নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়। একজন নবজাতকের যখন সর্দি কাশি হয় তখন আপনি
কি করবেন? আর তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমি একজন মা হিসেবে শেয়ার করব, নবজাতকের
সর্দি- কাশির পেছনে কি কারণ রয়েছে? আর কোন লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়।
শুধু তাই নয় আপনি ঘরে কিভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যত্ন নিয়ে শিশুকে স্বস্তি দিতে
পারেন। এই আর্টিকেলটির প্রতিটি মুহূর্ত হতে পারে আপনার নবজাতক শিশুর জন্য অনেক
বড় সহায়তা । তাই আপনি পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।
মা হওয়ার পর যেন পুরো জীবনটাই বদলে যায় । ছোট্ট একটা প্রাণ আপনার কোলে এসে যেন
পুরো পৃথিবীটাকেই ঘিরে রাখে । কিন্তু হঠাৎ যদি সেই ছোট্ট সোনাটির সর্দি-কাশি হয়ে
থাকে। রাতে ঘুম ভেঙ্গে কাশির শব্দে আপনার বুকটা যেন কেঁপে ওঠে । তখন ভেতরের
বুকটাতে খুব বেশি অস্থির লাগে তাইতো? একবার ভাবুন তো এই সর্দি কাশি কি সাধারণ
কাশি? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে বড় কোন অসুখ।আর তাই প্রথমেই বলি নবজাতকের সর্দি
কাশি কেন হয়? অনেক সময় নবজাতক ঠান্ডা লাগার কারণে সর্দি কাশি হতে পারে।
ধুলোবালি থেকেও সংক্রমণ হতে পারে বা ধূমপানের ধোঁয়া বা পার্শ্ববর্তী কারো
সর্দি কাশি থেকেও তা হতে পারে। জন্মগত শ্বাসনালী বা ফুসফুসের সমস্যা থাকলেও কাশি
দেখা দিতে পারে । তাই কোন ধরনের জটিলতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে শিশু বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ নিন। আর তেমন কিছু দেখা না দিলে শিশুকে আপনি ঘরোয়া ভাবে সরিষার তেলের
সঙ্গে রসুন গরম তেলে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে প্রতিদিন তা নিয়ম করে
লাগাতে পারেন। আর নবজাতক শিশুর ঘর টিতে রাখুন সামান্য রৌদ্রময়। মা হিসেবে
নবজাতককে ঘনঘন বুকের দুধ খাওয়ান।
কোন লক্ষণ গুলো দেখা দিলে চিন্তিত হবেন
নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় কি তা একজন মা হিসেবে আপনার জানা উচিত ।
নবজাতকের সময়কাল বলতে শূন্য থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত । একটা পরিবারে যখন নবজাতক আসে
। স্বাভাবিকভাবে পরিবারে একটা আনন্দের উৎসব বয়ে যায় । সবাই খুব উৎকণ্ঠায় থাকেন
নবজাতকের যত্নাদি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে। আর তাই সুরক্ষা সম্পর্কে জানতে
হলে পুরো আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যদি নবজাতকের সর্দি কাশির সাথে নিম্নের এই
লক্ষণগুলো থাকে তাহলে আপনি চিন্তিত হবেন ।
নবজাতক এর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ।
বুকের ভেতর একটা কোকো শব্দ হচ্ছে এবং বুকের পাঁজরের কাঠি গুলো দেবে যাচ্ছে
।
মাথার চাঁদি বসে যাচ্ছে
বেস্ট ফিডিং করতে বাচ্চা অনীহা প্রকাশ করছে ।
জ্বর আসছে বা শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে ।
ঘনঘন কাশি যেন কিছুতেই থামছে না ।
এই লক্ষণগুলো এমার্জেন্সি ওয়ার্নিং সাইন হতে পারে। তাই এই অবস্থায় বাড়িতে বসে
থাকার কোনোরকম সুযোগ নাই । আপনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে । আর ডাক্তারটি হতে হবে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ । যা আপনার শিশুর এবং আপনার
পরিবারের জন্য ভালো একটি সিদ্ধান্ত হবে।
