মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার। কোমর ব্যথায় কষ্ট পায়নি এমন মানুষ খুব কম দেখা যায় । শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই বোঝেন এটা কতটা কষ্টের । কোমর ব্যথা নিয়ে অনেক ভুলভ্রান্তি ভ্রান্ত ধারণা আমাদের মাঝে সবার কাছে আছে । সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা।

মহিলাদের-কোমর-ব্যথার-কারণ-ও-প্রতিকার

বিশ্ব গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের  একটি বিশাল বড় অংশ যার এক নম্বরে কোমর ব্যথা। আমার আজকের আর্টিকেলটি লেখা মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার। মহিলাদের ঠিক কি কারণে এই কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। তার একটি বিস্তারিত আলোচনা এই আর্টিকেলটিতে করবো ।

পেজ সূচিপত্রঃ মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

এই কোমর ব্যথা নিয়ে অনেক বেশি মানুষ কষ্ট পাচ্ছে । মহিলাদের বিভিন্ন কারণে এই কোমর ব্যথা হয়ে থাকে । সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সে মেয়েদের এই কোমর ব্যথা খুব বেশি হয়ে থাকে । এর প্রধান কারণ হচ্ছে ২৫ বছর বয়সের পরে কিছু কিছু মেয়ে কর্মজীবন শুরু করে এবং দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কাজ করে। বসে কাজ করলে হয় আমাদের মেরুদন্ডের সামনের দিকে মাংসগুলো প্রসারিত হয়ে যায় এবং পেছনের মাংসগুলো সংকুচিত হয়ে যায় । এর ফলে একটা এম ব্যালেন্স তৈরি হয়। আস্তে আস্তে তৈরি হয় ব্যথা এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ ব্যথাতে সৃষ্টি হয় । 

পাশাপাশি কোমর ব্যথার আরেকটি কারণ হচ্ছে মেয়েদের মাসিক হওয়া । এমনিতে যাদের অনিয়মিত মাসিক তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় মাসিকে শুরুতে এবং মাসিক চলাকালীন সময় এক ধরনের হালকা কোমর ব্যথা হয়ে থাকে । এটাও কিন্তু মহিলাদের কোমর ব্যথায় একটি কারণ । পাশাপাশি গর্ভাবস্থা । প্রেগনেন্সির সময় শরীরের অতিরিক্ত একটু ওজন আমাদের কোমরের অংশের ধারণ করতে হয় । এই সময়তে দেখা যায় মেয়েদের কোমর ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে চলে।

পাশাপাশি দেখা যায় বাচ্চা হওয়ার পরে । অর্থাৎ বাচ্চা হওয়ার সময় যদি তার কোন ধরনের এক্সিডেন্ট ঘটে থাকে তাহলে কিন্তু এই ব্যাথাটার সে সারা জীবন ক্যারি করতে থাকে ।  মেয়েরা সাধারণত ঘরবাড়িতে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে । ভারী জিনিস উঠানো , ভারী বালতি উঠানো , অনেক মেয়েরা দেখা যায় যে বসে থেকে কাপড় কাচে , আবার পাটায় দীর্ঘক্ষণ মসলা বাটলে , লম্বা সময় ধরে মেয়েদের দাঁড়িয়ে থেকে রান্না করতে হয়। থাকে। পাশাপাশি রিকশায় জার্নি করলেও কোমর ব্যথা হয়ে থাকে প্রথম দিকে হালকা ব্যথা থাকলেও পরবর্তীতে এটা দীর্ঘ ব্যথার কারণ হয়ে থাকে ।

কেন কোমর ব্যথা হয়

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার জানা প্রত্যেকের উচিত। কিছু রোগ আছে স্পন্ডিলাইডিস অস্টিওআর্থারাইটিস , পাশাপাশি ডিস্ক হানিয়েশনের মত কিছু রোগ যদি মেয়েদের থেকে থাকে তাহলেও কিন্তু এটি একটি কোমর ব্যথার কারণ । মানসিক অশান্তি , শরীরের যে কোন রোগ এর একটি কারণ হয়ে যায় । কেউ যদি মানসিক অশান্তিতে থাকেন তাদেরও ধীরে ধীরে একটি ব্যথা কোমরে অনুভব করতে থাকেন । পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মানে আমরা বলবো , আমাদের বর্তমান জীবনযাত্রায় আমরা যদি নিয়মিতভাবে ব্যায়াম না করে থাকি ।

