শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার জন্য বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত। এতে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়াম থাকার ফলে শিশুর হাড় গঠনের বিকাশকে প্রভাবিত করে থাকে । গর্ভকালীন
সময়ে ড্রাগন ফলটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বেশ বাড়িয়ে তোলে। তাই এর গুরুত্ব খুব
বেশি ।
আর এই ফলের মধ্যে উপস্থিত আয়রন পটাশিয়াম এবং একাধিক অন্যান্য প্রোটিন দ্বারা
গঠিত। সাধারণ এই উপাদান গুলোর পাশাপাশি ফলিক এসিডের উপস্থিতি বেশি থাকায় , শিশুর
স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত । এছাড়াও ড্রাগন
ফলে রয়েছে ভিটামিন সি , ফাইবার এবং বিটা ক্যারোটিন যা গর্ভবতী মায়ের
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী । শুধু তাই নয় ড্রাগন ফলে রয়েছে আরেকটি মূল
উপাদান তা হল লাইকোপেন ।
লাইকোপেন এমন এক উপাদান ,যা ড্রাগন ফলের জন্য এক অনন্য বৈশিষ্ট্য । এটি হৃদ
সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। শুধু তাই নয়, ড্রাগন ফলটি হাইপারটেনশন এর
বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং পাশাপাশি ক্যান্সারের সম্ভাবনাকেও
কমাতে পারে। কোলন ক্যান্সারের জন্য ড্রাগন ফল এক অতুলনীয়। আর তাই ড্রাগন
ফলের পুষ্টিমান জেনে নিয়ে আপনি গর্ভকালীন সময় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী ড্রাগন ফল খেতে পারেন ।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
গর্ভকালীন অবস্থায় মেয়েদের খাবারের ব্যাপারে বিভিন্ন খাবার প্রবলভাবে খেতে
ইচ্ছে হয়। হতে পারে তা ডেজার্ট জাতীয় বা মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার । আবার অনেক
সময় দেখা যায় যে গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ফলের প্রতি আগ্রহ বেশি বেড়ে যায় ।
কিছু ফল আছে দেখেই খেতে ইচ্ছে করে তার মধ্যে একটি ফল হচ্ছে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল
এমন একটি ফল যা দেখামাত্রই লোকেদের সেটির প্রতি উৎসাহী হয়ে ওঠে এবং আগ্রহ বেড়ে
যায় খাবারের এভাবে ফলটির জনপ্রিয়তা বেড়ে উঠেছে।
কিন্তু গর্ভাবস্থার শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অনেক গর্ভবতী মহিলারাই
চিন্তায় পড়ে যান। যে তার এই অবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত কিনা। বা তার
শরীরের জন্য উপযোগী কিনা। আর তাই গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল কতটুকু নিরাপদ তা জানার
জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত ।
ড্রাগন ফলের অনেক উপকার থাকার পরেও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা
দেয় যা নিম্নরূপঃ
অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যাঃ, ড্রাগন ফলে ফাইবার বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে
গ্যাস , পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে ।
এলার্জির ঝুঁকিঃ অত্যন্ত বিরল হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জির
প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে । যেমনঃ চুলকানি , রেস বা বমি ভাব ।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে সর্তকতা থাকুনঃ যদিও এতে প্রাকৃতিক চিনি আছে।
তবে যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ জরুরী ।
কেমিকালযুক্ত ফল পরিহার করুনঃ বাজার থেকে কেনা ফল ভালোভাবে ধুয়ে খান। বা
রাসায়নিক থাকলে তা ক্ষতি করতে পারে ।
আপনার ডায়েটে যোগ করুন ড্রাগন ফল
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা জেনে নিয়ে আপনার ডায়েটে যোগ করুন ড্রাগন ফল।
সব সময় খাবারের পূর্বে খেয়াল রাখতে হবে ড্রাগন ফলটি যেন সর্বদা পাকা থাকে। পাকা
ফলটি খাওয়ার জন্য আপনার গর্ভাবস্থায় হতে পারে স্বাস্থ্যসম্মত। আর তাই আপনি
বিভিন্ন খাবারের মধ্যে ড্রাগন ফল ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ
স্মুদি তৈরি করার জন্য লসসির সাথে মেশান সঙ্গে থাকবে কলা বা অন্যান্য ফল ।
শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফলের সাথে মিশিয়ে একটি সুস্বাদু
ফলের সালাত তৈরি করতে পারেন ।
সকালের নাস্তার টেবিলে এটি ময়েসলি বা আঁকায় বাটির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন
।
ড্রাগন ফলকে আপনি শরবত , আইসক্রিম অথবা কেকের সাথে মিশিয়ে ডেজার্ট ফুড
হিসেবে খেতে পারেন ।
আপনি ড্রাগন ফলে রস তৈরি করে শুধু সেটিও সেবন করতে পারেন।
একটি গ্রিল বা রোস্ট করতে পারেন ড্রাগন ফলটির এবং গ্রিলড ড ড্রাগন ফলের