নবজাতক শিশুর সর্দি কাশিতে ঘরোয়া করণীয়
নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় এরমধ্যে ঘরোয়া করণীয় এক অন্যতম পন্থা।
এটা সাধারণত মাইল্ড কাশি হলে প্রযোজ্য । যদি সর্দি কাশি খুব বেশি না হয় । আর
অন্য কোন উপসর্গ না থাকে । তাহলে কিছু ঘরোয়া যত্ন নেওয়া যেতে পারে ।
ঘর সব সময় পরিষ্কার ও ধুলাবালি মুক্ত রাখুন ।
শিশুর পাশে কেউ ধূমপান করবেন না ।
প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর শরীর মুছে দিতে পারেন ।
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান নিয়মিত ।
সরিষার তেল ও রসুন আগুনের তাপে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নবজাতক শিশুকে নিয়মিত
মালিশ করতে পারেন।
ঘরের তাপমাত্রা মাঝামাঝি রাখুন। খুব ঠান্ডা বা খুব গরম যেন না হয় । প্রয়োজনে
হিউম্যাডী ফায়ার ব্যবহার করতে পারেন । যা কিনা শুষ্ক আবহাওয়া হতে সাহায্য
করবে ।
এতে করে নবজাতক শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে । মনে রাখবেন একেবারে নবজাতক
শিশুর ক্ষেত্রে কোন ধরনের দুধ , মধু বা আদার রস কোনটাই খাওয়ানো যাবে না । এসব
মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে ।
সর্দি-কাশিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
আপনার নবজাতকটি সর্দি বা কাশিতে আপনি কি ভয় পান? ভাবেন ঠান্ডা লেগেছে। কিন্তু
জানেন কি কিছু লক্ষণ এমনও আছে যেগুলো অবহেলা করলে জীবন সংকট হতে পারে ? আজকে জানব
কখন এটা স্বাভাবিক । কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? আসুন শুরু করি । প্রথমত জেনে নেই
নবজাতকের সর্দি ও কাশি কতটুকু স্বাভাবিক। নবজাতকের নাখ খুবই সংবেদনশীল । ধুলা ,
ঠান্ডা হাওয়া এমনকি বুকের দুধ খাওয়ার সময় একটু দুধ নাখে চলে গেলেও হাঁচি আসতে
পারে।
নবজাতকের সর্দি কাশি বা অন্য সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে যে অভ্যাস গুলো মনে রাখবেন ।
পরিবারের সদস্যদের হাত ধুয়ে শিশুকে ধরতে হবে । ঘরে কেউ অসুস্থ থাকলে নবজাতকের
কাছ থেকে দূরে রাখবেন। শিশু নাক বা মুখে কখনো হাত দিবেন না । আর আপনার নবজাতককে
সবসময় পরিষ্কার বিছানায় রাখুন । একজন মা হিসেবে আমি জানি সন্তানের একটু
অসুস্থতা আমাদের কতটুকু ভয় লাগে । তাই আপনি যদি এই অবস্থায় পড়েন । ভয় পাবেন
না । সচেতনতা বাড়ান । সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে আপনার শিশুকে সুস্থ রাখা
সম্ভব ।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় কি তা একজন সচেতনশীল বাবা-মা হিসেবে আপনার
জানা অত্যন্ত প্রয়োজন । আপনি শিশুটি যখন হাসি বা কাশি দেবে বা নাখ এ পানি আসবে
এটা তেমন কোন চিন্তার বিষয় না । যদি আপনার শিশুটি নিয়মিত হাসিখুশি থাকে এবং
বুকের দুধ খেতে পারে। তবে হাঁচির মাধ্যমে তারা নাক পরিষ্কার রাখে । একইভাবে কখনো
শ্বাসনালীর প্রতিক্রিয়া হিসেবেও হতে পারে । তবে ওই যে বললাম যদি নবজাতক হাসছে
খাচ্ছে।
প্রস্রাব পায়খানা ঠিকমতো করছে তবে চিন্তার তেমন কিছু নেই । এছাড়া আপনার বাচ্চার
সর্দি কাশি যদি এক থেকে দুদিনের মধ্যে না কমে অথবা উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে বাড়তে
থাকে তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন । অনেক সময় ডাক্তার কিছু
স্যালাইন , নাকের ড্রপ বা নেবুলাইজেশন সাজেস্ট করতে পারেন । তবে কখনোই নিজে থেকে