আরো পড়ুনঃ  শিশুদের হাম হলে কি করনীয়

লাইফস্টাইলে যদি আমরা অ্যালকোহল কিংবা জাঙ্কফুর জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি । দেখা যাবে সেটাও কিন্তু আমাদের এই আস্তে আস্তে কোমর ব্যথার দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর করবে । এছাড়াও পাশাপাশি কিছু রোগের কারণেও কোমর ব্যথা হয়ে থাকে । কারো যদি কিডনিতে ইস্টোন থাকে । তারপর মেয়েদের ইউরিন ইনফেকশন থেকে থাকে । তাহলেও কিন্তু মেয়েদের কোমর ব্যথা হয়ে থাকে । এন্ডোমেট্রিয়স নামে যেটা জরায়ুর রোগ । এই রোগে যদি কেউ আক্রান্ত থাকে তাহলে কিন্তু তাদের লম্বা সময়ে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে ।

কিভাবে জানবেন কোমর ব্যথার কারণ 

আমরা যখন ব্যাথা ব্যথা জনিত চিকিৎসা নেবার প্রয়োজন মনে করব। তার আগে জেনে নিব মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার। শুধু তাই নয় জেনে নেব কেন কোমর ব্যথা হচ্ছে অথবা কি কারণে ব্যথা হচ্ছে । বর্তমানে আমরা অধিকাংশ রোগ এর ক্ষেত্রে এক্সরে অথবা এম আর আই দেখে চিকিৎসক চিকিৎসা প্ল্যান করে থাকে এবং সঠিক চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হয় । তাই প্রথমে স্পেসিফিক ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট করা ।

কোন মাসল , নার্ভ , লিগামেন্ট অথবা অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা তা নির্ণয় করা । পরবর্তীতে রেডিওলজিক্যাল ও প্যাথলজিক্যাল ফাইন্ডিংস এর মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব । কারণ আপনার যখন স্পেসিফিক ভাবে ডায়াগনসিস সম্ভব হবে তখনই আপনি সঠিক চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে বর্তমানে মাস্কুলোস্কেলেটাল আল্ট্রাসনোগ্রাফি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব থাকে না এবং সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় স্বল্প খরচে করা সম্ভব হয় ।

কিভাবে কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করতে পারেন

মহিলাদের কোমর ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার জানতে পারলে আপনি তা প্রতিরোধ করতে পারবেন খুব সহজে। যখনই দেখবেন আপনার কোমর ব্যথা শুরু হয়েছে সাথে সাথে বিছানায় চলে যান এবং চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন । ততক্ষণ পর্যন্ত শুয়ে থাকুন যতক্ষণ আপনার ব্যথা না কমছে । পাশাপাশি একটা অনুরোধ করে রাখবো , আপনারা কখনোই উল্টাপাল্টা জাতীয় পেইনকিলার না খেয়ে জাস্ট কোমরে একটি গরম তোয়ালে গোল করে পেঁচিয়ে কোমরে গরম ছ্যাকা দিয়ে শুয়ে থাকুন । দেখবেন ব্যথাটা আস্তে আস্তে কমে যাবে।

আরো পড়ুনঃ নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়

কারণ যে কোনো ব্যথা নাশক ঔষধ যদি আপনি ইচ্ছামতো সেবন করে থাকেন পরবর্তীতে দেখা যায় তা কিডনিতে এফেক্ট করতে পারে। ব্যথা নাশক ঔষধের চেয়ে ব্যায়াম একটি ভালো পন্থা এবং চিকিৎসক তাই বলে থাকেন । চিকিৎসকের দেখানো ব্যায়ামগুলো প্রতিদিন ১০ মিনিট করে করলে চিরদিনের জন্য কোমর ব্যথা উপশম হবে । এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকলে আপনার ওজন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । পাশাপাশি ৪৫ মিনিট হাঁটতে হবে ।

কোমর ব্যথার লক্ষণ

কোমর ব্যথার প্রথমে কি ধরনের লক্ষণ আমরা দেখে থাকি তা আলোচনা  করি। প্রথমে কোমরের দিকে হালকা ব্যথা হয় এবং তা পরবর্তীতে এই ব্যথা কোমর থেকে পায়ে নেমে যায় । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে অনেক সময় দাঁড়াতে কষ্ট হয় । এতটা ব্যথা অনেক সময় কোমর থেকে পা পর্যন্ত পা গুলো অবশ এর মত লাগে । তখন দেখা যায় কোমরটা সামান্য নড়াচড়া করলে ব্যথা অনুভূত হয় । কোমরের ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বা হঠাৎ করে প্রচন্ড ব্যথা চলে আসতে পারে ।