স্কিউয়ারের মত সুস্বাদু খাবারের সাথে তা ব্যবহার করতে পারেন ।
বাদাম এবং ড্রাগন ফল দিয়ে একটি সুস্বাদু দই বাটি তৈরি করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
ড্রাগন ফল গর্ভাবস্থায় একটি পুষ্টিকর ফল। তবে পরিমিত খাওয়া নিরাপদ। যেকোনো নতুন
খাবার শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো । তাই গর্ভাবস্থায় ড্রাগন
ফলের উপকারিতা ও কার্যকারিতা জেনে নিয়ে অবশ্যই সঠিক সময়ে যেকোনো ফলই হোক না কেন
তা মেনে খাওয়া উচিত । একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সবসময় আপনাকে এরকম পরামর্শই প্রদান
করবেন । ঠিক তেমনি ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য একটা সঠিক সময় রয়েছে ।
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য সব সময় ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো
সময় হচ্ছে সকালবেলা। কারণ ওই সময়ে পরিপাকতন্ত্র ফলের যে শর্করা থাকে তার দ্রুত
ভেঙ্গে পুষ্টি শোষণ করার জন্য তা দ্রুত করতে সক্ষম হয় । তবে এটিকে আপনি
মধ্যাহ্নভোজ বা রাতেও খেতে পারেন। পরিমিতভাবে এই ড্রাগন ফল প্রতিদিন খাওয়া
নিরাপদ এবং হজম সহজ হয় । শুধু তাই নয় সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ড্রাগন
ফল গর্ভাবস্থায় ব্যাপক সাহায্য করে ।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গণচিন এর মানুষরা ড্রাগন ফলকে ড্রাগন মুক্তার বা আগন ড্রাগন ফল বলে অভিহিত করে
থাকে । ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে একটি ড্রাগন স্পটিক নামে পরিচিত । এই ফলটি
একাধিক রঙের হয়ে থাকে । তবে লাল রঙের ড্রাগন ফল বেশি দেখা যায় । বিদেশে এই
ফলটির স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর । বর্তমানে বাংলাদেশের ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে এবং
জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। তবে ড্রাগন ফলের মধ্যে আবার বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমনঃ
ধরেন লাল ড্রাগন ফল একটু আলাদা ।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা সাদা বা হলুদ যে রঙেরই ড্রাগন ফল হোক না কেন সব ফলেরই
উপকারিতা একই , তবে লাল ড্রাগন ফলে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক রঞ্জক
অর্থাৎ বিটারলাইন থাকার কারণে কিছু অতিরিক্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
। শুধু তাই নয় লাল ড্রাগন ফলে বিটা লাইনের পাশাপাশি ফ্ল্যাভোনয়েড , ভিটামিন সি
ও ফাইটো এলমুবিন থাকার কারণে শরীরের ভেতরে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল দূর করে এবং রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ।
লাল ড্রাগন ফলে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৯ ফ্যাটি এসিড থাকে যার ফলে রক্তে খারাপ
কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায় । যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় । অর্থাৎ বাকি আর যা
গুনাগুন আছে ড্রাগন ফলে সবকিছু একই । যার ফলে লাল ড্রাগন ফল শুধু সুস্বাদু নয়।
বরং এটি হজম , হৃদযন্ত্র , রক্ত , ত্বক , চুল , ডায়াবেটিস , ক্যান্সার এসব
দুরারোগ্য রোগের মতো রোগকে প্রতিরোধে বিশেষভাবে উপকারী । এই ফল যা নিয়ম করে
পরিমিতভাবে খেলে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন ।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য ড্রাগন ফলের জুস
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও কার্যকারিতা একজন গর্ভবতী মা হিসেবে আপনার
জেনে নেওয়া উচিত । কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টিগুণে ভরা আছে এই ড্রাগন
ফলের জুসে । আমাদের এই বাংলাদেশে আগে ড্রাগন ফল তেমন পাওয়া যেত না । বর্তমান
সময়ে খুবই সহজলভ্য এবং এটি খুবই স্বাস্থ্যকর । তাই এর চাহিদাও অনেক ব্যাপক।
ফলে লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে ড্রাগন ফলে চাষ হচ্ছে ব্যাপক । এই ফলটিতে
প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে । যার ফলে গর্ভাবস্থায় মায়েদের মাসল ক্রাম্ব
কমানোর জন্য ড্রাগন ফল খেতে পারেন।
তবে যাদের কিডনি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা একটু এড়িয়ে চলবেন। আপনি যদি
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের জুস আসহ খেতে পারে অর্থাৎ না ছেঁকে খেতে পারেন তাহলে তা
স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো হবে । তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই ড্রাগন ফলের জুস তৈরি