ওষুধ শুরু করবেন না । একজন সচেতন বাবা-মা হিসেবে এটা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে
।
নেবুলাইজেশন করুন সহজে
এই শীতকাল এলেই বড়দের ঠান্ডা লাগা সারতে চাইনা। আর শিশুদের কথা তো বলাই বাহুল্য।
কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় এমনিতেই একটু কম থাকে । ওদের জন্য সবসময়
একটু বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকা হয় । তাই এই শীতে নবজাতক শিশুর ঠান্ডা
প্রায়শঃ লাগার সম্ভাবনা বেশি। খুব সাবধানতা অবলম্বন করে সচেতন থেকে ওদের
যত্ন নিশ্চিত করতে হবে । একটি মেশিনের নাম বলি সেটা হচ্ছে নেবুলাইজার মেশিন ।
বর্তমান সময়ে এটি খুব বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
নেবুলাইজেশন , এই চিকিৎসা পদ্ধতি নবজাতকের জন্য খুব একটা সহজ। এতে করে
তাৎক্ষণিকভাবে একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যায় । এই শীতে শিশুর শ্বাসনালীতে বিশেষ
করে সর্দি কাশি হলেই রেসপেরিটোরিও সেন্সিটিওল ভাইরাল যে রোগটি হয় তার নাম
ব্রঙ্কালাইটিস । তাতে নেবুলাইজেশন খুব তাৎক্ষণিকভাবে ভালো একটা চিকিৎসা । শুধু
তাই নয় সাধারণ সর্দি কাশিতেও বর্তমানে শিশুদের জন্য নেবুলাইজেশন ব্যবহার হয়ে
থাকে । তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট ডোজ তার বয়স অনুযায়ী
নেবুলাইজেশন দেওয়া হয়ে থাকে।
নবজাতকের সর্দি-কাশির গুরুত্বপূর্ণ দিক
নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়, যা জানা প্রতিটি মায়ের উচিত। যখন আমরা
নবজাতকের মধ্যে কাশি এবং সর্দি একটু ঘন ঘন দেখি তখন বুঝতে হবে এখনো ঠান্ডা
ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। একটি নবজাতকের কাশির জন্য
স্বাভাবিকভাবে বছরে চারবার হওয়া পর্যন্ত সাধারণ ব্যাপার।
অপরিণত সিস্টেমের কারণে নবজাতকের সর্দি কাশি সাধারণ
আপনার নবজাতকের হ হাঁচি কাশির জন্য ঠান্ডা লাগা ছাড়া আরো অন্য কোন কারণ
থাকতে পারে।
নবজাতকের কাশি প্রতিকারের জন্য বাড়িতে ড্রপের মাধ্যমে পরিষ্কার অনুনাসিক
উত্তরণ করা সম্ভব।
কিন্তু একজন নবজাতকের সর্দি কাশি কার্যকর ভাবে চিকিৎসার জন্য পিতা-মাতার কারণ ,
লক্ষণ এবং বিভিন্ন চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি গুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
কেননা একজন নবজাতকের কাশি বিভিন্ন কারণে সার্থকতা অবস্থায় হতে পারে তা শুধু
সর্দিজনিত কারণে নয় । নবজাতকের সর্দি কাশি যে ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয় সে একই
ভাইরাস দ্বারা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণ ঘটায় থাকে । তাই নবজাতকের
সাধারণ আচরণের চেয়ে একটু আলাদা দেখলে অতিশীঘ্রই আপনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
একটি নবজাতকের ঠান্ডা জনিত জটিলতা
একজন নবজাতক শিশুর সর্দি কাশির একটি সাধারণ কারণ হলো ঠান্ডা ভাইরাস। সবচেয়ে
সাধারণ হল রাইনো ভাইরাসেস । বিভিন্ন উপায়ে আপনার এই নবজাতক শিশুর শরীরে প্রবেশ
করে থাকে। আর এই ভাইরাস প্রবেশের সবচেয়ে সাধারণ পথ হল শিশুর নাক , কান এবং চোখ ।
আর তাই সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে আপনার শিশুকে রাখার চেষ্টা করুন ।
আপনার নবজাতকের সর্দি-কাশি বা হাঁচি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন
হওয়া আপনার উচিত ।
কারণ এতে করে আপনাকে জটিলতা এড়াতে সাহায্য করতে পারে । কেননা নবজাতকের