মহিলাদের-কোমর-ব্যথার-কারণ-ও-প্রতিকার

নড়াচড়া বা কাজকর্মের মাধ্যমে ব্যথা তীব্র হতে থাকে । ক্রমশ ব্যথা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে থাকে । অনেক সময় দেখা যায় রোগী অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বা বসে থাকতে পারেনা । এতে করে শিরশির বা ঝিনঝিন জাতিও ব্যথা করতে পারে । যা অনেকক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকলে তা কমে যেতে থাকে। এভাবে দীর্ঘক্ষণ বা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তা ধীরে ধীরে রোগীর জন্য ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। শুধু তাই নয় মাংসপেশীর ক্ষমতা কমে আসে এবং শুকিয়ে যেতে পারে ।

নিত্যদিনের কাজে সতর্কতা

নিচ থেকে কিছু তোলার সময় কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে না তোলার চেষ্টা রাখবেন । হাঁটু ভাঁজ করে তুলা সবচেয়ে ভালো । কোন কিছু বহন করার সময় ঘাড়ের উপর কিছু না তোলা উচিত। পিঠের উপর ভারী কিছু বহন করার সময় অবশ্যই সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করবেন। একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নয় । মাঝে মাঝে অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন ঘটান। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে পরপর হয় এক পা থেকে অন্য পায়ে পরিবর্তন করুন ।

আরো পড়ুনঃ  রাতে হাত পা কামড়ানোর কারণ কি 

যানবাহনে চড়ার সময় অর্থাৎ গাড়ি চালানোর সময় স্টিইয়ারিং এর থেকে দূরে না বসে একটু কাছাকাছি বসার চেষ্টা করবেন। সোজা হয়ে বসে গাড়ি চালানো যা কোমরের জন্য অনেক ভালো কাজ করে থাকে । ভ্রমণকালীন সময়ে ব্যথার জন্য লাম্বার  করসেট ব্যবহার করতে ভুলবেন না । চেয়ার টেবিলে কাজ করার সময় এমনভাবে বসুন যাতে উরু মাটির সমান্তরাল বরাবর থাকে । কোমরের পেছনে পারলে সাপোর্ট ব্যবহার করুন । সামনে ঝুকে কাজ না করে সোজা হয়ে বসে কাজ করার সব সময় চেষ্টা করেন।

মহিলাদের কোমর ব্যাথার প্রতিকার

হাঁটার মতো ব্যায়াম কোমর থেকে পা পর্যন্ত একটা মেসেজ এর মত তৈরি হয়ে যায় । ফলে মাংসপেশি গুলো সব সময় সচল থাকে । বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে সাধারণত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে । ফলে সেই সময় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে বলে থাকেন চিকিৎসকরা । যেন বয়স্ক কালে কোন ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয় । পাশাপাশি এইটা বলতে পারে যে , সুস্থ সবল আপনাকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় দিতে পারে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি  ।

আপনি আপনার কর্ম ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে প্রতি এক ঘণ্টা পর পর একটু উঠে পাঁচ থেকে দশ মিনিট উঠে ঘুরে এসে বসুন । ঠিক এইভাবে যদি আপনি আপনার মেন্টেন করতে পারেন তাহলে কোমর ব্যথা নাশক এই ভয়ঙ্কর রোগ হতে  আপনি তাড়াতাড়ি মুক্ত হবেন বলে আশা রাখি । অল্প হিলের জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন । কোমর ঝুকে বাচ্চাকে কখনো কোলে নেবেন না টিউবওয়েল চাপার জন্য কোমর সোজা রাখবেন । ভরা বালতি বা কলস বা আসবাবপত্র তুলতে গিয়ে প্রথমেই আপনি হাটু ভাঁজ করে নেবেন এবং কোমর সোজা করে রাখার চেষ্টা রাখবেন ।

অপারেশন বিহীন কোমর ব্যথার আধুনিক চিকিৎসা

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার আমাদের প্রত্যেকের সচেতন ব্যক্তি হিসেবে জানা উচিত। সব ধরনের বয়সী মহিলাদের মধ্যে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে । আমাদের দেশে প্রায় ৯০% মানুষ জীবনের কোন না কোন সময় কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। সময়ের সাথে সাথে সেটা ক্রমশ বাড়তে থাকে । আর তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া এবং সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা পাওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই কাম্য ।

বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা এর মধ্য দিয়ে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে । ফলে অনেক সময় অপারেশন করার প্রয়োজন হতে পারে । কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা গেছে যে অপারেশন না করেও দীর্ঘদিন ফিজিওথেরাপি নিলে পারে সুস্থ থাকা সম্ভব হয় প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ । আবার কখনো কখনো দেখা যায় যে শতভাগ রোগী ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ভালো হয়ে যান । সবসময় ফিজিওথেরাপি নেওয়ার জন্য থেরাপিস্টের শরণাপন্ন না হয়েও অনেকে বাসায় নিয়মিতভাবে ব্যায়ামের মাধ্যমেও সুস্থ থাকতে পারেন । যা চিকিৎসকের দেখানো ব্যায়াম হয়ে থাকে ।

দেশেই এখন কোমর ব্যথার আধুনিক চিকিৎসা

বর্তমান সময়ে কোমর ব্যথা নিয়ে আর হতাশা বা ভোগান্তি নয়। আমাদের দেশে রয়েছে এক সর্বধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি । আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণায় দেখা গেছে যে কোমর ব্যথার জন্য ৯০% রুগি শুধুমাত্র সঠিকভাবে ফিজিওথেরাপি নেওয়ার মধ্য দিয়ে শতভাগ সুস্থ হয়ে যান । এক্ষেত্রে বড় কোন জটিল অপারেশনে প্রয়োজন পড়েই না । আর ছোটখাটো অপারেশন তো নয় । তবে ১০% রোগীদের প্রত্যেকের উচিত এক থেকে দুই তিন জন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিয়ে যাদের অপারেশন না করলেই নয় তারা করতে পারেন ।

মহিলাদের-কোমর-ব্যথার-কারণ-ও-প্রতিকার

এই কোমর ব্যাথার আধুনিক চিকিৎসা অর্থাৎ ফিজিওথেরাপি মাধ্যমে একজন রোগীর শুধু ব্যথাই কমবে না বড় সেতার স্বাভাবিক কর্মজীবনে সুন্দরভাবে ফিরে যেতে পারবে। ফিজিওথেরাপি মানে শুধুমাত্র হিট মেশিন বা যন্ত্র চালিত মেশিন এমনটি নয় । একজন ফিজিওথেরাপিস্ট অবশ্যই বিপিটি ডিগ্রী সম্পূর্ণ হতে হবে । তিনি তার ম্যানুয়ালি ভাবে ফিজিওথেরাপি যেমন মবিলাইজেশন , ম্যানিপুলেশন টেকনিক , মায়োফিশিয়াল রিলিজ ,থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ , স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ,স্ট্রেথেনিং এক্সারসাইজ আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী দিয়ে থাকেন।

শেষ কথাঃ মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

কোমর ব্যথার রোগীদের জন্য সঠিকভাবে ফিজিওথেরাপি এবং রিহ্যাবিলিটেশন ব্যতীত কখনোই একজন ব্যক্তির পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব নয় । তাই আপনার ব্যথা কমে যাওয়ার পরেও একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের আওতার ভিতরে মিনিমাম দুই সপ্তাহ এর পূর্ণ রেহ্যাবিলিটেশন প্রয়োজন । এ থেকে বোঝা যায় যে কোমর ব্যথা নিয়ে আর হতাশা বা ভোগান্তি নেই । আধুনিক চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেমনঃ ইলেক্ট্রো থেরাপি এর মধ্যে পড়ে লেজার আল্ট্রাস সাউন্ড , মেকানিক্যাল ট্রাকশন এসবের সহায়তা নিয়েও ব্যথা  কমে যেতে পারে।

কোমর ব্যথা নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম এর মধ্য দিয়ে । পাশাপাশি একটি ভাল খাদ্যের তালিকা এবং স্বাস্থ্যকর ওজন ব্যবস্থা দ্বারা কোমর ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে । ব্যায়াম করার সময় মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন এবং সেগুলো কখনোই অতিরিক্ত করতে যাবেন না । স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য একটা ডায়েট চার্ট অবশ্যই প্রয়োজন । এতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার সম্ভাবনা বেশি । শুধু তাই নয় আপনার পায়ে চাপ কমানোর জন্য সব সময় উপযুক্ত জুতা ব্যাবহার করুন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দেন। এখানে প্রতিটি মতামতের রিভিউ প্রদান করা হয়।

comment url