করতে কি কি উপকরণ লাগে। কিউব আকৃতি করে ড্রাগন ফল কেটে নেওয়ার পরে লেমন জুস ,
লবণ , ধনেপাতা কুচি , চিনি ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নেবেন। তৈরি
হয়ে যাবে দারুন স্বাদের ড্রাগন ফলে জুস।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ম্যাজিক ফল ড্রাগন
ড্রাগন ফলকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর
থাকার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এটি । হজম ভালো করে কারণ এতে আছে ফাইবার
সমৃদ্ধ যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় । লোকালোরি ও ফ্যাট ফ্রী হওয়ার কারণে ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকতে সহায়তা করে। প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম আইরন ও ক্যালসিয়াম
থাকার ফলে হার ও রক্তের জন্য তা খুব উপকারী । ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
ড্রাগন একটি ম্যাজিক ফল হতে পারে ।
আর তাই ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক কোন ধরনের ফ্রুক্টোজ থাকলেও গ্লাইসেমিক কম
হওয়ায় ফাইবার রক্তে শর্করা হঠাৎ করে বাড়তে দেয় না । কিছু গবেষণায় দেখা গেছে
যে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের
উপকারিতা জেনে ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে, ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে
এটি খাওয়া উচিত । তা আপনি প্রতিদিন আধা কাপ থেকে এক কাপ পর্যন্ত এই ড্রাগন ফল
খেতে পারেন ।
ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খেলে শরীরের ক্ষতি
অনেকেরই পছন্দের ফল ড্রাগন। এই ফল দেখতে যেমন সুন্দর তেমন খেতেও খুব সুস্বাদু।
তবে এই ফলটি অতিরিক্ত খেয়ে থাকলে হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি । যাদের আছে এসিডিটির
সমস্যা । প্রতিদিন ড্রাগন ফল খেলে বাড়তে পারে এই সমস্যা । তাই পরিমাণ মতো এই ফল
খাওয়া ভালো । অনেকের শরীরে আছে ভয়াবহ এলার্জি। অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে দেখা
দিতে পারে এই সমস্যা । তাই এলার্জির জনিত সমস্যা থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া
উচিত। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে দেখা দিতে পারে কিডনিজনিত
সমস্যা।
এমনকি কিডনিতে দেখা দিতে পারে পাথর হওয়ার মতো জটিল সমস্যা । শরীর সুস্থ রাখতে
অল্প পরিমাণে এই ফলটি খাওয়া উত্তম । ড্রাগন ফল নিয়মিত বেশি খেলে বাড়তে পারে
ব্লাড সুগারের মাত্রা । যাদের আছে ডায়াবেটিস ও ব্লাড সুগার তারা একেবারেই খাবেন
না । এতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে ব্লাড সুগার । আবার যাদের বদহজমের
সমস্যা আছে তাদের এই ফল না খাওয়াই ভালো । অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হতে পারে
ডায়রিয়ার মত রোগ । তাই গর্ভবতী মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে হতে হবে
ডাক্তারের স্মরণাপন্ন ।
উপসংহারঃ গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
যাইহোক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্ভাবনা এবং স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিষয়টি বিবেচনা
করে আগে থেকে একজন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিয়ে ফলটি গ্রহণ করা যেতে পারে । আপনার
জন্য নিরাপদ কিনা এবং যদি নিরাপদ হয় তবে আপনি কতটা ড্রাগন ফল খেতে পারেন সে
সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন । গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই ধরনের
সুপারিশ এবং অতিরিক্ত সেবণ বা জটিলতার ঝুঁকি দূর হতে পারে । ড্রাগন ফলটি যতই
উপকারী হোক না কেন এটি খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়, পরিমাণ ও পদ্ধতি
অনুসরণ না করলে উপকারের চেয়ে অপকারী বেশি হতে পারে।
সকালে খালি পেটে বা নাস্তার সঙ্গে খাওয়ার পরেও আপনি জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে
বিকেলে এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন । ফলে আপনার ক্ষুধা
মিটবে এবং অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি গ্রহণও কমাতে সহায়তা করবে। গর্ভাবস্থায়
চিকিৎসকরা অনেক সময় হাঁটা চলাফেরা করতে বলেন বা হালকা ব্যায়াম করতে বলেন। সে
ক্ষেত্রে আপনি ব্যায়ামের পরে বা আগে ড্রাগন ফল খেতে পারেন। কারণ এতে প্রাকৃতিক
চিনি ও ইলেকট্রলাইট ব্যায়ামের পরে শরীরের শক্তি ফেরাতে আপনাকে সাহায্য করবে ।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url