হাঁচি কাশি সর্দি এর সাথে বিকাশ হতে পারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা। যা হলোঃ
তীব্র সাইনোসাইটিস
ঘ্রাণ
ওটিটিস মিডিয়া অর্থাৎ তীব্র কানের সংক্রমণ।
অন্যান্য সংক্রমণ যেমন নিউমোনিয়া ব্রংকীওলাইটিস ।
আর তাই আপনি যদি কখনো এই জটিলতা গুলো আপনার নবজাতকের ভিতরে লক্ষ্য করেন তাহলে
অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত । তবে এটাও মনে রাখা উচিত যদি
এধরনের কোন উপসর্গ দেখতে না পান বা অনুমান সাপেক্ষেও মনে হচ্ছে না তাহলেও একজন
ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভালো ।
মা যে কাজ করলে শিশুর ঠান্ডা লাগে না
নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় কি? তা জানা একজন মায়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি
। একজন সন্তান যখন পৃথিবীতে আসে, তখন সে সম্পূর্ণ একটা নতুন পরিবেশে । মায়ের
গর্ভে শিশুটি থাকে অনেক আরামে কিন্তু পৃথিবীতে যখন আসে তখন তাকে প্রতিকূলতার
সঙ্গে লড়াই করে থাকতে হয় । সেই ক্ষেত্রে পরিবারের মা সহ অন্যান্য সদস্যদের অনেক
দায়িত্ব বেড়ে যায় এই নতুন সদস্যটির প্রতি । তাই তখন মাকে নবজাতকের সঙ্গে সঙ্গে
অনেক যত্ন আদি করতে হয়। এর ফলে নবজাতকসহ মা অনেক ভালো থাকতে পারে ।
তাই সেই সময় মাকে সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে এগারোটার ভেতরে গোসল করে নিয়ে চুলগুলো
শুকিয়ে সমস্ত শরীরকে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে । শরীরে
সামান্য পরিমাণে রোদ্রের তাপ লাগাতে পারলে বেশি ভালো হয় । কারণ এই মায়ের কাছ
থেকে নবজাতক দুগ্ধ গ্রহণ করে । পাশাপাশি এই নবজাতকের মাকে তরল জাতীয় খাবার বেশি
বেশি দিতে হবে এবং ঘি দিয়ে শুকনো জাতীয় খাবার যেমনঃ গমের রুটি দেওয়া যেতে পারে
। কোন ফল খাওয়াতে চাইলে মাকে অবশ্যই তা সকালের দিকে খাইয়ে দিতে হবে।
শেষ কথাঃ নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়
যখন একজন অসুস্থ ব্যক্তি হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় বা কথা বলার সময় তাদের মুখ
ঢেকে রাখে না তখন নবজাতকের জন্য তা সংক্রমণে কারণ হতে পারে । কারণ নবজাতক শিশুর
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম থাকে । আর তাই সাবধানতা অবলম্বন করে আপনি আপনার
নবজাতকের সর্দি-কাশি চিকিৎসার জন্য দুটি বিকল্প পথ বেছে নিতে পারেন । একটি হল
নির্ধারিত ওষুধ খাওয়ানো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী । আর অপরটি হলো বাড়িতে
নবজাতকের জন্য সর্দি কাশি যেন না হয় ।
বা কোন সংক্রমণজনিত কোন অসুখ না হয়।
তার জন্য একটা প্রতিকার মুলক পরিবেশ তৈরি করা । বেশ সাবধানতার সাথে ঘরোয়া
কিছু পরীক্ষিত প্রতিকার রয়েছে যা আপনি নবজাতকের সর্দি কাশি নিরাময়ের জন্য
ব্যবহার করে থাকতে পারেন। যেমনঃ ঘরের বাতাসকে আদ্র করতে একটি হিম শীতল
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন । ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করার জন্য মাকে প্রচুর
পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার দিতে পারে ফলে শিশু প্রচুর পরিমাণে বুকের দুধ খেতে
পারবে। সরিষার তেল বা অলিভ অয়েলের তেল হাতে ঘষে ঘষে শিশুর সমস্ত পিঠে শরীরে তা
মালিশ করে দিতে পারেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।
comment url